জাতীয়
প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন আজ, থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশের স্বাস্থ্য খাত ঢেলে সাজাতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে সিভিল সার্জন সম্মেলনের। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সম্মেলনের কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে। কার্য অধিবেশনগুলো স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিবসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা দিকনির্দেশনা দেবেন।
জানা গেছে, সম্মেলনে ১৩টি মন্ত্রণালয়ের ১১টি কার্য অধিবেশন হবে। অধিবেশনগুলোতে খোলামেলা আলোচনা হবে স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা ও উন্নয়ন নিয়ে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতি বছর ৬৪ জেলা প্রশাসকদের নিয়ে ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলার নানা বিষয় উঠে আসে। এবার সেই আদলে ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য প্রশাসকদের নিয়ে প্রথমবার সিভিল সার্জন সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনের আগে সেবার ক্ষেত্রে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সিভিল সার্জনরা তাদের মতামত মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।
এ ছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সামনে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে দু’জন সিভিল সার্জন বক্তব্য রাখবেন। সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে করতে একটি কোর কমিটি এবং সাতটি উপকমিটি করা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, এটি ছোট পরিসরে হলেও মূলত ডিসি সম্মেলনের থিম থেকে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এটি করার জন্য বলেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সম্মেলনে দেশের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে মানুষের অসন্তোষ ও নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে। এতে স্বাস্থ্য খাত ঢেলে সাজানোর নানা কৌশল নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এতে করে জেলার স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার পথ সুগম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত, টিকা কার্যক্রম, জনবল সংকট, অবকাঠামোগত সমস্যা, বাজেট বরাদ্দের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে সিভিল সার্জনদের মতামত উত্থাপন হবে। একাধিক সিভিল সার্জন উপজেলার স্বাস্থ্য সংস্কার, চিকিৎসক সংকট, পরিবহন তথা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর প্রস্তাবও উঠবে সম্মেলনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
আ. লীগের নিবন্ধন স্থগিত করলো ইসি

আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করার পর এবার দলটির নিবন্ধন স্থগিত করলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে দলটি সামনে কোনো ধরনের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
সোমবার (১২ মে) রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে কমিশন।
চারঘণ্টা বৈঠক শেষে রাত সোয়া ৯টার ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে ইসি।’
জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন প্রথা চালু করে নির্বাচন কমিশন। গত চারটি নির্বাচনে পঞ্চান্ন টি নিবন্ধন পেয়েছিল। দেশের প্রাচীনতম দলটির নিবন্ধন নাম্বার ৬, প্রতীক নৌকা। নিবন্ধন স্থগিতের মাধ্যমে দলটির ভোটে অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে গেল। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে ৪৯ টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। আওয়ামী লীগ এর নিবন্ধন স্থগিত হল। এর আগে জামায়াতসহ পাঁচটি দলের নিবন্ধন নিবন্ধন বাতিল রয়েছে।
বৈঠকে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম, আব্দুর রহমানেল মাছউদ, সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে নিবন্ধন স্থগিতের আইনি দিকগুলো তুলে ধরেন তারা।
নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর ৯০ জ অনুচ্ছেদ দফা ১ (খ) অনুযায়ী সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
আওয়ামী লীগের আমলে এর আগে নিবন্ধন শর্তপূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়।
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: ইসিঅভ্যুত্থান দমাতে ‘গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের অন্যতম প্রাচীন দল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
সদ্য সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারার আওতায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
দলটিকে এখন জুলাই আন্দোলন দমনে ‘মানবতাবিরোধী’ অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সেজন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন এরই মধ্যে সংশোধন করা হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়। নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন আসায় এখন নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়েও সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে দেশের প্রাচীনতম দলটি সামনে কোন ধরনের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের পাঁচ সিদ্ধান্ত

