জাতীয়
চালের দাম একবারে কমে গেলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে: খাদ্য উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, আমরা যদি মজুদ বাড়াতে পারি, তাহলে চালের দাম যেমন কমবে তেমনি গমের দামও কমবে। বর্তমানে চালের দাম কমে গেছে। তবে চালের দাম একবারে কমে গেলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শনিবার (৩ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নির্মাণাধীন সাইলো ও নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে গমের চাহিদা ৭০ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় মাত্র ১০ লাখ টন। বাকী ৬০ লাখ টনের বেশীরভাগ আমদানি হয় বেসরকারিভাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নারায়ণগঞ্জের সাইলো গুদামের নির্মাণকাজ শেষের পথে। আরো কিছু সাইলো গুদামের নির্মাণকাজও শেষের পথে। এবছর বোরো ফসল ভাল উৎপাদন হয়েছে। আমরা বোরো ভালভাবে মজুদ করতে পারলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ওএমএস, টিসিবির পরিমান আরো বাড়ানো যাবে।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইনসহ জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: সংযম ও শান্তির আহ্বান বাংলাদেশের

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি উভয় দেশকে শান্ত থাকা এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
আজ বুধবার (৭ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার পাশাপাশি সংযম দেখাতে অনুরোধ। এ ছাড়া পরিস্থিতি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ আঞ্চলিক শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং শেষ পর্যন্ত জনগণের মঙ্গলার্থে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে বাংলাদেশ আশা করে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ ধ্বংসের লক্ষ্যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এই হামলা পরিচালিত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। এই হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ২৬ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। তার মধ্যে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সরকারের একাধিক সূত্র।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। হামলার পর দিল্লি সোজাসুজি এর দায় চাপিয়েছে ইসলামাবাদের ঘাড়ে। দু’দেশ থেকে নেয়া হয় বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ। উত্তপ্ত পরিস্থিতি থামাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় ইরান ও রাশিয়া। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে জম্মু-কাশ্মিরে হামলার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তানে হামলা চালাল ভারত।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হাসিনা ও সাবেক বিমান সচিব মোকাম্মেলকে দুদকে তলব

বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ৫ মে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক চিঠিতে তাদের আগামী ৮ মে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া তলবি চিঠি ধানমন্ডির সুধাসদন ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
অন্যান্য তলবি চিঠিও তাদের ঢাকা ও নিজ বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
তলবকৃতদের মধ্যে মাহবুব আলী গ্রেপ্তার হলেও শেখ হাসিনা ভারতে এবং মোকাম্মেল হোসেন কাগজে-কলমে পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানসহ শীর্ষ ৮ কর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা প্রতারণা, জাল জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও আত্মসাৎ করেছেন।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রথমে পাঁচ সদস্য অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। পরবর্তীতে দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্ব ৭ সদস্যদের টিম পুনর্গঠন করা হয়েছে।
টিমের অপর সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা, এস. এম. রাশেদুল হাসান, এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
যাদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে তারা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক ও সাবেক যুগ্মসচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার,বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান ও মাহবুব আনাম ও অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার লুৎফুল্লাহ মাজেদ।
পৃথক ঘটনায় গত ২৭ জানুয়ারি তিন বিমানবন্দরের চার উন্নয়ন প্রকল্পের ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানসহ ১৯ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চার মামলা করে দুদক।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের পর থেকে তারিক আহমেদ সিদ্দিক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদের মধ্যে গত ২০ নভেম্বর যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তরুণদের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং সমাজে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনতে তরুণদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৬ মে) নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একদল তরুণ রাজনৈতিক কর্মী রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এই আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করছি, না হলে তারা নীতিনির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে না।
