Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

মত দ্বিমত

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি

Published

on

প্রশাসনতন্ত্র

> সন্ত্রাসী রাজনীতিবিদদের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ড দুর্নীতির গভীরে নিমজ্জিত, এবং বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

> সদ্য নহাটা (মাগুরা জেলাধীন) হাইস্কুলের অ্যাডহোক সভাপতি নিয়োগে প্রধান শিক্ষকসহ যেসব বিএনপি নেতাকর্মীর নাম উঠে এসেছে, তা শিক্ষাখাতে দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র স্পষ্ট করে। প্রতিবেদনে উত্থাপিত তথ্যের ভিত্তিতে, শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত, কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া শুধু জরুরি নয়, বরং সময়ের দাবিতে অবিলম্বে বাস্তবায়ন প্রয়োজন। অন্যথায়, এই অব্যাহত অনিয়ম শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও গভীর সংকটে ঠেলে দেবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

> শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই ধরনের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতেই হবে, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত শিক্ষাব্যবস্থার শিকার হবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

> এই প্রসঙ্গে একজন মন্তব্য করেছেন—
> “যেখানে স্থানীয় সমাজের সামর্থ্য নাই একটা স্কুলের সভাপতি নির্বাচনের দুর্নীতি ঠেকানোর, ওই সমাজকে সাহায্য করে লাভ কী? ওই সমাজ নিজেই তো সাবালক হয়নি।”
>
> কথাটা শোনার পর আমার বলার কিছু ছিল না। কিন্তু আমি থেমে নেই। কারণ জানেন?
> — Local concern, global solution.

রমজানের শিক্ষা ও আমার মানবিক কার্যক্রম

> রমজান আমার কাছে শুধু ধর্মীয় ইবাদতের মাস নয়; এটি আত্মশুদ্ধি, সহানুভূতি ও মানবতার সেবার এক অনন্য শিক্ষার সময়। এই মাসের শিক্ষা আমি শুধু রমজানেই নয়, বরং সারা বছর ধরে অনুসরণ করার চেষ্টা করি।
> আমি নিয়মিত আমার ইনকামের চল্লিশ শতাংশ ট্যাক্স হিসেবে প্রদান করি, যাতে রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে আমার অংশগ্রহণ থাকে। বাকি অর্থের পঁচিশ শতাংশ মসজিদ ও দানের কাজে ব্যয় করি। অবশিষ্ট অংশ দিয়ে জীবনযাপন করি, তবে এর বাইরেও কিছু মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করি, যা মূলত সমাজের কল্যাণ ও ইসলামের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য।
> আমি বিশ্বাস করি, দান বা সাহায্য শুধু তৎক্ষণাৎ সহানুভূতি প্রকাশ নয়, বরং একটি সুন্দর সমাজ গড়ার প্রচেষ্টা। কয়েক বছর আগে আমি একজন শিক্ষককে একটি বাড়ি করে দিয়েছিলাম, যাতে তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে নির্বিঘ্নে শিক্ষাদান করতে পারেন। উদ্দেশ্য ছিল সবাই মিলে একটি ভালো কাজ করা এবং শিক্ষার মাধ্যমে ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে তোলা।