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের জরুরী এক সভায় পাঁচ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সোমবার (১২ মে) বিকাল ৫টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর। সভায় বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে ৫টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের যুগ্ম-মহাসচিব মো: আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সচিবালয় ০৪ নং ক্যান্টিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা প্রদান করেন। সভায় আলোচনা পেশ করেন তৌহিদুর রহমান, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, বায়েজিদ হাসান, নুরুজ্জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক সুমন জিমানুর রহমান, রহমত উল্লাহ বাবু আশরাফুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. বিপুল, আরিফুর রহমান, বাবুল আক্তার, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মিজানুর রহমান, আরিফ হুসাইন, স্বাস্থ্য ও পরি, কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শাহীন গোলাম রব্বানী, সাব্বির আহম্মেদ, রুহুল আমিন মো. আরিফ, আব্দুল কাদের, সোহেল রানা, আহসান হাবিব সিয়াম, শাহাদাৎ হোসেন, শামীমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সিদ্ধান্ত সমূহ:
১. বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ যেহেতু সচিবালয়ের সকল সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিত্বকারী একটি ঐতিহ্যবাহী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনকারী সংগঠন। সেহেতু সরকারী সিদ্ধান্ত, শৃঙ্খলা ও পরিশীলিত আচরণের প্রতি সচেতন থেকে পরিষদের সদস্যবৃন্দ তাদের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনায় সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
২. বর্তমান সরকার ও প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান ও দাবী-দাওয়া আদায়ে তারা নিয়মতান্ত্রিক পন্থা থেকে বিচ্যুত হবেনা। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হঠকারী সিদ্ধান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে কোনরূপ সহায়তা প্রদান করবেনা এবং কাউকে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ প্রদান করবে না।
৩. গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোন গুজবকে বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোন কার্যক্রমে বা মব সৃষ্ট কাজে অংশগ্রহণ থেকে বিরত ও সতর্ক থাকার জন্য সাধারণ কর্মচারীগণকে পরিষদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। এরূপ অনিয়মতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিগণকে সচিববালয়ে অংগনে সকল ধরণের কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য সরকারকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে যথাসাধ্য প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
৪. সচিবালয়ের বাহিরে অবস্থিত কোন সংগঠন কর্তৃক আহত কোন প্রকার কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ না করার জন্য সচিবালয়ের সকল স্তরের কর্মচারীদেরকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক বার্তা প্রাপ্তির পরও যদি কোন কর্মচারী উক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন, তার জন্য উক্ত কর্মচারীকেই যাবতীয় দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে এবং সংযুক্ত পরিষদের পক্ষ থেকে কোনরূপ সহযোগিতা প্রদান করা হবেনা।
৫. বিশেষভাবে সতর্ক করা যাচ্ছে ‘বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের’ সাথে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের কোন সম্পৃক্ততা নেই, বিধায় উক্ত সংগঠনের কোন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ না করা ও এতদবিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সচিবালয়ে অভ্যন্তরে কর্মরত সকল স্তরের কর্মচারীগণকে পুনঃ অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
সভা শেষ নেতৃবৃন্দ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেছুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সিনিয়র সচিব তাদের দাবী অনুযায়ী উপসচিবের ০৬ (ছয়) পদ সংরক্ষনের মঞ্জুরী জ্ঞাপনের সুসংবাদ প্রদান করেন এবং নিয়মতান্ত্রিক সকল দাবি সুবিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
র্যাব পুনর্গঠনে কমিটি গঠন

র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব পুনর্গঠনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভাশেষে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আজকে আমাদের মিটিংয়ের বেশিরভাগ আলোচনা হয়েছে র্যাব পুনর্গঠন নিয়ে। র্যাবের পুনর্গঠন কিভাবে হবে, এটা এ নামে থাকবে কি না, এ ড্রেস থাকবে কি না, এ ফোর্স থাকবে কি না বা কিভাবে অর্গানাইজ হবে- এজন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি। একজন উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি বাহিনী প্রধানদের এটার সদস্য করে দেওয়া হয়েছে। কমিটির মোট সদস্য ৫ বা ৬ জন, তারা প্রয়োজনে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
এ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ। তিনি প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক দায়িত্ব পালনে প্রধান উপদেষ্টাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না, তাদের কাছে থাকা মারণাস্ত্র জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুলিশের হাতে যাতে আর কোনো মারণাস্ত্র না থাকে। এগুলো তাদের জমা দিয়ে দিতে হবে। কোনো মারণাস্ত্র পুলিশের হাতে থাকবে না। অস্ত্র থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যদের হাতে। তাদের কাজ কিন্তু অন্য পুলিশের থেকে একটু ভিন্ন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ফেসবুক-ইউটিউবে আ. লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার: আসিফ মাহমুদ

ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ সোমবার (১২ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমন পোস্ট করেন তিনি।
সেখানে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করে আসিফ মাহমুদ লিখেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে রেহাই নেই! গোপন বৈঠক, উসকানিমূলক মিছিল বা পোস্ট করলেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
শেয়ার করা ফটোকার্ডের শিরোনামে লেখা, ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার।
এতে আরও লেখা রয়েছে, নেতাকর্মীরা গোপনে কোথাও বৈঠক, সমাবেশ কিংবা মিছিল করলে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারবে। বর্তমানে শুধু মিছিল-সমাবেশ নয়, ফেসবুক-ইউটিউবে কেউ আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেও তাকে গ্রেফতার করা যাবে। বিদেশ থেকে যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দেবেন, কমেন্ট করবেন, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়।
কাফি