সফররত নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন সোশ্যালিস্ট ইয়ুথ লীগের উপ-নেতা নাজমা আহমেদ, ওয়ার্কার্স ইয়ুথ লীগের আন্তর্জাতিক নেতা এবং কেন্দ্রীয় বোর্ডের সদস্য ফাওজি ওয়ারসাম, সেন্টার পার্টির সদস্য ডেন স্কোফটারড, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ওলা সভেনেবি, খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটস দলের সদস্য হ্যাডল রাসমাস বুল্যান্ড, গ্রিন পার্টির সহযোগী গ্রুপ গ্রিন ইয়ুথের সদস্য টোবিয়াস স্টোকল্যান্ড ও ইয়ং লিবারেলসের সাবেক নেতা থাইরা হাকনসলোক্কেন।
প্রধান উপদেষ্টা তাদের রাজনৈতিক পটভূমি, দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মকাণ্ড নিয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি নরওয়েতে মূলধারার রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের শতাংশ সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশে তরুণদের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা বলেন, অনেক বাংলাদেশি তরুণই তাদের জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেননি। তারা জানতে চান, তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন সরকারের প্রধান অঙ্গীকারই হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। টানা তিন মেয়াদে একটি ভুয়া ভোট ব্যবস্থা চালু ছিল। কর্তৃপক্ষ একে বিশাল সাফল্য বললেও বাস্তবে কেউই ভোট দিতে পারেনি। তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার অত্যাবশ্যক।
দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে ‘পুরনো যুগের’ আখ্যায়িত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে প্রধান চ্যালেঞ্জটির মুখোমুখি হচ্ছে তা হলো ‘জঙ্গল পরিষ্কার করা’ যা এটি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে টুকরোগুলো তুলে নিয়ে নতুন সূচনার জন্য একটি নতুন কাঠামো তৈরি করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। এটি আমাদের জন্য একটি পরিবর্তনশীল সময়। আমি শুধু আশা করি এই রূপান্তর সংক্ষিপ্ত হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাখাইনের প্রশাসনে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব চায় বাংলাদেশ: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

বাংলাদেশ চায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নতুন করে গঠিত আরাকান আর্মির প্রশাসনে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হোক, এ কথা জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
মঙ্গলবার (৬ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রাখাইনের নতুন বাস্তবতায়, আমরা চাই সেখানে রোহিঙ্গারা প্রশাসনের সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্ব করুক। জাতিসংঘের মাধ্যমে আরাকান আর্মিকে আমাদের এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে উপদেষ্টা জানান, তাদের জন্য ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির আলোকে নেওয়া হবে।
সীমান্ত নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সীমান্তের ওপারে যেই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করবে। এতে কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। বর্তমানে সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদারের প্রয়োজন নেই।”
রাখাইনে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত মানবিক করিডোর বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, “সব রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সবাই একমত হলেও, করিডোর বাস্তবায়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ। জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, বাংলাদেশ কখনো তা সমর্থন করে না।”
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মার্চে বাংলাদেশ সফরে এসে রাখাইনে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালানোর জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা চান এবং একটি ‘মানবিক প্যাসেজ’ তৈরির প্রস্তাব দেন। এরপর ২৭ এপ্রিল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, এ প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাপানি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রতারণা

জাপানের বিখ্যাত নিপ্পন কোম্পানির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এনএসিএসবিডিডট লিমিটেডের সঙ্গে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে মামলায় ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে এখন প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মামলার কাগজপত্র ঘেটে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে। কোম্পানির বাংলাদেশ অংশের জন্য খোরশেদ আলম (মাইকেল) নামের এক ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ করে। খোরশেদ আলমের পাসপোর্ট নম্বর বিআর ০৩২৪২৬১।
