রাজনীতি
নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে: এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে। কিন্তু তার আগে বিচার এবং সংস্কার সরকারকে দৃশ্যমান করতে হবে। এটার জন্য যেটুকু সময় পাওয়া প্রয়োজন, সরকার সে সময়টুকু পেতে পারে।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐক্যমত কমিমনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠকের মধ্যবর্তী বিরতীতে বেরিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আখতার হোসেন বলেন, এনসিপি মনে করে অন্তরবর্তীকালীন সরকার যে এজেন্ডা-ম্যানডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, বিচার এবং সংস্কার দৃশ্যমান করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হবে। নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে কিন্তু তার আগে বিচার এবং সংস্কার কাজ সরকারকে দৃশ্যমান করতে হবে। এটার জন্য যেটুকু সময় পাওয়া প্রয়োজন, সরকার সে সময়টুকু পেতে পারে। কোনভাবেই কাজ ব্যাতিরেকে সময় পেতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত সংবিধানের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, দুদক এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের মত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সংবিধানের মাধ্যমে গনতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বরং এখানে প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্র ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। তার মধ্য দিয়েই সাংবিধানকিভাবে স্বৈরতান্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবার সুযোগ রয়েছে৷ আমরা ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলছি এবং বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের কথা বলছি। সেই প্রেক্ষাপটে কিভাবে সংবিধান পূনলিখন করা যায় এবং গণপরিষদ নির্বাচনের বাস্তবতা নিয়ে কথা বলেছি।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিনাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা আজকে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সাথে বসেছি। সেখানে আমাদের অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৬৬ টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে আমরা ১২৯ টির সাথে একমত হয়েছি। যেসব বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি সেগুলোর বিষয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে। মূলত এখন পর্যন্ত আমরা তিনটি বিষয়ে কথা বলেছি। প্রথম বিষয়টি হচ্ছে, প্রটেকশন অব সিটিজেন বা নাগরিকদের নিরাপত্তা। আমরা দেখেছি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরঙ্কুশ অধিকার নিশ্চিত হয়নি। সেসব বিষয়ে আমরা বিস্তারিত কথা বলেছি। দ্বিতীয় বিষয় পিসফুল ট্রানজেকশন অব পাওয়ার বা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর। আমরা দেখেছি যখনই রাষ্ট্রের পাওয়ার ট্রানজেকশনের সময় এসেছে তখনই দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একটি নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর কিভাবে হবে। এই বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। যাতে আমাদের অতীতের যেসব দুঃখ স্মৃতি যেগুলো রয়েছে সেগুলোর পুনরাবৃত্তি আর না হয়। তৃতীয় বিষয়টি হচ্ছে, সংসদ স্থিতিশীলতার নাম করে আর্টিকেল ১৭ দিয়ে কন্ঠরোধ করে রাখা হয়েছে। সেটি নিয়ে কথা হচ্ছে। যেটির মধ্য দিয়ে আমরা একসাথে সংসদে স্থিতিশীলতা, সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা আমাদের সংসদকে কিভাবে আরও বেশি কার্যকর করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় এলডি হলে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাব নিয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে রয়েছেন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফররাজ হোসেন ও ড. ইফতেখারুজ্জামান। এনসিপির পক্ষ থেকে থেকে রয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসেল।

