আন্তর্জাতিক
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সরকার। এবিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (১৩ মে) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপ মুখপাত্র টমি পিগট।
তিনি বলেন, আমরা জানি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে, যতক্ষণ না দল এবং এর নেতাদের বিচার কার্যক্রম শেষ না হয়। আমরা বাংলাদেশের কোনো একক রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা সকল ব্যক্তির জন্য একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পাশাপাশি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া সমর্থন করি।
টমি পিগট আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশসহ সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সব সংগঠনের স্বাধীনতাকে সম্মান করে।
তিনি বলেন, আমরা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে মূল্যবান বলে মনে করি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘কোনো উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।’
বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকায় আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
সোমবার (১২ মে) বিকালে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনের পর সোমবার (১২ মে) রাতেই দলটির নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
সিরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১৪ মে) দীর্ঘ ২৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার নেতাদের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠকের আগের দিন মঙ্গলবার (১৪ মে) এই ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক হয়। এরপর ট্রাম্প বলেন, আমরা সিরিয়াকে একটি নতুন সূচনা দিতে চাই। তিনি আরও জানান, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আল-শারাকে ফিলিস্তিনিদের যাদের যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে বিবেচনা করে, তাদের সিরিয়া থেকে বহিষ্কার করতে বলেছেন। পাশাপাশি, সিরিয়াকে আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আইএস বন্দিশিবিরগুলোর দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই বৈঠকের আগে মঙ্গলবার (১৫ মে) রাতেই ট্রাম্প ঘোষণা দেন, সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এই ঘোষণার পর আরব নেতাদের উল্লাস এবং সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে উৎসবের আমেজ দেখা যায়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সাক্ষাৎ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথে একটি বড় অগ্রগতি।
ট্রাম্প বর্তমানে চার দিনের উপসাগরীয় অঞ্চল সফরে রয়েছেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে তার রাষ্ট্রীয় বৈঠক রয়েছে, যেখানে কয়েকশ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া, ট্রাম্পের সফরে সৌদি আরব এরই মধ্যে ৬০০ বিলিয়ন বা ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ চুক্তি ও ১৪২ বিলিয়ন বা ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কেনা চুক্তি করেছে।
সফরের শেষ দিন তিনি আবুধাবি হয়ে ওয়াশিংটনে ফিরবেন ট্রাম্প। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সম্ভাব্য এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য তুরস্ক যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় উদ্বিগ্ন ভারত

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, কোনো উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।
তিনি বলেন, (বাংলাদেশে) গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর (পলিটিক্যাল স্পেস) সঙ্কুচিত হয়ে আসছে তাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বভাবতই উদ্বিগ্ন বোধ করছে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, বাংলাদেশে দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক (ইনক্লুসিভ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে আমরা জোরালো সমর্থন জানাই।
প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর ফলে ‘আওয়ামী লীগ’ নামে দলটির নেতাকর্মীরা বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবেন না।
শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে দলটির বিচার হবে। এ বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
ওইদিন একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গ-সংগঠন বা সমর্থকগোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ওপাশ থেকে গুলি চললে, এপাশ থেকে গোলা চলবে: মোদি

দুই দেশের টানা ১৯ দিন উত্তেজনা, সংঘাত ও সহিংসতা চলার পর অবশেষে গত শনিবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। কিন্তু, চিরবৈরী দেশ দুটির ‘ডগফাইট’ এখনও চলছেই। হামলার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তো আছেই; চলছে পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিও।
সবশেষ পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ যেকোনো হামলার ব্যাপারে নিজ দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া আরও জোরালোভাবে দেওয়ার নির্দেশ পেয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।
রোববার (১১ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মোদি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা। অর্থাৎ, ওদিক থেকে যদি গুলি চালানো হয়, তবে এখান থেকে গোলা ছোড়া হবে।
মোদির এ নির্দেশনাকে একটি মোড় ঘোরানো সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সূত্রগুলো, বিশেষ করে ভারতের বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।
এরপর থেকে দুদেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে পরিস্থিতি, গত কয়েকদিনে রীতিমতো যুদ্ধের রূপ ধারণ করে যা।
এমন পরিস্থিতিতে চিরবৈরী দুদেশের মধ্যকার উত্তেজনা থামাতে এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। টানা ৪৮ ঘণ্টা আলোচনার পর গত শনিবার (১০ মে) দুদেশকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে সক্ষম হয় দেশটি। ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথম এ যুদ্ধবিরতির খবর নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, দুপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর আমি খুব উৎফুল্লতার সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
একই বার্তা আসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর পক্ষ থেকেও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে রুবিও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে এবং একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্ততাকারী যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বার্তা আসার কিছুক্ষণ পরই এ বিষয়ে বক্তব্য দেয় ভারত ও পাকিস্তান। বিস্তারিত আলোচনায় বসার ব্যাপারে আশ্বাস দেয় দুপক্ষই।
তবে ভারতের সরকারি সূত্র এখন বলছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ এখনো শেষ হয়নি এবং ‘সন্ত্রাসবাদের’ মোকাবিলায় ভারতের প্রতিক্রিয়া এখন থেকে এক নতুন দৃষ্টান্ত গড়বে।
এছাড়া কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ইস্যুতে কোনও মধ্যস্থতা ভারত মেনে নেবে না। এই বিষয়ে একমাত্র আলোচনা হতে পারে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীরি এলাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে।
ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা নয়—শুধু দুই দেশের সেনাবাহিনীর ডিজিএমও পর্যায়ে যোগাযোগ চলবে। তাদের ভাষায়, এই মুহূর্তে আলোচনার আর কোনও বিষয় নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সুইন্ডনে পেস্লিপ অ্যাকাউন্টসের উদ্যোগে মেয়র চেম্বার বিজনেস সামিট

