পুঁজিবাজার
কে অ্যান্ড কিউয়ের ক্যাটাগরি পরিবর্তন

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কে এন্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরে জন্য বিনিয়োগকারীদের ৩ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করেছে। যে কারণে কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাটাগরি পরিবর্তনের ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিটি ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই।
এসএম

পুঁজিবাজার
নির্বাচনের রোডম্যাপে উজানী ঢেউ পুঁজিবাজারে

চলতি বছরের মধ্য জুনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস লন্ডন সফর শেষে দেশে ফেরার পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখা গেছে। সফরকালে তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং ভবিষ্যৎ পথনির্দেশনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।সফল আলোচনার অন্যতম ফল হিসেবে জাতি জানতে পারে- ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দেশে একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে একটি সুস্পষ্ট জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে। এটি দীর্ঘ ১৬ বছরের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর একটি ঐতিহাসিক মোড় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এই ঘোষণার পরই দেশের ধুঁকতে থাকা পুঁজিবাজারে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে বাজারে। জুনের শেষ প্রান্তিকেও যেখানে অতীতে সূচক পতন ছিল নিয়মিত ঘটনা, সেখানে এবার দৃশ্যপট পাল্টেছে। মধ্য জুন থেকে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ৪০০ পয়েন্টেরও বেশি। বাজারে দীর্ঘদিন পর ফিরে এসেছে উজানী ঢেউয়ের স্পন্দন।
শেয়ারবাজারের ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী প্রমাণ পাওয়া যায় আওয়ামী লীগের সময়ে শেয়ারবাজারে যেমন লুটতরাজ হয় অপর পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের শাসনামলে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার বিনিয়োগবান্ধব, স্থিতিশীল এবং ঊর্ধ্বগামী হয়। ফলশ্রুতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিশ্চিত সংবাদের ফলে ১৬ বছর পরে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পরে আপামর জনগণের মতো বিনিয়োগকারীরাও এক প্রকার নিশ্চিত যে সামনে বিএনপি-ই সরকার গঠন করবে। ফলে শেয়ারবাজারও বিনিয়োগবান্ধব হবে। এরই প্রেক্ষাপটে সাইড লাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরা মার্কেটে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। প্রতিদিন টার্নওভার ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলেছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে নির্বাচনের নিশ্চিত সংবাদের ফলে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে শুধুমাত্র পুরাতন বিনিয়োগকারীরাই সক্রিয় হচ্ছেন না, সেই সাথে নতুন বিনিয়োগও শুরু হয়েছে। বাজার লুটতরাজকারী আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের অধিক কাল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় দশ মাস সময় ধরে বিনিয়োগকারীদের অনাস্থার ঘোর অমানিশার অন্ধকার অনেকটাই কাটতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত একটি বিষয় আমলে নেয়া উচিত- সেটা হল, গত মে মাসে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। বিষয়টি মোটেই নেতিবাচক নয় বরং ইতিবাচক। কেননা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এবং বোঝাতে চেয়েছিলেন যে শেয়ারবাজারের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের কেউই শেয়ারবাজার পরিচালনায় একদমই দক্ষ নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের দীর্ঘ নয়মাস ধরে শেয়ারবাজার ক্রমাগতভাবে পতনের ধারায় চালিত হবার কারণেই হয়তো প্রধান উপদেষ্টা এমন মন্তব্য করেছেন।
মার্কেটের বর্তমান ধারা স্পষ্টত: নির্দেশ করে যে, প্রতিদিন ট্রেড টাইমের ভিতরে সূচকের ওঠা নামার ভিতরে দিনের মধ্যেই মার্কেট নিজেকে কারেকশন করছে। যার জন্য একটি বা দুটি দিন কারেকশনের অপেক্ষায় অপচয় করতে হচ্ছে না। একই সাথে প্রতিদিনই মার্কেট টার্নওভারও হচ্ছে আশানুরুপ।
পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের ১৫ বছর এবং তারপরে দীর্ঘ প্রায় দশ মাসের বেশি সময় ধরে বিপর্যস্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা এখন আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন। যদিও উল্লেখিত দীর্ঘ সময়ের একটানা লুটতরাজ, দায়িত্বহীনতা এবং অদক্ষতার কারণে তাদের অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও চিরতরে হারিয়ে গেছে, সেই সাথে হারিয়ে গেছে তাদের বহু কষ্টার্জিত মূলধন। অনেকেরই বিনিয়োগকৃত মূলধন দশ ভাগেরও নিচে নেমে চলে এসেছে। তবুও তারা আশার আলো দেখছেন, বুনছেন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে নতুন স্বপ্ন।
গত ০৯ জুলাই প্রধান উপদেষ্টার ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশনা খবর আসার পর হতে মার্কেটের গতি আরো বেগবান হয়েছে। একই সাথে সূচক এবং টার্নওভার বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র নির্বাচনের খবরেই শেয়ারবাজার ঊর্ধ্ব গতি পেয়েছে এটা এ কারণেই পরিষ্কার যে, মার্কেট ভালো হতে হলে বা ঊর্ধ্বগতি পেতে হলে যে সকল নিয়ামক বা ইনডেক্সগুলো কাজ করে তার কোনটি গ্রহণ করা হয়নি। যেমন- বাজারে তারল্য বৃদ্ধিতে ব্যবস্থা গ্রহণ বা উৎসাহ প্রদান। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কে শেয়ারবাজারে অংশগ্রহণে ব্যবস্থা গ্রহণ। তারল্য বৃদ্ধিতে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সক্রিয় নীতিগত অংশগ্রহন। মিউচুয়াল ফান্ড (মেয়াদী ও বেমেয়াদী) সংক্রান্ত নীতিগত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ। মার্কেট পরিচালনায় দক্ষ ও বহুমাত্রিক মেধা সম্পন্ন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। আইপিও সংক্রান্ত পরিষ্কার নীতি প্রণয়ন, ইত্যাদি ইত্যাদি।
সুতরাং নির্বাচনের খবর ছাড়া অন্য কোন প্রকাশ্য কিংবা দৃশ্যমান পদক্ষেপ বা কারণ নেই, যা মার্কেটের গতি বৃদ্ধিতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কাজ করতে পারে। তাই এই মুহূর্তে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং পরিচালনা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সকলের উচিত হবে নির্বাচনের আবহে অনুকূল এই পরিস্থিতিকে পুরোপুরি ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত মার্কেট রিপিয়ারে অন্ততপক্ষে সর্বনিম্নমাত্রার প্রয়োজনীয় দায়িত্বশীলতা এবং মনোযোগ প্রদর্শন করা। এর ব্যতিক্রম হলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের যে আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে তা আবারো ভেঙে পড়বে এবং নির্বাচনের পূর্বে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো শুধু কঠিন নয়, অসম্ভব হয়ে পড়বে।
কাফি
পুঁজিবাজার
রূপালী ব্যাংকের আয় কমেছে ৮৩ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি রূপালী ব্যাংক পিএলসি গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় কমেছে ৮৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
আজ রোববার (২০ জুলাই) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের ১২৫৬তম বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (সমন্বিত ইপিএস) হয়েছে ৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিতভাবে ৪২ পয়সা আয় হয়েছিল।
হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ২০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ৮৯ আয় হয়েছিল।
সর্বশেষ প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ ছিল ১৩৯ টাকা ১১ পয়সা, যা গতবছর একই সময়ে ৩ টাকা ৬৯ পয়সা ছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৫ টাকা ১৯ পয়সা।
কাফি
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১০ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭২টি শেয়ার ৪৫ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১০ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (২০ জুলাই) ব্লকে সবচেয়ে বেশি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ১ কোটি ৮৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের ১ কোটি ৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৮ জুলাই বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫ থেকে জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম
পুঁজিবাজার
চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৪ জুলাই বিকাল ৫টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫ থেকে জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম