ব্যাংক
বাধ্যতামূলক ছুটিতে ইসলামী ব্যাংকের এমডি

ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে আজ সোমবার থেকে তিন মাসের ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে মুনিরুল মওলার অনিয়ম তুলে ধরে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি। চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলমের ঋণ সংক্রান্ত অনিয়মে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার কারণে মুনিরুল মওলার বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসলামী ব্যাংক।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৩৫৯তম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ব্যাংকটির অতিরিক্ত এমডি ওমর ফারুক খানকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক ব্যাংকার ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে চেয়ারম্যান করে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৭ সাল থেকে ব্যাংকটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এস আলমের মালিকানাধীন গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নতুন পর্ষদ গঠনের পর অনিয়ম খুঁজতে চারটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়।
ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এসব নিরীক্ষায় এস আলম–সংশ্লিষ্ট প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার ঋণে অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসে। এতে এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ পরিচালনা পর্ষদের সভায় এমডিকে তিন মাসের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী তাঁকে যেন অপসারণ করে, এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে তাঁর অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে চিঠি দেবে ইসলামী ব্যাংক। সাধারণত ব্যাংকের এমডিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এ ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক উদ্যোগী হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিচ্ছে।
ইসলামী ব্যাংক তদারকিতে যুক্ত থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এস আলম পালিয়ে গেলেও এমডি বহাল তবিয়তে ছিলেন। এটি ব্যাংকটির কর্মকর্তারা কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন না। এ জন্য পর্ষদ বাধ্য হয়ে এমডিকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। এ ছাড়া নিরীক্ষা প্রতিবেদন স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য এমডিকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া বিকল্প ছিল না।

অর্থনীতি
আয়কর রিটার্ন ছাড়া ২৪টি সেবা বন্ধ, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করে নতুন একটি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। একই সাথে ব্যাংক ঋণ, আমানত ও সঞ্চয়পত্রসহ ২৪টি সেবায় আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকারের এ নির্দেশনা মেনে ঋণ, আমানত ও সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি সার্কুলারের মাধ্যমে সব তফসিলি ব্যাংককে জানানো হয়েছে, এখন থেকে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের আগে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে গ্রাহকদেরকে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি ১০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদি আমানত রাখেন বা ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিলের কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে রিটার্ন বাধ্যতামূলক। শুধু এই তিনটি নয়, মোট ২৪টি ব্যাংক সেবার ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এর আগে, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করেছে। গেজেট অনুযায়ী, এসব আর্থিক লেনদেন ও কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে, তা না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষ সেবা দিতে বাধ্য থাকবে না।
গেজেটে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি যদি ১০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের মেয়াদি আমানত খুলতে চান বা তা চালু রাখতে চান, তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট অর্থবছরের আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। একইভাবে ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রেও একই শর্ত প্রযোজ্য হবে।
এছাড়া বড় অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কেনা, কোনো কোম্পানির পরিচালক বা স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হওয়া, আমদানি-রপ্তানি নিবন্ধন সনদ নবায়ন, ট্রেড লাইসেন্স বা পেশাজীবী লাইসেন্স নবায়ন, জমি বা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমেও রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সেইসঙ্গে ড্রাগ লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, অগ্নিনির্বাপণ ছাড়পত্র, ট্রলার ও নৌযানের সার্ভে সার্টিফিকেট, এমনকি স্কুলে শিশুর ভর্তি কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স গ্রহণের মতো ক্ষেত্রেও রিটার্ন দাখিলের প্রয়োজন হবে।
আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করার এই উদ্যোগের মাধ্যমে করজালের আওতা বাড়ানো, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি এবং আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বৈত কর পরিহার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে দেশীয় আইন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।
নতুন এই নিয়মের ফলে অধিক সংখ্যক নাগরিক আয়কর রিটার্ন দাখিলে আগ্রহী হবেন এবং দেশে কর সচেতনতা বাড়বে বলে আশা করছে সরকার।
কাফি
ব্যাংক
নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট (এমপিএস) বা মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৩টায় ঢাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আনুষ্ঠানিকভাবে এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় গভর্নর বর্তমান মুদ্রানীতির আওতায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করতে বর্তমান এমপিএসের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদসহ ব্যাংকের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি বছরের জুনের শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে মাত্র ছয় দশমিক চার শতাংশ, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অথচ লক্ষ্যমাত্রা ছিল নয় দশমিক আট শতাংশ। এমন বাস্তবতায় ঋণপ্রবাহের বর্তমান ধারা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক
পদত্যাগ করলেন মেঘনা ব্যাংকের এমডি

