জাতীয়
সরকার ও ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠনের প্রয়োজন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন সেখানে আশা করি একমত হতে পারব। সেটা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা। সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সহায়তাকারী ভূমিকা পালন করা।
শনিবার (০৩ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জোটের ১১ জন নেতা এ সংলাপে অংশ নিয়েছেন।
সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে জাতীয় সনদ তৈরি করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সেই চেষ্টায় আমরা আপনাদের (জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট) সহযোগিতা পেয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি। সুনির্দিষ্ট ছয় মাসের মধ্যে আমরা জাতীয় সনদ তৈরি করতে চাই।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য স্বাভাবিক মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন রকম আদর্শিক অবস্থান থেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। কিন্তু আমরা মনে করি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যে জাতীয় ঐক্য অত্যন্ত প্রয়োজন আমাদের জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে অগ্রসর হওয়ার জন্য। সে কারণে আমরা আশাকরি জাতীয় স্বার্থে, রাষ্ট্র পুনর্গঠন প্রশ্নে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে বলবেন, প্রত্যেকটা দল ও জোট কিছুটা ছাড় দিতেও প্রস্তুত থাকবেন। কারণ আমরা সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন, বিনির্মাণের জন্য সবাই সমবেত হয়েছি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের এক জায়গায় আসতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে সব বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব। কিন্তু যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠনে প্রয়োজন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন সেখানে আশাকরি একমত হতে পারব। সেটা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা। সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সহায়তাকারী ভূমিকা পালন করা। সবাইকে একত্রে দাঁড় করানো একটি লক্ষ্য নিয়ে, সেটা হচ্ছে ঐকমত্যগুলো চিহ্নিত করা, সেগুলোর বাস্তবায়ন করার পথ খুঁজে বের করা। সেটা আমাদের সবার জন্য প্রয়োজন।
আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সুনির্দিষ্ট, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করা। যা বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা করতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শুরু হওয়া সংলাপের অংশ হিসেবে শনিবারের সংলাপের শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট (এনপিপি) ১১২টায় একমত, ২৬টায় একমত নয় এবং ২৮টায় আংশিক একমত হয়েছে।

জাতীয়
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে জাতিসংঘ: গোয়েন লুইস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস। সাক্ষাৎকালে লুইস জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে জোরালো সহযোগিতার প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার এবং চলমান সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার মূল বিষয় ছিল আসন্ন জাতীয় নির্বাচন। জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়ক ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে সংস্থাটির চলমান সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
লুইস বলেন, জাতিসংঘ সম্পূর্ণভাবে ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পক্ষে। এটি দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাক্ষাৎকালে তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ কীভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা করেন। দুই পক্ষই সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে জাতিসংঘের সম্প্রসারিত সহায়তার উপায় খুঁজে দেখেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন সভা এবং এই মাসের শেষ দিকে রোহিঙ্গা সম্মেলনের প্রস্তুতিও পর্যালোচনা করা হয়। উভয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা কমে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা তহবিলের ঘাটতি মোকাবিলা এবং রোহিঙ্গা জনগণের জন্য টেকসই আন্তর্জাতিক সংহতি ও বাড়তি সমর্থনের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
লুইস বাংলাদেশের সংস্কার ও রূপান্তর প্রক্রিয়ার প্রতি জাতিসংঘের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং দেশের টেকসই উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধি অর্জনে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
জাতীয়
হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র তুলতে আর লাগবে না জিডি

