আন্তর্জাতিক
ভারতে পাল্টা হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান

ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ এর বদলা হিসাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’ শুরু করেছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ দাবি করেছে, ভারত তাদের তিনটি বিমানঘাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। এর জবাবে ভারতের পাঠানকোট, উধমপুরসহ বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তারা।
শ্রীনগর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, যে ভোর পৌনে ছয়টার দিকে সেখানে কয়েকটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। শহরজুড়ে এখন পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট চলছে।
এর আগে ভারত আর পাকিস্তান দুটি দেশই দাবি করে যে শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের ওপরে অপর দেশ থেকে হামলা হয়েছে।
উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের করাচির ফায়সাল হাইওয়েতে একাধিক বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানাচ্ছেন বিবিসির সংবাদদাতারা।
গুলিস্তাঁ-এ-জওহার এলাকার এক বাসিন্দা জুবেইর আশরাফ বিবিসিকে জানিয়েছেন যে ভোরবেলা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তিনি। আকাশে আলোর ঝলকানিও দেখতে পেয়েছেন মি. আশরাফ।
বিস্ফোরণের পরেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, সবাই তাদের বাড়ির আলো নিভিয়ে দেন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে শুক্র ও শনিবারের মাঝ রাতে উত্তরের বারামুল্লা থেকে গুজরাতের ভুজ পর্যন্ত ২৬টি জায়গায় ড্রোন দেখা গিয়েছে। সূত্র: বিবিসি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
মার্কিন মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন। তিনি উভয় দেশকে বিবেচনা বোধ ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান এবং এই বিষয়ে তাদের মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও এই বিষয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি এবং একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তৃত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরিফের প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, যারা শান্তির পথ বেছে নিয়েছেন। রুবিও আরও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি ও জে ডি ভ্যান্স শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শরিফও ছিলেন।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারও পাকিস্তান ও ভারতের তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান সর্বদা তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সাথে আপস না করে এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ করবে। এই যুদ্ধবিরতি ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হবে। তিনি আরও জানান, আজ বিকেলে পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) তার ভারতীয় সমকক্ষকে ফোন করেন এবং উভয় পক্ষ স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে সব ধরনের গোলাগুলি বন্ধ করতে সম্মত হয়। দুই পক্ষ আগামী ১২ মে পুনরায় যোগাযোগ করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারত যদি থামে, তাহলে আমরাও থামব: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারত যদি উত্তেজনাকর পদক্ষেপ বন্ধ করে, তাহলে ইসলামাবাদও তাই করবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। শনিবার (১০ মে) স্থানীয় একটি টেলিভিশন স্টেশনের সঙ্গে কথা বলার সময় ইসহাক দার এ কথা বলেন।
ভারত ও পাকিস্তান শনিবার একে অপরের বিরুদ্ধে নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করার এবং একে অপরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগ করার পর তার এই মন্তব্য এসেছে।
ইসহাক দার বলেন, যদি সামান্যতম বিচক্ষণতা থাকে, তাহলে ভারতও থামবে এবং যদি তারা থামে, তাহলে আমরাও থামব।
আমরা সত্যিকার অর্থে কোনো একটি দেশের আধিপত্য ছাড়াই শান্তি চাই, বলেও উল্লেখ করেন দার।
এদিকে, পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য দেশ দুটিকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ‘গঠনমূলক আলোচনার’ জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ-উত্তেজনার মধ্যেই ভূমিকম্প হয়েছে পাকিস্তানে। এক বিবৃতিতে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর পিএমডি জানিয়েছে, শনিবার সকাল ১০টা ৮ মিনিটে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে পাকিস্তানে।
এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল বা এপিসেন্টার ছিল পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমে হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের ২৩০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের কম্পণ মূলত অনুভূত হয়েছে রাজধানী ইসলামাবাদ এবং খাইবার পাখুতনখোয়া রাজ্যে। এছাড়া আটক, পেশোয়ার, মারদান, নওশেরা, সোয়াবি, উত্তর ওয়াজিরিস্তিানসহ বিভিন্ন জেলায় টের পাওয়া গেছে কম্পণ।
তবে এতে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভৌগলিকভাবে পাকিস্তানের অবস্থান ভারতীয় ও ইউরাশীয় টেকটোনিক প্লেটের একটি সংযোগস্থলে। তাই এ দুই টেকটোনিক প্লেটের কোনোটি সামান্য অবস্থান পরিবর্তন করলেই ভূমিকম্প হয় দেশটিতে।
এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৪০০ মানুষ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশি ৪ টিভির ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করল ভারত