রাজনীতি
জুলাই সনদ শুধুমাত্র কাগজে নয়, বাস্তবায়ন চাই: ড. হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জুলাই সনদ শুধুমাত্র কাগজে নয়, আইনি ভিত্তিতে রূপ দিয়ে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী রাষ্ট্রকাঠামোর জাতীয় রূপরেখার মতো জুলাই সনদও শুধু এক টুকরো কাগজ হিসেবেই পড়ে থাকবে।
রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ভয়েস অব সিভিল রাইটস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জুলাই শহীদদের স্মরণে’ বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, গত বছরের ৩ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক কালো অধ্যায়। এদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বাহিনী গণহত্যা চালিয়ে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করে। রাজধানীর অলিতে-গলিতে লাশের সারি, রক্তের গন্ধ, বুলেটের আওয়াজ, অস্ত্রের মহড়া। এতকিছুর পরও ছাত্র-জনতা রাজপথ ছাড়েনি। জীবনের মায়া বিসর্জন দিয়ে দেশপ্রেম ধারণ করে দেশ থেকে আধিপত্যবাদের দোসর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছে। ছাত্র-জনতার ৩৬ দিনের আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রের সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। বিপ্লবী সরকার থেকে বিপ্লবের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আদায় করতেও দীর্ঘ এক বছর লেগে গেছে। কারণ সরকারের ভিতরে ফ্যাসিবাদের দোসর স্তরে স্তরে বসে আছে। সরকার চলতি বছরের ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকারের কাছে ছাত্র-জনতার দাবি, এই জুলাই ঘোষণাপত্রকে অবশ্যই আইনি ভিত্তিতে রূপ দিতে হবে এবং বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় তিনি, জুলাই শহীদদের স্মরণে এমন মহৎ উদ্যোগের জন্য ভয়েস অব সিভিল রাইটস ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফা কর্মসূচির একটি সমাজসেবা ও সমাজ সংস্কার। যেকোনো সামাজিক সংগঠন সমাজসেবা কর্মসূচির উদ্যোগ নিলে জামায়াতে ইসলামী সহযোগিতা ও সমর্থন জানাবে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, জামায়াতে ইসলামী কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসেনি। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, কর্মসংস্থান, খাদ্য, বস্ত্রসহ মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে সবার আগে, সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে; আগামীতেও দাঁড়াবে। এসময় তিনি বলেন, জনগণ যদি আগামীতে জামায়াতে ইসলামীর হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয় তবে জনগণের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা হবে।
ভয়েস অব সিভিল রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মারুফ শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের মুসল্লী কমিটির সহ-সভাপতি, সমাজসেবক শাহীন আহমেদ খান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররম সাংগঠনিক ওয়ার্ড সভাপতি এনামুল হক শামীম, সহ-সভাপতি হাফেজ বেলাল, মানবাধিকারকর্মী আব্দুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত ‘‘গণতন্ত্র উত্তরণে মহাজাগরণ” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কবর দিয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘ ১৭ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে এসেছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই আপোষহীন ছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদের পতনের পর আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের সহযাত্রী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভেদ আর বিভাজনের সংস্কৃতিতে জড়িয়ে পড়েছে। কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি কোনো দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর নয় উল্লেখ করে তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী এবং গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতুবা বিভেদ ও বিভাজনের সুযোগে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ আবারও পুনর্বাসনের সুযোগ পাবে। ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করতে হলে অবশ্যই ঐক্যের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিয়াজুর রহমান রিয়াজের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি নিজাম উদ্দিন দরবেশের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
কাফি
রাজনীতি
মুজিববাদী সংবিধান বাংলাদেশে আর থাকতে দিতে পারি না: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাহাত্তরের সংবিধান একটা দলের ছিল। যে সংবিধান আরেকটা দেশ থেকে পাস হয়ে এসেছে। এই মুজিববাদী সংবিধান আর বাংলাদেশে থাকতে দিতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, আমরা আজ এই মঞ্চে মুজিববাদী সংবিধান ভেঙেচুরে শেষ করে দিয়ে নতুন সংবিধান চাইতে এসেছি।
রোববার (৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
হতাশার কথা জানিয়ে সারজিস বলেন, ২৩ বছরে পাকিস্তান শাসনে ছিলাম, অধিকার পাইনি। ৫৪ বছরেও দেশেও অধিকার পাইনি। আজ থেকে এক বছর আগে আমরা এই শহীদ মিনারে ছিলাম। এদিন হাসিনার পতনের ডাক এসেছিল। এক বছর হয়ে গেছে, আজও আমাদের অধিকার পাইনি। আমরা আর হতাশার কথা শুনতে চাই না।
সারজিস আলম বলেন, এক বছর আগে এই শহীদ মিনারে যারা ছিল, তাদের অনেকে আজ শহীদ। তাদের পরিবার এখানে আছে। আমরা এই শহীদ ভাইদের হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। আমরা এই সরকারের কাছে মৌলিক সংস্কারের নিশ্চয়তা চেয়েছি। শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহত যোদ্ধাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এখানে এসেছি।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের লড়াই ২৪-এর নয়। বিডিআর হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে, ১৩ সালে শাপলা চত্বরে যারা নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের বিচার চাইতে এসেছি।
দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ে সারজিস আলম বলেন, এই বাংলাদেশে যেমন জঙ্গিবাদ মেনে নেব না, তেমনি জঙ্গি নাটকও মেনে নেব না। এই বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি নামে সব দালালকে আর মেনে নেব না।
রাজনীতি
তারুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের জন্য হোক: তারেক রহমান

তরুণ ভোটারদের কাছে ধানের শীষের জন্য ভোট চাইলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের জন্য হোক’ এই আহ্বান সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে উপস্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রদলের ‘ছাত্রসমাবেশে’ দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন-৭১ স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ, ২৪ স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা। প্রিয় যোদ্ধারা, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হয়েছে। এ দেশে কেউ প্রতিহিংসার রাজনীতি চায় না। জনগণ চায়, রাজনীতিরি গুণগত পরিবর্তন।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের শত শত নেতাকর্মী হতাহত হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের সময় শুধুমাত্র ছাত্রদলের ২ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। যেই সংগঠনে তোমাদের মতো সাহসী মায়ের সন্তানেরা আছে, সেই সংগঠনের নেতাকর্মীদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।
তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হয়েছে। বাংলাদেশ এখন একটি পরিণত দেশ। এই পরিণত দেশে মানুষ বিভেদ চায় না। কথামালার রাজনীতি নয়। আমরা শুরু করেছি জীবন-মান উন্নয়নের রাজনীতি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে কারিগরি প্রযুক্তি এবং দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্কুল পর্যায় থেকে কারিগরি শিক্ষা থাকবে।
রাজনীতি
ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশে কারও নেই: রাকিবুল

ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশে কারো নেই বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশ স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রাকিবুল ইসলাম বলেন, দেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, ছাত্রদল চাইলে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে পারে। ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান যদি নির্দেশনা দেন, নেতাকর্মীরা সারা দেশ অবরোধ করে দিতে পারে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল বক্তব্য দিবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
এরই মধ্যে সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিনসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ ছাত্রদলের সাবেক নেতারা।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে সঞ্চালনা করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
রাজনীতি
দেশে হাসিনাকে আর রাজনীতি করার সুযোগ দেব না: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আর কোনোদিন রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (০৩ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে ছাত্র-সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সামনে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এই বাংলাদেশকে নতুন করে তৈরি করার। সারাদেশ থেকে তরুণ এখানে এসেছেন। এটা অত্যন্ত আনন্দের দিন। একই সঙ্গে কষ্টের দিন। গত বছর এই দিনে আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করছিল আওয়ামী লীগ।
গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু ৩৬ দিনের আন্দোলন নয়, গত ১৬ বছর ধরে আমাদের নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছেন, শুধুমাত্র সুন্দর একটা বসবাসযোগ্য আবাস ভূমি হিসাবে বাংলাদেশকে দেখার জন্য।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে আমাদের বিভক্ত করার জন্য। আমাদের পাশের দেশ শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। সেখান থেকে মাঝে মাঝে হুমকি দিচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল তৈরির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে কোনোদিন রাজনীতি করার সুযোগ দেব না।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।
কাফি