আমি প্রায়ই গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। যখন দেখি—

> • কারো মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই,
> • কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে ধুঁকছে,
> • কারো চিকিৎসার সুযোগ নেই,
> • কেউ পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না,
> • অর্থের অভাবে ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে,
> • ভর্তি পরীক্ষার জন্য থাকা-খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না—
> তখন আমি যতটুকু পারি সাহায্যের চেষ্টা করি। মানবতার কল্যাণে কাজ করা, ইসলামের প্রকৃত আদর্শ বাস্তবায়ন করা এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করাই আমার অন্যতম দায়িত্ব বলে মনে করি।
> আমি শিখেছি, দলবদ্ধভাবে কাজ করলে যেকোনো সমস্যার মোকাবিলা করা সহজ হয়। তবে আমার প্রচেষ্টা সবসময় সফল হয়নি। দুর্নীতি সমাজে যেভাবে বিস্তার লাভ করেছে, আমার মানবিক কাজগুলো সে অনুপাতে বাড়েনি। অনেকেই মানবিক কাজকে “বিনিয়োগ” হিসেবে দেখে, স্বার্থ হাসিলের সুযোগ নেয়। কিন্তু আমি এটিকে নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা হিসেবে দেখি—মানুষের কল্যাণই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।
> এবারের রমজানে আল্লাহর রহমতে আমি দুটি উল্লেখযোগ্য কাজ করতে পেরেছি—
> ১. তিন বছর বয়সী শিশুর হার্ট অপারেশন করানো:
> এই শিশুর পরিবার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে পারছিল না, তাই আমি পাশে দাঁড়াই এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। আলহামদুলিল্লাহ, সবকিছু সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
> দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে কাটিয়েছে ছোট্ট মেহজাবিন ও তার মা-বাবা। এখন সে সুস্থতার পথে, এবং ইনশাআল্লাহ, দু’-একদিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবে। আমি প্রার্থনা করি, সে বড় হয়ে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক।
> ২. একটি স্কুলে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো:
> আমার এলাকার একটি স্কুলে সভাপতির নিয়োগ নিয়ে বিশাল দুর্নীতি হচ্ছিল। আমি এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি, যদিও পথটা সহজ ছিল না।
> শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানুষের গড়ার পবিত্র স্থান—সেখানে দুর্নীতির কোনো স্থান নেই। কিন্তু কিছু মানুষ এটিকে ক্ষমতা, লোভ ও স্বার্থের কেন্দ্রে পরিণত করতে চায়। আমি বিশ্বাস করি, এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
> আমি একা কিংবা কিছু কাছের বন্ধুদের সহযোগিতায় মানবিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এই পথে বহু বাধা এসেছে। দুর্নীতি, স্বার্থপরতা ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ নয়। তবুও আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কারণ আমি জানি—
> অন্যায় দেখেও চুপ করে থাকা মানে সেটাকে মেনে নেওয়া।
> আমি শিখেছি, সমাজ পরিবর্তন রাতারাতি সম্ভব নয়। এটি সময়সাপেক্ষ, কিন্তু ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়া যায়। একা হয়তো সবকিছু করা সম্ভব নয়, কিন্তু দলবদ্ধভাবে, পরিকল্পিত উদ্যোগের মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব।
> পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা থাকলে সমাজে সত্যিকারের পরিবর্তন আনা সম্ভব। আমি এখনো পুরোপুরি সফল হতে পারিনি, কিন্তু আমার লক্ষ্য থেকে এক মুহূর্তের জন্যও সরে আসিনি। যতদিন পারব, ততদিন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব।
> তবে আমি শুধু কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করি। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ—কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত—এসবের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে, এর বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হলে সেই মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
> আমার বিশ্বাস, আমাদের কর্মই আমাদের পরিচয়। তাই আমি যা বলি, তা কাজে করে দেখানোর চেষ্টা করি। কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকলে তবেই সমাজে পরিবর্তন আনা সম্ভব।
> আমরা যদি একটি বাস্তব উদাহরণে সমাজের বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করি, তা আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে যে এই বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও অনেক অপ্রিয় সত্য এখানে তুলে ধরা হবে, তবুও আমার বিশ্বাস, এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক হবে। কারণ, এই প্রতিবেদনটি যদি সিস্টেমের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে আমরা বিষয়টিকে ব্যক্তিগত পর্যায় না গিয়ে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামোতে দেখতে পারব। এতে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে এবং ভবিষ্যতে একটি দুর্নীতি-গ্রস্ত সিস্টেমের বিরুদ্ধে কীভাবে সঠিকভাবে লড়াই করা সম্ভব, সে বিষয়ে পথপ্রদর্শন পাবে।
> আমার গত এক মাসের অভিজ্ঞতা থেকে, বিশেষত রামজান মাসে, একটি দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করতে চাই। এই প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু হল মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা গ্রামে অবস্থিত রাণী পতিত পাবনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভাপতি নিয়োগের ঘটনা এবং এর সাথে জড়িত দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক অনিয়ম, এবং প্রতারণার চিত্র। আমি এখানে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, গণমাধ্যমের তথ্য এবং প্রামাণ্য অডিও ক্লিপের ভিত্তিতে সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিশ্লেষণ তুলে ধরছি। এই বিশ্লেষণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতির শেকড় কতটা গভীরে প্রোথিত, তা পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলবে।
> নহাটা রাণী পতিত পাবনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। স্থানীয় জনগণ, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা অভিযোগ জানালেও, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে দুর্নীতির গোষ্ঠীটি সভাপতির পদ দখল করতে সক্ষম হয়েছে। এই ঘটনায় মূল ভূমিকা পালন করেছে:
> ১. স্কুলের প্রধান শিক্ষক – যিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে যুক্ত এবং ক্ষমতাসীন সরকারের ছায়ায় দুর্নীতি চালিয়ে এসেছেন।
> ২. বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন – যিনি স্থানীয় প্রশাসনকে প্রভাবিত করে, নিজের মনোনীত প্রার্থীকে সভাপতি পদে বসিয়েছেন।
> ৩. উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসার এবং ইউএনও – দুর্নীতির সহযোগিতা করেছেন, সঠিক তদন্ত না করে।
> ৪. যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান – যিনি দায়িত্ব পালনে চরম অনীহা দেখিয়ে, দুর্নীতির প্রসারে প্রশ্রয় দিয়েছেন।
>
> স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন এই দুর্নীতির মূল কেন্দ্রবিন্দু। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে:
> • তিনি তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে প্রশাসনের উপর প্রভাব বিস্তার করেছেন।
> • স্কুল পরিচালনা কমিটিতে নিজের অনুসারীদের বসিয়ে, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি করেছেন।
> • চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জনগণের মতামত উপেক্ষা করেছেন।
> ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে শিক্ষকদের নিরপেক্ষ মত প্রকাশের সুযোগ বন্ধ করেছেন।
>
> নহাটা স্কুলের সভাপতির নিয়োগ নিয়ে গণমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে:
> • জেলা প্রশাসক (ডিসি) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তিনজন যোগ্য প্রার্থীর নাম পাঠানোর অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা অগ্রাহ্য করেন।
> • নয়নের সন্ত্রাসী কার্যক্রম এর বিরুদ্ধে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
> • রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে সভাপতি নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে।
>
> শিক্ষা প্রশাসনের দুর্নীতি শুধু নহাটা স্কুলেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতির প্রতিচ্ছবি।
> যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান:
> • নিয়োগ সংক্রান্ত লিখিত দরখাস্ত দাখিল করার পরও দুর্নীতি বন্ধ করতে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেননি।
> • নয়নের স্ত্রীকেই সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্নীতি এবং অপসারণযোগ্যতার চিত্র স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
>
> এই প্রতিবেদনটি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, প্রশাসনিক দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি বাস্তব চিত্র উপস্থাপন করেছে। এখন সময় এসেছে শিক্ষাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে এবং সৎ, দক্ষ, এবং যোগ্য ব্যক্তিদের প্রশাসনিক পদে বসানোর।
> • দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
> • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দিতে হবে।
> অন্যথায়, যদি এই অনিয়ম অব্যাহত থাকে, তাহলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি দুর্বল হয়ে যাবে এবং জাতি একটি অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে চলে যাবে।
> রবিউল ইসলাম নয়ন—সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির কালো অধ্যায়
> মাগুরার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণকারী রবিউল ইসলাম নয়ন আজ কোটি কোটি টাকার মালিক, কিন্তু তার এই আর্থিক অগ্রগতি আসলে কোন মেধা কিংবা পরিশ্রমের ফলাফল নয়। বরং তার অর্জিত সম্পত্তির পেছনে রয়েছে দখলদারি, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসা ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অনিয়মের এক ভয়ঙ্কর চিত্র। এই অসাধু পথেই নয়ন মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই সমাজের এক ভয়ানক সন্ত্রাসী চরিত্রে পরিণত হয়েছেন।
> সম্প্রতি রবিউল ইসলাম নয়নকে ইসলামী ব্যাংক দখল করার চেষ্টার অভিযোগে জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এস আলম গ্রুপের হয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ব্যাংকটি দখল করতে গিয়েছিলেন।
> • নয়ন এবং তার অনুসারীরা জোরপূর্বক ইসলামী ব্যাংকে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন।
> • ব্যাংক কর্মকর্তারা বাধা দিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়।
> • এ ঘটনায় ৫ ব্যাংক কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
> • নয়ন ও তার দল অস্ত্রধারী ভাড়াটে বাহিনী হিসেবে কাজ করেছিলেন।
> এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, নয়ন শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় রাজনৈতিক মঞ্চেই নয়, দেশের অর্থনৈতিক খাতেও ভয়ঙ্কর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছেন।
> ইসলামী ব্যাংক দখল চেষ্টার আগেই, নয়ন আরো একটি বিতর্কিত ঘটনায় জড়িয়েছিলেন—তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকানা নিয়ে চলমান বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি একটি পক্ষকে সমর্থন দেন এবং এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে চেষ্টা করেন।
> রবিউল ইসলাম নয়ন তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ হিসেবে নিজের পরিচিতি তৈরি করেন।
> • সাংবাদিক না হয়েও তিনি প্রেস লেখা জ্যাকেট পরিধান করে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন, যাতে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।
> • চাঁদাবাজি, দখল ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।
> • দলের শীর্ষ নেতাদের একাংশ তার এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে মৌন সমর্থন প্রদান করে, যার কারণে তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
> নয়ন শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ দুর্নীতির সাথে জড়িত নন, বরং তার অপরাধের ছায়া দেশের আর্থিক খাত, রাজনৈতিক অঙ্গন এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানে বিস্তৃত। তার এই ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ড দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার একটি স্পষ্ট উদাহরণ।
> প্রধান শিক্ষকের অপকর্ম এবং নয়ন ও তার বাবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড
> মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা রানী পতিত পাবনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, যিনি দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার ছায়ায় থেকে ভয়াবহ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন, সম্প্রতি যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নের সাথে হাত মিলিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনার পুরো নিয়ন্ত্রণ দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
>
> ১. নিয়োগ বাণিজ্য: বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে দীর্ঘদিন ধরে ঘুষ লেনদেন হয়ে আসছে।
> ২. সরকারি অনুদান আত্মসাৎ: বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি অনুদান ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
> ৩. বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নিয়ন্ত্রণ: প্রধান শিক্ষক নিজে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য নিজের পছন্দমতো লোকদের পরিচালনা কমিটিতে বসিয়েছেন।
> প্রধান শিক্ষক ও রবিউল ইসলাম নয়নের চক্রান্ত
> প্রধান শিক্ষক তার পুরনো দুর্নীতি ঢাকতে রবিউল ইসলাম নয়নকে সামনে নিয়ে আসেন। নয়ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপ প্রয়োগ করে বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ দখল করার চেষ্টা করেন এবং স্থানীয় জনগণের মতামত উপেক্ষা করে নিজের স্বার্থে পরিচালনা কমিটি গঠন করেন।
> নয়ন তার বাবার সাথে মিলে এলাকার এক ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করেছেন। তার বাবা নিজেও একজন কুখ্যাত অপরাধী, যিনি বিভিন্ন দখলদারি, চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত ছিলেন। বাবা-ছেলে মিলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন।
> বর্তমানে রবিউল ইসলাম নয়ন মাগুরার নহাটা স্কুলসহ পুরো জেলার জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে—
> • স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি
> • ভূমি দখল ও সাধারণ জনগণকে হুমকি দেওয়া
> • রাজনৈতিক নেতাদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা চালানো
> • অস্ত্রবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ
> এই পর্বে উঠে এসেছে কিভাবে রবিউল ইসলাম নয়ন তার রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রশাসনিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেকে সমাজের এক ভয়ঙ্কর অপরাধী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
> প্রধান শিক্ষক তার দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার স্বার্থে রবিউল ইসলাম নয়নকে ব্যবহার করেছেন। নয়ন ইতিমধ্যেই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণকে ভয় দেখিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনায় নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে।
> প্রধান শিক্ষক কীভাবে নয়নকে ব্যবহার করেছে?
> • বিদ্যালয়ে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে, নয়নের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে।
> • স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষকরা যদি সভাপতির স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি করেন, তবে নয়ন তাদেরকে ভয়ভীতি দেখায়।
> • পরিচালনা কমিটিতে যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের আসতে না দেওয়ার জন্য, নয়ন প্রধান শিক্ষকের ইশারায় নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সমর্থন দেয়।
> নয়নের লাভ কী?
> • বিদ্যালয়ের সভাপতি নিয়োগকে ঘিরে বড় অঙ্কের লেনদেন হয়ে থাকে, যা নয়ন ও তার সিন্ডিকেট ভাগাভাগি করে নেয়।
> • বিদ্যালয়ের প্রশাসন তার নিয়ন্ত্রণে আসার ফলে, ভবিষ্যতে আরো দুর্নীতি করার সুযোগ পায়।
> • প্রধান শিক্ষকের হাত ধরে রাজনৈতিক ক্ষমতা আরও বিস্তৃত করার সুযোগ তৈরি হয়।
> উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসারের দুর্নীতি
> এই ষড়যন্ত্রের সাথে শুধু প্রধান শিক্ষক ও নয়নই যুক্ত নয়, বরং উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসারের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
> কীভাবে শিক্ষা অফিসাররা দুর্নীতিতে যুক্ত হলো কথা থাকলেও, তারা মূলত প্রধান শিক্ষকের পছন্দের নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
> • স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে, তারা কেবল সিন্ডিকেটের সুবিধার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত দেন।
> • সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে, একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে সচেষ্ট হন।
> উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসার কীভাবে নয়নকে সহায়তা করলো?
> • সভাপতি পদে নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে, নয়নের মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করেন।
> • জনগণের অভিযোগ অগ্রাহ্য করে, তদন্ত না করেই নয়নের সুবিধাজনক রিপোর্ট তৈরি করেন।
> • নয়নের সাথে যোগাযোগ রেখে নিয়োগ নিয়ে গোপন আলোচনা করেন।
> নয়ন শুধু প্রশাসনের সাথে নয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় রাজনীতির সাথে নিজের নাম জড়িয়ে বড় নেতা হওয়ার চেষ্টা করে।
> তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে নয়নের প্রতারণা
> • নয়ন নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দাবি করে।
> • কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে, নিজেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে উপস্থাপন করে।
> • প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক রেখে, তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করে।
> • নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও স্বৈরাচারী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।
> জনগণের প্রশ্ন
> • বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব কি আদৌ নয়নের এসব কার্যকলাপে সমর্থন দিয়েছে?
> • নাকি নয়ন শুধুমাত্র তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ হাসিল করছে?
> প্রশাসনের সহায়তায় সভাপতি পদ দখল
> এই পুরো দুর্নীতির নাটকে প্রশাসনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা দপ্তর যদি চায়, তবে দুর্নীতির সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নয়নকে সহযোগিতা করেছে।
> প্রশাসনের ভূমিকা
> • নয়নের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
> • রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে নয়নের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ধামাচাপা দেওয়া হয়।
> • দুর্নীতি দমন সংস্থা (দুদক) পর্যন্ত অভিযোগ না পৌঁছাতে, প্রশাসনের লোকজনই বাধা দেয়।
> কীভাবে সভাপতি পদ দখল হলো?
> • প্রধান শিক্ষক ও নয়নের যোগসাজশে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়।
> • প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসাররা দুর্নীতির মাধ্যমে নয়নের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেন।
> • তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয়।
> প্রশাসন নিরব থেকে এই দুর্নীতিকে বৈধতা দেয়।
> এটি দেখিয়ে দেয়, কীভাবে নয়ন, প্রধান শিক্ষক, শিক্ষা অফিসার ও প্রশাসন একত্র হয়ে সভাপতি পদ দখল করেছে। রাজনৈতিক ক্ষমতা, দুর্নীতি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সাধারণ জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
> জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের ভূমিকা – দুর্নীতি দমন না করে নয়নের স্ত্রীকে সভাপতি নিয়োগ
> নহাটা রানী পতিত পাবনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ নিয়ে দুর্নীতির চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ পায় যখন বিদ্যালয়ের অভিভাবক, শিক্ষক ও সাধারণ জনগণ জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত দরখাস্ত দাখিল করেন।
> রমজান মাসকে সামনে রেখে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চরম নৈতিক অবক্ষয় এবং দুর্নীতির সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত সকল শ্রেণীর কর্মচারী এবং তাদের সাথে আমার গত এক মাসের অভিজ্ঞতার বর্ণনা তুলে ধরতে যাচ্ছি।
> অভিযোগের মূল বিষয়
> ১. সভাপতি পদে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া না হওয়া
> ২. প্রধান শিক্ষক, রবিউল ইসলাম নয়ন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দুর্নীতি
> ৩. বিদ্যালয়ের তহবিল লুটপাট ও দখলদারিত্ব
> ৪. নয়নের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ক্ষমতার অপব্যবহার
> এদিকে, অভিযোগ গোপন করে নয়নের স্ত্রীকেই সভাপতি করা হলো, যা দুর্নীতির চরম প্রমাণ!
> লিখিত দরখাস্ত ও জেলা প্রশাসনের নিরবতা
> বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষকরা যখন প্রধান শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং নয়নের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন, তারা জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
> দরখাস্তে উল্লেখিত অভিযোগ
> • সভাপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নয়নের সরাসরি হস্তক্ষেপ
> • প্রধান শিক্ষকের আর্থিক দুর্নীতি
> • বিদ্যালয়ের তহবিল লুটপাট
> • বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করা ও শিক্ষকদের হয়রানি
> • প্রশাসনের দুর্নীতিতে সহযোগিতা
> জেলা প্রশাসকের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
> • তিনি প্রথমে তদন্তের আশ্বাস দেন, কিন্তু কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেননি।
> • অভিভাবকরা দ্বিতীয় দফায় অভিযোগ দিলে প্রশাসন তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
> • উপজেলা শিক্ষা অফিসার তদন্তের নামে প্রহসনমূলক রিপোর্ট তৈরি করেন, যেখানে মূল অভিযোগগুলো উপেক্ষা করা হয়।
> শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের ভূমিকা
> • জেলা প্রশাসকের মতো তিনি-ও অভিযোগ গ্রহণ করেও যথাযথ তদন্ত তিনি করেননি
> • বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডিতে নয়নের স্ত্রীকে সভাপতি করার সুপারিশ করেন।
> • প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির তথ্য থাকা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
> দুর্নীতি দমন না করে নয়নের স্ত্রীকে সভাপতি করা হলো কেন?
> যখন অভিযোগ উঠল, তখন স্বাভাবিকভাবে তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু প্রশাসন নয়নের স্ত্রীকেই সভাপতি পদে বসিয়ে দেয়, যা চরম দুর্নীতির প্রমাণ।
> কেন নয়নের স্ত্রীকে সভাপতি করা হলো?
> ১. নয়নের রাজনৈতিক প্রভাব – বিএনপির নাম ব্যবহার করে প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করা
> ২. অর্থের লেনদেন – জেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদান
> ৩. প্রধান শিক্ষক ও নয়নের চক্রান্ত – বিদ্যালয়কে নিজেদের আয়ত্তে রাখার জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তি নিয়োগ
> ৪. সন্ত্রাসী ভয়ভীতি – যেকোনো বিরোধী মত দমন করতে নয়নের অনুসারীদের ব্যবহার