নতুন এক যুগের সূচনা করেছে সুইন্ডনের একটি বিশ্বস্ত এবং প্রতিষ্ঠিত অ্যাকাউন্টিং ফার্ম পেস্লিপ অ্যাকাউন্ট। প্রতিষ্ঠানটি সুইন্ডন বরো কাউন্সিলের মেয়রের কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে একটি ব্যতিক্রমী ব্যবসায়িক ও কমিউনিটি সম্মেলন ‘মেয়র চেম্বার বিজনেস সামিট ২০২৫’।
এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানটি সুইন্ডনের ব্যবসা ও সমাজজীবনের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে উঠেছে। এতে শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৫০টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ৪০টিরও বেশি সামাজিক সংগঠন একত্রিত হয়েছে। মেয়র ইমতিয়াজ শেখ-এর মর্যাদাপূর্ণ চেম্বারে এই সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়। যা উদ্যোক্তা, পেশাজীবী, সিভিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক প্রভাবশালীদের একত্রিত করার জন্য এক শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।
এই সামিটের প্রধান অতিথি ছিলেন ট্রান্সপোর্ট মিনিস্টার এমপি হেইডি আলেকজান্ডার (Heidi Alexander)। আরও উপস্থিত ছিলেন উইলস্টোন এমপি (Willstone MP) এবং মেয়র ইমতিয়াজ শেখ, যারা সুইন্ডনের বৈচিত্র্যময় এবং প্রাণবন্ত ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন ও স্বীকৃতি প্রকাশ করেন।
পেস্লিপ অ্যাকাউন্টসের নেতৃত্বে এই বৃহৎ সামিটটি সুইন্ডনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেয়রের চেম্বারে এতো বড় পরিসরে ব্যবসায়িক ও সামাজিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গীকার, দৃষ্টিভঙ্গি এবং কমিউনিটির প্রতি গভীর ভালোবাসার কারণে।
সম্মেলনে ৪০টিরও বেশি সামাজিক সংগঠনকে পেস্লিপ অ্যাকাউন্টসের পক্ষ থেকে তাদের অসাধারণ সামাজিক অবদানের জন্য সার্টিফিকেট অফ এপ্রিসিয়েশন প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ৫০টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে—যারা স্বাস্থ্যসেবা, ক্যাটারিং, নির্মাণ, ফার্মেসি, খুচরা বিক্রয়, আর্থিক পরিষেবা ও সোশ্যাল কেয়ার,সলিসিটর ফারম, ব্যানক, শিক্ষা খাতে কাজ করছে—তাদের দৃঢ়তা ও উৎকর্ষতার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে ব্যবসা ও কমিউনিটির মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, যেখানে কাউন্সিলর, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এবং সুইন্ডনের উন্নয়নে অবদান রাখা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নেন।
পেস্লিপ অ্যাকাউন্টসের এমডি সুমন রায় ও গ্রোপ সিইও নিপা পাল এই সামিটে তাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন—যেখানে কমিউনিটি ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে সুইন্ডনের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
একটি অগ্রগামী স্থানীয় প্রতিষ্ঠান যদি উদ্যোগী হয়, তবে কত বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব তা এই সম্মেলনটি প্রমাণ করে। এটি শুধু সুইন্ডনের ব্যবসায়িক ও সামাজিক নেতাদের কৃতিত্বকে উদযাপনই করেনি, বরং ভবিষ্যতের সম্মিলিত সাফল্যের পথও তৈরি করে দিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা আলোচনার পর একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে চিরবৈরী দুই পক্ষই। কিন্তু, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার এক রাত পার না হতেই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছে ভারত ও পাকিস্তান।
রোববার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান রোববার ভোরে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে তারা নিষ্ঠার সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ। এর আগেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পাল্টা হামলার কথা জানায় ভারত।
এছাড়া, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারতের বিরুদ্ধেও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে এবং জানায়, পাকিস্তানি বাহিনী দায়িত্বশীল ও সংযমীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধবিরতির সফল বাস্তবায়নে যেকোনও জটিলতা সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। একইসঙ্গে সীমান্তে অবস্থানরত সৈন্যদেরও সংযম প্রদর্শন করা জরুরি।
এর আগে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীর সীমান্তে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত জুড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে ভারত।
গভীর রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এর তীব্র নিন্দা জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি দাবি করেন, যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান ফের গোলাগুলি শুরু করেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর জন্য সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তান দায়ী।
তিনি আরও দাবি করেন, ভারতীয় সেনারাও এর সমুচিত জবাব দিচ্ছে এবং পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভারত আশা রাখে, পাকিস্তান পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে অবিলম্বে এই চুক্তিভঙ্গ বন্ধ করবে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, যেকোনও ধরনের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মূলত, শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পরই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর, বারামুল্লা ও জম্মু। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহরগুলোতে।
কাফি