অর্থনীতি
বিগত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ডলারের মান

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত মার্কিন ডলার। বিশ্ব বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়ে থাকে এই মুদ্রাটির মাধ্যমে। কিন্তু, বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের জেরে টালমাটাল বৈশ্বিক বাজারে ইতিহাসের অন্যতম বড় দরপতনের মুখোমুখি মুদ্রাটি। করোনাকালের পর গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে মার্কিন ডলারের মান।
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সূচক (ডিএক্সওয়াই) ও মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে মার্কিন ডলারের মান। সাধারণত, এই মুদ্রার মানের ওপরই নির্ভর করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মান।
মার্কিন ডলারের সূচকে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ডলারের মূল্য কমে ৯৯ দশমিক ০১-এ দাঁড়িয়েছে। যা এক বছরের মধ্যে ডলারের মানের প্রায় ৮ শতাংশ পতনের রেকর্ড।
ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ডলারের মানের বেশি পতন ঘটেছে। ওই দিন বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আমদানি শুল্ক আরোপ করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপের পর বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থায় ব্যাপক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়ার শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস শুরু হয়। যদিও পরবর্তীতে চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর আরোপিত এই শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
বিদেশি মুদ্রার লেনদেন হয় আলাদা দুটি দেশের মুদ্রায়। উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ক্রয়। যার ফলে এক দেশের মুদ্রার মান আরেক দেশের মুদ্রার মানের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। যা ‘এক্সচেঞ্জ রেট’ নামে পরিচিত।
বিশ্বের বেশিরভাগ মুদ্রার মানই ওঠানামা করে। যার অর্থ চাহিদা এবং সরবরাহ অনুযায়ী দাম পরিবর্তন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম যুক্তরাষ্ট্রের ডলার, যা একটি নির্দিষ্ট দামে নির্ধারিত। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন ডলারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ডলারের মানও নির্দিষ্ট করা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি বাতিল করা হয়।
এখন চাহিদা ও সরবরাহ অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্যও ওঠানামা করে। মুদ্রা শক্তিশালী হয় বিভিন্ন কারণে। যার মধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, পণ্যের চাহিদা ইত্যাদি।

অর্থনীতি
স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো আরও তিন হাজার ৪৪ টাকা

ফের দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ তিন হাজার ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা। আজ প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৮ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি এক লাখ ৭০ হাজার ৭০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ২১ হাজার ১৬৬ টাকা ।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
মাতারবাড়ী-মহেশখালীকে দেখতে চাই উন্নত কমার্শিয়াল হাবে: বিডা চেয়ারম্যান

৩০ বছর পর মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে চীনের সাংহাই বা সিঙ্গাপুরের বন্দরের মতো উন্নতমানের বন্দর তথা কমার্শিয়াল হাব হিসেবে দেখতে চাই। এ সময়ের মাধ্যমে ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সভাপতি আশিক চৌধুরী।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিডার নির্বাহী সভাপতি বলেন, আগামী ১২০ দিনের মধ্যে প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এমআইডিএ) ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৩ হাজার একর আয়তনের জমিতে তিনটি ধাপে (২০২৫ থেকে ২০৩০, ২০৩০ থেকে ২০৪৫ ও ২০৪৫ থেকে ২০৫৫) এর কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।
অর্থনীতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার তহবিল, সহজে ঋণ পাবে উদ্যোক্তারা

স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সুবিধার আওতায় উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদ বা মুনাফায় ঋণ নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ১৬টি তফসিলি ব্যাংক ও ৪টি ফাইন্যান্স কোম্পানির সঙ্গে অংশগ্রহণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা উপস্থিত ছিলেন। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানির পক্ষে তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানির এসএমই বিভাগের প্রধানরাও অংশ নেন।
নতুন জারিকৃত সার্কুলার অনুযায়ী, স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তারা এখন থেকে ২ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদী ও চলতি মূলধন ঋণ বা বিনিয়োগ নিতে পারবেন। এছাড়াও ৫২টি অংশীদার ব্যাংকের সমন্বয়ে প্রস্তাবিত ইক্যুইটি বিনিয়োগ কোম্পানি গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্টার্ট-আপ খাত কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্ভাবনী ব্যবসা গড়ে তোলা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নতুন এ সার্কুলারের পরিমার্জন উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন প্রাপ্তি সহজ করবে এবং খাতটির টেকসই বিকাশে সহায়ক হবে।
অর্থনীতি
যুক্তরাজ্য থেকে ৪৮৫ কোটি টাকায় এলএনজি কিনবে সরকার

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যুক্তরাজ্য থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আনতে ব্যয় হবে ৪৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪১ টাকা। গত মাসে যুক্তরাজ্য থেকে এক হাজার ৪৪২ কোটি ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৮ টাকায় তিন কার্গো এলএনজি আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এলএনজি আনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা বিদেশ থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে এক কার্গো (১১-১২ নভেম্বর ২০২৫ সময়ের জন্য ৪৫তম) এলএনজি ক্রয়ের প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
এ অনুমোদনের ফলে যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটাল এনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪১ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির মূল্য ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৪৯ মার্কেন ডলার।
গত ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে যুক্তরাজ্য থেকে ৩ কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মেসার্স টোটাল এনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি ১১ দশমিক ৪৪ মার্কিন ডলার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এই এক কার্গো এলএনজির মোট ব্যয় ধরা হয় ৪৮০ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯৬ টাকা।
আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে একই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি ১১ দশমিক ৩৪ মার্কিন ডলার হিসেবে আর এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এই এক কার্গো এলএনজি আমদানির মোট ব্যয় ধরা হয় ৪৭৬ কোটি ৪৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২৪ টাকা।
বাকি এক কার্গো এলএনজিও যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটাল এনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে আমদানির অনুমোন দেওয়া হয়। এই এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয় ৪৮৪ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ২৬৮ টাকা। আর প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয় ১১ দশমিক ৫৪ মার্কিন ডলার।
অর্থনীতি
এক হাজার ৫১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে ২ লাখ টন সার

কাফকোর সঙ্গে চুক্তি এবং সৌদি আরব, রাশিয়া, মরক্কো ও চীনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় এক লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৫১৫ কোটি ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪০ টাকা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপিদেষ্টা বিদেশ থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালরে প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মা’আদেন, সৌদি আরব এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৪০ টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৭৯৫ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৮৯ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার জেএসসি ‘ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন (প্রডিনটর্গ)’ ও বাংলাদেশ কৃষি করপোরেশেনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৩৬১ ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৫৪ কোটি ৯০ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
বৈঠকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৮৫ ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ২১৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ টাকা। এ প্রস্তাবটিও কৃষি মন্ত্রণায় থেকে দেওয়া হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চীনের বেনিয়ান ইন্টান্যশনাল ট্রেডিং লিমিটেড এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৯৩.৭৫ ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৮৯ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
বৈঠকে সার কেনার বাকি দুটি প্রস্তাব নিয়ে আসে শিল্প মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএপিএফসিএল) জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৭৭৯.৫০ ডলার (এফওবি: ডলার ৬৭১.৫০ মার্কেন ডলার + ফ্রেইট- ১০৫ ডলার + কমিশন ৩ ডলার)। এতে মোট ব্যয় হবে ১৯১ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা। মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এই ফসফরিক এসিড সরবরাহ করবে।
এছাড়া বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ-এর কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৭৪ ডলার (এফওবি ৪৬৯ ডলার+ ব্যাগিং চার্জ ৫ ডলার)। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা।