রাজনীতি
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত আসা উচিত: নাহিদ ইসলাম

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক ইতিবাচক হবে প্রত্যাশা করে জাতীয় নগারিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, যে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিশ্রুতি আমরা সবাই দিচ্ছি, সেটি আরও কীভাবে কার্যকর করা যায়, সেই বিষয়ে নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করে রূপরেখা তৈরি করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত আসা উচিত।
রবিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমি মনে করি, সেই সংস্কারের রূপরেখাগুলো এলে এবং বাস্তবায়ন হওয়া শুরু করলে আমরা বলতে পারবো, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে গণমাধ্যমের পরিবর্তনটা দৃশ্যমান হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি মুক্ত গণমাধ্যমের পক্ষে বিশ্বাস করে। আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র চর্চার জন্য, মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য, মুক্ত গণমাধ্যম অতি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। ফলে মত প্রকাশের অধিকার হরণ থেকেই আমাদের আন্দোলনের যাত্রা শুরু। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বলতে চাই— ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে গণমাধ্যমে দলীয়করণ, সরকারের হস্তক্ষেপ, সামাজিক চাপ থেকে বের হয়ে গণমাধ্যম কাজ করতে পারবে এবং সাংবাতিকরা তাদের নিরাপত্তা ও পেশাদারত্ব বজায় রেখে মানুষের পক্ষে কাজ করতে পারবে।
তিনি বলেন, মুক্ত গণমাধ্যমের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো লড়াই করেছে। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি, বাংলাদেশ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে৷ এটি আমাদের দেশের জন্য একটি সুখবর হলেও আমাদের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা ছিল— আমাদের দেশের গণমাধ্যম পরিস্থিতি আরও ভালো থাকবে। সেই সূচককে একটি মানদণ্ড ধরলে আমরা এখনও অনেক নিচের দিকে আছি। বিগত ১৬ বছর একটি ফ্যাসিস্ট শাসনের মধ্য দিয়ে অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো গণমাধ্যমও দলীয়করণ এবং ফ্যাসিজমের দ্বারা প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়া এবং ফ্যাসিজমের সম্পর্ক বিগত সময়গুলোতে কী ছিল এবং মিডিয়ার ভেতরে যে ফ্যাসিজম প্রবেশ করেছে, সেখান থেকে মিডিয়াকে আমরা কীভাবে বের করতে পারবো, সেই বিষয়ে স্পষ্ট রূপরেখা প্রয়োজন। কারণ আমরা দেখছি, মিডিয়া এবং ফ্যাসিজমের যে সম্পর্ক বিগত সময়ে ছিল, সেই সম্পর্ক থেকে এবং আদর্শিক আধিপত্যের জায়গা থেকে যদি মিডিয়া বের না হয়, তাহলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তীকালে আমরা যে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রত্যাশা করি এবং জনগণের মিডিয়ার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হবে না। মিডিয়ার সুশাসনের বিষয়টি মিডিয়ার ভেতর থেকেই নিশ্চিত করা উচিত। সেই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির, সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনে প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ প্রমুখ।

রাজনীতি
এনসিপির মিডিয়া সেল গঠন, দায়িত্বে যারা

সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মিডিয়া সেল গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের অনুমোদনক্রমে এ সেল গঠন করা হয়। পরে রাতে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মিডিয়া সেলের সম্পাদক করা হয়েছে মুশফিক উস সালেহীনকে এবং সহ-সম্পাদক করা হয়েছে জয়নাল আবেদীন শিশিরকে।
এ ছাড়া সদস্য করা হয়েছে মঈনুল ইসলাম তুহিন, মীর আরশাদুল হক, আসাদুল্লাহ আল গালিব, দিলশানা পারুল, খান মুহাম্মদ মুরসালীন, মো. মাহাবুব আলম, তানহা শান্তা, তাওহিদ তানজিম, তৌহিদ হোসেন মজুমদার, মীর হাবীব আল মানজুর ও ইফতেখারুল ইসলামকে।
রাজনীতি
সব বিষয়ে ঐক্যমত্য সম্ভব নয়: আমীর খসরু

সব বিষয়ে ঐক্যমত্য না হলেও যেসব বিষয়ে ঐক্য হবে, সেগুলো মেনে সংস্কারের পথে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে গুলশানে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নিজস্ব চিন্তা ও দর্শন থাকে, তাই সব বিষয়ে একমত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেগুলো মেনে সংস্কার কার্যকর করা উচিত। আর যেসব বিষয়ে ঐক্য হবে না, তা আগামী নির্বাচনে জনগণই তাদের রায় দেবে এবং পরবর্তী সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা হবে।
তিনি ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণায় বিচার বিভাগের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, কমিশনও সেই রায় অনুমোদন দিয়েছে। সুতরাং, আইনগতভাবে ইশরাকের মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের কথা এবং বিএনপি সরকারের এ বিষয়ে পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ ছাড়া শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তফসিল ঘোষণার পর সমমনা দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
কাফি
রাজনীতি
সংস্কার কাজে আলোচনার চেয়ে খাওয়া-দাওয়া বেশি হচ্ছে: সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে চলা সংস্কার কার্যক্রমে আলাপ-আলোচনার চেয়ে খাওয়া-দাওয়া বেশি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, চূড়ান্তভাবে আমরা একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব।
তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের বীজ বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আমরা জানতাম ফ্যাসিবাদের পতন হবে। কিন্তু কবে, কখন ও কোন পদ্ধতিতে হবে, সেটা আমাদের জানা ছিল না।
সংস্কার প্রশ্নে বিএনপি সরকারকে সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দশ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না, এ প্রস্তাবে বিএনপি একমত হয়েছে। এখানেই ফ্যাসিবাদকে রুখে দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, এখন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে সেটি হবে গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।
গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি জানিয়ে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে মালিকের চাকরি না করে বিবেকের চাকরি করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন যদি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে, তবে ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করা সম্ভব। শুধু নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করলেই চলবে না- ফ্যাসিবাদী কাঠামো ভাঙতে প্রয়োজন সব রাষ্ট্রীয় অঙ্গের জবাবদিহিতা ও ভারসাম্য নিশ্চিত করা।
কাফি
রাজনীতি
দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, প্রস্তাবে একমত বিএনপি

