আন্তর্জাতিক
গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া জাহাজে ইসরায়েলের হামলা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার ও ত্রাণসামগ্রী বহনকারী একটি জাহাজে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ১২টার দিকে দক্ষিণ ইউরোপের দেশ মাল্টার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। খবর এএফপির।
সংবাদসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার হয়ে খাবার, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীর অভাবে ধুঁকতে থাকা গাজাবাসীর জন্য এই ত্রাণ জোগাড় এবং পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা প্রদানকারী এনজিও দ্য ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন (ট্রিপল এফ)।
হামলায় অবশ্য হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। এক বিবৃতিতে ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১২টার দিকে মাল্টার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা দিয়ে চলমান অবস্থায় ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশনের ত্রাণবাহী জাহাজে সরাসরি হামলা করা হয়। দুটি সশস্ত্র ড্রোন জাহাজটিতে আঘাত হানে। এতে জাহাজটির সামনের দিকে আগুন ধরে যায় এবং বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।”
ইসরায়েলের এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন বলেছে, আমাদের জাহাজটি সম্পূর্ণ বেসামরিক ও নিরস্ত্র ছিল। গাজার অসহায় ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার ও ত্রাণসামগ্রী ছিল সেখানে। ট্রিপল এফের কয়েকটি সদস্যদেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন সেখানে। এ ধরনের হামলায় তাদের প্রাণহানি ঘটতে পারত।
সংস্থাটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোনো কোনো দেশের আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় বেসামরিক নৌযানকে লক্ষ্য করে আঘাত করা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘণ এবং মাল্টার সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান— ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে যেন এ ইস্যুতে দেশটির কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া হয়।
এদিকে এ ঘটনায় মাল্টা সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাহাজের মূল ইঞ্জিন ও জেনারেটরে আঘাত লেগেছে। জাহাজটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল, তবে মাল্টার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড বাহিনীর সহায়তায় রাত ১টা ২৮ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। জাহাজটিতে মোট ১২ জন ক্রু এবং ৪ জন বেসামরিক যাত্রী ছিলেন। তাদের সবাই অক্ষত রয়েছেন। রাত ২ টা ১৩ মিনিটে তাদের মাল্টার বন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে। জাহাজটি এখনও আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় রয়েছে এবং সেটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও মন্ত্রিসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। কিন্তু, কোনো পক্ষই মন্তব্য করতে রাজি হয়নি এ ব্যাপারে।
প্রসঙ্গত, প্রায় দু’মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামলার আগে গত ২ মার্চ গাজায় সব ধরনের ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইসরায়েল, যা বলবৎ আছে এখনও।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ভারতের যুদ্ধবিমানের মহড়া, উত্তপ্ত উপমহাদেশ

পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মাঝে ভারত চালিয়েছে যুদ্ধবিমানের প্রস্তুতিমূলক মহড়া। শুক্রবার (২ মে) উত্তর প্রদেশে জরুরি পরিস্থিতিতে ফাইটার জেট অবতরণের অনুশীলন করেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী।
এই মহড়ায় অংশ নেয় আধুনিক ফাইটার জেট রাফাল, জাগুয়ার, মিরাজ-২০০০, সুখোই-৩০, মিগ-২৯ এবং পরিবহন বিমান সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস। উত্তর প্রদেশের নির্মাণাধীন গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে তৈরি করা ৩.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশেষ অবতরণপথে এ অনুশীলন সম্পন্ন হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ঝিলমের তিল্লা ফায়ারিং রেঞ্জে কামান, ট্যাংক এবং যুদ্ধবিমানসহ বিভিন্ন ভারী অস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে, সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা চলছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
আজ শনিবার (৩ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নিউজ এ তথ্য জানায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোনো ব্যতিক্রম থাকলে তা সরকারের পূর্বানুমোদনের ভিত্তিতে বিবেচিত হবে। এর ফলে ভারত-পাকিস্তানের একমাত্র স্থল বাণিজ্যপথ ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত ইতোমধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এনডিটিভির বরাতে জানা গেছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও জননীতির স্বার্থেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি। আদেশে আরও বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার কোনো ব্যতিক্রম ঘটাতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন নিতে হবে।
ভারতের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই পাকিস্তানি পণ্যের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আমদানি প্রায় বন্ধ করে দেয় দেশটি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাকিস্তান থেকে আমদানি ছিল মোট ভারতের আমদানির ০.০০০১ শতাংশেরও কম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
তথ্য ফাঁসের দায়ে টিকটককে ৬০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা

ডেটা সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের দায়ে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টিকটককে ৫৩০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চীনে স্থানান্তরের অভিযোগে আনা হয়েছে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে।
এছাড়া ছয় মাসের মধ্যে তাদের ডেটা প্রসেসিং কার্যক্রম ইউরোপীয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে চীনে ডেটা স্থানান্তর বন্ধ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে টিকটককে।
শুক্রবার (২ মে) জরিমানার এ খবর প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকটকের বিরুদ্ধে বিপুল তথ্য ফাঁসের অভিযোগ এনেছে তদন্ত পরিচালনাকারী আয়ারল্যান্ডের ডেটা সুরক্ষা কমিশন (ডিপিসি)। সংস্থাটির কর্মকর্তা গ্রাহাম ডয়েল বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের ডেটা চীনের কর্মীরা ব্যবহার করলেও, টিকটক সেই ডেটার সুরক্ষা ইইউ-এর সমতুল্য করতে পারেনি, যা প্রমাণে তারা ব্যর্থ হয়েছে। ’
তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে টিকটক কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ অস্বীকার করে তারা দাবি করেছে, ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের ডেটার জন্য তারা কখনোই চীনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো অনুরোধ পায়নি।
টিকটক ইউরোপের ক্রিস্টিন গ্রান বলেছেন, টিকটক তাদের ইউরোপীয় ব্যবহারকারীর ডেটা কখনও সরবরাহ করেনি। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করব আমরা।
অবশ্য এটাই প্রথম নয়; ২০২৩ সালে শিশুদের ডেটা প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য টিকটককে ৩৪৫ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করেছিল ডিপিসি।
টিকটক মূলত চীনা টেক জায়ান্ট বাইটড্যান্সের একটি বিভাগ। তবে এর ইউরোপীয় সদর দপ্তর আয়ারল্যান্ডে অবস্থিত। এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কাজ করছে আইরিশ কর্তৃপক্ষ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের জন্য আইফোন তৈরি হবে ভারতে

আইফোনের একটি বড় অংশ তৈরি হতো চীনের কারখানায়। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল।
বৃহস্পতিবার অ্যাপলের সিইও টিম কুক জানিয়েছেন, মার্কিন বাজারের জন্য আইফোনের একটি বড় অংশ এখন থেকে ভারতের কারখানায় তৈরি হবে।
কুকের কথায়, মার্কিন বাজারে যে আইফোন বিক্রি হবে তার একটা বড় অংশ তৈরি হবে ভারতে। অ্যাপলের এই বছরের প্রথম কোয়ার্টারের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন কুক।
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, আই প্যাড, ম্যাক, ইয়ার পড, অ্যাপল ওয়াচের একটা বড় অংশ তৈরি হবে ভিয়েতনামে। উল্লেখ্য, ভিয়েতনামে এর আগেও অ্যাপলের বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি হতো। কিন্তু এবার তার পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, মার্কিন ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির কারণে চীনের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য অনেকটাই মার খেতে শুরু করেছে। ফলে অ্যাপলের মতো সংস্থা চীন থেকে তাদের কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
ট্রাম্প চীনের পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে। অন্যদিকে মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করেছে চীনও। সেমিকন্ডাক্টর এবং ইলেকট্রনিক জিনিসের ওপর কিছু ছাড় দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু ওয়াশিংটন জানিয়েছে, সেই ছাড়গুলিও আগামী কিছুদিনের মধ্যে বদলে যেতে পারে।
কুক বলেছেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব প্রথম কোয়ার্টারে তাদের ওপর খুব বেশি পড়েনি। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ার্টারে এভাবে চলতে থাকলে বিরাট ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে তাদের। সেই কারণেই চীন থেকে কারখানা সরিয়ে ভিয়েতনাম এবং ভারতে তা স্থানান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আইফোনের উৎপাদনের একটা বড় অংশ ভারতে নিয়ে এলেও চীনের কারখানা এখনই বন্ধ করছে না অ্যাপল। কুক জানিয়েছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও চীনের কারখানায় অ্যাপলের একটা বড় অংশ উৎপাদন চলতে থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অ্যাপলের যে জিনিস বিক্রি হয়, তার উৎপাদনের বড় অংশ এখনও চীনেই হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
প্লাস্টিকের গৃহসামগ্রী ব্যবহারে বছরে প্রাণহানি সাড়ে ৩ লাখ

প্লাস্টিকের একটি সাধারণ রাসায়নিক উপাদান ডাই-২-ইথাইলহেক্সাইল ফথালেট (ডিইএইচপি) বিশ্বব্যাপী হৃদরোগজনিত মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে ৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী প্রায় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৮ জন মানুষ ডিইএইচপি-জনিত কারণে হৃদরোগে মারা গেছেন। এই সংখ্যা ওই বয়সসীমার হৃদরোগজনিত মোট মৃত্যুর প্রায় ১৩ শতাংশ। খবর দ্য ল্যানসেট
ডিইএইচপি একটি প্লাস্টিসাইজার, যা প্লাস্টিককে নমনীয় ও টেকসই করতে ব্যবহৃত হয়। এটি খাদ্য প্যাকেট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রসাধনী, শ্যাম্পু, লোশনসহ নানা পণ্যে ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে হৃদযন্ত্রের ধমনিতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল্যাংগোন হেলথের গবেষকরা। তারা প্লাস্টিকের নানা পণ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলোর স্বাস্থ্যগত প্রভাব বিশ্লেষণ করেছেন। তাদের মতে, ডিইএইচপি শরীরে দীর্ঘদিন থেকে গিয়ে হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিকের রাসায়নিক শুধু হৃদরোগ নয়, বরং মুটিয়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, বন্ধ্যাত্ব এবং ক্যান্সারের মতো দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য ঝুঁকিও তৈরি করে। যেসব দেশে রাসায়নিক নিরাপত্তা দুর্বল, সেসব জায়গায় এই প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ডিইএইচপি-জনিত কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে ৫১০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা। তবে গবেষকদের ধারণা, প্রকৃত ক্ষতি ৩.৭৪ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
গবেষণার প্রধান লেখক ড. লিওনার্দো ট্রাসান্ডে বলেন, এই গবেষণা শুধু ডিইএইচপি ও নির্দিষ্ট বয়সের মানুষের ওপর ভিত্তি করে করা হলেও, ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত গবেষণা দরকার। এতে অন্য প্লাস্টিক-জাতীয় রাসায়নিকের প্রভাবও জানা যাবে এবং যথাযথ প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, এখনই সময় ডিইএইচপি ও অনুরূপ রাসায়নিকের ব্যবহার সীমিত করে নিরাপদ বিকল্প খোঁজার। শুধু গবেষণা নয়, সরকার ও নীতিনির্ধারকদেরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিতে হবে।