মেঘনা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিইও) কাজী আহসান খলিল পদত্যাগ করেছেন।
রবিবার (২৭ জুলাই) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে কাজী আহসান খলিল পদত্যাগপত্র জমা দেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও অনুলিপি দিয়েছেন তিনি।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি আর মেঘনা ব্যাংকে দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী নন। সে কারণে কর্মচুক্তির সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী তিনি ২৭ অক্টোবর ২০২৫ কার্যদিবস শেষে ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করছেন।
পদত্যাগপত্রে তিনি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে অনুরোধ করেছেন, নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী তার পদত্যাগ গ্রহণ করে তাকে ব্যাংকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আশরাফুল আলম এবং ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিমালা বিভাগের (বিআরপিডি) পরিচালক বরাবরও চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
ব্যাংক
পোশাক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা প্রত্যাহার

কর্মীদের পোশাক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগীয় সভায় সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অফিস সময়ে শালীন পোশাক পরিধানের বিষয়ে আলোচনা ও পরামর্শ দেওয়া হলেও তা ছিল শুধু প্রস্তাবনা পর্যায়ে। বিষয়টি কোনোভাবেই বাধ্যতামূলক নির্দেশনা কিংবা নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল না।
‘তবে, বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এবং তা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নজরে এলে তিনি বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার নির্দেশে এই অভ্যন্তরীণ আলোচনা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পুরো বিষয়টি প্রত্যাহার করা হয়েছে।’ বলেন আরিফ হোসেন খান।
ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা থাকলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কুলার আকারে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে একটি পত্রিকার অনলাইনে ‘নারী কর্মীদের ছোট হাতা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক, লেগিংস পরা বাদ দিতে বলল বাংলাদেশ ব্যাংক’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ থেকে ২১ জুলাই জারি করা সার্কুলারে সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য নির্ধারিত পোশাক পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় নারী কর্মীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না এবং অন্যান্য পেশাদার ও শালীন পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ছোট হাতা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক এবং লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা এবং সাদামাটা হিজাব বা হেডস্কার্ফ পরার কথাও উল্লেখ করা হয়।
তবে এদিন রাতেই বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মস্থলে তাদের কর্মীদের পোশাক নিয়ে জারি করা সাম্প্রতিক সার্কুলারকে ‘পরামর্শমূলক’ হিসেবে ব্যাখ্যা করে।
কেন্দ্রেীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এই নির্দেশনার মাধ্যমে অতি জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক নিরুৎসাহিত করা হলেও এতে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর পোশাকের স্বাধীনতা খর্ব হবে না।
ব্যাংক
পোশাক নিয়ে নির্দেশনা পরামর্শমূলক, স্বাধীনতা খর্ব হবে না: বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মস্থলে তাদের কর্মীদের পোশাক নিয়ে জারি করা সাম্প্রতিক সার্কুলারকে ‘পরামর্শমূলক’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে।
কেন্দ্রেীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এই নির্দেশনার মাধ্যমে অতি জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক নিরুৎসাহিত করা হলেও এতে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর পোশাকের স্বাধীনতা খর্ব হবে না।
বুধবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ৫১ মিনিটে এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য জানায়।
এর আগে এদিন রাতেই একটি পত্রিকার অনলাইনে ‘নারী কর্মীদের ছোট হাতা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক, লেগিংস পরা বাদ দিতে বলল বাংলাদেশ ব্যাংক’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ থেকে ২১ জুলাই জারি করা সার্কুলারে সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য নির্ধারিত পোশাক পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় নারী কর্মীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না এবং অন্যান্য পেশাদার ও শালীন পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ছোট হাতা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক এবং লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা এবং সাদামাটা হিজাব বা হেডস্কার্ফ পরার কথাও উল্লেখ করা হয়।
পুরুষ কর্মীদের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তারা লম্বা বা হাফ হাতার ফরমাল শার্ট ও প্যান্ট পরিধান করবেন। জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনার কথাও সার্কুলারে উল্লেখ ছিল।
তবে বুধবার রাতের বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বয়স ও ব্যাকগ্রাউন্ডের পার্থক্যের কারণে পোশাকেও বৈচিত্র্য দেখা যায়। এই বৈচিত্র্যের কারণে সহকর্মীদের মাঝে মানসিক দূরত্ব তৈরি হতে পারে, যা কমিয়ে বোঝাপড়া এবং পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত করতেই এ সার্কুলার দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এটি কোনো বাধ্যতামূলক নির্দেশনা নয়। নারী সহকর্মীদের বোরকা বা হিজাব পরার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।