জাতীয়
ছুটি শুরুর আগেই লঞ্চের ৯৫ শতাংশ টিকিট শেষ

পদ্মা সেতু চালুর আগে ঢাকা ও বরিশাল প্রান্ত থেকে মোট ১৪টি লঞ্চ প্রতিদিন যাত্রী পারাপার করতো। সেতু চালুর পর যাত্রী সংকটে মাত্র চারটি লঞ্চ দুই দিক থেকে যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যাত্রী সংকট ছিল ব্যাপক। তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে ঘিরে ভিন্নরূপ দেখা গেছে বরিশাল নদী বন্দরে।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছুটি শুরুর আগেই প্রায় ৯৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ফিরতি টিকেটেরও চাহিদা বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে- ডেকের যাত্রীও লাভের মুখ দেখাবে লঞ্চ মালিকদের।
বরিশাল নদী বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, পাঁচটি লঞ্চ নোঙর করা। প্রতিটি লঞ্চেই ধোয়া-মোছা আর সাজসজ্জার কাজ চলছে। ছুটিতে থাকা স্টাফদের তাগিদ দিয়ে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) থেকেই ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস চালু হবে। স্পেশাল সার্ভিসের মধ্য দিয়ে এই রুটে যুক্ত হচ্ছে এক হাজার যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন নতুন লঞ্চ এমভি এমখান-৭।
এমভি মানামী লঞ্চের স্টাফ প্রান্ত বলেন, কয়েকদিনের চেষ্টায় পুরো লঞ্চটিকে আমরা নতুন রূপ দিয়েছি। বিভিন্ন স্থানে রঙ করা হয়েছে, কেবিনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে যাত্রীদের সবচেয়ে ভালো সেবা দিতে আমাদের এই প্রস্তুতি।
মনির হোসেন নামে আরেক স্টাফ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর সারা বছরই যাত্রী সংকট থাকে। ঈদে ও কোরবানিতে কিছু যাত্রী হয়। যদিও গতকালকের ট্রিপে আশানুরুপ যাত্রী হয়নি, তবে কাউন্টার থেকে যা জানানো হয়েছে তাতে ঈদের ছুটি শুরু হলে ভিড় বাড়বে।
বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে স্পেশাল সার্ভিসসহ বরিশাল-ঢাকা রুটে এবার মোট ১৯টি বিলাসবহুল লঞ্চ যাত্রী সেবা দেবে। আরও ২-৩টি লঞ্চ ভায়া রুটে যাত্রী পরিবহন করবে। সমস্ত লঞ্চে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে যাত্রীরা বলছেন- তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সড়ক পথ ছেড়ে নৌপথে ঈদযাত্রা বেছে নিয়েছেন।
শাহনেওয়াজ নামে এক যাত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে লঞ্চে যাতায়াত খুবই আরামদায়ক। ঈদের সময় সড়কে দেখা যায় বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতা। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছুটে চলায় দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। আমরা ঈদের যাত্রায় ঝুঁকি নিতে চাই না দেখে লঞ্চে টিকিট নিয়েছি।
আরেক যাত্রী বেলায়েত হোসেন বলেন, আমার বন্ধুর জন্য লঞ্চের টিকিট নিতে এসেছি। বরিশাল অঞ্চলের সড়ক সরু। পর্যাপ্ত স্থান না থাকায় এবং বাসগুলোর দ্রুত চালানোর প্রবণতায় মারাত্মক ঝুঁকি মনে হয়। তাছাড়া জায়গায় জায়গায় যানজট থাকায় লঞ্চই আমাদের কাছে পছন্দের।
ষাটোর্ধ্ব মনিরুল ইসলাম বলেন, পরিবারসহ লঞ্চে আমরা এসেছি। আজকে এসেছিলাম ফিরতি টিকিট নিতে। টিকেটের মূল্য কোনো অংশে কমায়নি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। তারপরও সড়কের চেয়ে লঞ্চ নিরাপদ দেখে পরিবারসহ লঞ্চেই আমরা যাতায়াত করি।
৯৫ শতাংশ কেবিন বিক্রি শেষ
লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ১৯টি লঞ্চে বিভিন্ন মানের প্রায় পাঁচ হাজার কেবিন রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি লঞ্চই ডেকে হাজারের অধিক যাত্রী বহন করতে পারে।
এমভি আওলাদ-১০ লঞ্চের ব্যবস্থাপক অভিজিৎ সরকার বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে ১২ মার্চ থেকেই আমরা অগ্রিম টিকিট ছেড়েছি। ইতোমধ্যে কেবিনের প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। আমরা লাভবান হবো কিনা তা বোঝা যাবে ভাসমান যাত্রী অর্থাৎ ডেকের যাত্রীদের ওপর নির্ভর করে।
এমভি মানামী লঞ্চের ব্যবস্থাপক জিয়াউল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ঈদ প্রস্তুতি আমাদের খুব ভালো। ইতোমধ্যে আসা এবং ফিরতি ট্রিপে কেবিন প্রায় ৯৫ শতাংশ বিক্রি হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত যাত্রীর চাপ না থাকলেও আগামী কয়েকদিনে বোঝা যাবে আমরা কেমন থাকবো।
এমভি সুন্দরবন লঞ্চের পরিচালক বলেন, এ বছর যাত্রীর চাপ হবে বলে প্রত্যাশা করছি। আমরা সবগুলো লঞ্চ প্রস্তুত রেখেছি। যদিও এখনো যাত্রী বাড়েনি। লম্বা ছুটি হওয়ায় ক্রমে ক্রমে যাত্রী আসবে বলে আশাবাদী।
সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক আকতার হোসেন আকাজ বলেন, এ বছর যাত্রীর চাপ হবে বলে প্রত্যাশা করছি। আমরা সবগুলো লঞ্চ প্রস্তুত রেখেছি। যদিও এখনো যাত্রী বাড়েনি। লম্বা ছুটি হওয়ায় ক্রমে ক্রমে যাত্রী আসবে বলে আশাবাদী।
যা বলছে কর্তৃপক্ষ
বরিশাল নদী বন্দরে কন্ট্রোল রুম ও হেল্প ডেস্ক ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। যাত্রী সেবায় মেডিকেল টিমও থাকবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, গোয়েন্দাসহ অন্যান্য বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বরিশাল সদর নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নৌ বন্দর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বরিশাল নদী বন্দরের কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা কাজ করছি। আশা করছি নৌপথে এবারের ঈদ যাত্রা সুন্দর হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ডিএমপি কমিশনারের কুশল বিনিময়

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা, সমৃদ্ধি এবং দেশবাসীর শান্তি ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে ডিএমপি কমিশনার পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য এবং মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।
ডিএমপি কমিশনার মেস পরিদর্শন করে পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নেন। তিনি নিজেদের ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে জনগণের ঈদ আনন্দ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গেও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদে ট্রেনের ফিরতি যাত্রা শুরু ২ এপ্রিল

আপাতত ট্রেন স্টেশনগুলোতে কোনো ব্যতিব্যস্ততা নেই। ঈদের পর ফিরতি যাত্রা শুরু হবে তবে ২ এপ্রিল থেকে। সেদিন থেকেই পুরোদমে চলবে ট্রেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, দু-একটি লাইনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকলেও প্ল্যাটফর্মগুলো ফাঁকা। টিকিট কাউন্টার তালাবদ্ধ।
স্টেশনে কথা হয় খোরশেদ আলম নামে একজনের সঙ্গে। ঝামেলা এড়াতে তিনি ঈদের দিনটিকেই বেছে নেন বাড়ি যাওয়ার জন্য। সকালে পরিবার নিয়ে ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে আসেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য, চলছে না ট্রেন।
এ ছাড়াও বেশ কিছু যাত্রী গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কমলাপুর এলেও, তারা ট্রেন পাননি। স্টেশনে এসে শুনতে পান, আজ দিনের বেলা কোনো ট্রেন নেই।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ৭১টি ট্রেন চলাচল করেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ঈদের ফিরতি যাত্রায় ঢাকামুখী ৩০ হাজার ৪৯১টি টিকিট বিক্রি করেছে। গত কয়েক দিন কমলাপুর স্টেশনে টিকিট ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আগামী ২ এপ্রিল থেকে ফিরতি যাত্রা শুরু হবে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ট্রেনের সময়সূচি ঠিক রাখতে এবং যাত্রীদের সুবিধার্থে ঢাকা অভিমুখী ৯টি ট্রেনের বিমানবন্দর স্টেশনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়েছে। ঢাকামুখী ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ঢাকামুখী এবং ঢাকা স্টেশন থেকে জয়দেবপুরমুখী ট্রেনের টিকিট ইস্যু বন্ধ রাখা হয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের কর্মকর্তা (স্টেশন মাস্টার) আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ ঈদের দিন আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দিনের বেলা সবাই ছুটিতে রয়েছেন। রাতে আমাদের দুটি ট্রেন চলবে। ভাওয়াল এক্সপ্রেস রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দেওয়ানগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, আজ শুধু এই দুটি ট্রেনই চলবে। মঙ্গলবার (১ মে) কিছু কম চলবে। ৭১টি ট্রেনের মধ্যে ৪৫টি ট্রেন দিনের বিভিন্ন সময় ছেড়ে যাবে। ২ এপ্রিল থেকে আমাদের ফিরতি ঈদযাত্রা শুরু হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ

বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সোমবার (৩১ মার্চ) ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপে এই শুভেচ্ছা জানান তিনি।
এছাড়া সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শেহবাজ। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী ২২ এপ্রিল বাংলাদেশে আসছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উভয় নেতার এই ফোনালাপে বাংলাদেশের খ্যাতনামা ও কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে একথা জানিয়েছেন শেহবাজ শরিফ।
এক্সে দেওয়া ওই পোস্টে পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে টেলিফোনে মনোরম কথোপকথন হয়েছে। ফোনালাপে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি এবং পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।
শেহবাজ শরিফ আরও বলেন, আগামী ২২ এপ্রিল একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী/পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে তার সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তান সফরের জন্য আমার আন্তরিক আমন্ত্রণ পুনর্ব্যক্ত করেছি এবং কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লাকে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে একটি সাংস্কৃতিক দলকে পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যেসব এলাকায় ৪৮ ঘণ্টা গ্যাসের চাপ কম থাকবে

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) অফ-ট্রান্সমিসন পয়েন্টে জরুরি টাই-ইন কাজের জন্য মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে।
সোমবার (৩১ মার্চ) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস।
বার্তায় বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টা তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত জয়দেবপুর, টঙ্গী, চন্দ্রা, কোনাবাড়ী, আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ এলাকা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাত অনুষ্ঠিত

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকাল ৭, ৮, ৯, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ঈদের নামাজ পড়তে প্রথম কয়েকটি জামাতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল বায়তুল মোকাররম মসজিদে।
প্রতি জামাতে বয়ানের পর দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ হয়, এরপর খুতবা দেন ইমাম, শেষে হয় মোনাজাত। প্রতিটি জামাত শেষ হতে ৩০ মিনিটের মত সময় লেগেছে।
ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ পড়তে ফজরের নামাজের পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা বায়তুল মোকাররমে আসতে শুরু করেন। সকাল ৭টা বাজার আগেই মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
ঈদ জামাত উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম ঘিরে নেওয়া হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রবেশ গেটগুলোতে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। গেটগুলোতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল।
ঠিক সকাল ৭টায় প্রথম জামাত শুরু হয়। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ, খুতবা ও মোনাজাতসহ প্রথম জামাত শেষ হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত শেষ হয় ৮টা ২৫ মিনিটে। এরপর পর্যায়ক্রমে তিনটি জামাত হয়।
প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
প্রথম জামাতের শুরুতে ইমাম তিন তাকবীর না দিয়েই কেরাত পাঠ করতে থাকেন। এ সময় মুসল্লিরা লোকমা দিতে থাকলে ইমাম নামাজ ছেড়ে দিয়ে ফের নিয়ত বাধতে বলেন।
সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন প্রধান খাদেম মো. নাসির উল্লাহ।
তৃতীয় জামাতে ইমাম হিসেবে ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান। সকাল ৯টায় এ জামাত শুরু হয়। এ জামাতে মুকাব্বিরের দায়িত্বে ছিলেন মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।
চতুর্থ জামাত হয় সকাল ১০টায়। এ জামাতের ইমাম ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ এবং মুকাব্বির ছিলেন খাদেম মো. আলাউদ্দীন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হয় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ এ জামাতে ইমামতি করেন। তার সঙ্গে মুকাব্বির ছিলেন মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
প্রায় প্রতিটি মোনাজাতে গুনাহ মাফের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়। মুসল্লিরা অনেকেই চোখের জলে আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আল্লাহর কাছে মৃত প্রিয়জনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।
মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। বর্তমান সরকারের জন্য দোয়া করা হয়। একই সঙ্গে মোনাজাতে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন মুসল্লিরা।
জামাতগুলো শেষে মুসল্লিদের একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। মসজিদ চত্বরে মুসল্লিদের সেলফিতে মেতে উঠতে দেখা গেছে। নারী এবং শিশুরাও বায়তুল মোকাররমের ঈদ জামাতে অংশ নিয়েছেন।
জাতীয় মসজিদে ঈদ জামাতের ছবি তুলতে অনেক বিদেশি আলোকচিত্রীকে দেখা গেছে। জামাত উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমের প্রবেশ এবং বের হওয়ার গেটে বিপুল সংখ্যক ভিক্ষুক ছিল। অনেক ভিক্ষুক মসজিদের মধ্যে প্রবেশ করে ভিক্ষা করছিলেন।