রাজনীতি
সক্ষমতা যাচাইয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন: জামায়াত আমির

জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি না থাকায় জনগণ ভোগান্তিতে রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের স্বদিচ্ছা ও সক্ষমতা যাচাইয়ে দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন। এতে জনগণ বুঝতে পারবে ইসির সদিচ্ছা কতটুকু।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে মূল কর্তৃত্ব থাকবে নিম্নকক্ষের হাতে। এটি হবে বর্তমান পদ্ধতিতে, আর উচ্চকক্ষ হবে পিআর সিস্টেমে। উচ্চকক্ষ যদি পিআর সিস্টেমে হয় তাহলে নিম্নকক্ষ কেন হতে পারবে না। একই দেশে দুই পদ্ধতির প্রয়োজন কী? পৃথিবীর ৬২টি দেশ পিআর সিস্টেমে নির্বাচন করে। ইউরোপের ২৬টি দেশের মধ্যে ১৬টি পিআর সিস্টেমে নির্বাচন করে। এ সুফল যদি তারা যুগ যুগ ধরে পেয়ে থাকে তাহলে এ সুবিধা থেকে জাতিকে বঞ্চিত করা হবে?
তিনি বলেন, সংস্কারের নামে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট জমা হয়েছে। সেই রিপোর্টের বেশ কিছু জায়গায় কোরআন ও সুন্নাহর সম্পূর্ণ খেলাপ কিছু সুপারিশ জমা হয়েছে। কিন্তু যারা এ সুপারিশ পেশ করেছেন তারা এদেশের সাড়ে ৯ কোটি মায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তারা যে যায়গায় সমাজকে নিতে চায় সেটা হতে দেওয়া হবে না। দেশে ফিরেই এটি বাতিলের জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান আমিরে জামায়াত।
জামায়াত আমির বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষকে বলেছি বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এ টাকা আমাদের জনগণের। পাচার হওয়া টাকা আমাদের ফেরত দিতে হবে। সেইসঙ্গে যেসব দুর্নীতিবাজরা আপনাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছেন তাদেরকেও বাংলাদেশের ফেরত পাঠাতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই; যেখানে কোনো শোষণ, জুলুম ও মানুষে মানুষে বৈষম্য থাকবে না। এমন একটি বাংলাদেশ চাই; যেখানে আর আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবো না। একই বাংলাদেশে সবার একই অধিকার থাকবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই; যেখানে বিচারের বাণী নিভৃতে আর কাঁদবে না। যে বাংলাদেশে কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম নিবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশটি অবশ্যই হতে হবে আল্লাহর বিধানের ভিত্তিতে। আল কুরআন ও নবীজির সুন্নতের ভিত্তিতে। কুরআনের রাষ্ট্র কায়েম হলে অপরাধ করলে কেউ পার পাবেন না। ইনসাফের বাংলাদেশ কায়েম হলে বেশি বিচারেরও প্রয়োজন হবে না। দুই-চারটা রায় দেখলেই সবাই টের পেয়ে যাবে অপরাধ করলে কি ধরনের শাস্তি পেতে হবে।
রমজানে দ্রব্যমূল্যের বাজার কিছু নিম্নমুখী থাকলেও বাজার এখন আবার উত্তপ্ত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলব, বাজারে নজর দেন। সমাজের শৃঙ্খলা বিনষ্টের যারা কারণ তাদেরকে পাকড়াও করুন।
মহানগর জামায়েতের আমির মাওলানা কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ প্রমুখ।

রাজনীতি
এখন থেকে বাংলাদেশপন্থিরাই দেশ চালাবে: নাহিদ ইসলাম

সীমান্তে হত্যা ও পুশ-ইন বন্ধে আমরা কঠোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। ভারতের তাবেদারী আর নয়, এখন থেকে বাংলাদেশপন্থিরাই দেশ চালাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ডে ‘জুলাই পদযাত্রা’র চতুর্থ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করে নির্বিচারে বাঙালিদের গুলি করে হত্যা করে। সীমান্তে হত্যা ও পুশ-ইন বন্ধে আমরা কঠোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়, অভ্যুত্থান-পরবর্তী ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। যে কোনো মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগ ও জুলাই আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে এনসিপি। তাই জুলাই-আগস্টের মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশে এখনও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়নি। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের জন্য লড়াই করতে হবে।
রাজনীতি
মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে ‘মব কালচার’ চলছে, তবে এসব সহিংসতায় জামায়াতের কোনো কর্মী বা সমর্থক জড়িত নেই। ১৯৭২ সাল থেকেই দেশে মব পরিস্থিতি চলমান। আমরা মবের ঘোরবিরোধী। জামায়াতের কোনো কর্মী এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংসতার উদাহরণ টেনে শফিকুর রহমান বলেন, দেশে এখন মব পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আগে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সেজন্যই আমরা সংস্কারের কথা বলছি। মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, যারা এসব ঘটনায় জড়িত, তাদের নিজ নিজ দলের নেতাদের উচিত কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনা। এরপর রাষ্ট্রের দায়িত্ব পরিস্থিতি সামাল দেওয়া।
জানা গেছে, বিকেল ৩টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতের বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। এটি রংপুরে জামায়াতের ১৭ বছর পর বড় ধরনের কোনো সমাবেশ।
জনসভায় যোগ দিতে ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে রিকশা, অটোরিকশা, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে করে দলে দলে লোকজন আসছেন। বিকেলের অনুষ্ঠান ঘিরে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ জনসভায় রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জামায়াত নেতারা বলছেন, এই জনসভার মাধ্যমে তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় জনগণকে উজ্জীবিত করতে চান। তাদের দাবি, গণমানুষের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ গড়তে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা করতে চায় দলটি।
রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্ত অবস্থান তৈরির লক্ষ্যেও আজকের জনসভাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতারা।
রাজনীতি
১৯ জুলাই ঐতিহাসিক ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল করার আহ্বান জামায়াতের