নিজ দেশে ৪টি বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করেছে ভারত। এই চ্যানেলগুলো হলো যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন ও মোহোনা টিভি। জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারত অনুরোধ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মুক্ত ফ্যাক্টচেকিং সাইট ডিসমিসল্যাব।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের প্রতিবেদন প্রকাশে সময় (গতকাল শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত) পর্যন্ত চ্যানেলগুলোতে প্রবেশ করা যায়নি। ভারতের ভূখণ্ডের কোনো এলাকায় এই চার টিভি চ্যানেলের ইউটিউব চ্যানেল আর দেখা যাচ্ছে না। দেশটির ভূ-অবস্থান থেকে এই চ্যানেলগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি বার্তা সামনে আসছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘এই কনটেন্টটি বর্তমানে এ দেশে প্রদর্শনযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সরকারি আদেশের আওতায় রয়েছে।’
ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে বাংলাদেশি এই চার টিভি চ্যানেলের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে নোটিশ দিয়েছে। যমুনা টিভির কর্তৃপক্ষ ডিসমিসল্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন যে তারা নোটিশ পেয়েছেন। সেই নোটিশে বলা হয়েছে, “ভারতের সরকারের কাছ থেকে আমাদের কাছে এই মর্মে অনুরোধ করা হয়েছে যে আপনার কন্টেন্টগুলোর সম্প্রচার যেন দেশটিতে বন্ধ করা হয়, কারণ আপনার সম্প্রচারিত কন্টেন্টগুলো ভারতের জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে…এই কারণে এখন থেকে আপনার চ্যানেলে আপলোড করা কন্টেন্টগুলো আর ভারতে প্রদর্শন বা সম্প্রচার করা হবে না।”
বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য ডিসমিসল্যাব ভিপিএনে (ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) যুক্ত হয়ে আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানায় ভারতীয় অবস্থান নিশ্চিত করার পর ইউটিউবের অফিশিয়াল সাইটে গিয়ে তাদের তালিকাভুক্ত ৩৮টি বাংলাদেশি সংবাদ ও মিডিয়া চ্যানেল যাচাই করেছে। এগুলোর মধ্যে যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভিতে প্রবেশ করা যায়নি। পাশাপাশি চ্যানেলগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনাসংবলিত বার্তাও দেখা গেছে।
পাশাপাশি, এই চার চ্যানেলের ইউটিউব লিংক নয়াদিল্লি ও কলকাতাভিত্তিক দুজন সাংবাদিককে পাঠিয়েছে ডিসমিসল্যাব। তারাও নিশ্চিত করেছেন যে চ্যানেল চারটিতে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এর একটি স্ক্রিন রেকর্ডও তারা ডিসমিসল্যাবকে প্রদান করেছেন।
ভারতের ‘ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইনস ও ডিজিটাল মিডিয়া এথিকস কোড রুলস’ আইন মেনে চলে ইউটিউব। এ আইনের আওতায় ভারত সরকার কোনো কনটেন্ট ও চ্যানেলকে জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব বা জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি বলে মনে করলে তা ব্লক করার নির্দেশ দিতে পারে।
কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জন পর্যটককে হত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মে ভারত অপারেশন সিঁদুর নামে এক অভিযানের অংশ হিসেবে পাকিস্তানে হামলা চালায়। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেয়।
ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে ভারত সরকার দেশটির স্বাধীন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট নিজ দেশে ব্লক করেছে। এ নিয়ে দ্য ওয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছে, এটা ভারতের সংবিধানে প্রদত্ত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এর আগে এক্স (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে, ভারত সরকার আট হাজারের বেশি ‘অ্যাকাউন্ট’ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের অ্যাকাউন্টও রয়েছে।
ভারতের নির্দেশে এক ডজনের বেশি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল এবং রাজনীতিবিদ ও তারকাদের ইনস্টাগ্রাম আইডি ভারতে ব্লক করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতের ৭৭ ড্রোন গুঁড়িয়ে দিলো পাকিস্তান

চলমান সংঘাতে ভারতের ৭৭টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় আগ্রাসনের যথাযথ জবাব দিচ্ছে।
শুক্রবার (৯ মে) পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৯টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। তারপর আরও ৪৮টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ড্রোনগুলো নজরদারি এবং পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
পাকিস্তান আইএসপিআরের মতে, কাপুরুষোচিত হামলাগুলো নয়াদিল্লির আতঙ্ক ও কৌশলগত বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, ভারতীয় বাহিনী এলওসিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী শক্তিশালী ও পরিকল্পিত জবাব দিচ্ছে। শত্রুপক্ষের সব পরিকল্পনা বানচাল করে দিচ্ছে। সফট-কিল (প্রযুক্তিগত) এবং হার্ড-কিল (অস্ত্রভিত্তিক) পদক্ষেপের সমন্বয়ে সব আগত ড্রোন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান গত বুধবার চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান দিয়ে ভারতের দুইটি সামরিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তান চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতীয় যুদ্ধবিমানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এতে অন্তত দুইটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে।
অন্যদিকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় হস্তক্ষেপ না করার ইঙ্গিত দিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না যেখানে তার কোনো স্বার্থ নেই।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেডি ভ্যান্স বলেন, আমরা দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে পারি না, তবে যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতির পথ বেছে নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।
এরপর থেকে দুদেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে পরিস্থিতি, যা রীতিমতো যুদ্ধের রূপ ধারণ করেছে এখন।