Connect with us

জাতীয়

বিনিয়োগকারীরা কিছুদিন পরে পরে পথে বসতে পারেনা, এটা থামাতে হবে এখুনি: পিনাকী

Published

on

ডিএসই

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে এখনই গভীর ও কার্যকর সংস্কার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন লেখক, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।

শুক্রবার (২ মে) রাতে তাঁর অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুজিবাজারে সিরিয়াস সংস্কার দরকার।। কয়েকদিন পরপর বিনিয়োগকারীরা সর্বস্ব হারাচ্ছেন, যা চলতে দেওয়া যায় না। তার মতে, দেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হওয়ার কথা পুঁজিবাজার, অথচ এটি এখন এক প্রকার ‘অর্থনৈতিক কৃষ্ণগহ্বর’—যেখানে টাকা ঢোকে, কিন্তু আর ফেরে না।

পিনাকী ভট্টাচার্য বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়ে বলেন, নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিনিয়োগ করবেন না। এটি অত্যন্ত জটিল একটি বাজার। ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজরি সার্ভিস গ্রহণ করুন। সম্ভব হলে পোর্টফোলিও ম্যানেজারের সহায়তা নিন, যাতে আপনার বিনিয়োগ নিরাপদ থাকে।

সরকারের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে দ্রুত বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে হবে। প্রয়োজনে তিনি নিজে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তার ভাষায়, এই পুঁজিবাজার যদি ঠিক না করা হয়, আমাদের অর্থনীতি ‘জয় বাংলা’ হতে সময় নেবে না। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না—এখনই থামাতে হবে।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়

আবরার হত্যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ: হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল

Published

on

ডিএসই

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে।

গত ১৬ মার্চ দেয়া এই রায়ে বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন হাইকোর্ট। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন তার বাবা চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর পুলিশ ২৫ জন বুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় দেন। রায়ে বিচারক মন্তব্য করেন, আসামিরা পরস্পরের সঙ্গে যোগসাজশ করে, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে শিবির সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন,মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম এবং মুজতবা রাফিদ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা এবং ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।

প্রসঙ্গত, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডে হাসিনার বিরুদ্ধে সবাই মামলা করুন: মাহমুদুর রহমান

Published

on

ডিএসই

২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সবাইকে মামলা করার আহ্বান জানিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি জুলাই বিপ্লবের শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমাদের মনে রাখতে হবে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যার পর এই প্রথম স্বাধীনভাবে কোনো প্রোগ্রাম করতে পেরেছি।

মাহমুদুর রহমান বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আপনারা কেন এখনো সেই দানব ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেন নাই, আমি জানি না। আমি মনে করি, শাপলা চত্বরে যতজন নিহত হয়েছেন তাদের সবার হয়ে গণহত্যার দায়ে হাসিনার নামে মামলা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা যেহেতু মুসলমান, তাই গাজা ও ভারতের কাশ্মীরের মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালাতে হবে।

এতে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহমুদুর হাসান কাশেমী, নায়েবে আমির আহমেদ কাশেমী, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক প্রমুখ।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

বর্ষা মানেই পানির নিচে ঢাকা: এ কেমন নগর ব্যবস্থাপনা?

Published

on

ডিএসই

ঢাকায় বর্ষা মানেই জলাবদ্ধতা। বর্ষা মৌসুম এখনও পুরোপুরি শুরু না হলেও সাম্প্রতিক কয়েকদিনের বৃষ্টিতেই রাজধানীর অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আবারও প্রশ্ন উঠছে—এবারও কি জলাবদ্ধতায় ডুবে যাবে নগরী?

বিগত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে, অল্প বৃষ্টিতেই ঢাকার অলিগলি থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো পানিতে ডুবে যায়। একটু বেশি বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে চলাফেরা করতে হয় নগরবাসীকে। অথচ সিটি কর্পোরেশন নানা উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে এর কোনো ফল পাওয়া যায় না। ফলে নগরবাসীর মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ—এবারও কী তাদের একই দুর্ভোগ পোহাতে হবে?

প্রতিবছর জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন মিলে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে, এই বরাদ্দ কার্যকর কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) সরাসরি ৯০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে জলাবদ্ধতা নিরসনে, আরও ৩০ কোটি টাকায় চলেছে খাল-নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) খাল উন্নয়ন, পাম্প হাউজ আধুনিকায়ন ও নর্দমা রক্ষণাবেক্ষণে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।

ঢাকার জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিন ধরে সমাধানহীন। আগে এই দায়িত্বে ছিল ঢাকা ওয়াসা। ২০২০ সালের শেষ দিকে নালা ও খালের দায়িত্ব দুই সিটি কর্পোরেশনের হাতে দেওয়া হয়। এরপর থেকে এই সমস্যা পুরোপুরি তাদের উপর বর্তায়। যদিও দুই সিটি কর্পোরেশন খাল খনন ও দখলমুক্ত করতে নানা কার্যক্রম চালাচ্ছে, তবু এর ফল এখনও দৃশ্যমান নয়।

এ বছরও ঢাকার নির্দিষ্ট কিছু এলাকাকে জলাবদ্ধতার ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তর সিটির মধ্যে উত্তরখান, দক্ষিণখান, বাড্ডা, বনানী কবরস্থান সড়ক ও রোকেয়া সরণি বেশি ঝুঁকিতে। দক্ষিণে রয়েছে নিউ মার্কেট, ধানমন্ডি, বকশীবাজার, মুগদা, জুরাইনসহ বেশ কিছু এলাকা।

তবে কিছু ইতিবাচক দিকও আছে। চলতি বছর খাল পুনঃখনন ও ‘ব্লু নেটওয়ার্ক’ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ডিএনসিসি ছয়টি খালের কাজ শুরু করেছে এবং আরও ১৩টি খাল খননের পরিকল্পনা রয়েছে। সঠিকভাবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা যায়।

নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। দায় এড়িয়ে নয়, বরং দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।”

ঢাকার জলাবদ্ধতার পেছনে বড় কারণ—পাম্প স্টেশন, স্লুইসগেট ও খালের অকার্যকারিতা, প্লাস্টিক ও বর্জ্যে খাল-নালার প্রতিবন্ধকতা, আর অবৈধ দখল। প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার টন বর্জ্যের ১৫ শতাংশই প্লাস্টিক, যা ড্রেনে গিয়ে পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।

ফলে প্রতিবার বর্ষায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা নিয়মিতভাবে পানিতে ডুবে যায়। ধানমন্ডি, শান্তিনগর, মিরপুর, বাড্ডা, গুলশান লেক সংযোগ সড়ক, ফার্মগেট, মতিঝিলসহ বহু এলাকায় প্রতি বর্ষায় একই চিত্র।

নগরবাসীর ক্ষোভও বাড়ছে। দোকানদার, চাকরিজীবী, সিএনজি চালক—সবার একটাই আক্ষেপ, প্রতিবার বর্ষায় একই সমস্যা, অথচ কার্যকর সমাধান নেই।

এখন সময় এসেছে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নিয়ে, আন্তরিকভাবে কাজ করার। নাগরিকরা আর লোক দেখানো কাজ নয়, দেখতে চায় বাস্তব পরিবর্তন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

সরকার ও ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই: আলী রীয়াজ

Published

on

ডিএসই

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠনের প্রয়োজন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন সেখানে আশা করি একমত হতে পারব। সেটা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা। সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সহায়তাকারী ভূমিকা পালন করা।

শনিবার (০৩ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জোটের ১১ জন নেতা এ সংলাপে অংশ নিয়েছেন।

সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে জাতীয় সনদ তৈরি করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, সেই চেষ্টায় আমরা আপনাদের (জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট) সহযোগিতা পেয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি। সুনির্দিষ্ট ছয় মাসের মধ্যে আমরা জাতীয় সনদ তৈরি করতে চাই।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য স্বাভাবিক মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন রকম আদর্শিক অবস্থান থেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। কিন্তু আমরা মনে করি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যে জাতীয় ঐক্য অত্যন্ত প্রয়োজন আমাদের জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে অগ্রসর হওয়ার জন্য। সে কারণে আমরা আশাকরি জাতীয় স্বার্থে, রাষ্ট্র পুনর্গঠন প্রশ্নে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে বলবেন, প্রত্যেকটা দল ও জোট কিছুটা ছাড় দিতেও প্রস্তুত থাকবেন। কারণ আমরা সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন, বিনির্মাণের জন্য সবাই সমবেত হয়েছি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের এক জায়গায় আসতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে সব বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব। কিন্তু যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠনে প্রয়োজন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন সেখানে আশাকরি একমত হতে পারব। সেটা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা। সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সহায়তাকারী ভূমিকা পালন করা। সবাইকে একত্রে দাঁড় করানো একটি লক্ষ্য নিয়ে, সেটা হচ্ছে ঐকমত্যগুলো চিহ্নিত করা, সেগুলোর বাস্তবায়ন করার পথ খুঁজে বের করা। সেটা আমাদের সবার জন্য প্রয়োজন।

আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সুনির্দিষ্ট, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করা। যা বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা করতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শুরু হওয়া সংলাপের অংশ হিসেবে শনিবারের সংলাপের শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বক্তব্য রাখেন।

বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট (এনপিপি) ১১২টায় একমত, ২৬টায় একমত নয় এবং ২৮টায় আংশিক একমত হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি

Published

on

ডিএসই

কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল থোপিল চারদিনের সফরে শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আসছেন।

ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশন জানিয়েছে, কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল থোপিল আগামীকাল রোববার (৪ মে) থেকে চারদিনের সফরের লক্ষ্যে একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন।

পল থোপিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, অন্যান্য অংশীদার এবং বেসরকারি খাতের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। তার সফরকালে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কানাডার প্রতি অঙ্গীকারের ওপর জোর দেবেন। কারণ, এটি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক সংস্কারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি এই অঞ্চলে কানাডার সম্পৃক্ততা, বিশেষ করে তার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল তুলে ধরবেন। কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য- বিনিয়োগ সম্প্রসারণের উপায়গুলি চিহ্নিত করবেন।

তিনি গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি খাতের মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করবেন যা দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের উদাহরণ।

কানাডা এবং বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে, বাংলাদেশ একটি বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান বাজার যা কানাডার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। কানাডা বাংলাদেশে গম, ডাল, শস্য এবং যন্ত্রপাতি রপ্তানিকারক দেশ এবং বাংলাদেশি তৈরি বস্ত্র ও পোশাকের একটি উল্লেখযোগ্য ক্রেতা। উভয় দেশই গভীর অর্থনৈতিক সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণ করে চলেছে। এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য – তথ্য প্রযুক্তি, মহাকাশ, কৃষি এবং পরিষ্কার জ্বালানি খাত।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার4 hours ago

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে পিই রেশিও অপরিবর্তীত

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ এপ্রিল-২৮ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয়...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার5 hours ago

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ এপ্রিল-২৮ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার5 hours ago

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে মিডল্যান্ড ব্যাংক

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ এপ্রিল-২৮ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন করা ৩৯৪...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার6 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে স্কয়ার ফার্মা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ এপ্রিল-২৮ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৪ কোম্পানির শেয়ার...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার19 hours ago

দীর্ঘ মন্দার বিশ্ব রেকর্ড এখনো বাংলদেশের পূঁজিবাজারেরই

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বাংলাদেশের পূঁজিবাজার ১৭ বছর যাবৎ মন্দাক্রান্ত। এটি দীর্ঘতম মন্দার বিশ্বরেকর্ড। এর আগে, এ রেকর্ডটি ছিল...

ডিএসই ডিএসই
পুঁজিবাজার23 hours ago

বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমলো আরও ৬ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের...

ডিএসই ডিএসই
জাতীয়1 day ago

বিনিয়োগকারীরা কিছুদিন পরে পরে পথে বসতে পারেনা, এটা থামাতে হবে এখুনি: পিনাকী

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে এখনই গভীর ও কার্যকর সংস্কার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন লেখক, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট...