এর ফলে কী হলো?
> • প্রতারণার মাধ্যমে সভাপতির পদ নয়নের হাতেই রয়ে গেল।
> • বিদ্যালয়ে স্বচ্ছ প্রশাসন ও উন্নয়নের বদলে আরও দুর্নীতি ও দখলদারিত্ব বেড়ে গেল।
> • বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লো।
> • স্থানীয় জনগণের ন্যায়বিচারের আশা শেষ হয়ে গেল।
> সবশেষে আমরা দেখলাম—
> • কীভাবে জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান দুর্নীতি ঢাকলেন
> • প্রশাসনের নিরবতায় নয়ন আরও শক্তিশালী হলো
> • অভিযোগ জমা দেওয়া হলেও তদন্ত না করে নয়নের স্ত্রীকে সভাপতি নিয়োগ দেওয়া হলো
> এটি শুধু একটি বিদ্যালয়ের দুর্নীতির গল্প নয়, এটি বাংলাদেশের শিক্ষা প্রশাসনের চরম দুর্নীতির একটি বাস্তবচিত্র। যেখানে ক্ষমতা, রাজনীতি ও টাকার লোভে সাধারণ মানুষের অধিকার ধ্বংস করা হয়।
> এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিভাবক, শিক্ষক ও জনগণের লড়াই কি থেমে যাবে, নাকি তারা সুবিচারের জন্য আবার সোচ্চার হবে?
> এই প্রতিবেদনে উপস্থাপিত তথ্যসমূহের সত‍্যতা যাচাই করা হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, অডিও ক্লিপ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সরাসরি তথ্যের ভিত্তিতে।
> আমার সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দুর্নীতির একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে, যা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তদন্ত চলাকালীন, আমি মাগুরার ডিসি এবং যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ডিসির ভাষ্যমতে, তিনি মাত্র দুজন প্রার্থীর নাম পাঠিয়েছিলেন, অথচ স্কুলের পক্ষ থেকে তিনজনের নাম জমা দেওয়া হয়। এতে চেয়ারম্যানের মনে সন্দেহ তৈরি হলেও, তিনি ডিসির সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই তা অনুমোদন করেন।
>
> পরদিন আমি পুনরায় ডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং জানতে পারি যে, তিনি প্রকৃতপক্ষে কেবল দুজনের নামসহ একটি আবেদনই পাঠিয়েছিলেন, তিনজনের নয়। নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনটি ডিসির কার্যালয় থেকে সরাসরি যশোর শিক্ষা বোর্ডে যাওয়ার কথা ছিল এবং ডিসির পাঠানো তালিকার ভিত্তিতেই শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
>
> এই অসঙ্গতি নতুন ধরনের দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়, যা আরও একবার প্রমাণ করে যে দুর্নীতি আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থার বাস্তব অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে স্পষ্ট হয়েছে প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি, উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসারের অসাধু ভূমিকা এবং নয়ন ও তার অনুসারীদের চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে—
> • প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সম্পর্ক ছিল গভীর, যা তাদের দুর্নীতিকে আড়াল করতে সাহায্য করেছে।
> • শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখিয়েছেন, ফলে সঠিক নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই নয়নের স্ত্রীকে সভাপতি করা হয়েছে।
> • এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করেছে যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ড দুর্নীতির গভীরে নিমজ্জিত এবং বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে।
> এই প্রতিবেদনে উত্থাপিত তথ্যের ভিত্তিতে, শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
> শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই ধরনের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতেই হবে, নয়তো ভবিষ্যত প্রজন্ম একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত শিক্ষাব্যবস্থার শিকার হবে।

লেখক: রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন

শেয়ার করুন:-

মত দ্বিমত

মন্ত্রীদের নতুন গাড়ি নয়— প্রথমে গরিবের ভাগ্য বদলাতে হবে

Published

on

প্রশাসনতন্ত্র

কে এই ডাকাত মন্ত্রীরা, যারা গরিব দেশের টাকায় কোটি কোটি টাকার এসইউভি কিনে বসবে? এরা কি দেশের সেবক, নাকি রাষ্ট্র লুটে খাওয়া চোর? আগের সরকারের গাড়িগুলো গেল কোথায়? চুরি হলো, পাচার হলো, নাকি নিজের গ্যারাজে লুকিয়ে রাখল? কেন প্রতিবার ক্ষমতায় এলেই নতুন গাড়ি কিনতে হবে? উন্নয়নের বুলি কেবল মুখে, হাতে শুধু লুটের হিসাব!

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বাংলাদেশ ৫৪ বছর ধরে কী দেখেছে? রাজনীতিবিদদের ধারাবাহিক ডাকাতি, সম্পদ পাচার, গরিবের রক্ত দিয়ে বিলাসবহুল প্রাসাদ বানানো। ১৯৮৮ সালে এমপিদের জন্য চালু হলো ডিউটি-ফ্রি গাড়ি—তারপর থেকে তারা এমপি নয়, গাড়ি ব্যবসায়ী। কোটি টাকার গাড়ি আনা হলো, পরে বেচে দেওয়া হলো, টাকা ঢুকল ব্যক্তিগত পকেটে। ২০১৮ সালে ওআইসি সম্মেলনের নামে কেনা হলো মার্সেডিজ-বিএমডব্লিউ, সম্মেলন শেষ হতেই গাড়িগুলো ভাগ হয়ে গেল ভিআইপিদের দখলে। এটা রাষ্ট্র নয়, মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়া লুটের বাজার।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এবার শুধু মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি এসইউভি নয়, মোট ২৮০টি গাড়ি কেনার পরিকল্পনা আছে—৪৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে। প্রতিটি গাড়ির দাম প্রায় দুই কোটি টাকা। এ টাকার উৎস কোথায়? গরিব মানুষের কর, কৃষকের ঘাম, শ্রমিকের রক্ত, প্রবাসীর রেমিট্যান্স। অথচ সেই মানুষরা একমুঠো চাল কিনতে পারে না, হাসপাতালের বেড নেই, অক্সিজেন নেই, স্কুলে শিক্ষক নেই। কিন্তু মন্ত্রীদের থাকতে হবে নতুন চকচকে গাড়ি। এরা কি মানুষ, নাকি জাতির রক্তচোষা জোঁক? সরকার নিজেরাই স্বীকার করেছে—“সমাপ্ত প্রকল্পের গাড়িগুলো” ফেরত আসে না, পড়ে থাকে নষ্ট হয়ে, অথবা হাওয়া হয়ে যায়। তাহলে প্রশ্ন—কারা সেই গাড়ি গিলে খেল? কোন মন্ত্রী, কোন আমলা দায়ী? কেন মামলা হয় না? কেন জবাবদিহি নেই? পুরোনো গাড়ি রিফার্বিশ করে আবার ব্যবহার করা যায় না কেন? কেন প্রতিবার কোটি কোটি টাকা ঢালতে হবে নতুন গাড়ির নামে? এ তো দিনের আলোয় ডাকাতি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলছে—বাংলাদেশ ১৮০ দেশের মধ্যে ১৫১তম। অর্থাৎ রাষ্ট্রযন্ত্র আজ দুর্নীতির ডাস্টবিন। মন্ত্রীরা গাড়ি চালাতে জানে, কিন্তু হাসপাতালের অক্সিজেন কিনতে জানে না। এমপিরা ডিউটি-ফ্রি গাড়ি বেচে দেয়, কিন্তু গ্রামের স্কুলে একজন শিক্ষক বাড়াতে পারে না। প্রশ্ন একটাই—এই গাড়ি কার জন্য? মন্ত্রীরা কি গাড়িতে চড়বে, নাকি জনগণ খালি পায়ে হাঁটবে? বাংলাদেশের মানুষ কি দাস? কেন প্রতিটি সরকারের প্রথম কাজ হয় গাড়ি কেনা, আর শেষ কাজ হয় দেশকে লুটে খাওয়া? কতদিন চলবে এই অপমান? এক মুঠো চাল না পাওয়া মানুষদের ঘাম দিয়ে কেন মন্ত্রীদের বিলাসবহুল কনভয় সাজানো হবে? জাতিকে বুঝতে হবে—এরা সেবক নয়, এরা চোর। এরা রাজনীতিবিদ নয়, এরা ক্ষমতার দালাল, রাষ্ট্রের শকুন। গরিবের রক্ত খেয়ে ধনী হচ্ছে, বিদেশে পাচার করছে। উন্নয়নের কথা মানে ভিখারির হাতে সোনার ঘড়ি—শুধুই প্রতারণা আর ডাকাতির মুখোশ।

এখন চাই পূর্ণাঙ্গ অডিট—কোন গাড়ি কোথায় আছে, কোনটা ফেরত এসেছে, কোনটা গিলে খাওয়া হয়েছে। জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে সব নম্বরপ্লেট ও চেসিস নাম্বার। জমা না দিলে সরাসরি মামলা করতে হবে। পুরোনো গাড়ি মেরামত করে আবার ব্যবহার করতে হবে। ডিউটি-ফ্রি সুবিধা বন্ধ করতে হবে। নতুন গাড়ি কেনার নামে জাতিকে আর ঠকানো যাবে না।

জনগণের চাহিদা স্পষ্ট—নতুন এসইউভি নয়, চাই হাসপাতালের অক্সিজেন। বিলাসবহুল কনভয় নয়, চাই সাশ্রয়ী চাল–ডাল। মন্ত্রীর আরাম নয়, চাই মানুষের বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা। গাড়ি কেনা মানেই রাষ্ট্র লুট করা—এই নগ্ন সত্য এখন জনগণের সামনে দাঁড়িয়ে গেছে।

দেশটা কার? জনগণের, নাকি এই দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের? এখনই সময়, জনগণকে দাঁড়াতে হবে। বলতে হবে—আর না, একটুও নয়! জনগণের রক্ত–ঘামে উপার্জিত টাকায় গাড়ি, বাড়ি, বিলাসবহুল সুবিধা—এই বেহায়াপনা আর চলবে না।

প্রথমে পরিবর্তন আসুক জনগণের ভাগ্যে। মানুষ যেন পায় ভাত, কাজ, চিকিৎসা, শিক্ষা—এটাই প্রধান কর্তব্য। তারপরই ভাবা যাবে—রাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আদৌ কোনো বিলাসের যোগ্য কি না। যারা দুর্নীতির টাকা দিয়ে ভোগে মত্ত, তারা সেবক নয়—জাতির শত্রু, রাষ্ট্রের ডাকাত। এখনই শক্ত হাতে দমন করতে হবে। বছরের পর বছর ধরে “সংস্কার” বলে যা দেখানো হলো, তা কি নমুনা? এধান্দাবাজি বাদ দিয়ে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে এখনই।

রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন। Rahman.Mridha@gmail.com

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

মত দ্বিমত

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কি নতুন মোড় আসছে?

Published

on

প্রশাসনতন্ত্র

নানা গুঞ্জনের মধ্যে দিয়ে দিল্লি থেকে শুরু করে দেশের অলিগলিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হচ্ছে। সেনাপ্রধানের বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক, চীন সফরসহ একাধিক কর্মসূচি ও আলোচনা চলছে। প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কেন? আবার কেন নয়?

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এটি নতুন ঘটনা নয়। সম্প্রতি প্রচণ্ড চাপের মুখে বিএনপি-সহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল একটাই—নিজেদের জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিন নিশ্চিত করা। কিন্তু যখন সেই দিনক্ষণ ধার্য হলো, তখনই নতুন ঝামেলা শুরু হলো। এখন বলা হচ্ছে, নির্বাচন কেবল কেয়ারটেকার সরকারের মাধ্যমে সম্ভব। কারণ, দুর্বল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে, যা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে রয়েছে, কেউই সঠিক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য বিশ্বাস করতে পারছে না।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এদিকে প্রধান বিচারপতির মেয়াদ শেষের পথে। তাহলে কি তাকে কেয়ারটেকার সরকারের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রটোকলের বাইরে সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে? ইউএস রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও চলছে। সব মিলিয়ে, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য শোনা যাচ্ছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এক প্রশ্ন থেকে যায়—বলা হচ্ছে আওয়ামী লীগকে রাজধানীতে আসতে দেওয়া হবে না। কিন্তু এটি কি গ্রহণযোগ্য? আমার কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। কারণ, পুরো দেশে প্রশাসন, সাংবাদিক সমাজ এবং জনগণের অন্তত ৫০% দীর্ঘ ১৬–১৭ বছর আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন রেখেছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে সারা দেশের মানুষ রাস্তায় নেমেছিল, কিন্তু এটি মূলত স্বৈরশাসক পতনের জন্য ছিল, পুরো আওয়ামী লীগকে বাতিল করার জন্য নয়।

কিছু ক্ষমতাশালী রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অপকর্মের কারণে গোটা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করা সঠিক হবে না। কারণ এতে সাধারণ কর্মী ও নির্দোষ সমর্থকরাও শাস্তি পাবে। যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হয়, তবে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও যারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদেরকেও নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। একইভাবে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদেরও আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে কি তা হচ্ছে? না। বা পুরো দলকে বাতিল করা হচ্ছে কি?

এখান থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ফলে দেশের ভেতরে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রতিবাদ, বিভ্রান্তি এবং পাশের দেশ থেকে উসকানিমূলক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলেও তৎপরতা চলছে। বাংলাদেশ বহু বছর ধরে দুর্নীতির শীর্ষে অবস্থান করছে। রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে থাকা এই দুর্নীতি কেবল একটি দল বাতিল করে সমাধান করা যাবে কি? একেবারেই নয়। বরং “গরম তেলে ফোড়ন দেওয়া” পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করবে।

একটি দেশে যখন তেল আনতে নুন শেষ, তখন সেখানে অপরিকল্পিত ও পক্ষপাতমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ শোভন নয়। প্রশ্ন জাগে—কোথায় যাবে বাংলাদেশের জনগণ? কীভাবে বদলাবে তাদের ভাগ্য? নতুন প্রজন্ম, যারা জন্মের পর থেকে কেবল দুর্নীতি, লুটপাট এবং নৈরাজ্য দেখেছে, তারা কি কখনো সৃজনশীল শিক্ষা ও যোগ্যতার মাধ্যমে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে পারবে? দুঃখজনক হলেও সত্য—এখনো তাদের জন্য কোনো ইতিবাচক উত্তর নেই।

এমন পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যেন আবার এক অচলাবস্থার দিকে এগোচ্ছে। একদিকে আন্তর্জাতিক চাপ, অন্যদিকে জনগণের ভেতরে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ—দুটোই মিলে রাষ্ট্রযন্ত্র কার্যত অচল হতে বসেছে। মানুষ ভাবছে, সত্যিই কি এই পথে গেলে কোনো সমাধান আসবে, নাকি আবারও নতুন এক সংঘাতের দরজা খুলে যাবে?

বিগত ইতিহাস আমাদের সামনে আছে—প্রত্যেকবার যখনই ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে, তখন দেশকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। আজও একই আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। রাজনৈতিক দলগুলো পারস্পরিক অবিশ্বাসে জড়িয়ে পড়ে আবারও সাধারণ মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। অথচ এই আস্থা ছাড়া কোনো নির্বাচন, কোনো সরকার, কোনো উন্নয়নই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট কেবল একটি নির্বাচন বা একটি দলের কর্মকাণ্ডের উপর নির্ভর করছে না; এর মূল কারণ হলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা। সমাধানও তাই হবে দীর্ঘমেয়াদি, কাঠামোগত এবং জনসম্পৃক্ত।

প্রথমত, একটি স্বচ্ছ ও কার্যকর অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। এখানে শুধু রাজনৈতিক দল নয়—বিচারব্যবস্থা, সেনা, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকতা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও আস্থা রাখতে হবে। কেয়ারটেকার সরকারকে কোনো একটি দলের পক্ষে ঝুঁকলে চলতে দেওয়া যাবে না।

দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর “সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা” আরোপের বদলে তাদের পুনর্গঠন ও জবাবদিহির সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। যেসব নেতা দুর্নীতি, সন্ত্রাস বা চাঁদাবাজিতে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু সাধারণ কর্মী বা নির্দোষ সমর্থকদের রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

তৃতীয়ত, নতুন প্রজন্মকে সামনে এনে একটি যৌথ নাগরিক মঞ্চ গঠন করা যেতে পারে, যেখানে তরুণদের নেতৃত্বে রাষ্ট্রচিন্তা বিকাশের সুযোগ থাকবে। শুধু পুরোনো ব্যর্থ রাজনীতির পুনরাবৃত্তি নয়, বরং নতুন উদ্ভাবন, নতুন ধারণা এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের জন্ম হবে।

চতুর্থত, দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থনীতি ও প্রশাসন সংস্কারের জন্য একটি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত জাতীয় পুনর্গঠন কমিশন গঠন করা যেতে পারে, যা প্রতিটি খাতকে নতুনভাবে দাঁড় করানোর রূপরেখা তৈরি করবে।

আমার পরামর্শ হলো—যেহেতু অনেকেই প্রটোকল না মেনে দমনমূলক বৈঠক করছেন এবং এর ফলে দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন ও পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে, তাই এখনই প্রয়োজন সহমত ও সংহত প্রচেষ্টা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান, ড. ইউনূস, যদি সকল রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত করেন, যেখানে সেনাপ্রধান, রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি এবং প্রয়োজনে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও অংশগ্রহণ করেন, এবং স্বচ্ছ ও আন্তরিক সংলাপে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে যে সবার মতামত গ্রহণ করে একটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব।

সবশেষে, এক কথায় বলতে গেলে—বাংলাদেশের মানুষ বহুবার প্রমাণ করেছে তারা পরিবর্তন চায়। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তারা একত্র হতে জানে। এখন সময় এসেছে সেই শক্তিকে সঠিক দিকনির্দেশনায় কাজে লাগানোর। আমরা যদি সাহসী, ন্যায়পরায়ণ এবং সংহতভাবে এগিয়ে যাই, তাহলে এই অস্থিরতার মধ্যেও আশা, সংহতি এবং সৃজনশীল ভবিষ্যতের পথ খোলা সম্ভব।

রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন। Rahman.Mridha@gmail.com

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

মত দ্বিমত

নির্বাচনের প্রাক্কালে নুরুল হকের ওপর হামলা: রাজনৈতিক অস্থিরতার নতুন সংকেত

Published

on

প্রশাসনতন্ত্র

সারাদেশে যখন নানা অপ্রীতিকর ঘটনার পর প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে, তখন হঠাৎ করে নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা দেশজুড়ে নতুন করে আলোড়ন তুলেছে। প্রত্যক্ষ ভিডিওচিত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় দেখা গেছে, হামলায় সেনা এবং পুলিশের সদস্যরাও সরাসরি অংশ নিয়েছে। নুর বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এ ঘটনা শুধু একটি রাজনৈতিক হামলা নয়, বরং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকেত বহন করছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সরকার সদ্য ঘোষণা করেছে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। এই সময়সীমা নিয়ে আগে থেকেই নানা রাজনৈতিক বিতর্ক ছিল। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর আগে নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন। অপরদিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সময় নিয়ে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এই দ্বন্দ্বপূর্ণ প্রেক্ষাপটেই নুরের ওপর হামলার ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

হামলার ঘটনার পর জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় দফতর থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসীদের দায়ী করা হয়েছে এবং এটিকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জামায়াত গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে আহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বলছেন, এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণ যা তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিকে স্তব্ধ করার চেষ্টা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন এবং তদন্ত করে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এছাড়া, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান নুরের ওপর হামলাকে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়কের মন্তব্যে জানা গেছে- “হামলার পরপরই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নুরুল হক নুরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তিনি নুরকে আশ্বাস দেন যে, ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ড. ইউনূসের এই ফোনালাপকে অনেকেই ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক সহিংসতার পরিবেশে এটি একটি আস্থা ফেরানোর প্রতীকী বার্তা। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, এই আশ্বাস কার্যকর প্রমাণিত হবে কি না তা নির্ভর করবে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর। অতীতে বহুবার আশ্বাস দেওয়া হলেও বিচার হয়নি—তাই এবার সত্যিকার অর্থে সেনা ও পুলিশের সদস্যরা যদি দায়ী প্রমাণিত হন এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবে এটি নতুন সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে। অন্যথায় এটি উল্টো ড. ইউনূসের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলবে।

এই ঘটনার সঙ্গে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, সেনাপ্রধানের সদ্যসমাপ্ত চীন সফরের পরপরই এই অপ্রত্যাশিত হামলা সংঘটিত হলো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই প্রেক্ষাপট ঘটনার পেছনে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বার্তাও বহন করতে পারে। ফলে দেশীয় রাজনীতি যেমন অস্থিরতার মধ্যে পড়েছে, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এ ঘটনা নজর কাড়বে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচনের আগে দেশে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না। নুরের ওপর হামলার মতো ঘটনা যদি অব্যাহত থাকে, তবে তা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও অংশগ্রহণকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা এবং সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের আন্তরিকতা এখন সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মুখে।

রহমান মৃধা
গবেষক ও লেখক
(সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন)
Rahman.Mridha@gmail.com

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

মত দ্বিমত

প্রকৌশল খাতে বৈষম্য কাটাতে হবে লাইসেন্স ও জবাবদিহির মাধ্যমে

Published

on

প্রশাসনতন্ত্র

বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের এক সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে। শিল্পায়ন, অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রযুক্তি খাতে প্রকৌশলীরা মেরুদণ্ডস্বরূপ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে প্রকৌশলীদের দুই শাখা—স্নাতক প্রকৌশলী এবং প্রকৌশলে ডিপ্লোমাধারীদের মধ্যে টানাপোড়েন আমাদের উন্নয়নযাত্রাকে অকারণে জটিল করে তুলেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শাহবাগে স্নাতক প্রকৌশলীদের তিন দফা দাবির আন্দোলন, পুলিশের হামলা এবং পাল্টা আন্দোলনে ডিপ্লোমাধারীদের অংশগ্রহণ—সব মিলিয়ে প্রকৌশল খাত এখন এক অস্থির বাস্তবতার মুখোমুখি। তবে এ সংকট কেবল বাংলাদেশি বাস্তবতায় সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্বজুড়ে প্রকৌশল পেশাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও মানসম্মত করা হয়, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা সমাধানের পথ খুঁজতে পারি। ইউরোপ ও আমেরিকায় ‘ইঞ্জিনিয়ার’ শব্দটি কেবল ডিগ্রি অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

যুক্তরাষ্ট্রে Professional Engineer (PE) লাইসেন্স ছাড়া কেউ সরকারি প্রকল্পে সই করতে বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন না। জার্মানিতে ‘Ingenieur’ উপাধি আইন দ্বারা সংরক্ষিত। শুধু ডিগ্রি থাকলেই চলবে না, প্রফেশনাল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। যুক্তরাজ্যে Chartered Engineer (CEng) হতে হলে বহু বছরের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা যাচাই এবং নৈতিকতার শর্ত পূরণ করতে হয়। অর্থাৎ, উন্নত বিশ্বে প্রকৌশলীরা শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, নৈতিকতা এবং লাইসেন্স-এই চার ধাপ পেরিয়েই প্রকৌশলী পরিচয় পান। বাংলাদেশে এখনো এ ধরনের কাঠামো না থাকায় দ্বন্দ্ব ও দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বাংলাদেশে স্নাতক প্রকৌশলীরা বলছেন, ডিপ্লোমাধারীরা কোটার মাধ্যমে তাদের পদ দখল করছে। এতে মেধাবী স্নাতকরা কর্মক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে ডিপ্লোমাধারীরা মনে করেন, তারাও প্রকৌশলী পরিচয়ের অধিকারী এবং তাদের জন্য বাড়তি পদায়ন দরকার। ফলে উভয়পক্ষেই তীব্র রেষারেষি তৈরি হয়েছে, অথচ বাস্তবে দুই দলের কাজই পরিপূরক।

প্রশ্ন হচ্ছে-এই বিভাজন কাটিয়ে কীভাবে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যায়? বাংলাদেশে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকৌশলীর সংখ্যা কম নয়। কেউ কোটি টাকার বালিশ সরবরাহে অনিয়ম করেন, কেউ সেতু নির্মাণে খরচ ফুলিয়ে দেন। ডিগ্রিধারী হওয়া সত্ত্বেও তারা দেশের ক্ষতির কারণ হন। অন্যদিকে ইতিহাস বলে, অনেক মহৎ স্থাপনা—যেমন তাজমহল—গড়ে উঠেছিল এমন মানুষের হাতে, যাদের আধুনিক অর্থে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছিল না। তারা মেধা, সৃজনশীলতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।

