অর্থনীতি
মে ও জুনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিল নিলামের তারিখ নির্ধারণ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মে ও জুন মাসের জন্য ৯০ ও ১৮০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের নিলাম আগামী ৭, ১৪, ২১ ও ২৮ মে এবং ৪, ১১, ১৮ ও ২৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাজারে অতিরিক্ত তারল্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে ৭, ১৪, ২১ ও ২৮ মে এবং ৪, ১১, ১৮ ও ২৫ জুন ৯০ ও ১৮০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এ নিলামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বাংলাদেশে নিবাসী সকল ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী দশ লাখ টাকা বা দশ লাখ টাকার গুণিতক অঙ্কের অভিহিত মূল্যে বিড দাখিল করতে পারবেন।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চলতি হিসাব পরিচালনাকারী যেকোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব বা তাদের ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী গ্রাহকদের পক্ষে বিড দাখিল করতে পারবেন। প্রতি ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের জন্য ডিস্কাউন্টে বিলের প্রস্তাবিত ক্রয়মূল্য উল্লেখসহ মোট অভিহিত মূল্য উদ্ধৃত করে ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় নিলামের তারিখ সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত এমআই মডিউলের মাধ্যমে বিড দাখিল করতে হবে।
একই দিনে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ও নিলাম ফলাফল দুপুর আড়াইর মধ্যে ঘোষিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের সেটেলমেন্ট টি+০ ভিত্তিতে হবে এবং মেয়াদান্তে বিলের মেয়াদপূর্তিকৃত মূল্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চলতি হিসাব আকলন করে পরিশোধ করা হবে।
এদিকে নিলামে অংশগ্রহণের বিস্তারিত নির্দেশনা এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু

পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল পরিবহনে নেওয়া প্রকল্পের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। আজ সোমবার থেকেই পাইপলাইনে তেল পরিবহন শুরু হচ্ছে।
সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) পরিচালক (অপারেশন ও পরিকল্পনা) এবং সরকারের যুগ্মসচিব ড. এ কে এম আজাদুর রহমান।
তিনি বলেন, আগামী ৭ মে থেকে পরীক্ষামূলকভাবে তেল পরিবহন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আজ থেকেই জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু হচ্ছে। এটা পরীক্ষামূলক পরিবহন। আগামী সাত থেকে ১০ দিন এভাবে পরীক্ষামূলক পরিবহন চলবে। এর মধ্যে কিছু ভুল-ত্রুটি হবে, সেগুলো সংশোধন করে পাইপলাইনের উদ্বোধন করা হবে। তারপর মূলত পুরোদমে তেল পরিবহন শুরু হবে।
জ্বালানি তেল পরিবহনের এই পাইপলাইনের দুটি অংশ রয়েছে। একটি অংশ চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থেকে ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপো পর্যন্ত। আরেকটি অংশ গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত।
পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহনের এই প্রকল্পটি ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে অনুমোদন পায়। শুরুতে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরু করতেই ২০২০ সাল লেগে যায়। পরে প্রথম দফায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় আবারও ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। বিপিসির এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।
শুরুতে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকায়।
বিপিসির কর্মকর্তারা বলছেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে সরবরাহ করা হবে ২৭ লাখ টন ডিজেল। পাইপে পরিবহন শুরু হলে প্রায় ২৩৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
প্রকল্পের নথিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর প্রকল্প থেকে ৩২৬ কোটি টাকা আয় হবে। পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ, ফুয়েল, বিদ্যুৎ বিল, জমির ভাড়াসহ আরও কিছু খাতে ব্যয় হবে ৯০ কোটি টাকা। এতে প্রতিবছর সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা। আগামী ১৬ বছরের মধ্যে প্রকল্পের বিনিয়োগ উঠে আসবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এপ্রিলে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি যে ৭ ব্যাংকে

দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ৩.২৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল ঈদের আগের মাস মার্চে। ঈদের পরেও রেমিট্যান্সের গতিধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে এপ্রিলের পুরো সময়ে কোন রেমিট্যান্স আসেনি ৭ ব্যাংকের মাধ্যমে।
সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসের পুরো সময়ে এসেছে ২.৭৫ বিলিয়ন (২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। এটি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর প্রতিদিন এসেছে প্রায় ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১১১৯ কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, এপ্রিল মাসের পুরো সময়ে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার এসেছে দেশে। যা গত বছরের একই মাসের (এপ্রিল, ২০২৪) চেয়ে ৭০ কোটি ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের এপ্রিলে এসেছিল ২০৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৯৯২ কোটি ডলার। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এসেছে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে প্রায় সাড়ে ৫ বিলিয়ন (৫৪২ কোটি ডলার) ডলার বেশি এসেছে। আর সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে আসেনি রেমিট্যান্স
সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসের পুরো সময়ে ৭ ব্যাংকের মাধ্যমে কোন রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল। বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
অন্যদিকে, আলোচিত এপ্রিলে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬১ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আর বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৬০ লাখ ডলারের।
এর আগে সদ্য বিদায়ী মাস মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৩.২৯ বিলিয়ন (৩২৯ কোটি ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসছে প্রায় ১০.৬১ কোটি ডলার বা ১২৯৫ কোটি টাকা করে।
তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৭১ বিলিয়ন বা ১৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সদ্য বিদায়ী মার্চে ১৫৮ কোটি ডলার বেশি এসেছে। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৭০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৪৭০ কোটি ডলার বেশি এসেছে।
গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। সে রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়লো মার্চ মাস। আর এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর সবশেষ মার্চে এলো ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২০ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেড়ে ১ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের রেকর্ড গড়েছে গত ডিসেম্বর প্রান্তিকে। বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ২০.২ শতাংশ। একই সময়ে ব্যাংক খাতের ঋণস্থিতি ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, খেলাপি ঋণ ব্যাপক পরিমাণে বাড়ায় এক তৃতীয়াংশ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেড়েছে। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ২০ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেড়ে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ডিসেম্বর প্রান্তিকে এ চিত্র উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি ছিল ৫৩ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। ডিসেম্বর প্রান্তিকে মোট ২০ ব্যাংকের সার্বিক ঘাটতি বেড়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ১০ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংকখাতের সম্মিলিত মূলধন ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের অনুপাত (সিআরএআর) কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। যা তার আগের প্রান্তিক সেপ্টেম্বর শেষে ছিল ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম মাত্রায় মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।
ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংককে তাদের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ বা ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি সে পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই শর্ত কোন ব্যাংক মানতে ব্যর্থ হলে, সেটি মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে বলে গণ্য হয়। আর মূলধনের এ অর্থ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগ এবং মুনাফা থেকে সংরক্ষিত হয়। মূলধন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংক তাদের শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করতে পারে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আয়কর রিটার্ন যারা জমা দেননি তারা নজরদারিতে: এনবিআর

কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকলেও প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ রিটার্ন জমা দেন না। সে কারণে নিয়মিত করদাতাদের ওপর চাপ পরছে বলে মনে করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। যাতে করে করের আওতা বাড়াতে চান তিনি। একই সঙ্গে যারা আয়কর রিটার্ন জমা দেন না কিংবা নানাভাবে কর ফাঁকি দেন বা কর অব্যাহতি নেন, তাঁদের কাছ থেকেও কর আদায় বাড়াতে চান তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নন-ফাইলার্সদের (যারা রিটার্ন জমা দেন না) থেকে কী পরিমাণ কর সংগ্রহ করতে পারল, রিবেটার্সদের (ছাড় পাওয়া) থেকে কত কর সংগ্রহ করতে পারল, তার হিসেব দিবেন কর্মকর্তারা। অর্থাৎ তাঁদের নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হবে। কমিশনারেটে নির্দেশনা দেওয়া হবে, টার্গেট দেওয়া হবে, এ বছর ও পরবর্তী বছরের জন্য।
রোববার (৪ মে) সকালে রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে আসন্ন বাজেটে রাজস্ব খাত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
তিনি বলেন, এনবিআরের ৯২ শতাংশ রাজস্ব টিডিএসসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে। কর কর্মকর্তারা মাত্র ৮ শতাংশ রাজস্ব সরাসরি সংগ্রহ করেন। এই ব্যবস্থায় এখন থেকে কর কর্মকর্তাদের দক্ষতারও প্রমাণ পাওয়া যাবে। যে পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়, সমপরিমাণ অর্থ করছাড়ের কারণে হারাতে হচ্ছে। কিন্তু সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ ঋণের বড় চাপ/বোঝা (বার্ডেন) আছে। এ অবস্থায় এভাবে কর অব্যাহতি দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ নিয়ম মেনে এসব ছাড় দেওয়া হয়নি। নতুন করছাড় নীতিতে এই সক্ষমতা সংসদের হাতে থাকবে।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা এফআইসিসিআই, সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদদের সংগঠন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) ও জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই)।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, আগামী বাজেটে ব্যবসা সহজীকরণের নানা উদ্যোগ থাকবে। তবে রাজস্ব আহরণও কমবে না, সেদিকে নজর থাকবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়াও সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ফরেন চেম্বারের সভাপতি জাবেদ আখতার, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের (সিইও) মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, বাংলাদেশে মারুবেনি করপোরেশনের কান্ট্রি হেড মানাবু সুগাওয়ারা, জাপান-বাংলাদেশ চেম্বারের যুগ্ম মহাসচিব ইউজি আন্দো, এনবিআরের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান শিকদার ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আফজাল হোসেন, আইসিএবির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, আইসিএবির সভাপতি মারিয়া হাওলাদার, জেবিসিসিআই সভাপতি তারেক রফি ভুঁইয়াসহ অনেকে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এডিবির ৩০ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন ঘোষণা, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। যা এডিবি সদস্যভুক্ত দেশগুলো পাবে। ফলে বাংলাদেশও সুবিধা পাবে। নানান প্রকল্পে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এডিবি অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে।
রোববার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সহায়তা ২৬ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে এডিবি। ফলে ২০২২-২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা উদ্যোগের জন্য মোট তহবিল ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।
এ সহায়তা কৃষিকাজ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে বিতরণ ও ব্যবহার পর্যন্ত সমগ্র খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াজুড়ে একটি বিস্তৃত কর্মসূচির তহবিল সরবরাহ করবে।
মিলানে এডিবির ৫৯তম বার্ষিক সভায় এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্দা বলেন, খরা, বন্যা, চরম তাপ এবং অবক্ষয়িত প্রাকৃতিক সম্পদ কৃষিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একই সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ জীবিকাকেও হুমকির মুখে ফেলছে। এ সম্প্রসারিত সহায়তা দেশগুলোকে ক্ষুধা দূরীকরণ, খাদ্যাভ্যাস উন্নত করতে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে কৃষক ও কৃষি ব্যবসার জন্য সুযোগ তৈরি করবে। এটি খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে বিতরণ ও গ্রহণের পদ্ধতি পর্যন্ত সমগ্র খাদ্যমূল্য শৃঙ্খলে পরিবর্তন আনবে।