অর্থনীতি
যমুনা সেতুতে একদিনে টোল আদায় দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ফাঁকা রাজধানী ঢাকা। নাড়ির টানে ঘরে ফিরেছে মানুষ। তবে ঈদের আগের দিনে উত্তরবঙ্গসহ কয়েকটি রুটের ঘরমুখো এসব যাত্রীদের বহন করা বিভিন্ন গাড়ি পারি দিয়েছে যমুনা সেতু। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সেতুর ওপর দিয়ে ৩১ হাজার ৪৬৫ টি গাড়ি চলাচল করেছে। এতে উভয় পাশে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ২৫ লাখ ২৬ হাজার ৮৫০ টাকা।
সোমবার (৩১ মার্চ) ভোরে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত যমুনা সেতু দিয়ে গাড়ি পারাপার হয়েছে ৩১ হাজার ৪৬৫ টি। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ২১ হাজার ১২৬ ও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে ১০ হাজার ৩৩৯ গাড়ি চলাচল করেছে।
এরমধ্যে পূর্ব টোলপ্লাজায় এক কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা ও পশ্চিম টোলপ্লাজায় আদায় হয়েছে ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা।
তিনি আরও জানান গত ২৪ ঘণ্টার শুরুর দিকে গাড়ির চাপ থাকলেও পরে আস্তে আস্তে তা কমে যায়। আজ এ সংখ্যা আরও কমবে।

অর্থনীতি
উদ্বোধনের দিনেই ১০ হাজারের বেশি ই-রিটার্ন জমা

চার শ্রেণির ব্যক্তি ছাড়া সবার জন্য অনলাইন রিটার্ন বাধ্যতামূলক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কার্যক্রম উদ্বোধনের প্রথম দিনেই ১০ হাজারের বেশি করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার (৪ আগস্ট) অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিনেই অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিলে করদাতারা ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। ১০ হাজার ২০২ জন আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন।
এনবিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ অনলাইন রিটার্ন দাখিল শুরু হলে প্রথম দিনে ২ হাজার ৩৪৪ জন করদাতা অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। সে হিসেবে এবারে ২০২৫-২৬ কর বছরের ই-রিটার্ন দাখিল শুরুর দিনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ।
গত বছর ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য সীমিত পরিসরে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তখন সাড়া দিয়ে প্রায় ১৭ লাখ করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেন।
এর আগে, গত ৩ আগস্ট এনবিআর একটি বিশেষ আদেশ জারি করে জানায়, ২০২৫-২৬ কর বছর থেকে দেশে অবস্থানরত সব ব্যক্তি করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। তবে, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, প্রবাসী করদাতা এবং মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য নয়।
এছাড়া যেসব করদাতা ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন করতে না পারার যৌক্তিক সমস্যায় পড়বেন, তারা ৩১ অক্টোবর ২০২৫ এর মধ্যে উপকর কমিশনার বরাবর আবেদন করলে অনুমোদনের ভিত্তিতে কাগজে (পেপার রিটার্ন) রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
বর্তমানে করদাতারা ঘরে বসেই অনলাইনে কর পরিশোধ এবং রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন। ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে আয়কর পরিশোধ করা যাচ্ছে। রিটার্ন দাখিল শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র এবং আয়কর সনদ সংগ্রহ করা যাচ্ছে।
এনবিআর জানিয়েছে, করদাতারা অনলাইন রিটার্ন দাখিলে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য কল সেন্টার ও অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
অর্থনীতি
রপ্তানি আয় ২৫ শতাংশ বেড়ে ৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার

দেশের রপ্তানি আয় চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, জুলাই মাসে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত বছরের একই মাসে (অর্থবছর ২০২৪-২৫) ৩.৮২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির তুলনায় ২৪.৯০ শতাংশ বেশি।
মোট ৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত থেকে আয় হয়েছে ৩.৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২৪.৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে নিটওয়্যার রপ্তানি ২৬.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.১৭ বিলিয়ন ডলার। ওভেন পোশাক রপ্তানি ২৩.০৮ শতাংশ বেড়ে ১.৭৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং হোম টেক্সটাইলস খাতে রপ্তানি আয় ১৩.২৪ শতাংশ বেড়ে ৬৮.০৮ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, পাট ও পাটজাত পণ্যে রপ্তানি আয় ৪.৯২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫.৪৪ মিলিয়ন ডলার এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১২৭.৩৮ মিলিয়ন ডলার, যা ২৯.৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৯০.৫০ মিলিয়ন ডলার, যা ১২.৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
হিমায়িত ও জ্যান্ত মাছ রপ্তানি ৪২.৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১.২০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, এর মধ্যে চিংড়ি রপ্তানি ৪৭.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩১.২৩ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যে রপ্তানি আয় ৭৪.৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৮.২৩ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং প্লাস্টিক পণ্যে রপ্তানি আয় হয়েছে ২১.১৬ মিলিয়ন ডলার, যা ৭.৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
অর্থনীতি
ব্যাংকের পর্ষদ সভায় দ্বিমত–পর্যবেক্ষণ কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধের নির্দেশ

ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পরিচালকদের কারও আলোচ্যসূচি নিয়ে কোনো দ্বিমত বা পর্যবেক্ষণ থাকলে এখন থেকে তা কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি যেসব ব্যাংকের পর্ষদে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক রয়েছেন, তাঁরা কোনো মতামত দিলে সেটিও কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও পর্যবেক্ষকদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (০৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও পরিচালনা পর্ষদের সহায়ক কমিটির সভায় উপস্থাপিত কোনো বিষয়ে কোনো সদস্য নোট অব ডিসেন্ট বা নিজস্ব মতামত দিলে তা কার্যবিবরণীতে উল্লেখের বিধান রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো অনেক ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা পালন করছে না। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির সভায় উপস্থাপিত কোনো বিষয়/এজেন্ডার ওপর ওই সভায় যে আলোচনা হয় এবং পরিচালকসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক যেসব মতামত দেন, তা সভার কার্যবিবরণীতে যথাযথভাবে উল্লেখ করা হয় না। ফলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির সভায় কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এ জন্য পরিচালনা পর্ষদের সদস্যের কার্যকর অংশগ্রহণ ও অবদান রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নতুন নীতিমালা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
এ নীতিমালায় বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির সভায় উপস্থাপিত কোনো বিষয়ের ওপর কোনো আলোচনা এবং কোনো পরিচালকের দ্বিমত, ভিন্ন মতামত বা পর্যবেক্ষণ থাকলে তা সভার কার্যবিবরণীতে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সভায় আলোচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও সহায়ক কমিটির সব পর্যবেক্ষণ বা সুপারিশও কার্যবিবরণীতে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে। এ ছাড়া কোনো ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক থাকলে এবং সভায় উপস্থাপিত কোনো বিষয়ের ওপর ওই পর্যবেক্ষক কোনো মতামত বা পর্যবেক্ষণ দিলে, তা–ও সভার কার্যবিবরণীতে যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, গত এক দশকে ব্যাংকের যেসব ঋণে অনিয়ম হয়েছে, সেসব ঋণের বিষয়ে পর্ষদ সভার কার্যবিবরণীতে কারও কোনো দ্বিমত পাওয়া যায়নি। ফলে এখন পর্ষদের সবাই আইনের আওতায় আসছেন। এখন সময় এসেছে পর্ষদে কার কী ভূমিকা, তা সুস্পষ্ট করার। যাতে ভবিষ্যতে দোষী কেউ ধরাছোঁয়ার বাইরে না থাকেন। এতে সৎ পরিচালকেরা তাঁদের ভূমিকা পালনে উৎসাহিত হবেন।
অর্থনীতি
অনিয়মের অভিযোগে ‘বিনিময়’ প্ল্যাটফর্ম স্থগিত

অনিয়ম ও চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তঃকার্যকর ডিজিটাল লেনদেন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২২ সালের নভেম্বরে চালু হওয়া এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (পিএসপি) মধ্যে লেনদেন সহজ করার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছিল। এটি তৈরি করে আইসিটি বিভাগের আওতাধীন আইডিয়া প্রকল্প, ব্যয় হয় প্রায় ৬৫ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, (বিনিময় প্ল্যাটফর্ম চালু করতে) তাদের ওপর চুক্তি সইয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংক মাসের পর মাস কোনো রক্ষণাবেক্ষণ ফি পায়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা চুক্তি যাচাইয়ের সুযোগ না পেয়ে বাধ্য হয়েই এটি চালু করি। শুরু থেকেই ছিল অনিয়ম। এখন আমরা এটি আইনগতভাবে বাতিল করেছি।
চুক্তি অনুযায়ী সরকার থেকে অর্থ পাওয়ার কথা থাকলেও সাত–আট মাস ধরে কোনো অর্থ পায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
‘বিনিময়’ ব্যবহারে আগ্রহ ছিল না অনেক ব্যাংকেরই। ইন্টারফেস জটিল হওয়ায় ব্যবহারকারীরাও আগ্রহ দেখায়নি। এখন নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম ‘মোজালুপ’-এর সহায়তায় তৈরি হচ্ছে, যা গেটস ফাউন্ডেশন দ্বারা সমর্থিত।
বর্তমানে বিকাশ, রকেট, এমক্যাশসহ ৮টি ব্যাংক এবং ২টি পিএসপি ‘বিনিময়’ ব্যবহার করছিল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি সহজ ও কার্যকর আন্তঃকার্যকর প্ল্যাটফর্ম চালু হলে দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট খাতে বড় পরিবর্তন আসবে।
অর্থনীতি
অর্থনীতিবিদরা সরকারের ভালো কাজ দেখেন না: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থনীতিবিদরা শুধু সরকারের ভুলগুলোই দেখেন, ভালো কাজ দেখেন না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অন্তর দিয়ে দেখলে ভুলের পাশাপাশি ভালো কাজও দেখতে পারবেন।
সোমবার (০৪ আগস্ট) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর, মূসক, ও কাস্টমস বিষয়ে নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এনবিআরের ভেতরে সেবার মান বাড়াতে হবে। টেবিলে ভালো করে সাজিয়ে রেখে ভেতরে সারশূন্য হলে ভুক্তভোগীরা খারাপ সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও মনোনিবেশ করতে হবে।
স্বচ্ছতা বাড়াতে তথ্যপ্রবাহে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাজেটে নেওয়া উদ্যোগগুলো গণমাধ্যমের সঙ্গে শেয়ারের মতো কাজ করছে এনবিআর। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ওয়েবসাইটে তথ্য দেওয়ার মতো আরও যেসব কার্যক্রম আছে, সেগুলো চালাতে হবে। এতে যারা সেবা নেবেন, তাদের সুবিধা হবে, আবার যারা সেবা দিচ্ছেন তাদেরও সহজ হবে।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি দৌলত আক্তার মালা বলেন, বাজেটের পর সংবাদ সম্মেলন করে বাজেট সম্পর্কে জানানো হয়। তবে মূসক, আয়কর ও কাস্টমসের মতো অনেক জটিল বিষয় থাকে, যা আমরাও বুঝি না। ফলে অনেক তথ্য আমরা পাঠককে জানাতে পারি না। বাজেটের পর এনবিআর সেমিনারের মাধ্যমে জানানোর ব্যবস্থা করলে বাজেট সম্পর্কে দেশের মানুষকে জানানোর কাজটি সহজ হবে।
শুল্কবিষয়ক প্রবন্ধে প্রথম সচিব রইস উদ্দিন বলেন, আমদানির ক্ষেত্র, ভুল ঘোষণার শাস্তি হিসাবে আগে ২০০ থেকে ৪০০ শতাংশ জরিমানা ছিল, চলতি অর্থবছরের বাজেট তা কমিয়ে শতভাগ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ শতাংশ করা হয়েছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।