Advertisement
Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১
ডিএসই
মত দ্বিমত17 minutes ago

আমি কখন ভালো হবো? আত্ম-জিজ্ঞাসার মধ্যেই জাতিগত পুনর্জাগরণ

ডিএসই
কর্পোরেট সংবাদ27 minutes ago

ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন

ডিএসই
রাজনীতি46 minutes ago

নারী সংস্কারের নামে ইসলামকে কটুক্তি করা হয়েছে: মামুনুল হক

ডিএসই
রাজনীতি57 minutes ago

সন্ধ্যায় বিএনপির যৌথসভা

ডিএসই
আন্তর্জাতিক57 minutes ago

ভারতের যুদ্ধবিমানের মহড়া, উত্তপ্ত উপমহাদেশ

ডিএসই
আন্তর্জাতিক1 hour ago

পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

ডিএসই
জাতীয়2 hours ago

আবরার হত্যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ: হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল

ডিএসই
জাতীয়2 hours ago

শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডে হাসিনার বিরুদ্ধে সবাই মামলা করুন: মাহমুদুর রহমান

ডিএসই
রাজনীতি2 hours ago

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হেফাজতের

ডিএসই
আবহাওয়া2 hours ago

আসছে দমকা হাওয়ায় বজ্রবৃষ্টি, থাকুন সতর্ক!

ডিএসই
মত দ্বিমত17 minutes ago

আমি কখন ভালো হবো? আত্ম-জিজ্ঞাসার মধ্যেই জাতিগত পুনর্জাগরণ

ডিএসই
কর্পোরেট সংবাদ27 minutes ago

ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন

ডিএসই
রাজনীতি46 minutes ago

নারী সংস্কারের নামে ইসলামকে কটুক্তি করা হয়েছে: মামুনুল হক

ডিএসই
রাজনীতি57 minutes ago

সন্ধ্যায় বিএনপির যৌথসভা

ডিএসই
আন্তর্জাতিক57 minutes ago

ভারতের যুদ্ধবিমানের মহড়া, উত্তপ্ত উপমহাদেশ

ডিএসই
আন্তর্জাতিক1 hour ago

পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

ডিএসই
জাতীয়2 hours ago

আবরার হত্যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ: হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল

ডিএসই
জাতীয়2 hours ago

শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডে হাসিনার বিরুদ্ধে সবাই মামলা করুন: মাহমুদুর রহমান

ডিএসই
রাজনীতি2 hours ago

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হেফাজতের

ডিএসই
আবহাওয়া2 hours ago

আসছে দমকা হাওয়ায় বজ্রবৃষ্টি, থাকুন সতর্ক!

ডিএসই
মত দ্বিমত17 minutes ago

আমি কখন ভালো হবো? আত্ম-জিজ্ঞাসার মধ্যেই জাতিগত পুনর্জাগরণ

ডিএসই
কর্পোরেট সংবাদ27 minutes ago

ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন

ডিএসই
রাজনীতি46 minutes ago

নারী সংস্কারের নামে ইসলামকে কটুক্তি করা হয়েছে: মামুনুল হক

ডিএসই
রাজনীতি57 minutes ago

সন্ধ্যায় বিএনপির যৌথসভা

ডিএসই
আন্তর্জাতিক57 minutes ago

ভারতের যুদ্ধবিমানের মহড়া, উত্তপ্ত উপমহাদেশ

ডিএসই
আন্তর্জাতিক1 hour ago

পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

ডিএসই
জাতীয়2 hours ago

আবরার হত্যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ: হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল

ডিএসই
জাতীয়2 hours ago

শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডে হাসিনার বিরুদ্ধে সবাই মামলা করুন: মাহমুদুর রহমান

ডিএসই
রাজনীতি2 hours ago

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হেফাজতের

ডিএসই
আবহাওয়া2 hours ago

আসছে দমকা হাওয়ায় বজ্রবৃষ্টি, থাকুন সতর্ক!