কর্পোরেট সংবাদ
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের নতুন কান্ট্রি চিফ রিস্ক অফিসার এনামুল হক

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি চিফ রিস্ক অফিসার (সিআরও) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এনামুল হক। তিনি করপোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং (সিআইবি) পোর্টফোলিওর জন্য সিনিয়র ক্রেডিট অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।
ব্যাংকিং খাতে ২৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে এনামুল হকের। এইচএসবিসি ও কেপিএমজির মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার পর তিনি ২০০১ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডে যোগ দেন। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি লোকাল করপোরেটস, কমোডিটি ট্রেডার্স, এগ্রিবিজনেস, গ্লোবাল সাবসিডিয়ারিজ, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে এনামুল হক করপোরেট ক্লায়েন্ট কভারেজে নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষতার সঙ্গে। এর আগে তিনি সামগ্রিক করপোরেট, কমার্শিয়াল ও ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং সেগমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক পরিবেশে কম ক্ষতির হার বজায় রেখে ব্যাংকের রেকর্ড সাফল্য অর্জনে এনাম উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নাসের এজাজ বিজয় বলেন, এনামকে চিফ রিস্ক অফিসার হিসেবে স্বাগত জানিয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ক্লায়েন্ট কাভারেজে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাকে ক্লায়েন্টভিত্তিক ঝুঁকি ও সম্ভাবনা সম্পর্কে বিশেষভাবে দক্ষ করে তুলেছে, যা আমাদের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে। তার এই নিয়োগ আমাদের অভ্যন্তরীণ প্রতিভাকে মূল্যায়ন এবং গ্রাহক ও সমাজের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে আমাদের অবস্থান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
এনামুল হক মনাশ ইউনিভার্সিটির মাউন্ট এলিজা বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তার কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতৃত্ব স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কার্যক্রমে ধারাবাহিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তিনি বাংলাদেশের আর্থিক খাতের অগ্রগতিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন। প্রকল্প ও রপ্তানি অর্থায়ন, এমঅ্যান্ডএ এডভাইজরি, ডেট ক্যাপিটাল মার্কেট, লোনস অ্যান্ড সিন্ডিকেশন, ইসলামিক ব্যাংকিং এবং কমার্শিয়াল রিয়েল এস্টেট খাতে যুগান্তকারী ও প্রথমবারের মতো অনেক উদ্যোগ গ্রহণ ও পরিচালনায় তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবি ব্যাংকের বোর্ড অডিট কমিটির চেয়ারম্যান হলেন মিজানুর রহমান

এনআরবি ব্যাংক পিএলসির বোর্ড অডিট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এ.কে.এম. মিজানুর রহমান। সম্প্রতি পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।
এ.কে.এম. মিজানুর রহমান এফসিএ স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের একজন স্বতন্ত্র পরিচালক। তিনি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেড, বিচ হ্যাচারি লিমিটেড এবং জেমিনি সি ফুড লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মিজানুর রহমান ১৯৮৩ সালে ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএবি) থেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ কমার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি শফিক মিজান রহমান এবং অগাস্টিন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার। এক দশকের কর্মজীবনে, তিনি অ্যাকাউন্টিং এবং কর্পোরেট গভর্নেন্সের ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ পেশাদার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
পেশাগত কর্মজীবনের পাশাপাশি, তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাদার সংগঠনের সাথে গভীরভাবে জড়িত। তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য। এছাড়াও, তিনি ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একজন সক্রিয় সদস্য।
মিজানুর রহমান দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে অসংখ্য সেমিনার এবং সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ১৯৯৭ সালে আইসিএবি-এর ঢাকা আঞ্চলিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং লায়ন্স ক্লাব অফ ঢাকা শাহাবাগের প্রাক্তন সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ওআইএসসিএ ইন্টারন্যাশনাল জাপানের আন্তর্জাতিক পরিচালক এবং বিচ হ্যাচারি লিমিটেড এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশনেরও পরিচালক।
তাঁর বিশিষ্ট নেতৃত্ব, কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং এই ক্ষেত্রে স্থায়ী অবদান কেবল অ্যাকাউন্টিং পেশার মানকেই উন্নত করেনি বরং তাঁর সহকর্মী, নিয়ন্ত্রক এবং বৃহত্তর ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে তাকে ব্যাপক স্বীকৃতি এবং গভীর শ্রদ্ধা অর্জন করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বিএটিবির কারখানা ২১ দিন ধরে বন্ধ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মানববন্ধন