অতএব প্রশ্নটা ডিগ্রির নয়; প্রশ্নটা হচ্ছে নৈতিকতা, দায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেমের। একজন মাঝারি মানের কিন্তু সৎ প্রকৌশলী দেশের জন্য অনেক বেশি মঙ্গলজনক, একজন উচ্চ ডিগ্রিধারী দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীর চেয়ে। প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইউরোপ-আমেরিকায় পাড়ি দিচ্ছেন। বিদেশে কঠোর নিয়ম ও জবাবদিহির মধ্যেও তারা সফল হচ্ছেন, অথচ দেশে থাকলে দুর্নীতির জালে জড়িয়ে পড়তে হয় বা হতাশায় পেশা ছাড়তে হয়। এর ফলে বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তির সংকট তৈরি হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতি ও উন্নয়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রথমত প্রকৌশলীদের জন্য লাইসেন্স ও নৈতিকতা কোড চালু করতে হবে। প্রকৌশলী হতে হলে শুধু ডিগ্রি নয়, পরীক্ষিত দক্ষতা ও নৈতিক মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ ‘প্রকৌশলী’ পরিচয় ব্যবহার করতে পারবে না।
দ্বিতীয়ত স্নাতক প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারীদের জন্য আলাদা কিন্তু মর্যাদাপূর্ণ ক্যারিয়ার পথ তৈরি করতে হবে। এতে রেষারেষি কমবে, কাজের দক্ষতা বাড়বে। তৃতীয়ত প্রশাসনিক ক্যাডার দিয়ে প্রকৌশল সংস্থা চালালে পেশাগত সমস্যা সমাধান হয় না, তাই প্রকৌশলীদের নেতৃত্বে আলাদা ক্যাডার গড়ে তুলতে হবে। চতুর্থত ডিপ্লোমাধারীদের জন্য উচ্চশিক্ষার সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে-কারিগরি বোর্ডের আওতায় সমমান সনদ ও ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ দিলে দক্ষ ডিপ্লোমাধারীরা চাইলে দ্রুত স্নাতক হতে পারবেন।

অবশেষে সবার জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং দুর্নীতির দায়ে প্রকৌশলীদের লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাংলাদেশে আজ প্রকৌশল খাত এক সড়কবাঁকে দাঁড়িয়ে। দ্বন্দ্ব, কোটা, দুর্নীতি আর মেধাপাচারের এই সংকট কাটাতে হলে আমাদের বুঝতে হবে-শুধু ডিগ্রি বা পদবী নয়, প্রকৌশলীর প্রকৃত পরিচয় হলো মেধা, সততা, দায়িত্বশীলতা ও দেশপ্রেম। যেদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল পেশাকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে দাঁড় করাতে পারবে, সেদিনই আমাদের উন্নয়ন টেকসই হবে।

রহমান মৃধা
গবেষক ও লেখক
(সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন)
Rahman.Mridha@gmail.com 

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

মত দ্বিমত

বাংলাদেশের নির্বাচন: এক অদৃশ্য গণতন্ত্রের গল্প

Published

on

প্রশাসনতন্ত্র

যেকোনো সময় নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে পারে, কিন্তু নির্বাচন বাস্তবে অনুষ্ঠিত হবে না। রাজধানীর রাস্তায় দিনভর মানুষ, যানবাহন আর সন্ত্রাসের আতঙ্ক যেন এক অদৃশ্য যুদ্ধের ময়দান তৈরি করেছে। যে দেশের রাষ্ট্রনীতি ভেজাল, দুর্নীতি ও স্বার্থপরতার মিশ্রণে ভরা, সেখানে প্রকৃত গণতন্ত্রের জন্ম অসম্ভব। রাজনৈতিক দলগুলো চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি এবং একে অপরকে নিপীড়নের ওপর দাঁড়িয়ে দৌড়ায়—এমন দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে ধারণা রাখা অমূলক। দূরপরবাসী হলেও আমি নিয়মিত দেশের পরিস্থিতি খুঁটিয়ে যাচাই করছি, সংবাদ খুঁটিয়ে দেখছি, তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি—এবারের নির্বাচন সঠিক সময়ে হচ্ছে না।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বর্তমান পরিস্থিতি স্পষ্ট করে দেখাচ্ছে, ড. ইউনূসকে দিয়ে হয়ত হুকুম চালানো হচ্ছে, পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে দমন করা হচ্ছে এবং রাস্তায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। স্কুলফেরত যুবক থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বেকার—সবাই যেন সেই অন্ধকারের নৃশংস খেলার অংশ। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অরাজকতা ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর নির্বাচনের পথ ক্রমশ বাধাগ্রস্ত হয়ে উঠছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ড. ইউনূস আশা করেছিলেন, নতুন প্রজন্ম শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের নেতৃত্ব নতুনভাবে গ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন—রাস্তায় নামা অধিকাংশ মানুষ ছিল টোকাই, যুবলীগ, যুবদল, শিবিরসহ দিনমজুরি; এরা জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে, গুলির আঘাতের ভয় উপেক্ষা করে লড়েছে। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর দেশের নেতৃত্ব এলিট সম্প্রদায়ের হাতে চলে গেছে—এভাবেই মূল সিদ্ধান্তগ্রহণ চলছে। নতুন দল গঠনের স্বপ্নের কর্মীরা এখন সীমিত সংখ্যক, তাদের শক্তি ও প্রভাব আগের মতো নেই। অন্যদিকে, তারেক জিয়ার যুবদলের সদস্যসংখ্যা দ্বিগুণ, কারণ এখানে যুবলীগও যোগ দিয়েছে। বিদেশে বসে গডফাদার হিসেবে তারেক জিয়া চাঁদাবাজি চালাচ্ছেন, কোনো প্রতিকূলতা ছাড়াই, আর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তার প্রভাব অদৃশ্যভাবে বিরাজ করছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেনেড হামলার মামলা ছিল মূল অভিযোগ। যদি এটি সত্য হয়, তাহলে আরও স্পষ্ট—তিনি সন্ত্রাসীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বজায় রেখে বিদেশে অবস্থান করার সময়ও সেই প্রভাব ধরে রেখেছেন এবং প্রবাস থেকে দেশের রাজনৈতিক লড়াই নিয়ন্ত্রণ করছেন। ড. ইউনূস লন্ডনে তার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং রাজনৈতিক কৌশল ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দেশে ফিরে, ড. ইউনূস একটি চাঞ্চল্যকর রাজনৈতিক রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছেন। যদিও নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল, নির্বাচনের সময় নির্ধারিত হওয়ার পরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতপার্থক্য ও দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। সম্ভবত এটাই মূল উদ্দেশ্য—দেশে আপাতত নির্বাচন হওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আভাস যখন ঘনীভূত হয়, তখন সবার দৃষ্টি চলে যায় সশস্ত্র বাহিনীর দিকে। তাদের মূল দায়িত্ব হলো দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সন্ত্রাস দমন করা। কিন্তু বাস্তবতার চাপ ও রাজনৈতিক খেলার মধ্যে তাদের ভূমিকা হয়ে ওঠে অপেক্ষমাণ, আর নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর তাদের প্রভাবও অনিশ্চিত। তারা কি কেবল সীমান্ত রক্ষা করবে, নাকি দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় সক্রিয় হস্তক্ষেপ করবে—এই প্রশ্ন এখনও উন্মুক্ত, প্রতিটি মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে।

অনেকে মনে করেন, ড. ইউনূস ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করছেন। তিনি পুরনো জেনারেলদের অবসরের অপেক্ষা করছেন, যাতে নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় সহজ হয়। পাশাপাশি, তারেক জিয়ার গ্রেনেড হামলার মামলার গোপন তথ্য এবং রাজনৈতিক দরকষাকষির দিকে নজর রাখছেন। এভাবে, শর্তের ভিত্তিতে, তারেক জিয়ার রাজনৈতিক দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সম্ভবত তাকে নিরাপদভাবে দেশে ফেরার সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।

এদিকে, দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে যুবসমাজ। বেকারত্ব, শিক্ষার অভাব ও সামাজিক সুযোগের ঘাটতি অনেক যুবককে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস এবং অপরাধের পথে ঠেলে দিচ্ছে। বিশেষ করে যুবলীগ, যুবদলসহ যারা দিনমুজুরি করে বা রাস্তায় ঘুরে সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তারা শুধু রাজনৈতিকই নয়, সামাজিকভাবেও বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। একদিকে স্কুলফেরত ছাত্র, অন্যদিকে রাস্তায় অস্ত্র হাতে—এই চরম দৃশ্য প্রতিদিন শহরকে আতঙ্কিত করছে, আর সাধারণ মানুষ যেন নিরস্ত্র অবস্থায় এই অরাজকতার সাক্ষী হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

নিষিদ্ধ বা হিংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, অপকর্মকে রাজনৈতিকভাবে উৎসাহিত করা, এবং যুবসমাজকে কেবল অপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করা—এই সমস্ত প্রথা অবশ্যই বর্জনীয়। এগুলো রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

অন্যদিকে করণীয়গুলো স্পষ্ট। প্রথমে শিক্ষার ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে যুবসমাজ জীবিকার সন্ধানে অপরাধে না জড়িয়ে পড়ে। নৈতিক ও নাগরিক শিক্ষা দিতে হবে, শৃঙ্খলা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়বোধের সঙ্গে পরিচিত করতে হবে। রাজনৈতিক দলের স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা জরুরি—যুবরাজনীতিতে চাঁদাবাজি ও সহিংসতা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হতে হবে। সামাজিক পুনর্বাসন ও মেন্টরশিপের মাধ্যমে অপরাধে জড়িত যুবকদের পুনর্গঠন করা এবং তাদের ইতিবাচক দিকনির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি মানসিক ও সামাজিক সহায়তা প্রদান করতে হবে, যাতে যুবকরা মানসিক চাপ ও বিভ্রান্তি থেকে বের হয়ে সচেতন ও সৎ পথে চলতে পারে।

সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সশস্ত্র বাহিনী অপেক্ষমাণ, ড. ইউনূস সময়ক্ষেপণ করছেন, তারেক জিয়া আড়ালে গডফাদার হিসেবে সক্রিয়, যুবসমাজ বেকারত্ব ও অরাজকতায় আক্রান্ত, আর সাধারণ জনগণ অস্থিরতার বন্দি। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনও ‘অদৃশ্য চুক্তি’ ও ‘গোপন আলোচনার’ ওপর নির্ভরশীল। রাষ্ট্র ভেজালে ভরা থাকলে নির্বাচন থেকে সংসদ পর্যন্ত খাঁটি গণতন্ত্রের জন্ম নেওয়া সম্ভব নয়।

ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার সম্ভব, তবে এর জন্য প্রয়োজন সশস্ত্র বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা, নতুন নেতৃত্বের উত্থান যেখানে শিক্ষিত, নীতিনিষ্ঠ ও স্বার্থবিহীন প্রজন্ম দেশের নেতৃত্ব গ্রহণ করবে, আন্তর্জাতিক নজরদারি ও চাপের মাধ্যমে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে দলগুলোকে পুনর্গঠন ও স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা এবং যুবসমাজকে পুনঃনির্দেশনা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক সুযোগের মাধ্যমে অপরাধ ও সহিংসতা থেকে দূরে রাখা। এই শর্তগুলো পূরণ হলে তবেই বাংলাদেশে খাঁটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে; নাহলে নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কেবল প্রতারণা ও অরাজকতার খেলা হয়ে থাকবে।

রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন। Rahman.Mridha@gmail.com

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

প্রশাসনতন্ত্র প্রশাসনতন্ত্র
পুঁজিবাজার3 hours ago

এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রয়

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার বিক্রয় সম্পন্ন করেছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য...

প্রশাসনতন্ত্র প্রশাসনতন্ত্র
পুঁজিবাজার3 hours ago

ব্লক মার্কেটে ৩৩ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ৩৩ কোটি ২৫...

প্রশাসনতন্ত্র প্রশাসনতন্ত্র
পুঁজিবাজার3 hours ago

ঢাকা ব্যাংকের উদ্যোক্তার ৫ লাখ ১৭ হাজার শেয়ার গ্রহণ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ঢাকা ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা তার বোনের কাছ থেকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার গ্রহণ করেছেন। ঢাকা...

প্রশাসনতন্ত্র প্রশাসনতন্ত্র
পুঁজিবাজার3 hours ago

শেয়ার হস্তান্তর করবেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের এক পরিচালক শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন।  AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন × ঢাকা...

প্রশাসনতন্ত্র প্রশাসনতন্ত্র
পুঁজিবাজার4 hours ago

এইচ আর টেক্সটাইলের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড।...

প্রশাসনতন্ত্র প্রশাসনতন্ত্র
পুঁজিবাজার4 hours ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।...

প্রশাসনতন্ত্র প্রশাসনতন্ত্র
পুঁজিবাজার5 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে সিটি ব্যাংক

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সিটি ব্যাংক পিএলসি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়7 minutes ago

১০ কমিশনের ৩৬৭ সুপারিশ, ৫০টি বাস্তবায়িত

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়30 minutes ago

দুর্গাপূজায় প্রতিটি মণ্ডপ পাবে ৫০০ কেজি করে চাল

প্রশাসনতন্ত্র
কর্পোরেট সংবাদ42 minutes ago

এমজেএল বাংলাদেশকে অর্থায়ন সুবিধা দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়60 minutes ago

হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে বাতিল হবে সংসদ সদস্যপদ: ইসি

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়1 hour ago

সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রশাসনতন্ত্র
মত দ্বিমত2 hours ago

মন্ত্রীদের নতুন গাড়ি নয়— প্রথমে গরিবের ভাগ্য বদলাতে হবে

প্রশাসনতন্ত্র
কর্পোরেট সংবাদ2 hours ago

আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে ‘তারুণ্যের উৎসব’

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়2 hours ago

মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযুক্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না

প্রশাসনতন্ত্র
আইন-আদালত2 hours ago

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না: হাইকোর্ট

প্রশাসনতন্ত্র
পুঁজিবাজার3 hours ago

এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রয়

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়7 minutes ago

১০ কমিশনের ৩৬৭ সুপারিশ, ৫০টি বাস্তবায়িত

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়30 minutes ago

দুর্গাপূজায় প্রতিটি মণ্ডপ পাবে ৫০০ কেজি করে চাল

প্রশাসনতন্ত্র
কর্পোরেট সংবাদ42 minutes ago

এমজেএল বাংলাদেশকে অর্থায়ন সুবিধা দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়60 minutes ago

হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে বাতিল হবে সংসদ সদস্যপদ: ইসি

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়1 hour ago

সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রশাসনতন্ত্র
মত দ্বিমত2 hours ago

মন্ত্রীদের নতুন গাড়ি নয়— প্রথমে গরিবের ভাগ্য বদলাতে হবে

প্রশাসনতন্ত্র
কর্পোরেট সংবাদ2 hours ago

আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে ‘তারুণ্যের উৎসব’

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়2 hours ago

মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযুক্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না

প্রশাসনতন্ত্র
আইন-আদালত2 hours ago

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না: হাইকোর্ট

প্রশাসনতন্ত্র
পুঁজিবাজার3 hours ago

এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রয়

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়7 minutes ago

১০ কমিশনের ৩৬৭ সুপারিশ, ৫০টি বাস্তবায়িত

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়30 minutes ago

দুর্গাপূজায় প্রতিটি মণ্ডপ পাবে ৫০০ কেজি করে চাল

প্রশাসনতন্ত্র
কর্পোরেট সংবাদ42 minutes ago

এমজেএল বাংলাদেশকে অর্থায়ন সুবিধা দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়60 minutes ago

হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে বাতিল হবে সংসদ সদস্যপদ: ইসি

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়1 hour ago

সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রশাসনতন্ত্র
মত দ্বিমত2 hours ago

মন্ত্রীদের নতুন গাড়ি নয়— প্রথমে গরিবের ভাগ্য বদলাতে হবে

প্রশাসনতন্ত্র
কর্পোরেট সংবাদ2 hours ago

আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে ‘তারুণ্যের উৎসব’

প্রশাসনতন্ত্র
জাতীয়2 hours ago

মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযুক্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না

প্রশাসনতন্ত্র
আইন-আদালত2 hours ago

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না: হাইকোর্ট

প্রশাসনতন্ত্র
পুঁজিবাজার3 hours ago

এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রয়