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হারিয়ে গেলে এখন আর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে না। নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হারানো এনআইডি তুলতে জিডির বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ইসি। এছাড়া এনআইডি সেবা কীভাবে আরও সহজ করা যায় তা নিয়েও পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
জানা গেছে, গত এক বছরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে ঝুলে থাকা প্রায় সাড়ে ৯ লাখ এনআইডি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তি করেছে ইসি।
জাতীয়
তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সহায়তা করবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সরকার ভ্রমণের নথিসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সরকারের সহযোগিতার বিষয়টি নির্ভর করছে দেশে ফেরা নিয়ে তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের ওপর। ভ্রমণ নথি অথবা পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজন হলে সরকার সমাধান করবে।
তারেক রহমানের সব মামলা নিষ্পত্তিতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হচ্ছে কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, দেখুন উনি কখন আসবেন সেটার সিদ্ধান্ত কিন্তু ওনার। উনি এই দেশের নাগরিক, উনি আসতে পারেন যেকোনো সময়। আসার জন্য যদি তাঁর ভ্রমণ নথি নিয়ে কোনো সমস্যা থাকে, সেটা আমরা সমাধান করব। কিন্তু সিদ্ধান্ত তো তাঁকে নিতে হবে। উনি যখন আসতে চাইবেন, তখন যেটুকু সহায়তা লাগবে সেটুকু অবশ্যই করবো।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ সংক্রান্ত চিঠির বিষয়ে নয়াদিল্লি এখনো সাড়া দেয়নি। এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আর চিঠি পাঠানো হয়নি।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নতুন কোনো কিছু বলার নেই। কিন্তু পুরোনো যেটা বলা হয়েছিল সেটা আমি আবারও বলছি। আমাদের পক্ষ থেকে সম্পর্ক উন্নয়নে কোনো বাধা নেই। তবে এটা তো দুই পক্ষকে এগোতে হবে। যদি দুই পক্ষ একমত হয় কোনো বিষয়ে, তাহলে নিশ্চয়ই আগাবে।
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধান মিশন এরইমধ্যে বাংলাদেশ সফর করেছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানেন না। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি তদারকি করছে।
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়া নিয়ে যে দাবি উঠেছে তা নিয়ে উন্নয়ন অংশীদারদের মনোভাব কেমন। জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম কথা হলো যে, কারা নির্বাচন করতে পারবে না পারবে এটা একেবারে নির্বাচন কমিশনের বিষয়। আমি নিয়ে একটি কথাও বলব না।’
জাতীয়
হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ ১২ অক্টোবর

পরবর্তী বছর হজে যেতে প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ হবে আগামী ১২ অক্টোবর। সৌদি সরকারের নিবন্ধনের সময়সীমা অনুযায়ী এ সময় আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ বার্তা বাংলাদেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী মুসলিম নাগরিকদের কাছে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, হজ ২০২৬ এর সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের প্রাথমিক নিবন্ধন গত ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে, যা আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত চলমান থাকবে। এ অবস্থায়, হজের প্রাথমিক নিবন্ধন সংক্রান্ত এ বার্তা বহুল প্রচারের জন্য সব মোবাইল অপারেটর কোম্পানিকে বিনামূল্যে খুদেবার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী মুসলিম নাগরিকদের কাছে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আগামী বছর হজে যেতে চার লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন গত ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। হজ প্যাকেজ ঘোষণার পর বাকি টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ করতে সময় এক মাসের বেশি থাকলেও এখন পর্যন্ত সরকার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারেনি। চলতি মাসের মাঝামাঝি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে হজ অনুবিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী এবার ১২ অক্টোবরের পর আর কেউ নিবন্ধন করতে পারবেন না। আমরা এই বিষয়টি ব্যাপকভাবে সবাইকে জানাতে চাই। এজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিটিআরসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
হজ প্যাকেজ ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা যায়নি। সৌদি প্রান্তের খরচও পুরোপুরি পাওয়া যায়নি। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। আমরা চলতি মাসের মাঝামাঝি নির্বাহী কমিটির সভা ডেকে হজ প্যাকেজটি চূড়ান্ত করতে চাইছি।
জাতীয়
৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সীমানার ভিত্তিতেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী নির্বাচন। এবার গাজীপুরে একটি বাড়িয়ে ছয়টি আসন এবং বাগেরহাটে একটি কমিয়ে তিনটি আসন রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তা গেজেটে আকারে প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিশেষায়িত কমিটি কাজ করে। তারপর ৩০০ আসনের সীমানার খসড়া ৩০ জুলাই প্রকাশ করে ইসি।
দ্বাদশ সংসদের ২৬১ আসনের সীমানা বহাল রেখে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৯টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন করে নতুন সীমানার খসড়া প্রকাশ করা হয়। পরিবর্তনের মধ্যে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়েছে এবং বাগেরহাটে একটি আসন কমানো হয়।
সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তি জানাতে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
সচিব জানান, সর্বমোট আপত্তি এবং সুপারিশ আবেদন এসেছে ১ হাজার ৮৯৩টি। ১০ অগাস্ট পর্যন্ত ৩৩ জেলার ৮৪টি আসন সম্পর্কিত ১ হাজার ১৮৫টি আপত্তি এবং ৭০৮টি পরামর্শ বা সুপারিশ পাওয়া গেছে। পক্ষ ও বিপক্ষ উভয় দিক থেকেই মতামত এসেছে। মূলত আপত্তিটা আগে শোনে ইসি।
২৪-২৭ অগাস্ট টানা চার দিন প্রস্তাবিত নির্বাচনী এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তি ও আবেদনের ওপর শুনানি শেষ করে নির্বাচন কমিশন সচিব বলেছিলেন, পর্যালোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
৩০০ সংসদীয় এলাকার সীমানার তালিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে।