জাতীয়
স্বর্ণ তৈরির মেশিনেই মিলল স্বর্ণের চালান

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবার স্বর্ণালঙ্কার তৈরির মেশিনের ভেতর লুকানো অবস্থায় স্বর্ণ জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার রাতের দিকে মালয়েশিয়া থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে কৌশলে আনা ১ কেজি ২০০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা কাস্টমস হাউজের প্রিভেনটিভ কর্মকর্তা বরুণ দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চাঁদপুর শাহরাস্তি সুমন মিয়া নামের ওই যাত্রী রাত সোয়া ১১টার দিকে মালয়েশিয়া থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন শেষ করে কাস্টমস হলে এলে তার লাগেজ স্ক্যান করলে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সে স্বর্ণের বিষয়টি অস্বীকার করে। পরে তার স্বর্ণালঙ্কার তৈরির ওই মেশিন ঘিরে সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে ওই মেশিনের ভেতরে ১ কেজি ২০০ গ্রাম স্বর্ণের চাকতি পাওয়া যায়। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চোরাকারবারীরা অভিনব কায়দায় স্বর্ণপাচারের চেষ্টা করছেন। কিন্তু কাস্টমসের প্রিভেনটিভ টিমের সতর্কতার কারণে তারা সফল হতে পারছে না। একের পর এক তাদের কৌশল ধরাও পড়ছে।
কাফি

জাতীয়
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের শুনানি শুরু আজ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে শুনানি শুরু হচ্ছে আজ রোববার (২৪ আগস্ট)। চলবে বুধবার (২৭ আগস্ট) পর্যন্ত। এই চারদিনে এক হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির শুনানি করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।
তিনি বলেন, ‘রোববার (২৪ আগস্ট) থেকে আমরা সীমানা নির্ধারণে দাবি-আপত্তির যে আবেদনগুলো এসেছে সেগুলোর শুনানি শুরু হবে। যা চলবে বুধবার (২৭ আগস্ট) পর্যন্ত।
শরিফুল আলম জানান, এসব দাবি-আপত্তির বিষয়ে শুনানি গ্রহণের পর পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, রোববার (২৪ আগস্ট) কুমিল্লা অঞ্চলের ১৮টি আসনের বিপরীতে ৬৮৩টি দাবি-আপত্তির বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করা হবে। পরদিন সোমবার (২৫ আগস্ট) খুলনা অঞ্চলের ৯৮টি, বরিশাল অঞ্চলের ৩৮১টি এবং চট্টগ্রামের ২০টি শুনানি গ্রহণ করা হবে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা অঞ্চলের ৩১৬টি আসনের দাবি-আপত্তির শুনানি গ্রহণ করবে ইসি এবং সবশেষ বুধবার (২৭ আগস্ট) রংপুরের সাতটি, রাজশাহীর ২৩২টি ময়মনসিংহের তিনটি, ফরিদপুরে ১৮টি এবং সিলেট অঞ্চলের দুটি আসনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনে মোট ৮৩টি আসনের সীমানা পরিবর্তনে এক হাজার ৭৬০টি আবেদন জমা পড়ে। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে ৬৮৩টি। সবচেয়ে কম আবেদন ছিল রংপুর অঞ্চলে সাতটি। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে একক আসন হিসেবে কুমিল্লা-১ আসনে, ৩৬২টি। পিরোজপুর-১, পিরোজপুর-২ ও পিরোজপুর-৩ আসন থেকে আবেদন পড়ে ২৮৭টি। সিরাজগঞ্জ ৫ ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসন থেকে আবেদন পড়ে ২২০টি।
এদিকে, ঢাকার মধ্যে ঢাকা-১ আসনে আবেদন পড়ে সবচেয়ে বেশি ৭৯টি।
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়। বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়া পরিবর্তন আনা হয় ৩৯টি আসনে। এগুলো হলো, পঞ্চগড় ১ ও ২; রংপুর ৩; সিরাজগঞ্জ ১ ও ২; সাতক্ষীরা ৩ ও ৪; শরীয়তপুর ২ ও ৩; ঢাকা ২,৩,৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর ১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪ ও ৫; সিলেট ১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩; কুমিল্লা ১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী ১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসন।
দাবি-আপত্তিগুলোর শুনানি শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
জাতীয়
ব্যালট বাক্সের হিসাব দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ

আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে ব্যালট বক্সের হিসাব দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে মাঠ কার্যালয়ের গোডাউন খালি করতেও বলেছে সংন্থাটি।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ এরইমধ্যে নির্দেশনাটি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যবহার উপযোগী ব্যালট বাক্সের হালনাগাদ হিসাব আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা-১ অধিশাখায় পাঠাতে হবে।
এছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মালামাল সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণের জন্য গোডাউনে পর্যাপ্ত জায়গা খালি রাখার উদ্দেশ্যে মালামাল স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের চাহিদাও পাঠাতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব উপকরণ কেনা শেষ করতে চায় কমিশন।
কাফি
জাতীয়
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরও শক্তিশালী করা হবে: আইন উপদেষ্টা

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ সংশোধনের মাধ্যমে কমিশনকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠনে স্বচ্ছ, উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া দরকার। তাহলে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সিলেটে অংশীজন কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করে ঢাকার সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস ও ইউএনডিপি।
আইনের যথাযথ সংশোধন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও আস্থাভাজন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইন উপদেষ্টা।
কর্মশালায় আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম শাফায়েত হোসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ এর ওপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে কমিশনের ম্যান্ডেট, সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক বক্তৃতায় আইনটির বিভিন্ন ধারা সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী মানবাধিকার কমিশনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তৃতা করেন— সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অংশ নেন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যমকর্মী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা।
কর্মশালায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রয়োজনীয় সংস্কার বিষয়ে গঠনমূলক মতামত দেন বক্তারা। তারা আইনি সংস্কারের মাধ্যমে কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শক্তিশালী করারও প্রস্তাব দেন।
জাতীয়
হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি আজ

