জাতীয়
জাতীয় সনদ রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে: আলী রীয়াজ

জাতীয় সনদ জনগণের রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করবে বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার সময় আমরা টেবিলের দুই প্রান্তে বসলেও আমরা দুইপক্ষ নই। আমরা একপক্ষ, আমাদের লক্ষ্য এক। আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবাই চেষ্টা করছি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সংসদ ভবনের এল.ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বাংলাদেশ)-এনডিএমের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, আমাদের পথের ক্ষেত্রে সামান্য ভিন্নতা আছে। আলোচনার মাধ্যমে এই মত ভিন্নতা দূর করা যাবে। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটা ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাস্ত করতে পেরেছি, সেই ঐক্যের জায়গাকে অব্যাহত রেখে তা আরও সুদৃঢ় করতে পারব।
আলোচনায় এনডিএম-বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির মহাসচিব মোমিনুল আমিন, ভাইস-চেয়ারম্যান ফারুক উজ জামান চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার সাহিদুল আজমসহ প্রমুখ।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৪টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে এবং এ পরিপ্রেক্ষিতে নয়টি রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করেছে কমিশন। আগামী ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাথে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
জুনের মধ্যে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত: কমিশন

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্ত কমিশনের সদস্যরা তাকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিশন প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আলম ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যেহেতু ১৬ বছর আগের ঘটনা তাই অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। অভিযুক্ত অনেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’
‘আমরা কারাগারে থাকা কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তদন্তের জন্য যোগাযোগ করা প্রয়োজন এমন ২৩ জন বিদেশে অবস্থান করছেন। তার মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছেন,’— বলেন তিনি।
কমিশন প্রধান আরও বলেন, ‘আমরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের প্যাটার্নটা নিয়ে তদন্ত করছি। ডিজিকে হত্যার পর বাকিদের হত্যা করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিকল্পনা ছাড়া এমন হত্যাকাণ্ড হতে পারে না।’
‘এটা যেন একটা পলাশীর পুনরাবৃত্তি। এটার শেকড় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, ‘এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকেও সরানো হয়নি। কাউকে দায়ী করা হয়নি। এটি গোয়েন্দা সংস্থা, সামরিক বাহিনী এবং রাজনৈতিক ব্যর্থতা।’
তদন্ত কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নৃশংসভাবে নিজেদের অফিসারদেরই তারা মেরেছিল। মসৃণভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’
পুরো জাতি তদন্ত কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবাই উত্তর খুঁজছি। কমিশনকে এ ঘটনা তদন্তে সফল হতেই হবে। এ রহস্য উদঘাটন করতেই হবে।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, ড. এম আকবর আলী, মো. শরীফুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ খান চন্দন, এ টি কে এম ইকবাল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আ.লীগের এমপিকে হাতিয়ার করে সীমান্তে অবৈধ ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন অনুমোদন

জ্বালানী তেল বিক্রয়ের লক্ষ্যে সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো প্রকার ফিলিং স্টেশন স্থাপন করা যাবে না। বাংলাদেশ সরকারের গেজেটে জারিকৃত এমন আইন থাকা সত্ত্বেও বিপুল অর্থের বিনিময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় মাত্র ২.৪ কিলোমিটারের মধ্যে জ্বালানী তেল বিক্রয়ের লক্ষ্যে ‘মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন’ নামে অবৈধভাবে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-০২ এর সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মু. জিয়াউর রহমানকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে যমুনা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড হতে অবৈধ অনুমোদনের ব্যবস্থা করেন এমপি মু. জিয়াউর রহমান। তখন তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতিও ছিলেন।
সূত্র জানায়, সাবেক এমপি মু. জিয়াউর রহমান মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী মো. আব্দুল লতিফের সঙ্গে মোটা অংকের অর্থের চুক্তিতে এই অবৈধ অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দেন। সে সময়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে থাকায় এমপির জন্য এই অসাধ্য কাজটি করা সম্ভব হয়েছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই অবৈধ অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমপি সরাসরি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে গিয়ে হুমকি ও তার পরামর্শ মোতাবেক পরবর্তীতে মালিক আব্দুল লতিফ অর্থ প্রদানের চুক্তিতে বিভিন্ন দফতর হতে অবৈধ এনওসি বা অনুমোদন লাভ করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী মো. আব্দুল লতিফ অর্থসংবাদকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে স্বাক্ষাতে কথা বলবো। আমি মোবাইলে বক্তব্য দেই না।
যমুনা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোস্তফা কুদরত-ই-ইলাহীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। বেশ কয়েকবার তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আইন অনুযায়ী, প্রস্তাবিত ফিলিং স্টেশনটি সীমান্তের শূন্য লাইন হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপন করা যাবে না। এবিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ গেজেট জারি করা হয়। যা জ্বালানী তেল বিক্রয়ের লক্ষ্যে নতুন ফিলিং স্টেশন/সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে ডিলার নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা (সংশোধিত), ২০১৪ অনুযায়ী মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনটি অবৈধ। ২০১৪ সালের সরকারি গেজেটে বিপিসি কর্তৃক কোন নতুন ফিলিং স্টেশন স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার পর বিপণন কোম্পানীগুলো কর্তৃক বেশকিছু শর্তসমূহ প্রতিপালন করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রস্তাবিত ফিলিং স্টেশনটি সীমান্তের শূন্য লাইন হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপন করা যাবে না। তবে আইনভঙ্গ করে, বিপুল অর্থের বিনিময়ে ও প্রভাব খাটিয়ে যমুনা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেড হতে ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের অবৈধ অনুমোদন নেওয়া হয়।
এছাড়া, এরআগে বিপিসির সাবসিডিয়ারি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা কর্তৃক সারাদেশে ফিলিং স্টেশনের কিছু ডিলারের বিরুদ্ধে ভেজাল ও পরিমাপে কম তেল সরবরাহের অভিযোগে নতুন ফিলিং স্টেশন/সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের অনুমোদন বন্ধ রাখে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, ভেজাল তেল ও পরিমাপে কম সরবরাহের কারণে ভোক্তা সাধারণ প্রতারিত ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এতদসত্ত্বেও, দেশের প্রত্যন্ত বা বিভিন্ন স্থানে নতুন ডিলার নিয়োগের আবেদন পাওয়া যাচ্ছে এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা কর্তৃক ডিলার নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় আরো নতুন ফিলিং স্টেশন স্থাপিত হলে ভেজাল রোধ ও সঠিক পরিমাপে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা দূরূহ হবে। বিপিসি ও এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানী কর্তৃক জ্বালানি তেল বিপণন ব্যবস্থায় ভেজাল রোধে ও সঠিক পরিমাপে জ্বালানি সরবরাহে কার্যকর্মী জরুরী ব্যবস্থা গড়ে তোলা না পর্যন্ত নতুন কোন ফিলিং স্টেশন বা সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের অনুমোদন আপাতত বন্ধ থাকবে। অথচ এমন আদেশ থাকলেও আইন বর্হিভূতভাবে মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সম্প্রতি তদন্ত পূর্বক অবৈধ, দুর্নীতি ও বিপুল অর্থের বিনিময়ে আইন বর্হিভূতভাবে অনুমোদিত ফিলিং স্টেশনটির অনুমতি বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা বারবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আইনভঙ্গ করে, বিপুল অর্থের বিনিময়ে ও প্রভাব খাটিয়ে ভোলাহাট উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত এলাকায় ২.৪ কিলোমিটারের মধ্যে ‘মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন’ নামে যমুনা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেড হতে অবৈধ অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। সাবেক এমপি মু. জিয়াউর রহমান মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী মো. আব্দুল লতিফের সঙ্গে মোটা অংকের অর্থের চুক্তিতে এই অবৈধ অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেই নতুন কোন ফিলিং স্টেশন অনুমোদনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কিন্তু উল্লিখিত নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়েই ফিলিং স্টেশনটি অনুমোদন করে।
বিষয়টি তদন্ত পূর্বক অবৈধ, দুর্নীতি ও বিপুল অর্থের বিনিময়ে আইন বর্হিভূতভাবে অনুমোদিত ফিলিং স্টেশনটির অনুমতি বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

ছয় দফা দাবি নিয়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে এ ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খান, ঢাকা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তবে বৈঠকে আমরা একমত হতে পারিনি। তারা লিখিতভাবে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেননি। তাই আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের যদি সাধারণ একজন প্রিন্সিপালকে বদলি করতে সারা দিন লেগে যায়, সেই সরকার কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করবে? দেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার্থীদের ভূমিকা কীভাবে তবে রাখবে?
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এরমধ্য দিয়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলো।
জুবায়ের পাটোয়ারী আরও বলেন, দেশের সংস্কারে, জাতির সংস্কারে শিক্ষার্থীদের ভূমিকার কথা যদি আপনারা অস্বীকার করেন, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন তাহলে দেশের উন্নয়ন কখনোই সম্ভব না।
এ সময় তিনি সড়ক অবরোধ কর্মসূচি আজকের মতো স্থগিত করার ঘোষণা দেন এবং যানচলাচল স্বাভাবিক করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানান।
আরেক আন্দোলনকারী মাশফি রহমান বলেন, জনভোগান্তি বিবেচনায় কর্মসূচি আজকের মতো প্রত্যাহার। আগামীকাল রেলপথ অবরোধ কখন শুরু হবে, তা আমাদের কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা ছয় দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ করে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে অংশ নেন মহিলা পলিটেকনিকের ছাত্রীরাও। শিক্ষার্থীদের অবরোধে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সড়কে চলাচলকারী মানুষ পড়েন সীমাহীন দুর্ভোগে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিএনপির মতামত অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে সরকার: আইন উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিএনপির মতামত অত্যন্ত গুরত্বের সঙ্গে নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে যাই বলুক জুনের পরে নির্বাচন যাবে না।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে এ বিফ্রিংয়ের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, সংস্কারের ব্যাপারে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা পরিবেশে কথা হয়েছে। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে বলেও জনান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারের কালবিলম্বের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না, তেমন নয়। আমরা বলেছি, এই সময়র মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করা হবে।’
বৈঠক নিয়ে বিএনপির অসন্তোষ প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘বৈঠকে ওনাদের (বিএনপির প্রতিনিধি দল) হ্যাপি মনে হয়েছে। ওনারা অনেক বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন এবং তাদের সন্তুষ্ট মনে হয়েছে।’
নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। মিটিং শেষে দুপুর ২টার দিকে বিএনপির প্রতিনিধি দল যমুনা থেকে বের হয়ে আসে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা জুলাইয়ে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে আগামী জুলাই মাসে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ইসি আনোয়ারুল বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে যেসব তরুণদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে বিদ্যমান আইন দিয়ে হবে না। এজন্য আইন পর্যালোচনা করে সংশোধন করা হবে। এমন উদ্যোগ প্রথমবারের মতো নেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পরিশুদ্ধ ভোটার তালিকা অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ ঘরে ঘরে গিয়ে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছে। আমরা সন্তুষ্ট, আমাদের টার্গেট ছিল ৬১ লাখ ৮৮ হাজার নতুন ভোটার নিবন্ধিত হবে। দেখা যাচ্ছে, ৪৩ লাখের ওপরে বাদ পড়া ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে। নতুন হয়েছে ১৯ লাখ ৬৬ হাজার। মোট ৬৩ লাখ ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে। আমরা আশা করি জুনের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকাটি পেয়ে যাব।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তফসিল ঘোষণার আগেও অনেকের বয়স ১৮ হবে। তারাও ভোট দিতে চায়, এবার এই তরুণরা নতুন ভোটার হবে। নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের যেন আমরা ভোটার তালিকায় যুক্ত করতে পারি এবং তারা যেন ভোট দিতে পারে।