জাতীয়
এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের মসৃণ ও সময়োপযোগী উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন কমিটির সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে উত্তরণের মূল অর্জনগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে বিনিয়োগকারী, তহবিলদাতা ও উন্নয়ন অংশীদারদের মনোযোগ এবং সমর্থন আমাদের রয়েছে। এখন আমাদের চলমান প্রচেষ্টাগুলোকে আরও জোরদার করতে হবে। দ্রুত সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপকে আরও বেগবান করতে হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সব অংশীদারদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের এমন একটি দল প্রয়োজন যারা অগ্নিনির্বাপকদের মতো কাজ করবে। যখন হুইসেল বাজবে, তাদের দ্রুত, দক্ষতার সঙ্গে ও বিলম্ব না করে সাড়া দিতে হবে এবং সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই প্রক্রিয়া তদারকিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ কমিটির সদস্য ও নীতি উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এলডিসি স্নাতকোত্তর কমিটি পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ চিহ্নিত করেছে, যা জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে হবে। পদক্ষেপগুলো হলো:
১. সব প্রাসঙ্গিক সংস্থার অংশগ্রহণে জাতীয় একক জানালার পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।
২. একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে জাতীয় শুল্ক নীতি ২০২৩ বাস্তবায়ন করা।
৩. জাতীয় লজিস্টিক নীতি ২০২৪-এর অধীনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা, যার মধ্যে অবকাঠামো প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত।
৪. সাভার ট্যানারি গ্রামে বর্জ্য শোধনাগারের (ইটিপি) কার্যকর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা।
৫. মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) পার্কের পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ভালুকার সাবেক এমপি ধনু ঢাকায় গ্রেফতার

ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ মে) দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর আফতাব নগর এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৬ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন উত্তর কুতুবখালী বউবাজার রোডে মাদ্রাসার সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদ আরিফ (১৮) গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় নিহত আরিফের বাবা মোহাম্মদ ইউসুফ বাদি হয়ে গত ২৬ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু ওই মামলার ১৪নং এজাহারনামীয় আসামি।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলার ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর আফতাব নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মালয়েশিয়া শ্রমবাজার চালুর সম্ভাবনা, বৈঠক আজ

মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বিষয়ক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ। এতে এক বছর ধরে বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবার চালুর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া শহরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে অংশ নিতে মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন। প্রতিনিধিদলের অপর দুই সদস্য হলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নেয়ামত উল্ল্যা ভূঁইয়া ও উপসচিব মো. সারওয়ার আলম।
বৈঠকের পর বিদ্যমান সমঝোতা স্মারকের অধীনে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তারা বলেন, সফরে মূলত মালয়েশিয়া শ্রমবাজার চালু নিয়েই আলোচনা হবে। সেখানে অনুষ্ঠেয় বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে। এরপর দুই দেশের গঠিত যৌথ কারিগরি কমিটির সভায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে। যৌথ কারিগরি কমিটির সভায় এবার সব বৈধ এজেন্সির কর্মী পাঠানোর সুযোগ রাখার বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হবে। যদিও দেশটিতে কর্মী পাঠাতে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে এজেন্সি বাছাইয়ের দায়িত্ব মালয়েশিয়া সরকারের হাতে দেওয়া আছে। এ সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাই নতুন করে চুক্তি করার সুযোগ নেই। তবে বিদ্যমান সমঝোতা স্মারক কিছুটা সংশোধন করার জন্য প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ।
১৪টি দেশ থেকে কর্মী নিত মালয়েশিয়া। তবে ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশসহ সবার জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ করে দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ। তখন দেশটিতে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে চক্র তৈরির অভিযোগ উঠেছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার হয়ে উঠেছিল মালয়েশিয়া। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই বন্ধ বাজার চালু করতে উদ্যোগী হয়। দুই দেশের মধ্যে যৌথ কারিগরি কমিটির সভা করতে কয়েক দফায় মালয়েশিয়াকে চিঠি পাঠানো হয়। অবশেষে গত মাসে বৈঠকের বিষয়ে সম্মতি দেয় মালয়েশিয়া।
গত মাসে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কাছে পাঠানো এক চিঠি বলা হয়, ২১ থেকে ২২ মে ঢাকায় যৌথ কারিগরি কমিটির সভা করার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে মালয়েশিয়া। এতে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ।
২০০৪ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় গেছেন প্রায় ১৩ লাখ বাংলাদেশি কর্মী। এর মধ্যে এক বছরে সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছেন ২০২৩ সালে—সাড়ে তিন লাখের বেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছে টিউলিপ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে সাড়া দিয়ে নির্দিষ্ট দিনে হাজির না হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
ঘুসের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার (১৪ মে) টিউলিপ সিদ্দিককে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে তলব করা হলেও তিনি আসেননি। পরে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
এক্ষেত্রে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের সহায়তায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আনার সুযোগ বিষয়ে এক্সট্রাডিশন ট্রিটি বা প্রত্যর্পণ চুক্তি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারই করে গেছে বলে জানান ড. মোমেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, কয়েকটা দেশের সঙ্গে আমাদের এক্সট্রাডিশন ট্রিটি রয়েছে, তার মধ্যে ভারত একটা। এই সুযোগ তৎকালীন সরকার (আওয়ামী লীগ) ২০১১ সালে তৈরি করে গেছে। আমাদের অপরাধী ধরে আনার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো অসুবিধা নেই।
এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, তিনি (টিউলিপ সিদ্দিক) আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারালেন। শুধু টিউলিপ নন, নিয়মানুযায়ী সবাই সে সুযোগ পাবেন। কেউ উপস্থিত না হলে পরবর্তীসময়ে আন্তর্জাতিকভাবে যে পদ্ধতি সেটা অনুসরণ করা হবে। প্রত্যেক নাগরিকের তার ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। যে কোনো নাগরিকই সেটা পাবেন।
এর আগে বিভিন্ন বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গত ৮ মে দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে তলব করা হয়েছিল।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের অন্য অভিযুক্তদের মতো তিনিও (টিউলিপ সিদ্দিক) একজন অভিযুক্ত। আজকে তার দুদকে এসে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। তিনি নিজে এটি ফেস করবেন, আমরা আমাদের পদ্ধতিগতভাবে এগিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, একজন মামলার আসামি অনুপস্থিত থাকলে ইনঅ্যাভসেন্স ট্রায়াল (অনুপস্থিতিতে বিচার) হয়। পরবর্তীসময়ে তিনি যদি আদালতে হাজির না হন, আমরা আন্তর্জাতিক যে পদ্ধতি রয়েছে সেটা অবলম্বন করবো।
আন্তর্জাতিক পদ্ধতির বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যদি স্বাভাবিকভাবে তাকে (টিউলিপকে) না পাই, যেহেতু তিনি বিদেশি নাগরিক কিংবা তিনি যদি পলাতক হন, সেক্ষেত্রে ইন্টারপোলের সহায়তায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হবে।
এসময় বিমানবন্দরের দুর্নীতি বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সিভিল এভিয়েশনের চারটি প্রকল্পের অনুসন্ধান আমাদের কাছে চলে আসছে। থার্ড টার্মিনাল, রাডার স্থাপন, কক্সবাজার বিমানবন্দর ও সিলেট বিমানবন্দর। প্রতিবেদনগুলো আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়টি ‘কঠিন’ জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এটি কঠিন। আগে পাচারকারীদের শনাক্ত করতে হবে। এর আগে যারা বিদেশে অবস্থান করেন কিংবা বিদেশে নাগরিকত্ব নিয়েছেন, তাদের বিষয়ে আমাদর কমিশন থেকে সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের সন্তান-সন্ততি যারা ওখানে (বিদেশে) থাকছেন, অধিকাংশই কিন্তু বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করে চলে যাচ্ছেন।
‘আমরা যদি ৫ আগস্টকে একটি বেঞ্চমার্ক ধরি, তখন দেখা যাবে- যারা দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন, তাদের যেসব সম্পদ গুলশান-বনানীসহ বিভিন্ন জায়গায় আছে, তারা তাদের প্রোপার্টি বিক্রি করছেন কি না? করলে সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে? এই সংবাদ আপনারাই দেবেন’- সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন ড. মোমেন।
বিদেশে মন্ত্রী-এমপিদের সন্তানদের আয়েশী জীবনযাপন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সক্ষমতা আপনাদের বুঝতে হবে! তারা সেখানে কীভাবে আছে সেটা আপনারাই আমাদের জানাচ্ছেন। তখন আমাদেরও সন্দেহ হচ্ছে তারা এত টাকা পাচার করেছে যে, তাদের সন্তানরা আয়েশী জীবনযাপন করছে। এমনও হতে পারে ফাঁকফোকর গলিয়ে টাকা এখনো পাচার হচ্ছে। এসব নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেট: আসিফ মাহমুদ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ বুধবার তার ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
পোস্টে তিনি লিখেন, রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ডিএমপি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালিত হবে, নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, উদ্যানে পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা হবে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে, উদ্যানে রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে, রাত ৮টার পর উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে। এতে অবিলম্বে এ সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে। ইতোমধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আমরা ব্যবসাকেন্দ্রিক সভ্যতা গড়ে তুলেছি, এটা আত্মঘাতী: ড. ইউনূস

আমরা ব্যবসাকেন্দ্রিক সভ্যতা গড়ে তুলেছি। এটা আত্মঘাতী। এটা টিকবে না। আমাদেরকে নতুন সভ্যতা গড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের হাতে। আমরা যেভাবে বিশ্ব গড়তে চাই সেভাবেই বিশ্ব গড়তে পারি। প্রত্যেকের নিজের মনের একটা স্বপ্ন থাকতে হবে, কি ধরনের বিশ্ব চাই, কি ধরনের সমাজ চাই, কি ধরনের সংসার চাই, কি ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাই এগুলো নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে ধরনের বিশ্ব গড়তে চাই সে বিশ্ব গড়ার ক্ষমতা আমাদের আছে, সব মানুষেরই আছে। কিন্তু আমরা গৎবাঁধা প্রতিযোগিতায় মগ্ন থাকি বলে নতুন কিছু চিন্তা করি না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম শিক্ষক হিসেবে, যতই দিন গেলো দেখলাম আমি ছাত্র হয়ে গেছি। আমি আর শিক্ষকের ভূমিকায় নেই, ক্রমাগত শিখছি। ক্রমে ক্রমে জোবরার সজ্জা পাড়া, দেওয়াননগর গ্রামের নারীরা আমার শিক্ষক হলো। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখলাম। অবাক হয়ে গেলাম যা ক্লাসরুমে পড়ায় তার সঙ্গে কোনো কিছুর মিল নেই।
ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ৫ টাকা ১০ টাকা যে মানুষের জীবনে এত রকমের আনন্দ আনতে পারে কখনো ভাবিনি। তারা কৃতজ্ঞতায় গদগদ। অনেক কাহিনি শুনলাম। তারা কেউ নিজেদের নাম বলতে পারে না।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজ এমন নারীকে তার নাম শেখার-জানার সুযোগ করে দেওয়া হয় না। ছোটবেলায় অমুকের মেয়ে, বিয়ে হলে অমুকের বউ, না হলে অমুকের মা, সে যে কি সেটাই জানে না। পরে আমরা ধীরে ধীরে তাদের নাম দিলাম, অক্ষর জ্ঞান দিলাম।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঋণ মানুষের মানবিক অধিকার। এ কথা বলার পর ওই সময় লোকজন হাসাহাসি করলো।
তারা বললো, আপনি ঋণের কথাও বলেন অধিকারের কথাও বলেন এটা কোনো কথা। অর্থনীতিতে তো মানবিক অধিকার বলে কিছু নেই।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে অর্থনীতি আমরা শেখাচ্ছি সেটা ব্যবসার অর্থনীতি, মানুষের অর্থনীতি নয়। যে কোনো অর্থনীতি শুরু করতে হয় মানুষকে দিয়ে, ব্যবসা দিয়ে নয়। আমরা এক ব্যবসাকেন্দ্রিক সভ্যতা গড়ে তুললাম। এ সভ্যতা আত্মঘাতী সভ্যতা।