ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ

আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে, যা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছেন ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী। সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র সাত লাখ এক হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী সাত লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা দুই হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন, ছাত্রী এক লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নয় হাজার ৬৩টি।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থী এক লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র এক লাখ আট হাজার ৩৮৫ জন ও ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খোন্দকার এহসানুল কবির বলেন, প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখনও পর্যন্ত আমরা আমাদের কোনো ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী এবং আমাদের মনিটরিং টিম যেটা আছে এবং প্রত্যেক বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সজাগ আছেন।
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি বোর্ডের ১৪ নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো—
১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে;
২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে;
৩. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না;
৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে সংগ্রহ করবে;
৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে।
৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের OMR ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না;
৭. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে;
৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না;
৯. কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে;
১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে;
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না;
১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে;
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে;
১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
এছাড়া পরীক্ষা চলাকালে, পরীক্ষা শুরুর আগে বা পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী এবং পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের আশেপাশের ফটোকপি মেশিন বন্ধ থাকবে। ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পিছিয়ে গেল রাকসু নির্বাচন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর হচ্ছে না। বর্তমানে অনূকুল পরিবেশ না থাকায় আগামী ১৬ অক্টোবর নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আজ রাকসু নির্বাচন কমিশন ২০২৫-এর পূর্ণাঙ্গ সভায় আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনপূর্ব উদ্ভূত পরিস্থিতি সার্বিকভাবে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়।
এ সভা লক্ষ্য করে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান পরিস্থিতি কোনো অবস্থাতেই রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূলে নয়।
অনুকূলে না থাকার কারণ হিসেবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এ ছাড়া নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি।
উপর্যুক্ত বিবেচনায় রাকসু নির্বাচন উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার স্বার্থে কমিশন আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে আগামী ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক জরুরি সভায় তারা এ সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়াও ফোরামের পক্ষ থেকে আগামীকাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রবিবার রাত ৮টায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল আলীম ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষকদের যারা লাঞ্ছিত করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার কার্যক্রম (ক্লাস-পরীক্ষা) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। এছাড়াও আগামীকাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বা পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে বহাল রাখার প্রতিবাদে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির জন্য আগে থেকেই ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। এরপর থেকেই শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পোষ্য কোটাকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দাবি করে একের পর এক আন্দোলন শুরু করেন।
সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে ১৮ তারিখের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা। এর প্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে জরুরি একাডেমিক কমিটির সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় ১০ শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আবার টানা আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আমরা মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি: ইউজিসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বলেছেন, যেহেতু সামনে নির্বাচন, আগের মতো দলীয়করণ যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। দলমত নির্বিশেষে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। একজন শিক্ষক আগামী প্রজন্মের কারিগর।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এর পূর্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এর পূর্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালগুলোতে এত শিক্ষক স্বল্পতা! কিছু দিনের মধ্যে আমাদের একটি মিটিং হবে। সেখানে খালি পদগুলো মঞ্জুর করার বিষয়ে ডেফিনেটলি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যতটুকু করতে পারি আমি করবো। এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা একটা টিম কাজ করছি।
পরে ভিসি বাংলোতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে ‘শিক্ষক সংকট, আবাসিকতা বৃদ্ধি, ফায়ারসার্ভিস স্টেশন, সেশনজট, খাবারের মান বৃদ্ধি ও ইকসু গঠন, মেডিকেল আধুনিকায়ন, জিয়া স্মৃতিকমপ্লেক্স’ ইত্যাদি বিষয় পূরণের দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের আবাসিকতার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ড. ফায়েজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দূরদূরান্ত থেকে স্ট্রাগল করে মেয়েরা পড়তে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে অবস্থান নেওয়ায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আমরা মঞ্জুরী কমিশন মেয়েদের আবাসিকতাকে প্রায়োরিটি দিয়ে কাজ করছি। মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টা ফার্স্ট নজরে রয়েছে।
তিনি জানান, মেয়েদের আবাসিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতেছি। বিষয়টা এমন না ছেলেদেরকে একপাশে রেখে দেয়া হচ্ছে। এরপর দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের মান বৃদ্ধির লক্ষে উন্নতমানের ক্যান্টিন ব্যবস্থা করা হবে। এটা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে কাজ করছে ইউজিসি।
ছাত্র সংসদ গঠনের বিষয়ে ড. ফায়েজ বলেন, আমি উপাচার্যের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ছাত্র সংসদ গঠনের আপডেট নিয়েছি। আমাদের কাছে আসার সাথে সাথে ফার্স্ট প্রায়োরিটি দিয়ে সহযোগিতা করে যাব। মন্ত্রণালয়ের সাথে এ বিষয়ে কথা বলা আছে।
মতবিনিময়কালে গবেষণাখাত উন্নতিকরণ বিষয়ে তিনি জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইউজিসি ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইবি থেকেও পেয়েছে। যদিও প্রথমবারের মতো বেশি সংখ্যক দিতে পারিনি৷ পরবর্তীতে এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষক শিক্ষার্থী মিলে এক হয়ে গবেষণা করবে আগামী দিনে।
উল্লেখ্য, উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাফত ছাত্র মজলিস, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জমিয়তে তালাবিয়ে আরাবিয়া, সোচ্চার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জনবল নিয়োগ দিচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, পদ ৪৩০

বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সশস্ত্র বাহিনীটি নাবিক, মহিলা নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) পদে ৪৩০ জনকে নিয়োগের লক্ষ্যে এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ জন পুরুষ ও ৩০ জন নারী। দেশের সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে আগামী ০৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ নৌবাহিনী
পদের সংখ্যা: ১০টি
লোকবল নিয়োগ: ৪৩০ জন
পদের নাম: ডিই/ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল)
পদসংখ্যা: ২৮০ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), জোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬৭.৫ সেন্টিমিটার
পদের নাম: রেগুলেটিং
পদসংখ্যা: ১২ (পুরুষ), ৮ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৭২.৫ (পুরুষ), ১৬০.০২ (মহিলা)।
পদের নাম: রাইটার
পদসংখ্যা: ১৮ (পুরুষ), ৪ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)।
পদের নাম: স্টোর
পদসংখ্যা: ১৪ (পুরুষ), ৪ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)।
পদের নাম: মিউজিশিয়ান
পদসংখ্যা: ৮ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)।
পদের নাম: মেডিকেল
পদসংখ্যা: ১০ (পুরুষ), ৬ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: জীববিজ্ঞানসহ ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান, জিপিএ–৩.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)
পদের নাম: কুক
পদসংখ্যা: ২৫ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–২.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)
পদের নাম: স্টুয়ার্ড
পদসংখ্যা: ১০ (পুরুষ), ৮ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–২.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)
পদের নাম: টোপাস
পদসংখ্যা: ১৫ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)
পদের নাম: এমওডিসি (নৌ)
পদসংখ্যা: ৮ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬৭.৫ (পুরুষ)
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ০৫ অক্টোবর ২০২৫
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

চাকরিপ্রত্যাশীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পরীক্ষা বিসিএস। এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেশের বহু গ্র্যাজুয়েট প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। তাই সেই পরীক্ষা রূপ নেয় একপ্রকার যুদ্ধে। সেই ধারাবাহিক মহারণের ৪৭তম আসরের প্রথম ধাপ তথা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় দেশের ২৫৬ কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তিন লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ চাকরিপ্রার্থী। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা। সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন তারা।
সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সাড়ে ৮টা বাজার পরপরই পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করা শুরু করেন। পরীক্ষা শুরুর পর বাইরে তাদের অভিভাবকরা অপেক্ষা করছেন।
পরীক্ষা শুরুর আগে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে কথা হয়। জান্নাতুল সুলতানা নামের একজন বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করেছি অল্প কিছুদিন হয়েছে। এটাই প্রথম কোনো চাকরির পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই একটু নার্ভাস ফিল করছি। প্রস্তুতিও ততটা নিতে পারিনি। তবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করাটাকে আমি জরুরি মনে করি।
হাজারীবাগ সরকারি কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা রাফিদ করীম নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রস্তুতি ভালো। তবে পদের তুলনায় প্রতিযোগী অনেক বেশি। তবুও আশাবাদী। আশা করি ভালো কিছু হবে।