শ্রমিক অসন্তোষের কারণে টানা ২১ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে কুষ্টিয়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) কোম্পানি লিমিটেডের অন্যতম প্রধান তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা (গ্রিন লিফ থ্রেশিং প্ল্যান্ট–জিএলটিপি)। উন্মুক্ত আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যমে কারখানা চালুর ক্ষেত্রে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার সাধারণ তামাক চাষিরা আজ বুধবার (১৪ মে)মানববন্ধন করেছেন।
কুষ্টিয়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার কৃষক বিএটিবি’র সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে জমিতে তামাক চাষ করেছেন। কিন্তু তামাক মৌসুম শুরু হয়ে গেলেও, বন্ধ রয়েছে কারখানার কার্যক্রম। ফলে, নিজেদের উৎপাদিত তামাক নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। সঠিক সময়ে তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাত করা না গেলে পাতার গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাবে। তখন আর কৃষকেরা এ পাতা বিক্রি করতে পারবেন না, যা তাদের ভয়াবহ আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলবে।
এদিন দুপুর থেকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শেহালা বটতলা মোড়, মিরপুর উপজেলার জিয়া রোড ও তালবাড়িয়ার গোবিন্দপুর রোড, মেহেরপুরের চকশ্যামনগর এবং ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন তামাক চাষিরা৷
মিরপুরে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, আর কোনো উপায় না পেয়ে, আমরা এ মানববন্ধন আয়োজন করেছি। আমরা যদি আমাদের ফসল বিক্রি করতে না পারি, তাহলে বছরের বাকিটা সময় আমাদের আধপেটা থাকতে হবে। কারখানা চালু করতে আমরা প্রশাসনের সাহায্য চাই।
বিকেল ৩টায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কয়েক শ কৃষক অংশ নেন। কৃষক দিদার আলী বলেন, আমরা মৌসুমে চুক্তি নিয়ে কাজ করি। এতদিন জমিতে আমরা শ্রম, সময় ও অর্থ বিনিয়োগ করেছি। আমাদের অনেককেই ঋণও নিতে হয়েছে। এখন যদি এ তামাক বিক্রি করতে না পাড়ি, তাহলে আমাদের গিয়ে পথে বসতে হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সমাধান চাই।
মানববন্ধন আয়োজনের আগে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছিলেন জীবিকার সংকটে পড়া কৃষকেরা। চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, কতিপয় শ্রমিকের আন্দোলনের জন্য কোম্পানির তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণের ফ্যাক্টরি চালু হতে বিলম্বিত হচ্ছে। এর ফলে তামাক বিক্রয় বন্ধ হয়ে গেলে বা ধীরগতির সম্মুখীন হলে আমাদের উৎপাদিত তামাকের গুণগতমান নষ্ট হয়ে গেলে বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো।
উল্লেখ্য, মৌসুমি শ্রমিকদের দাবির ভিত্তিতে শুরু হয় আন্দোলন, যার প্রেক্ষিতে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় বিএটি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। তবে বেশিরভাগ দাবি মেনে নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও স্বার্থান্বেষী মহল শ্রমিকদের অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। এমনকি আন্দোলনে অংশ নিতে না চাওয়া শ্রমিকদেরও বাধ্য করা হচ্ছে আন্দোলনে যোগ দিতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার উদ্যোগ ভিশনস্প্রিং-ব্র্যাক ব্যাংকের

বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার বিষয়ে আলোচনা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশনস্প্রিং-এর নির্বাহী কর্মকর্তারা।
গত ৪ মে ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করেন ভিশনস্প্রিং-এর গ্লোবাল সিইও এলা গুডউইন এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর উদ্যোগ ‘অপরাজেয় আমি’-এর আওতায় বাংলাদেশের যে শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে চক্ষুসেবা পৌঁছায় না, তাঁদের কীভাবে এই উদ্যোগের আওতায় নিয়ে আসা যায়, সেই বিষয় নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন এই দুই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। উন্নত দৃষ্টিশক্তির প্রসারের মাধ্যমে দেশে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির প্রসারে কাজ করতে আগ্রহী তাঁরা।
২০২৫ সালের মধ্যেই ৬১ হাজার ৫০০ মানুষকে চক্ষুসেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘অপরাজেয় আমি’ উদ্যোগ। ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই ও কর্পোরেট গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের পাশাপাশি ব্যাংকটির সকল স্তরের কর্মকর্তা এই প্রকল্পের আওতায় চক্ষুসেবা পাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে, এই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে চোখ পরীক্ষা করা ৩২ শতাংশ ব্যক্তির চশমার প্রয়োজন পড়েছে। এদের মধ্যে আবার প্রায় ৮০ শতাংশ ব্যক্তিই জীবনে প্রথমবারের মতো চশমা পরেছেন।
এই যৌথ উদ্যোগ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, উন্নত দৃষ্টিশক্তি শুধু স্বাস্থ্যসেবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি হতে পারে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উপায়ও। ভিশনস্প্রিং-এর সাথে আমাদের এই উদ্যোগ মানুষের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অবদান রাখছে।
এই পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে এলা গুডউইন বলেন, ব্র্যাক ব্যাংক প্রমাণ করেছে কীভাবে একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান কৌশলগতভাবে সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে। সঠিক দৃষ্টিশক্তি হতে পারে মানুষের কল্যাণ, টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির একটি কার্যকর মাধ্যম। এই বার্তাটি সবার মাঝে পৌঁছে দিতেই আমরা একসাথে কাজ করছি। আমাদের এই সহযোগিতায় অংশ নিতে আমরা অন্যদেরও আহ্বান জানাচ্ছি।
২০০১ সালে যাত্রা শুরু করা ভিশনস্প্রিং এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষকে চক্ষুসেবা দিয়েছে। এর ফলে এসব পরিবারে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের আয়-সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইন্টারকন্টিনেন্টালে ব্যুফেতে বিকাশ পেমেন্টে ‘বাই ওয়ান গেট থ্রি’ অফার

কোনো স্পেশাল কার্ড ছাড়াই পাঁচ তারকা হোটেলে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে প্রিয় মুহূর্তগুলো উপভোগ করার পাশাপাশি দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর স্বাদ নিতে পারছেন বিকাশ গ্রাহকরা। ঢাকার কাচ্চি, চট্টগ্রামের মেজবানি, খুলনার চুই ঝাল গোস্ত, রাজশাহীর কাচা আমের মুরগির ঝোল, সিলেটের সাতকড়া মুরগি, বরিশালের ইলিশ পাতুরি, রংপুরের ভুনা খিচুরি, ময়মনসিংহের বোয়াল মাছের দই ঝাল, মিষ্টি, পিঠা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা-য় ‘ফ্লেভারফুল বাংলাদেশ’ ফেস্টিভ্যালে বিকাশ পেমেন্টে একটি ব্যুফে অর্ডার করে গ্রাহকরা পাচ্ছেন আরও ৩টি ব্যুফে ফ্রি।
বাংলাদেশের খাদ্য, শিল্প ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে আগামী ১৫ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত ‘ফ্লেভারফুল বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই ফেস্টিভ্যাল শুরু হতে যাচ্ছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা-য়। গ্রাহকরা এসময় ৯ হাজার ২০০ টাকা বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আকর্ষণীয় এই ‘বাই ওয়ান গেট থ্রি’ অর্থাৎ ৪ জনের জন্য ব্যুফে অফারটি উপভোগ করতে পারবেন। ফেস্টিভ্যাল চলাকালীন একজন গ্রাহক এক বারই অফারটি নিতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপ, পেমেন্ট গেটওয়ে, *২৪৭# ডায়াল করে, বিকাশ অ্যাপ থেকে কিউআর স্ক্যান করে সরাসরি ভিসা কার্ড দিয়ে এবং বাংলা কিউআর ব্যবহার করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে অফারটি উপভোগ করা যাবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
নগদের নতুন সিইও হলেন সাফায়েত আলম

মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন মো. সাফায়েত আলম। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই গ্রাহক সেবার পরিধি আরও বিস্তৃত করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
সোমবার (১২ মে) তিনি এ দায়িত্ব নেন। তিন দশক ধরে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসহ স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন মো. সাফায়েত আলম। এসব জায়গায় তিনি মূলত ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, টেলিকমিউনিকেশন্স, ইনফরমেশন টেকনোলোজি, ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসসহ বিভিন্ন খাতে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করেন।
২০১৯ সালে বাণিজ্যিকভাবে নগদের যাত্রার আগ থেকেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। তারপর থেকে গত সাত বছরে নগদের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতৃত্ব দেন। এখন প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন মো. সাফায়েত আলম।
নগদের নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে মো. সাফায়েত আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিটি নিয়ম ও বিধিবিধান মেনে খুব কম সময়ে দেশের এমএফএস মার্কেটে একটি সাড়া জাগানো ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নগদ। সামনের দিনেও তাদের পরামর্শ নিয়ে গ্রাহক সেবাকে আরও তরান্বিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা আমাদের থাকবে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক নির্দেশনায় দেশে ক্যাশসেল প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘নগদ নানাভাবে তার উদ্ভাবন দিয়ে মানুষের জীবনকে সহজ করেছে। এখন আমরা এর পরিধিকে আরও বিস্তৃত করতে চাই।’
ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগির চুক্তির আওতায় পরিচালিত নগদে বর্তমানে আট কোটির বেশি গ্রাহক রয়েছে। সারা দেশে তিন লাখের বেশি উদ্যোক্তা পয়েন্টের মাধ্যমে বিস্তৃত সেবা সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ করেছে। শুরু থেকেই সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের খরচের বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখে প্রতিষ্ঠানটি। তার পরিপ্রেক্ষিতে বাজারের সর্ব নিম্ন চার্জে ক্যাশআউট এবং ফ্রি সেন্ড মানি সেবা দিয়ে আসছে নগদ। ফলে সহজেই ডিজিটাল আর্থিক সেবার সুবিধা নেওয়ার স্বাধীনতা পেয়েছে গ্রাহক। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে দিনে দুই হাজার কোটি টাকার মতো লেনদেন হচ্ছে নগদের মাধ্যমে।
গত আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক নিয়োগ করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে তখন উচ্চআদালতের দ্বারস্থ হন মো. সাফায়েত আলম। গত সপ্তাহে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত নগদে প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেন। তারপরই প্রতিষ্ঠানটির নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।
কাফি