কোম্পানির এমডি হয়েও খোদ এই খোরশেদ আলম জাপানি এই কোম্পানির সঙ্গে জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কোম্পানির নামে ক্রয় করা ফ্ল্যাট ও গাড়ী নিজের নামে লিখে নেওয়ার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন। শুধু তাই নয় আড়াই হাজার ইকনোমিক জোনে কোম্পানির একটি নিজস্ব কারখানা স্থাপনের জন্য জমি ক্রয়ের কথা বলে জাপানি এই কোম্পানির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব ঘটনা টের পেয়ে নিপ্পন এয়ারকন্ডিশনিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেড খোরশেদ আলমকে বরাখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে ঢাকার নিম্ন আদালতে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা করে। মামলা নম্বর- ৬১৩/২০২২। যা পরবর্তীতে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পিবিআই তদন্তের পর খোরশেদ আলমকে প্রতারক ও জালিয়াত চিহ্নিত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এই মামলা মোকাবেলার জন্য কোর্টে হাজিরা দিতে একধিকবার ঢাকা সফর করেছেন নিপ্পন এয়ারকন্ডিশনিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক কায়োরি ফানহাসি। তিনি কয়েকবার ঢাকা সফর করে কোর্টে হাজিরা দিয়ে এ সমস্যার কোন সমাধান পাননি। ব্যর্থ হয়ে সবশেষ তিনি গত ২০ এপ্রিল জাপানে ফিরে যান।
খোরশেদ আলমের জালিয়াতির কথা জানতে পেরে এই কোম্পানির বাংলাদেশ অংশের জন্য খোরশেদ আমলমের স্থলে আরিফ হোসেন ভুইয়া নামের এক ব্যক্তিকে ব্যবস্থপনা পরিচালক নিয়োগ করে। যিনি অতীতে দেড় দশকের বেশি সময় জাপানে লেখাপড়া ও ব্যবসা বাণিজ্য করেছেন। ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলা মোকদ্দমা ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে কোম্পানি এখন বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সর্বশেষ গত মাসে ঢাকা সফরের সময় হতাশা ব্যক্ত করে এ ঘটনার দ্রুত সমাধান না হলে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন নিপ্পন এয়ারকন্ডিশনিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক কায়োরি ফানহাসি।
এ বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নিপ্পন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোন সমাধান পাননি। আমিন ল্যান্ডস্কেপ নামের একটি কোম্পানির কাছ থেকে অফিস স্পেস কেনার জন্য ১ কোটি ৬০ লাখ পরিশোধ করেছেন। কিন্তু সেই কোম্পানিও ফ্ল্যাট বুঝে দেয়নি গত ৫ বছরেও।
বরখাস্ত হওয়া সাবেক এমডি খোরশেদ আলম, আমি ল্যান্ডস্কেপের মালিক মো. হেলালউদ্দিন ও একেএম সামসুদ্দিনের সঙ্গে যোগাসাজশ করে ফ্ল্যাটের টাকা মেরে দেওয়ার পায়তারা করছে বলে জানান আরিফ হোসেন ভুইয়া।
এই আমি ল্যান্ডস্কেপের নামেও জালিয়াতির মামলা করেছে নিপ্পন কর্তৃপক্ষ। মামলা নম্বর সি আর ১০৪/২০২৫। বিদেশী বিনিয়োগ কথা বিবেচনা নিয়ে মামলাটি সরাসরি আমলে নেয় আদালত। আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। কিন্তু অজানা কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। অবশ্য তারা স্বেচ্ছায় আত্ম সমপর্নের কথা জানিয়ে হাজিরা দেওয়ার কথা বললেও এখনও পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার খোরশেদ আলম মাইকেল বলেন, এ বিষয়ে আমি আদালতে বক্তব্য দেব।
জানা গেছে, এই কোম্পানীটি জাপানের বিখ্যাত নিপ্পন এয়ারকন্ডিশনিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টির অধিক দেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করে। প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগও করে। সে সময় খোরশেদ আলম (মাইকেল) নামের এক ব্যক্তিকে এনএসিএসবিডিডট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ করে। কোম্পানি দুই/তিন বছরের মধ্যে তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক একটি স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন, এবং আড়াইহাজার ইকনোমিক জোনে একটি নিজস্ব কারখানা স্থাপনের জন্য সিদ্ধন্ত গ্রহন করে। সে অনুযায়ী এনএসিএসবিডিডট লিমিটেডের অনুকুলে খোরশেদ আলমকে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য টাকাও দেয় নিপ্পন এয়ারকন্ডিশনিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেড। খোরশেদ আলম আড়াইহাজারে জমি না কিনে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে নিপ্পন থেকে মোটা অঙ্কের টাকার ছাড়িয়ে নেয়। একইভাবে স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের জন্য রাজধানীর ভাটারা এলাকায় একটি অফিস স্পেস কেনার জন্য প্রায় দুই কোটি টাকা প্রদান করেন কোম্পানির পক্ষে। পরে তিনি ঐ ফ্লাটটি নিজের নামে লিখে নিতে কাগজপত্র প্রস্তুত করেন। অথচ এটি হওয়ার কথা কোম্পানির নামে শুধু তাই নয়-কোম্পানির ব্যবহারের জন্য একাধিক গাড়ী ক্রয় কথা থাকলেও সেটাও তিনি নিজ নামে নিবন্ধন করে নেন।
কাফি