একজন ব্যক্তি দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, ঐকমত্য কমিশনের এমন প্রস্তাবে একমত বিএনপি। তবে সাংবিধানিক নিয়োগ কমিটির প্রস্তাবে রাজি নয় দলটি।
বুধবার (২৫ জুন) ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে এ কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, ৫ম সংশোধনীর মূলনীতি ও নতুন প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বিএনপি। তবে তাতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়নি। সাংবিধানিক নিয়োগ কমিটি নিয়ে বিদ্যমান আইনে কমিশন বা সার্চ কমিটি করে দিলেই হবে। সেখানে সংস্কার করে জবাবদিহিতা আনাই উদ্দেশ্য। যাতে তারা নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত থাকে। তাহলে সংবিধানে নতুন করে একটা বডি তৈরি করা লাগে না।
তিনি আরও বলেন, আইনের সংস্কার না করে নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করার মানে হয় না। একদল স্বৈরাচার হয়েছিল বলে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা কমিয়ে আনার প্রয়োজন নেই। তাই এই নিয়োগ কমিটি নিয়ে বিএনপি একমত নয়। দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় তা নিয়ে আলাপ হয়েছে। এই প্রস্তাবে একমত বিএনপি।
কাফি
রাজনীতি
উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠদের নেতৃত্বে নগরভবনে হামলা চালানো হয়েছে: ইশরাক

মেয়র হিসেবে শপথ না পড়িয়ে কোর্টের রায় ও সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। এ ইস্যু আড়াল করতেই স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ দুর্নীতিবাজদের নেতৃত্বে নগরভবনে হামলা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
ইশরাক বলেন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মঙ্গলবার নগরভবনে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে। তারা নিজেদের বিএনপি ঘরানার পরিচয় দিলেও দলের কোনো পদে নেই। বরং তারা ফ্যাসিস্ট আমলের মেয়রদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে দুর্নীতি-লুটপাট করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন প্রকৌশল বিভাগের গোলাম কিবরিয়া রুবেল। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার নেতৃত্বেই মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা হয়েছে। উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ মাহমুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর রুবেল নগরভবনের আনাচে-কানাচে লুটপাটের হাতিয়ার হয়ে ওঠেন। তাই মরিয়া হয়ে রুবেল গংকে নগরভবনে পুনর্বহাল করার জন্যে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করা হয়েছে। আন্দোলনের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, তবু রুবেল নিজেকে বিএনপি সমর্থক দাবি করেন এবং তদবিরের মাধ্যমে এনসিপি ও কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে অবৈধ অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে আসছিলেন।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ যেন তার বক্তব্য ও আচরণের লাগাম টেনে ধরেন এবং বর্তমান যে স্বল্পমাত্রার স্থিতিশীলতা রয়েছে তা বিনষ্ট না করেন— এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, কোনো প্ররোচনায় কিংবা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে আন্দোলনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করবেন না।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে, তবে নগরবাসীকে নিয়ে আন্দোলন নগরভবনের গণ্ডি পেরিয়ে রাজপথে গড়াবে। একই সঙ্গে বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের জন্য আসিফ মাহমুদকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারদল নিরপেক্ষ নয় এটি এখন চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত, এমন মন্তব্য করে বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, পরাজয় ঘটেছে এই সরকারের নিরপেক্ষতার পর্দার পেছনে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা অগণতান্ত্রিক শক্তির। বিজয় হয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী জনগণের। যেকোনো মূল্যে একটি সুষ্ঠু সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।
এদিকে নগর ভবনে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে চলমান অবস্থান কর্মসূচি বুধবার সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইশরাকের সমর্থকরা। তবে তারা জানিয়েছেন, নগর ভবনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
বিকেলে নগর ভবনে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে শূন্যতা ও নীরবতা। স্লোগান বা নেতাকর্মীদের জটলা ছিল না। মূল ভবনের নিচে কিছু সমর্থক গল্প করছিলেন। ভবনের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। সেবাপ্রার্থীরা নিয়মিত সেবা নিয়ে দ্রুত বের হয়ে যাচ্ছেন।
কাফি