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংঘটিত গুম, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে শুনানির জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দিন ধার্য রয়েছে আজ।
রোববার (২৪ আগস্ট) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে, গত ২৪ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আরও দুই মাস বাড়ানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গুম-হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম ও প্রসিকিউটর আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
এর আগে এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও দুই মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়। এরপর ২৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। এ নিয়ে তিন দফায় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ানো হলো।
এ মামলার ১১ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনের নাম প্রকাশ করেছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। শেখ হাসিনা ও জিয়াউল ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এ মামলার আসামি। মামলায় মাত্র একজন গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি জিয়াউল আহসান। তাকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা রয়েছে।
শুনানিতে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, র্যাব-১ ও র্যাব-২-এর কার্যালয় এবং কচুক্ষেতে গুমকেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছেন। সেগুলো তিনি পরিদর্শন করেছেন এবং আলামত জব্দ করেছেন। কিছু কিছু আলামত ধ্বংস করারও চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ৮০০ থেকে ৯০০টি গুমের ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে ২০০টির মতো ঘটনার তদন্ত শেষের দিকে। গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে ৩০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
গুমের কাজ গোপনে করা হতো উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, এ জন্য তদন্ত করতে সময় লাগছে। এরপর তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও দুই মাস বাড়ানোর আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।
আদেশের পর প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মামলাটি আমরা ১১ জনের বিরুদ্ধে শুরু করেছিলাম। মামলায় মাত্র একজন গ্রেফতার আছেন। তিনি হলেন সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান। শত শত গুমের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তারপরও আমরা আদালতের কাছে তিন মাস সময় চেয়েছিলাম। আদালত সেটিও মঞ্জুর করেছেন। এ সময়ের মধ্যে গুমের অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
জাতীয়
ভ্যাট বাড়ালে একসময় শুধু প্যাকেট থাকবে, বিস্কুট-রুটি নয়

চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত বাজেটে বিস্কুট ও পাউরুটির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে এই ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে বিস্কুট-পাউরুটির দাম বাড়ানোসহ প্যাকেট আরও ছোট করার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিস্কুট-পাউরুটির কাঁচামাল গম, তেল ও চিনির দাম বাড়লেও আমরা পণ্যের দাম বাড়াইনি। কিন্তু সরকার ভ্যাট বাড়িয়ে আমাদের ওপর বোঝা চাপিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত বিস্কুট-পাউরুটি দিয়ে নাশতা করে। এগুলোকে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা করে ভ্যাট শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে কোম্পানির ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করা হোক, কিন্তু বিস্কুট-পাউরুটির ওপর নয়।
তিনি বলেন, আমাদের লজ্জা লাগে আরও কত প্যাকেট ছোট করবো। ভ্যাটের কারণে একদিন দেখা যাবে, শুধু প্যাকেট থাকবে কিন্তু বিস্কুট ও পাউরুটি থাকবে না।
শফিকুর রহমান বলেন, আগে যাকে আমরা ফ্যাসিস্ট বলতাম, তারাও পাউরুটি-বিস্কুটের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট রেখে গেছে। তাহলে এখন কেন ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট করা হলো? আমার প্রশ্ন তাহলে ফ্যাসিস্ট কারা? ভ্যাট প্রত্যাহার না হলে দাম বাড়বে তখন আমাদের দায়ী করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবাদ-সমালোচনা উপেক্ষা করে শ্রমজীবী, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের খাবার রুটি-বিস্কুটে বাড়তি ভ্যাট চাপিয়ে সরকার প্রমাণ করছে, তারা পূর্ববর্তী সরকারের চেয়েও বৈষম্যমূলক ও পশ্চাৎপদ করনীতির দিকে যাচ্ছে, যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার সরাসরি পরিপন্থি।
শফিকুর রহমান বলেন, সরকার সুপারশপগুলো থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে, অথচ গরিবের নিত্যখাদ্যে ভ্যাট বাড়িয়েছে। ধনীদের জন্য ছাড়, আর গরিবের খাবারে কর কেন? এটা কেবল বৈষম্যমূলক নয়, বরং অনৈতিক এবং জাতিকে অপমান করার শামিল।
অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন মামুন বলেন, গবেষণা প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, শ্রমজীবী মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন রুটি ও বিস্কুট খেয়ে তাদের ক্ষুধা নিবারণ করে। আবার বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট বলছে, খাদ্যনিরাপত্তার দিক থেকে বাংলাদেশ ‘রেড জোনে’। এ পরিস্থিতির মধ্যে গরিবকে শোষণের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের অনৈতিক ও পশ্চাৎপদ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
তিনি বলেন, আমরা অনেকবার বলেছি, যদি রাজস্ব সংগ্রহ করতে চান, তাহলে আমাদের শিল্পের চেয়ারম্যান ও ধনী ব্যবসায়ীদের ওপর ট্যাক্স আরোপ করুন। কিন্তু ভ্যাট কেন? সরকার আসলে বিস্কুট-রুটি কোম্পানিকে ব্যবহার করছে গরিব শোষণের হাতিয়ার হিসেবে। আমরা এই ভূমিকায় যেতে চাই না। এ ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।
শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা মনে করি চাল-ডালের মতোই বিস্কুট রুটি নিত্যপ্রয়োজনীয়। তাহলে রুটি বিস্কুটে ভ্যাট কেন থাকবে?
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড মেনুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দ্রজিৎ সরকার, কিষওয়ান ফুড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আবদুর রহমান প্রমুখ।