জাতীয়
মানবিক করিডর নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি : জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, মানবিক করিডর সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি হয়নি।
রোববার (৪ মে) রাজধানীতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের একত্র করে রাখার কোনো পরিকল্পনা নেই, বরং তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনই একমাত্র টেকসই সমাধান। মানবিক করিডর নিয়ে সরকার কোনও আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেনি।
খলিলুর রহমান জানান, রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। জাতিসংঘ এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এই করিডরের মাধ্যমে শুধু ত্রাণ ও খাদ্য পাঠানো হবে, অস্ত্র নয়। পাশাপাশি, এই যোগাযোগ রাখাইনে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সবসময় মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে এবং দেশটিকে অস্থির করার কোনো ইচ্ছা বাংলাদেশের নেই।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, “রোহিঙ্গারা অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যাবে। বিষয়টি সহজ নয়, তবে সরকার এই প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
অন্যদিকে, নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক এবং সাংঘর্ষিক বিষয়সমূহ পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৪ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এ রিট করেন।
আইনজীবী রওশন আলী জানান, ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট–২০২৫’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি ৩১৮ পৃষ্ঠার একটি বিশ্লেষণধর্মী নথি, যা সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তিনি দাবি করেন, এতে অন্তর্ভুক্ত বেশ কিছু সুপারিশ ইসলামী শরিয়াহ, সংবিধান এবং ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ঢাবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান সোহাগসহ মোট ১৩ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মামলার আবেদন করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
রোববার (৪ মে) শাহবাগ থানায় এই মামলার আবেদন জমা দেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর। তিনি বলেন, “আমরা একটি এজাহার পেয়েছি। আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।”
উল্লেখ্য, উপাচার্য ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা এসএম কামরুল আহসান শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাশেদ খানকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমান মামলায় সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন রাশেদ।
এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ৮ ও ৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা ছাত্রলীগের আনুমানিক ৫০০ জন নেতাকর্মী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়, দমনপীড়ন করে, গুলি ছোড়ে এবং উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে অংশ নেয়। এই হামলায় লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর গুলিবিদ্ধ হন, যার ফলে তার যকৃত ও ফুসফুসে ক্ষতি হয় এবং এখনও শরীরের মধ্যে গুলিটি রয়ে গেছে।
রাশেদ খান দাবি করেন, ওই সময় ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন এবং তিনি নিজেও রাবার বুলেটে আহত হন। একই সময় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা—including সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক—ঢাবি ক্যাম্পাসের আশপাশে অবস্থান করছিলেন। তাদের শাহবাগ জাদুঘরের সামনে রাত দুইটায় দেখা যায়।
তিনি অভিযোগ করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিভ্রান্ত ও কলুষিত করতে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড, ছাত্রলীগ এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সম্মিলিতভাবে উপাচার্যের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে যুক্ত ছিলেন।
মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির পাশাপাশি যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন:ঢাবির তৎকালীন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পরবর্তী উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল,সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ,ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন,
ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্স,ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়,
ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাকিব হাসান সুইম এবংমুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশিদের জন্য পুনরায় চালু হলো আমিরাতের ভিজিট ভিসা

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আবারও ভিজিট (ভ্রমণ) ভিসা চালু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। রোববার (৪ মে) বাংলাদেশে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আলহামুদি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে এক বৈঠকে এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আলহামুদি জানান, টানা কূটনৈতিক যোগাযোগের ফলে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থিত আমিরাত দূতাবাস প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের জন্য দলভিত্তিক (বাল্ক) ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে, যার ফলে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও জোরদার হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত জানান, আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইনভিত্তিক এমপ্লয়মেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করেছে। এর আওতায় ইতোমধ্যে মার্কেটিং ম্যানেজার ও হোটেল সেক্টরের পেশাজীবীদের ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত লুৎফে সিদ্দিকীর সাম্প্রতিক সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এ সময় লুৎফে সিদ্দিকী ভিসা প্রক্রিয়ায় অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আলহামুদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, এখন পর্যন্ত ৫০০ জন নিরাপত্তাকর্মীর ভিসা ইস্যু করা হয়েছে এবং আরও ১,০০০ ভিসা অনুমোদন পেয়েছে, যা শিগগিরই ইস্যু করা হবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্ভাব্য সামগ্রিক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনার জন্য ‘টার্মস অব রেফারেন্স’-এ দুই পক্ষ একমত হয়েছে।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, চলতি মাসের শেষদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রিসভার একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ সফর করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আর নেই

সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ রোববার (৪ মে) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন বলে জানিয়েছেন তার জুনিয়র আইনজীবী শিশির মনির।
দীর্ঘ ১১ বছর পর গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছিলেন এই বর্ষীয়ান আইনজীবী। এরপর তিনি পুনরায় সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় যোগদান করেন। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তার জুনিয়র আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে তাকে সংবর্ধনাও দিয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট এবং জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে যান। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করেন। দলটির তৎকালীন আমির ডা. শফিকুর রহমান তার পদত্যাগে দুঃখ প্রকাশ করে তার সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকার আশা প্রকাশ করেছিলেন।
পরবর্তীতে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক নতুন রাজনৈতিক দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন। তবে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত বছরের ১৭ আগস্ট তিনিও সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
দেশে প্রত্যাবর্তনের পর রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বিষয়ে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, তিনি একজন কোর্ট রুম ব্যারিস্টার হিসেবে আইনের অঙ্গনে অবদান রাখতে চান। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ ও জাতির খেদমত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।
সিলেটের বিয়ানীবাজারের মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বিএ (অনার্স) ও এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি ‘দ্য ল’ কাউন্সেল’ নামে একটি আইনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তার দুই ছেলেও ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টের আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অবৈধ উপায়ে গবাদিপশুর অনুপ্রবেশ রোধে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আজকের পর থেকে গবাদি পশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোরভাবে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আজ রবিবার (৪ মে) আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল/পরিবহন নিশ্চিতকল্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
ফরিদা আখতার বলেন, আজকের আমাদের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আন্তঃসীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিজিবি, বাংলাদেশ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সমন্বিতভাবে কাজ করবে। আজকের পর থেকে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোরভাবে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
কোরবানির পশু পরিবহনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাসে বা গণপরিবহনে, বাসের লকআপে ছাগল ও ভেড়া পরিবহন যেন না করা হয় সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ পরিহার করতে হবে এবং যথাযথ পরিবহনের মাধ্যমে পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোরবানির পশু সরবরাহের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া ট্রেন ও নৌপথে পশু সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ মেনে চলতে হবে।
গবাদিপশুর হাটে পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশনের যৌথ সহযোগিতায় গবাদিপশুর হাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে পশু কোরবানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রাণী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপদ মাংস নিশ্চিতকরণে প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ প্রতিপালন করতে হবে। গবাদি পশুর হাট ও পরিবহনের সময় পর্যাপ্ত খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক জায়গায় একমত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্যে আসতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে। আমরা সব বিষয়ে একমত হতে পারব না, কিন্তু রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক জায়গাগুলোতে আমাদের একমত হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’
আজ রবিবার (৪ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, ‘শুধু এই টেবিলে বসে, এখানে আলোচনা করে আমরা জাতীয় ঐকমত্যের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছাতে পারব—এটা আমরা মনে করি না।’
জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়ে কমিশন অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা সেই চেষ্টা করছি। কিন্তু রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আপনাদের ওপর আমাদের এই আশা, বিশ্বাস ও আস্থা আছে যে, আপনারা অন্যদের সঙ্গে কথা বলবেন, ভিন্নমতের জায়গাগুলোকে সংকুচিত করে এক জায়গায় আসার জন্য আপনারা আপনাদের সহযোগী রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে অনুপ্রাণিত করবেন এবং তার মধ্য দিয়ে আমরা এক জায়গায় উপনীত হতে পারব।’
চলতি মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ঐকমত্যের বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু পরিকল্পনার কথা জানান কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য তৈরি হবে, সেগুলোর ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি হবে।’ রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রক্রিয়াকে অগ্রসর করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য সুস্পষ্ট জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা চাই, সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ গভীর অন্ধকারে পতিত হয়েছিল। একটি ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রের পদতলে পিষ্ট হয়ে বাংলাদেশের মানুষ যখন আশাহত, সেই সময় তরুণদের অভ্যুত্থানের ডাকে লাখ লাখ মানুষ সাড়া দিয়েছেন। তারই ফলে আমরা এখানে সমবেত হয়ে (সংলাপ) বাংলাদেশের রাষ্ট্র বিনির্মাণের, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করতে পারছি।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক উপস্থিত আছেন—কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।