জাতীয়
বদলে গেল নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

চলতি বছর থেকে বাংলা নববর্ষ বরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি আর থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে বাংলা নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রার নাম হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতদিন এই শোভাযাত্রা হতো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন নামকরণের এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ বলে বিবেচিত হয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে।
এবারের শোভাযাত্রার স্লোগান হবে—‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এ প্রতিপাদ্যের আলোকে শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতির রূপ। পাশাপাশি আয়োজকরা জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাই-অগাস্টে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপটে যে ‘ফ্যাসিবাদ’ বিদায় নিয়েছে, তা যেন আর কখনো ফিরে না আসে—এ বার্তাও ছড়িয়ে দেওয়া হবে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপ-কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও উপ-কমিটিগুলো সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৮৯ সাল থেকে পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। শুরুতে শোভাযাত্রার নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। তবে নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে অমঙ্গল দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নাম দেওয়া হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। এরপর থেকে গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এ নামেই শোভাযাত্রা করে আসছিল চারুকলা।
২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে ইউনেসকো।
গত ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় জানানো হয়েছিল, এবারের পহেলা বৈশাখে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ও গারোসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
সবশেষ গত বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এবারের বাংলা নববর্ষে চারুকলার শোভাযাত্রায় বাঙালি ছাড়াও ২৭টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে বলে জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি জানান, চৈত্র সংক্রান্তিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কনসার্ট এবং নববর্ষের দিন ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে সুরের ধারার অনুষ্ঠান হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী বাংলাদেশ-তুরস্ক

অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও তুরস্ক। এই লক্ষ্য নিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) এই সাক্ষাতের তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে বাংলাদেশের দুই উপদেষ্টার সাক্ষাতের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তুরস্ক এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা। উভয়পক্ষ আশা প্রকাশ করেছে, সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা দুই দেশের অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে।
দুই পক্ষের আন্তরিক আলোচনা দুই দেশের সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য ফলাফল আনবে বলে আশা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশকে তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিস্তৃত পরিসরে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে, যা সাধারণত তুরস্কের নিকটতম মিত্র দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য। এতে করে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি আশাবাদী অধ্যায় রচিত করবে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়তি সহযোগিতা, পারস্পরিক সহায়তা এবং ভাগাভাগি দ্বার উন্মোচন করবে।
উল্লেখ্য, ‘আন্টালিয়া কূটনৈতিক ফোরামে’ যোগ দিতে সম্প্রতি তুরস্ক সফরে গেছেন দুই উপদেষ্টা। সোমবার দিবাগত রাতে উপদেষ্টাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বুধবার ঢাকায় আসছেন ট্রাম্পের দুই কর্মকর্তা

তিন দিনের সফরে আগামী বুধবার ঢাকায় আসছেন ট্রাম্পের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবার (১৪ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম প্রতিনিধিদলের এই সফরে বাংলাদেশে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ, রোহিঙ্গা সংকটে সহায়তা এবং মিয়ানমারের পরিস্থিতিসহ ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ওয়াশিংটনে নিয়োজিত বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক বুধবার প্রথমে ঢাকায় পৌঁছাবেন। পরে আরেকটি ফ্লাইটে আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ। এ সময় অ্যান্ড্রু হেরাপের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকার কথা রয়েছে মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনের।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর তারা পর্যায়ক্রমে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ সরকারের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটি হতে যাচ্ছে দেশটির উচ্চপর্যায়ের কোনো প্রতিনিধিদলের প্রথম বাংলাদেশ সফর। ফলে দুই দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। প্রাসঙ্গিকভাবে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকার আকাশে ব্যতিক্রমী ড্রোন শো

প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দৃষ্টিনন্দন ‘ড্রোন শো’র আয়োজন করা হয়েছে। এতে ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়কালকে তুলে ধরা হয় বিভিন্ন প্রতিকৃতির মাধ্যমে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই ড্রোন শো শুরু হয়। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দাঁড়িয়ে এই প্রদর্শনী উপভোগ করেন হাজারো দর্শক।
অন্ধকারের মাঝে আলো ছড়িয়ে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলা এই ড্রোন শো’র শুরুতেই হাতে ধরে থাকা খাঁচাবন্দি একটি পাখির ছবি ভেসে ওঠে। কিছুক্ষণ পর সেই খাঁচা খুলে গিয়ে পাখিটি বের হতে দেখা যায়। তখনই আকাশে ‘রিবার্থ ৩৬ জুলাই’ লেখা ভেসে ওঠে। তারপর ভেসে ওঠে জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের সেই হাত ছড়ানো ছবি। আবু সাঈদের পর ভেসে ওঠে জুলাই আন্দোলনে শহীদ মুগ্ধর সেই পানি নিয়ে যাওয়ার ছবি। পাশে লেখা ‘পানি লাগবে পানি’।
এরপর প্রতিবাদী এক নারীর অবয়ব ভেসে ওঠে। তারপর আকাশে দেখা যায় আন্দোলনের সময় স্যালুট জানানো সেই রিকশাচালকের ছবি। তারপর ভেসে ওঠে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলার ছবি।
এরপরই আকাশে ভেসে ওঠে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে ‘১৯৭১’ লেখা। এরপর সেটার নিচে ভেসে ওঠে জুলাই বিপ্লবের স্মারক ‘২০২৪’ লেখা। তারপর ধীরে ধীরে ১৯৭১ লেখা মুছে গিয়ে ২০২৪ এর ওপর পতাকা হাতে এক ব্যক্তির অবয়ব দেখা যায়।
ড্রোন শোতে ইসরায়েলি আগ্রাসণের শিকার ফিলিস্তিনের প্রতিও সমর্থন জানানো হয়। ড্রোন দিয়ে তৈরি করা হয় ফিলিস্তিনের পতাকা ও শান্তির প্রতীক পয়ারার ছবি। সঙ্গে লেখা দেখা যায়, ‘প্রেয়ার্স ফর প্যালেস্টাইন’। তারপর ভেসে ওঠে এঞ্জেলের ছবি।
ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহায়তায় এবং বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় এই ‘ড্রোন শো’র আয়োজন করা হয়েছে। যা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। তাই ড্রোন দিয়ে তৈরি করা হয় বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের নিদর্শন। সেখানে লেখা দেখা যায় ‘লং লিভ চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ’।
শেষে দর্শকদের ড্রোন শো’র মাধ্যমে ‘শুভ নববর্ষ’ লিখে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতির প্রতীক: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

মহিলা ও শিশুবিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, পহেলা বৈশাখ শুধু একটি তারিখ নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, ভালোবাসা আর আনন্দের প্রতীক।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) জাতীয় সঙ্গীত এবং এসো হে বৈশাখ দলীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির বর্ষবরণ উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, এদিন আমরা পুরোনো দুঃখ-কষ্ট ভুলে, নতুন আশা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করি। আজকের ছোট সোনামণিদের চোখে যে স্বপ্ন তা এদেশের ভবিষ্যতের আলো।
এ সময় তিনি শিশুদের নতুন জিনিস শেখার পাশাপাশি ভালো কিছু করার উপদেশ দেন। এ ছাড়া বাবা-মা, শিক্ষক, গুরুজনদের সম্মান করার পাশাপাশি তাদের মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করা, নৈতিকতার চর্চা করার বিষয়ে জোর দেন। উপদেষ্টা নতুন বছরের প্রথম দিনে মিলেমিশে থাকা, হিংসা-বিদ্বেষ থেকে দূরে থাকা, সামাজিক ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ দুর্নীতি, মাদক, সহিংসতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীন, গণতান্ত্রিক এবং অগ্রসর রাষ্ট্রের পেছনে রয়েছে হাজারো মানুষের আত্মত্যাগ, লড়াই ও সংগ্রাম। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শিশু এবং ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এবারের বৈশাখের ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ আমাদের জাতীয় জীবনে নতুন উদ্দীপনা।
এ আয়োজনে ছড়ায় ছড়ায় বৈশাখ, নাগরদোলা, পুঁথিপাঠ, গম্ভীরা, বায়োস্কোপ, তৈলাক্ত কলাগাছে ওঠার প্রতিযোগিতা, সাংগ্রাই উৎসবের পানি খেলা, নাচ, গান কবিতার বিভিন্ন অংশে শিশুরা আনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে।
এ সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক দিলারা বেগম এবং শিশু একাডেমির শিশুশিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাহাড় থেকে সমতল, সারাদেশে আজ নববর্ষের আমেজ: শিল্প উপদেষ্টা

পাহাড় থেকে সমতল, সারাদেশে আজ নববর্ষের আমেজ। বাংলাদেশের মানুষ আজ এক হয়ে উদযাপন করছে নববর্ষ। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা চলছে সারা দেশে। আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে ফ্যাসিবাদ উত্তর বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছি। আমরা এই উৎসব ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩২’।
মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব মো. মফিদুর রহমান এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প, খাদ্যজাতপণ্যের বিদেশে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। উদ্যোক্তারা এই মেলার মাধ্যমে এসব পণ্যের বিদেশে রপ্তানি যোগ্য করে তুলবে। উদ্যোক্তারা যেভাবে ৫ আগস্ট উত্তর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে আরেকটি শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ। আমি আশা করি বাংলা একাডেমি আয়োজিত এই মেলা উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের ভূমিকা রাখবে।
শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের জীবনের অংশ হয়ে আছে। বাংলা নববর্ষ আমাদের সর্বজনীন অনুষ্ঠান। আজকের মেলার মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও তরুনদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব মো. মফিদুর রহমান বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতির মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে বৈশাখী মেলার আয়োজন হয়েছে।
আলোচনা পর্ব শেষে অতিথিরা মেলা ঘুরে দেখেন, উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন।
কাফি