আইন-আদালত
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে ২১ প্রার্থীই জয়ী

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে ২১ প্রার্থীই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনী কার্যক্রমে ২১ পদে ২১ জন প্রার্থী থাকায় রোববার ১৩ এপ্রিল তাদের সবাইকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
জয়ী সবাই বিএনপি জামায়াত সমর্থিত। এর মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৪ পদে বিএনপি অনুসারী এবং একটি সহ-সভাপতি পদ ও দুটি সম্পাদকীয় পদসহ মোট ৭ পদে জামায়াত অনুসারীরা জয়ী হন।
তবে নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মনোনয়ন ফরম কিনতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি নির্বাচনকে অস্বচ্ছ আখ্যা দিয়ে আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ আনোয়ার হোসেন পদত্যাগ করেছেন। চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবকটি পদে নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নির্বাচনে জয়ীরা হলেন- সভাপতি পদে আবদুস সাত্তার, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সিরাজ, সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনূস, সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল বারী, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, লাইব্রেরি সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফী বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মনজুর হোসাইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আবদুল জব্বার, নির্বাহী সদস্য পদে- আহসান উল্লাহ মানিক, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, হেলাল উদ্দিন, মেজবাহ উল আলম আমিন, মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, মো. রোবায়তুল করিম, মো. শাহেদ হোসাইন, মোহাম্মদ মোরশেদ, রাহেলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসাইন।
এর মধ্যে সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনূস, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং নির্বাহী কমিটির চার সদস্য হেলাল উদ্দিন, মো. শাহেদ হোসাইন, মো. রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ জামায়াত অনুসারী।
এদিকে ঘোষিত তফসিলে গত ১০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র কেনার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে বাধার মুখে ফরম কিনতে পারেননি আওয়ামী লীগ, এলডিপি ও বাম ঘরানার আইনজীবীরা। তারা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দিলেও কোনো সমাধান হয়নি।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন সাবেক মহানগর পিপি আবদুর রশীদ। মনোনয়ন ফরম কিনতে দেওয়া হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বারের ১৩২ বছরের ইতিহাসে পুরো কমিটির সবাই ভোটবিহীনভাবে জয়ী হয়নি। বারের সব সদস্যরা রাজনীতি করেন না। সাধারণ সদস্যরা রয়েছেন। তারা আজকের এই ভোটারবিহীন নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছেন। অতীতে চট্টগ্রাম বারের সব দলমতের আইনজীবীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, জয়ীও হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এবার বারের গুটিকয়েক আইনজীবী পুরো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ পদের বিপরীতে ২১ জন ফরম কিনেছেন। আমরা ফরম কিনতে গিয়ে কিছু আইনজীবী ও দুর্বৃত্তদের বাধার মুখে পড়েছি। চট্টগ্রাম বারের জন্য এটি কলঙ্কের ইতিহাস হয়ে থাকলো। বিএনপি-জামায়াতের সাধারণ সমর্থকরাও ভোটারবিহীন এ নির্বাচন আশা করেননি। সুযোগ থাকলেও আমরা আইনি মোকাবিলায় যাচ্ছি না। আমরা সাধারণ সদস্যদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। সাধারণ সদস্যরাই একদিন এটির বিচার করবেন।’
এদিকে বারের এ নির্বাচনকে অস্বচ্ছ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করেছেন অ্যাডহক কমিটির সদস্য সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। ১২ এপ্রিল অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ককে দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব না হওয়ায় এবং প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে মর্মপীড়ায় ভুগছি। যা চট্টগ্রামবারের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে মর্মে আমি মনে করি। এ পরিস্থিতিতে বিবেকের তাড়নায় দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকা এবং পদ থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করাকে আমি বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি সম্মান ও দায়িত্বশীলতার অংশ হিসেবে বিবেচনা করছি।’
এ বিষয়ে কথা হলে অ্যাডভোকেট সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বারের এবারের নির্বাচন নিয়ে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। সবশেষ ঘোষিত তফসিলে আমরা চেয়েছিলাম সবার অবাধ অংশগ্রহণ। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। ২১ পদের সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মানে এখানে ভোটারদের কোনো সম্মান করা হয়নি। বিনাভোটের নির্বাচন হয়েছে। একজন সচেতন আইনজীবী হিসেবে আমাকে পীড়া দিচ্ছে। আমি তিনদিন আগেও অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ককে বলেছি, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলে আমি পদত্যাগ করবো।’
তিনি বলেন, ‘অনেককে নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম কিনতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামীপন্থিদের দেওয়া হয়নি। এমন কী এলডিপির অ্যাডভোকেট শাহাদাতকেও মনোনয়ন ফরম কিনতে দেওয়া হয়নি। আমরাতো এ ধরনের নির্বাচন চাইনি। তাই মর্মপীড়া থেকে অ্যাডহক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি।’
এ বিষয়ে কথা হলে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা তারিক আহমদ বলেন, ‘আমরা একুশ পদের সবাইকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছি।’
নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম কিনতে বাধা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের অভিযোগ কেউ করেনি।’ ২১পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ ফরম না কিনলেতো আমার কিছু করার নেই।’
অ্যাডহক কমিটির এক সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি (সৈয়দ আনোয়ার হোসেন) আগে কোথায় ছিলেন। তিনি কেন পদত্যাগ করেছেন, তার ব্যক্তিগত বিষয়। কাউকেতো আমরা জোর করে নির্বাচনে আনতে পারবো না। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আমরা সবাইকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে সভাপতি নির্বাচিত হওয়া বিএনপিপন্থি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারকে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন গঠন করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটি। এতে মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা করা হয় অ্যাডভোকেট তারিক আহমেদকে। আর আইনজীবী মো. মাসুদুল আলম, মুহাম্মদ কবির হোসাইন, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন এবং মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন শাহীনকে নির্বাচনী কর্মকর্তা করা হয়।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন উপলক্ষে গেলো বছরের ৩০ ডিসেম্বর প্রথম দফায় নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। পরে ওই নির্বাচন কমিশন বাতিল করে ফের চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠন করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটি।
নির্বাচনে ২১টি পদের জন্য ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা ছিল মোট ৫ হাজার ৪০৪ আইনজীবীর। এ নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের মাত্র চারদিন আগে পদত্যাগ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সভা করে নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৬ ফেব্রুয়ারি ৫ সদস্যের চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন দাখিল ১৮ মে

