অর্থনীতি
লভ্যাংশ বিতরণের শর্ত শিথিলতার দাবি বিএবি’র
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে ২০২৪ সালে ডেফারেল সুবিধা নেওয়া কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না। তবে ব্যাংকগুলো যেন আগের নিয়ম অনুসারে ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারে সে দাবি জানিয়েছে বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি)।
সংগঠনটির মতে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ শর্ত শিথিল করা উচিত। নতুন নিয়ম ২০২৫ সাল থেকে প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে দেখা করেন বিএবি চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে কয়েকটি ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তারা শর্ত শিথিল করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে অনুরোধ জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর, সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৩ মার্চ একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যেখানে বলা হয়েছে- ২০২৪ সালের সমাপ্ত বছরে ডিভিডেন্ড বিতরণের জন্য ২০২১ সালের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ওই নির্দেশনায় ডেফারেল নেওয়া ব্যাংকগুলোকে ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। ফলে ডেফারেল সুবিধা নেওয়া ব্যাংক ২০২৪ সালে কোনো ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারবে না।
বিএবির নেতারা জানান, শর্তশিথিল হলে ডেফারেল সুবিধা নেওয়া ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালে ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারবে। এতে ব্যাংকগুলোকে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে আরও টানতে সহায়তা করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
বেড়েছে ডিমের দাম, কমেছে মুরগির

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডিমের দাম ডজনে প্রায় ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। তবে এসময়ে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এছাড়া বেশির ভাগ সবজির দামে চড়াভাব এখনো কাটেনি। তবে কিছু কিছু সবজি আগের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে রাজধানী রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও তালতলা ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন বাজারে প্রোটিনের সস্তা উৎস হিসেবে পরিচিত ডিমের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে ছিল। এখন দাম বাড়ায় তাদের কেউ কেউ উষ্মা প্রকাশ করছেন। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এতদিন ডিম বিক্রি করে লোকসান করেছেন খামারিরা। এখন দাম কিছুটা বাড়লে সেটি খামারিদের জন্য ন্যায্য হবে।
মালিবাগ বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, বর্ষার এ মৌসুমে অন্যান্য বছর ডিমের দাম আরও বেশি থাকতো। এ বছর অনেকদিন ধরে ডিমের দাম কম, খামারিরা লোকসান গুনছেন। অনেক খামার বন্ধও হয়ে গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় বাজারগুলোতে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন হিসাবে। পাড়া-মহল্লায় প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেখানে গত সপ্তাহেও এ দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে এখন ব্রয়লার ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে কিছু কিছু দোকানে গরুর মাংস কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। আগে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ৭৮০ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন অনেক বিক্রেতা। তবে দরদাম করে আগের দামে কেনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
পুরোনো মিনিকেট চাল বাড়তি দামে বিক্রি হলেও কিছুটা কমেছে বাজারে নতুন আসা মিনিকেট। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরোনো মিনিকেট চাল যেখানে সর্বনিম্ন ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে নতুন মিনিকেটের কেজি ৭০ টাকা। তবে ভালো মানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরোনো মিনিকেট চাল এখনো সর্বোচ্চ ৮৫-৮৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
বাজারে এখন গ্রীষ্মের পটোল-ঢ্যাঁড়সের মতো সবজিগুলো অন্যসময়ের তুলনায় কম দামে কেনা যাচ্ছে। এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০-৬০ টাকায়। এছাড়া চিচিঙ্গা, ঝিঙে, কাকরোল, উস্তা, বেগুন ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
সবজি বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে, দামও কমছে। তবে বাজার এখনো ওঠানামা করছে। বৃষ্টিতে সরবরাহ কমলে দাম বাড়ছে। এছাড়া প্রতিদিনই দামে কিছুটা হেরফের হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সর্বজনীন পেনশনের চাঁদার টাকা নিতে ১২ ব্যাংকের সঙ্গে এমওইউ

সর্বজনীন পেনশন স্কিমগুলোর রেজিস্ট্রেশন ও চাঁদার টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে ১২টি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। এর আগে আরও ১২টি ব্যাংকের সঙ্গে এমওইউ সই করা হয়। ফলে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের চাঁদার টাকা সংগ্রহে মোট ২৪টি ব্যাংকের সঙ্গে এমওইউর সই হলো।
বৃহস্পতিবার নতুন করে ১২টি ব্যাংকের সঙ্গে এমওইউ সই করার তথ্য জানিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে দেশীয় মালিকানাধীন সব ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
নতুন করে এমওইউ সই করা ১২টি ব্যাংক হলো- এবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আইএফআইসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংক।
সচিবালয়ে অর্থ বিভাগ সভা কক্ষে এক অনুষ্ঠানে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও উপস্থিত থেকে নিজ নিজ ব্যাংকের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দীন খান সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তিনদিনের ব্যবধানে ফের কমলো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ৩ হাজার ৪৫২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৪ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (১৬ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬০৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১৩ মে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৫৬৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৪ মে থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর ৩৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২২ বার, আর কমেছে মাত্র ১২ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সিকদার গ্রুপের রন হকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

