জাতীয়
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়।
শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয় এম এ জি ওসমানীকে। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ১২ জন আনসার সদস্য।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট শতাধিক তরুণ-যুবক মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে ঢুকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেন। ‘১৭ এপ্রিলের গার্ড অব অনার’ নামে ভাস্কর্যটিসহ অন্য ভাস্কর্যগুলোতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ গতকাল বুধবার বলেন, এবার বড় পরিসরে মুজিবনগর দিবস পালন করা হচ্ছে না। মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভাস্কর্যগুলো আবার নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

জাতীয়
গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে প্রস্তুত মঞ্চ, নিরাপত্তা জোরদার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’-এর মূল মঞ্চ, সাউন্ড ও লাইটিং সিস্টেমের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এছাড়া অনুষ্ঠানস্থল এবং আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সোমবার রাত থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু হয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইবনে মিজান এবং র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি খালিদুল হক হাওলাদার জানান, ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।
এই আয়োজনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ড্রোন শো এবং ঘোষণাপত্র পাঠের ব্যবস্থা রয়েছে। বেলা ১১টা থেকে শুরু হবে বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর সংগীত পরিবেশনা। বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন, যা বাংলাদেশ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় থাকছে বিশেষ ড্রোন শো এবং রাত ৮টায় থাকবে ব্যান্ডদলের পরিবেশনা।
এদিকে অনুষ্ঠানস্থলের সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার শামীম আহমেদ জানিয়েছেন, বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে ওয়াটারপ্রুফ সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জনসমাগমের কারণে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
জাতীয়
ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা আজ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক দলিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা করা হবে আজ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে। অভ্যুত্থানের শরিক রাজনৈতিক দল ও পক্ষগুলো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে। অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবে।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ জন সমন্বয়ককে দাওয়াত না দেওয়ায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
সোমবার (৪ আগস্ট) দিনগত রাত ২টায় নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এদিকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের দিন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে উদযাপিত হবে ‘৩৬ জুলাই’। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এদিন থাকছে নানান অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
অনুষ্ঠানসূচি নিয়ে এরই মধ্যে একটি ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে দিনব্যাপী আয়োজনের বিস্তারিত জানানো হয়েছে। ঐতিহাসিক এই দিবস উদযাপনে দেশের শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, বয়োজ্যেষ্ঠ নারী- পুরুষ সবাইকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই প্রক্লেমেশন’ বা ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘোষণার উদ্যোগ নেয় তৎকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে শিগগির সরকার তা ঘোষণা করবে, সরকারের এমন আশ্বাসে সেদিন জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দেননি শিক্ষার্থীরা।
এরপর অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া প্রণয়ন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপে উঠে আসা বিষয়গুলো নিয়ে খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়। গত ২৮ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সনদের খসড়া পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
পরে ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয়
বিদেশে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে গেলে লজ্জা লাগে: আসিফ নজরুল