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ মে দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
পুলিশ হত্যা মামলায় আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় দুবাইয়ে পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন (গালিব) এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন আরাভ খানের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া, রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান। এদের মধ্যে আরাভ ও তার স্ত্রী কেয়া পলাতক রয়েছেন। বাকি ছয় আসামিকে রায় ঘোষণার আগে আদালতে আনা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। দুইদিন পর ৯ জুলাই গাজীপুরের একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় তিন দিন পরে মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলাটিতে ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দ্রুতই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয়: প্রধান বিচারপতি

বিচার বিভাগের জন্য দ্রুতই পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়ন হবে। এখন সবদিক থেকে যাচাই-বাছাই চলছে। যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, অচিরেই এটি চূড়ান্ত রূপ পাবে। কোনো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে কি না তা দূরীকরণেরও কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, আইনজীবীদের বিশেষ করে নারী আইনজীবীদের যে অবকাঠামোগত অসুবিধা রয়েছে, তা অচিরেই দূর করা হবে।
এ সময় স্বাধীন বিচারবিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন প্রধান বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয় পরিদর্শনকালে সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে ব্র্যাকের প্রধান নির্বাহী আসিফ সালেহ, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহা. হাসানুজ্জামান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরিফুল আলম ভূঞা ও স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে না: আইন উপদেষ্টা

শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে না। ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচার শুরু করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে। বিচার শুরুর জন্য একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন, বিচারপতি নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক এমপি নবী নেওয়াজ পাঁচ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর রমনা থানাধীন এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী নেওয়াজের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড নামঞ্জুর চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তাকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরের দিন তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর রমনা থানা এলাকায় গৃহকর্মী লিজা আক্তার গুলিতে আহত হন। পরে ২২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর লিজা আক্তারের বাবা মো. জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। নবী নেওয়াজ মামলার ১৭০নং এজহারনামীয় আসামি।