পূর্বঘোষিত সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডাকা ঐতিহাসিক জাতীয় সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির’ এক প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে এ আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সমাবেশ সফল করতেই প্রস্তুতিমূলক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
সভায় দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের সেক্রেটারি যথাক্রমে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ড. রেজাউল করিমসহ কেন্দ্র ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আগামী ১৯ জুলাই শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জাতীয় সমাবেশ সফল করতে বিভিন্ন প্রস্তুতি, সাংগঠনিক ব্যবস্থা এবং জনমত গঠনের দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জুলাই-আগস্ট মাস বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের গৌরবময় স্মৃতির স্মারক। সেই সময়ে জাতীয় সমাবেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রক্তের বিনিময়ে যে স্বৈরাচারের পতন হয়েছিল, সেই চেতনার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পূর্ণতা পাবে। এ সমাবেশ সফল করতে সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি সমাবেশ সফল করতে দেশবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন এবং জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
রাজনীতি
খুনি হাসিনা ও তার দোশরদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে: ড. হেলাল

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী জুলাই-আগস্টকে শুধু স্মরণ করতে চায় না, জুলাই চেতনা লালন ও ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়।
জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূতি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্টন থানার বিভিন্ন স্থানে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পল্টন থানা। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ড. হেলাল উদ্দিন।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের চেতনা ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। এই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন করতে হলে রাষ্ট্রীয় সকল ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্যদের দাবিই হচ্ছে আগে, গণহত্যার বিচার ও তারপর নির্বাচন। তাই ইন্টেরিম সরকারকে খুনি হাসিনাসহ তাদের দোশরদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার না করে যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন দিলে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে। এ দেশের মানুষ আর কোনো ফ্যাসিবাদকে মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী জুলাই-আগস্টকে শুধু স্মরণ করতে চায় না, জুলাই চেতনা লালন ও ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়।
জামায়াত মনোনীত ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংস্কারে সহযোগিতা করলেও একটি রাজনৈতিক দল ও তাদের মিত্ররা সহযোগিতার পরিবর্তে নিজেদের দলীয় স্বার্থে নিজেদের মতো করে সংস্কার চায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোনো একক ব্যক্তি বা দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য হয়নি। দেশ ও জাতির কল্যাণে বৈষম্যহীন একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে রূপ দেওয়ার জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী শহিদদের চেতনাকে ধারণ করে এ দেশকে বৈষম্যহীন মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়তে ও জনগণের ৭ দফা দাবি আদায়ের জন্য আগামী ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ আহ্বান করেছে।
ভারতীয় আধিপত্যবাদকে রুখে দিতে, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রের নতুন বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন করতে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সেই সমাবেশে যোগদানের জন্য আহ্বান জানান তিনি
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমদ খানের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মারুফুল ইসলামের সঞ্চালনায় খাবার বিতরণে আরও উপস্থিত ছিলেন পল্টন থানার সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান শাহীন ও এনামুল হক, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী খন্দকার আব্দুর রব, থানা কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে ওমর ফারুক, আবুল ফারাহ মো. ইউসুফ, শামীম হাসনাইন ও মোহাম্মদ আল-আমীন রাসেল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে শাহীন আহমদ খান বলেন, জুলাই বিপ্লবের জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে দ্রুত গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। চাঁদাবাজি ও দখলদার মুক্ত পল্টন গড়তে জামায়াত অঙ্গিকারবদ্ধ।
রাজনীতি
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাতিখানা কবরস্থানে ‘জুলাই শহীদ’ সাজ্জাদ হোসেনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা শুরু করেছি। উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু হওয়া এ পদযাত্রায় মানুষের ব্যাপক সাড়া মিলছে। খুব শিগগির আমরা তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেব। শুধু ঢাকা নিয়ে উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন চিন্তা থাকতে হবে গোটা দেশ নিয়ে। ছাত্র–জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও মাফিয়াতন্ত্র শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই–সংগ্রামের ইতিহাস ধরে রাখতে হবে।’
এ সময় নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ও শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাবা মো. আলমগীর। কবর জিয়ারতের সময় দোয়া পরিচালনা করেন নাহিদ ইসলাম।
এর আগে জুলাই পদযাত্রা সৈয়দপুরে পৌঁছালে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবের সামনে এনসিপির নীলফামারী জেলা আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মজিদ ও স্থানীয় নেতা তানজিমুল আলমসহ অন্য নেতারা দলীয় প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান। পরে পদযাত্রাটি সৈয়দপুর শেষে নীলফামারীর উদ্দেশে যাত্রা করে।