করোনাকালীন সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ৪০৪ কোটি টাকা উত্তোলন করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সিকদার পরিবারের চার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৭ মে) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক রাম প্রসাদ মন্ডল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সিকদার পরিবারের মনোয়ারা সিকদার, পারভীন হক সিকদার, রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদারকে আসামি করা হয়েছে। যারা ওই সময় ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
এছাড়া সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার মো. মোহসিন, রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইলের এমডি মঈন উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এভিপি মো. একরামুল হক, এসইভিপি ও ম্যানেজার মো. হাবিবুর রহমান, সাবেক ভিপি মোহাম্মদ আবু রাশেদ নোয়াব, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম বুলবুল, সাবেক এমডি চৌধুরী মোশতাক আহমেদ ওরফে সিএম আহমেদ, সাবেক পরিচালক খলিলুর রহমান, পরিচালক জাকারিয়া তাহের, সাবেক পরিচালক মাবরুর হোসেন সাবেক পরিচালক মো. নায়মুজ্জামান ভুইয়া মুক্তা ও পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাদ মুসা হোমটেন্দ্র অ্যান্ড ফ্লথিং লিমিটেডের মালিক ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মোহসিন ও রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের কর্ণধার মঈন উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র এবং অনুমোদনবিহীন প্রক্রিয়ায় প্রণোদনার ঋণ নেন। ব্যাংকের শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিচালকেরা প্রকৃত আর্থিক প্রয়োজন যাচাই না করেই করোনাকালীন সেটিমুলাস প্যাকেজের ঋণসহ রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে ৪০৪ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেন। এ অর্থ একাধিক লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর, ফ্লোর ক্রয়, আগের ঋণ পরিশোধ ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১১ মার্চ সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার, তার মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাদের পরিবারের ১৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
এরআগে ৯ মার্চ রন হক সিকদার, তার মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের ৪২টি বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সিকদার গ্রুপের রন হক, তার মাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট নিরসনে বিশেষ আদেশ জারি

পণ্যজট নিরসন ও খালাস প্রক্রিয়া সহজ করতে চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত নিলাম, বিলিবন্দেজ ও ধ্বংস কার্যক্রম সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন।
এর আগে গত ১৪ মে এ সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়। এক বিবৃতিতে এনবিআর জানায় দ্রুত পণ্য খালাস, শ্রম, অর্থ ও কর্মঘণ্টা সাশ্রয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় রোধ, নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরসন, ভৌত অবকাঠামো, জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং কনটেইনার জট হ্রাসসহ বন্দরের সামগ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আদেশ জারি করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অখালাসকৃত কনটেইনার জট বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করছে। দীর্ঘদিনের পুরোনো কেমিকেল ও বিপজ্জনক পণ্য বিস্ফোরণ ঝুঁকিসহ বন্দরের সামগ্রিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করেছে। উক্ত ঝুঁকি নিরসনে বিদ্যমান প্রমিত নিলাম প্রক্রিয়ায় সময়ক্ষেপণ এড়ানো সম্ভব হয় না। শর্তযুক্ত বা নিয়ন্ত্রিত পণ্য খালাসে জটিলতা, অনিষ্পন্ন মামলা, নিলামের দরদাতা কর্তৃক পণ্য খালাস না করা, লজিস্টিকসের অভাবসহ নানাবিধ কারণে কর্তৃপক্ষ স্বল্পতম সময়ে নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছে না।
এমন পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিলাম ও নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্যের (যানবাহন ব্যতীত) বিক্রয়, ব্যবস্থাপনা ও ধ্বংস কার্যক্রম প্রক্রিয়া সহজীকরণে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা সম্বলিত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্যসমূহের সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ ব্যতীত প্রথম নিলামে (বিশেষ ক্ষেত্র ব্যতীত) প্রাপ্ত সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রয় করা যাবে।
আমদানি নীতি বা রপ্তানী নীতি অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে, নিয়ন্ত্রিত বা নিষিদ্ধ অথবা পণ্যের গুনগতমান নষ্ট হওয়ার কারণে বা অন্য কোনো কারণে নিলামের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয় অথবা সম্ভব হয় নাই তা ধ্বংস বা নিষ্ক্রিয়করণের লক্ষ্যে নিলাম ব্যতীত বিশেষায়িত সংস্থা বা প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট বিনামূল্যে হস্তান্তর করা যাবে।
দুটি নিলামের মাধ্যমেও কোনো পণ্য বিক্রয় করা সম্ভব না হলে অথবা দরপত্র পাওয়া না গেলে ৩য় নিলাম ব্যতিরেকে ব্যাপক প্রচার প্রচারণাপূর্বক পণ্য গ্রহণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের নিকট সর্বোচ্চ প্রস্তাব মূল্যে বিক্রয় এবং পরীক্ষণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবহার উপযোগিতা রয়েছে মর্মে প্রত্যয়নকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ বিপজ্জনক পণ্য বা কেমিক্যাল জাতীয় পণ্যসমূহ প্রকৃত ব্যবহারকারী বা বিশেষায়িত সংস্থা বা প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট সর্বোচ্চ অফার মূল্যে বিক্রয়ের বিধান রাখা হয়েছে।
নিলাম প্রক্রিয়া সহজীকরণে জারিকৃত এ আদেশ বাস্তবায়িত হলে বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা কন্টেইনার জট কমবে এবং বন্দরের কার্যক্রম নির্বিঘ্ন, সহজ, সময় সাশ্রয়ী, আমদানি-রপ্তানীকারকদের খরচ কমাসহ সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এতে বন্দরের সুবিধাভোগীরা সুফল ভোগ করবে বলে এনবিআর আশা করছে।