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গেলে এমনভাবে তাকায় যে, লজ্জা লাগে।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল আক্ষেপ করে বলেন, আমি যখন আমার পাসপোর্ট নিয়ে যাই, আপনাদের (কূটনীতিক) তো সমস্যা হয় না। আমার এত লজ্জা লাগে এত রাগ লাগে। আমার তো এখন একটা স্পেশাল পাসপোর্ট আছে। কিছু দিন পর আবার সবুজ পাসপোর্ট হবে। আমেরিকায় ছয়বার গিয়েছি। তারপরেও ভিসা দেয় না। দিনের পর দিন ঘুরায়ে ঘুরায়ে ভিসা দেয়। অনেক দেশ আপনার, এয়ারপোর্টে যাওয়ার পর এমনভাবে তাকায় মনে হয় মরে যাই। হংকং দুবাইয়ে পাসপোর্ট দেখছে। আর এমন একটা লুক দেয়। এত প্রশ্ন করে, পেছনে লোকজন ক্ষেপতে থাকে, মনে হয় মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছি। কি দেশ বানিয়েছি আমরা যে, অন্য দেশ আমাদের নিচু চোখে দেখে।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের ধারণাই বুঝতেন না। তার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও তার মন্ত্রীদের ক্রীতদাস ভাবত ভারত। হাসিনা এ দেশের পররাষ্ট্রনীতিকে নতজানু করে রেখেছিলেন। লুটপাট, নির্যাতন, গুম, খুন, আয়নাঘরের বীভৎসতার মাধ্যমে তিনি এ দেশের মানুষকে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, হাসিনা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মিথ্যা বলে পুরো জাতির মাঝে মিথ্যাবাদী, জোচ্চোর প্রজন্ম তৈরি করেছেন। তার ওপর সাইকোলজিক্যাল বা নিউরোলজিক্যাল গবেষণা করা উচিত।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে প্রদান এবং ২০২৪ সালের ডামি ও প্রহসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ভুতুড়ে নির্বাচন আর কখনও হয়নি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা শতাধিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের আখড়া বানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও জুলাই আন্দোলনে নেমেছিলেন ছাত্র-জনতা। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ একত্র হয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার মূলোৎপাটনে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের জাতীয় জীবনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষের সাহস, দৃঢ়তা ও একতার বিজয় হিসেবে চিহ্নিত।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম, পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব) নজরুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জনকূটনীতি) শাহ আসিফ রহমান প্রমুখ।
জাতীয়
পুলিশের ঝুঁকিভাতা বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ

পুলিশের কনস্টেবল, নায়েক, এএসআই (সশস্ত্র/নিরস্ত্র) এবং এসআই/ সার্জেন্ট/ টিএসআইয়ের ঝুঁকিভাতা বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পদ ও চাকরির মেয়াদ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ এক হাজার ৮০ টাকা পর্যন্ত ঝুঁকিভাতা বেড়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) এই গেজেট প্রকাশ করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশে এই গেজেটে সই করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার। ঝুঁকিভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
গেজেটে বলা হয়েছে, ‘২০১৫ সালের ৩০ জুন পুলিশ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী সর্বশেষ যে পরিমাণ (টাকার অংকে) ঝুঁকি ভাতা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আহরণ করতেন, সেই পরিমাণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা (পদভিত্তিক) অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগের ২৮ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপন এবং ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবরের (০৭.০০.০০০০.১৭৩.৪৪.০৫৮.১৫.৮১)-নং স্মারক অনুযায়ী ভাতা হিসেবে পেতে থাকবেন। নতুন বেতনস্কেলের সঙ্গে ২০১৫ সালের ১ জুলাই বা পরবর্তী সময়ে বেতনের শতাংশ হিসাবে এই ভাতার হার বা পরিমাণ নির্ধারণ হবে।’
এতদিন পুলিশের কনস্টেবল, নায়েক, এএসআই (সশস্ত্র/নিরস্ত্র) এবং এসআই, সার্জেন্ট, টিএসআই ২০১৫ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ঝুঁকিভাতা পাচ্ছিলেন। সে হিসাবে ১০ বছর পর পুলিশের ঝুঁকিভাতা বাড়ানো হলো।
কনস্টেবল পদে ঝুঁকিভাতা বাড়ানো হয়েছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। এ ক্ষেত্রে যাদের চাকরির বয়স ৫ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা বাড়ানো হয়েছে ৩০০ টাকা। এছাড়া চাকরির বয়স ৫-১০ বছরের ক্ষেত্রে ৩৬০ টাকা, চকরির বয়স ১০-১৫ বছরের ক্ষেত্রে ৪৪০ টাকা, চাকরির বয়স ১৫-২০ বছরের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা এবং চাকরির বয়স ২০ বছরের বেশিদের ক্ষেত্রে ৬০০ টাকা ঝুঁকিভাতা বাড়ানো হয়েছে।
এতে যেসব কনস্টেবলের চাকরির বয়স ৫ বছর পর্যন্ত তাদের মাসিক ঝুঁকিভাতা বেড়ে হবে এক হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়া চাকরির বয়স ৫-১০ বছরের ক্ষেত্রে ২ হাজার ১৬০ টাকা, চকরির বয়স ১০-১৫ বছরের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৬৪০ টাকা, চকরির বয়স ১৫-২০ বছরের ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা এবং চাকরির বয়স ২০ বছরের বেশিদের ক্ষেত্রে ৩ হাজার ৬০০ টাকা মাসিক ঝুঁকিভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নায়েকদের ঝুঁকিভাতা বেড়েছে ৩৪০ থেকে ৬৮০ টাকা
পুলিশের নায়েক পদে চাকরি করেন যারা তাদের ঝুঁকিভাতা ৩৪০ টাকা থেকে ৬৮০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে যাদের চাকরির বয়স ৫ বছর পর্যন্ত তাদের মাসিক ঝুঁকিভাতা ৩৪০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৪০ টাকা করা হয়েছে। চাকরির বয়স ৫-১০ বছরের ক্ষেত্রে ঝুঁকিভাতা ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৪০০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া যেসব নায়কের চকরির বয়স ১০-১৫ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা ৪৮০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৮৮০ টাকা, যাদের চকরির বয়স ১৫-২০ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা ৫৮০ বাড়িয়ে ৩ হাজার ৪৮০ টাকা করা হয়েছে। যাদের চাকরির বয়স ২০ বছরের বেশি তাদের ঝুঁকিভাতা ৬৮০ টাকা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে।
এএসআই পদে ঝুঁকিভাতা বেড়েছে ৩৬০ থেকে ৭৬০ টাকা
পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র/নিরস্ত্র) পদে যারা চাকরি করেন তাদের ঝুঁকিভাতা ৩৬০ টাকা থেকে ৭৬০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে যাদের চাকরির বয়স ৫ বছর পর্যন্ত তাদের মাসিক ঝুঁকিভাতা ৩৬০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ১৬০ টাকা করা হয়েছে। আর চাকরির বয়স ৫-১০ বছরের ক্ষেত্রে ঝুঁকিভাতা ৪৪০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৬৪০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া যেসব এএসআইয়ের চকরির বয়স ১০-১৫ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ২৪০ টাকা, যাদের চকরির বয়স ১৫-২০ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা ৬৪০ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮৪০ টাকা এবং যাদের চাকরির বয়স ২০ বছরের বেশি তাদের ঝুঁকিভাতা ৭৬০ টাকা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৫৬০ টাকা করা হয়েছে।
এসআই-সার্জেন্ট-টিএসআইয়ের ঝুঁকিভাতা বাড়ছে ৫৪০ থেকে ১০৮০ টাকা
পুলিশের এসআই, সার্জেন্ট, টিএসআই পদে ঝুঁকিভাতা ৫৪০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে যাদের চাকরির বয়স ৫ বছর পর্যন্ত তাদের মাসিক ঝুঁকিভাতা ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ২৪০ টাকা করা হয়েছে। চাকরির বয়স ৫-১০ বছরের ক্ষেত্রে ঝুঁকিভাতা ৬৪০ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮৪০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া যেসব এসআই, সার্জেন্ট, টিএসআইয়ের চকরির বয়স ১০-১৫ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা ৭৬০ টাকা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৫৬০ টাকা, যাদের চকরির বয়স ১৫-২০ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা ৯০০ বাড়িয়ে ৫ হাজার ৪০০ টাকা করা হয়েছে। যাদের চাকরির বয়স ২০ বছরের বেশি তাদের ঝুঁকিভাতা এক হাজার ৮০ টাকা বাড়িয়ে ৬ হাজার ৪৮০ টাকা করা হয়েছে।
জাতীয়
ইসির মেরুদণ্ড আছে বলেই সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে: সচিব

ইসির মেরুদণ্ড আছে বলেই সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সোমবার (৪ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রস্তুমিূলক কাজের অগ্রগতি তুলে ধরতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
‘নির্বাচন কমিশন একটি মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান’- এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্মিত হেসে ইসি সচিব বলেন, মেরুদণ্ড সোজা না থাকলে দাঁড়িয়ে আছি কীভাবে? রাজনৈতিক বক্তব্য আমার এরিয়া নয়, আমার জায়গাটা প্রশাসনিক। এখন পর্যন্ত সোজাই দাঁড়িয়ে আছি। দোয়া করবেন এভাবে যেন দাঁড়িয়ে থাকতে পারি।
‘মেরুদণ্ড তাহলে সোজা রয়েছে’- এ সময় এমন প্রশ্নের জবাবে জোরে হাসি দিয়ে সচিব বলেন, আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কি প্রমাণ করে না আমার মেরুদণ্ড আছে?
এ সময় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রস্তুমিূলক কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন ইসি সচিব। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ভোটের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করা হতে পারে- এমন পরিস্থিতির মধ্যে ইসির সার্বিক প্রস্ততি তুলে ধরেন ইসি সচিব।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারসহ সব প্রস্তুতি শেষে আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। তবে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এ সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ও তফসিলের দাবি জানিয়ে আসছে।
ইসি সচিব জানান, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও ইসি সচিবালয় সব অগ্রগতি, তথ্য জানাচ্ছে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে আস্থার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে বদলি, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ সময় তফসিল, দলের অডিট রিপোর্ট, দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত, সীমানা নির্ধারণ, আইন-বিধি সংস্কার, পর্যবেক্ষক সংস্থা, নির্বাচনী সরঞ্জাম ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, প্রবাসী ভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি তুরে ধরেন।