অর্থনীতি
ভারত থেকে পোশাকের আমদানি কমেছে

প্রতিবছর ঈদ আসলেই ভারত ও পাকিস্তান থেকে তৈরি পোশাকের আমদানি বাড়ে। ঈদের বাজারে যেভাবে দোকানে দোকানে এই দুটি দেশের পোশাক বেচাকেনা হয়, সে তুলনায় বৈধপথে আমদানি খুবই কম। মূলত ভারত থেকে অবৈধপথে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক আমদানি হয়। গত তিন মাসে ১৩ লাখ ২৯ হাজার পিস পোশাক আমদানি হয়েছে। এসব পোশাকের শুল্কায়িত মূল্য ৪৫ কোটি টাকা। গত রোজার আগে একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লাখ পিস কম।
গত এক দশকে দেশের বড় উদ্যোক্তারাও পোশাকের নিজস্ব ব্র্যান্ড গড়ে তুলেছেন। তবু ক্রেতাদের চাহিদার কারণে ঈদের আগে প্রতিবছর ভারত ও পাকিস্তান থেকে তৈরি পোশাকের আমদানি বাড়ে। অবৈধপথে পোশাক আমদানির সঠিক হিসাব পাওয়া না গেলেও বৈধপথে পোশাক আমদানির সঠিক হিসাব পাওয়া যায়।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেশ দুটি থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করে থাকে। আবার রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্যাম্পল বা নমুনা হিসেবেও পোশাক আমদানি করে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য মতে, গত তিন মাসে (ডিসেম্বর–ফেব্রুয়ারি) ভারত ও পাকিস্তান থেকে ২২ লাখ ৩৫ হাজার পিস পোশাক আমদানি হয়েছে। গত রোজার আগে একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ২৬ লাখ পিস পোশাক।
ভারত থেকে গত তিন মাসে ১৩ লাখ ২৯ হাজার পিস পোশাক আমদানি হয়েছে। এসব পোশাকের শুল্কায়িত মূল্য ৪৫ কোটি টাকা। গত রোজার আগে একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লাখ পিস কম।
আমদানি হওয়া এসব পোশাকের মধ্যে থ্রি–পিস আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার পিস। গত রোজার আগে একই সময়ে থ্রি–পিস আমদানি হয়েছিল ১ লাখ ৮৮ হাজার পিস। এবার প্রতি পিসের গড় আমদানি মূল্য ৩ দশমিক ০৮ ডলার বা ৩৭৭ টাকা। গড়ে প্রতি পিসের শুল্ক–কর ৭২৮ টাকা। এ হিসাবে প্রতি পিসের দাম পড়ছে ১ হাজার ১০৫ টাকা।
সবচেয়ে ভালো মানের থ্রি–পিস আমদানি হয়েছে ১২ ডলার বা ১ হাজার ৪৬৪ টাকায়। শুল্ক–কর ১ হাজার ৯২৫ টাকা। সব মিলিয়ে উন্নত মানের থ্রি–পিসের আমদানি মূল্য ৩ হাজার ৩৮৯ টাকা। সবচেয়ে সাধারণ মানের থ্রি–পিসের আমদানি মূল্য পড়েছে শুল্ক–করসহ ৭৩১ টাকা।
ভারত থেকে লেহেঙ্গা আমদানিও কমেছে এবার। এবার ৫ হাজার ২৯৭ পিস লেহেঙ্গা আমদানি হয়েছে। আমদানি মূল্য গড়ে ১৭ ডলার। প্রতি পিসের গড় শুল্ক–কর ৪ হাজার ৩৩২ টাকা। তাতে প্রতি পিসের আমদানি খরচ পড়েছে ৬ হাজার ৪০৬ টাকা।
ভারত থেকে এবার শাড়ি আমদানি বেড়েছে। গত ডিসেম্বর–ফেব্রুয়ারিতে শাড়ি আমদানি হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার পিস। গতবার আমদানি হয়েছিল ১ লাখ ১৮ হাজার পিস। ভারত থেকে পাঞ্জাবি আমদানি গতবারের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। মেয়েদের পোশাক আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার পিস, শিশুদের ৪ লাখ ৬১ হাজার পিস।
পাকিস্তান থেকে এবার তিন মাসে প্রায় ৯ লাখ পিস পোশাক আমদানি হয়েছে। শুল্কায়ন মূল্য হিসাবে তা ৫২ কোটি টাকা। গতবারের তুলনায় পাকিস্তান থেকে পোশাক আমদানি বেড়েছে প্রায় ৯২ হাজার পিস।
পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া পোশাকের ৯৭ শতাংশই মেয়েদের পোশাক থ্রি–পিস, টু–পিস ও ওয়ান–পিস। গত তিন মাসে (ডিসেম্বর–ফেব্রুয়ারি) দেশটি থেকে থ্রি–পিস আমদানি হয়েছে ৭ লাখ ৩৫ হাজার পিস। টু–পিস ও ওয়ান–পিস আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার পিস।
থ্রি–পিস আমদানিতে ব্যবসায়ীরা ১ থেকে ১০ ডলার মূল্য ঘোষণা করেছেন। তবে কাস্টমস বলছে, এই দর অবিশ্বাস্য। এ জন্য তিন–চার গুণ বেশি দর ধরে শুল্কায়ন করেছে কাস্টমস। যেমন এক ডলারে আনা পোশাকের শুল্কায়ন করা হয়েছে চার ডলারে। তাতে প্রতি পিস থ্রি–পিসের শুল্ক–কর নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩১ টাকা।
পাকিস্তান থেকে ছেলেদের পোশাক হিসাবে আমদানি হয়েছে ৪ হাজার ১৩৯ পিস পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবি আমদানি হয়েছে ৩ থেকে ১০ ডলারে।
তৈরি পোশাকের বাইরেও পাকিস্তান থেকে কাপড় আমদানি হচ্ছে। তবে বেশির ভাগই আমদানি করছে পোশাক রপ্তানিকারকদের প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্যিকভাবেও কাপড় আমদানি হচ্ছে। তবে পরিমাণে কম। ব্যবসায়ীরা জানান, বৈধপথের বাইরে পাকিস্তান থেকেও অবৈধভাবে পোশাক আসছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। এ দেশের তৈরি পোশাক বিক্রি হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকার নামীদামি ব্র্যান্ডের বিক্রয়কেন্দ্রে। দেশেও পোশাকের বড় বড় ব্র্যান্ড গড়ে উঠেছে। দেশীয় এই খাতকে সুরক্ষা দিতে পোশাক আমদানিতে উচ্চ শুল্ক–কর রয়েছে। তবে অবৈধপথে আনা পোশাকে রাজস্ব দিতে হয় না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
ব্যাংক দেউলিয়া হলে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন গ্রাহক

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকের গচ্ছিত আমানতের সুরক্ষায় গঠন করা হবে ‘আমানত সুরক্ষা তহবিল’। ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক তহবিল গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পৃথক হিসাবের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এ তহবিল। এমনই এক নতুন আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংক আমানত বিমা আইন ২০০০ এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠিত আমানত বিমা ট্রাস্ট তহবিলে জমা করা অর্থ আমানত সুরক্ষা তহবিলে (ব্যাংক কোম্পানি) প্রারম্ভিক জমা হিসেবে স্থানান্তরিত হবে। যেখানে মোট সুরক্ষিত আমানতের আনুপাতিক হারে তহবিলের আকার নির্ধারণ হবে। আমানতকারীর সর্বোচ্চ সুরক্ষা আমানতের পরিমাণ হবে দুই লাখ টাকা। সবোর্চ্চ এ সীমা তিন বছর পর পর পর্যালোচনা করা হবে।
জনমত গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত এই খসড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে আমানত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রিমিয়ামের মাধ্যমে পরিচালিত এক পৃথক তহবিল তদারকি করবে এ কর্তৃপক্ষ। অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়ন করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
অধ্যাদেশে আমানত সুরক্ষা বলতে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠান অবসায়নের (দেউলিয়া) ক্ষেত্রে এর আমানতকারীদের সুরক্ষিত আমানত পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান এবং আমানত সুরক্ষা ব্যবস্থা মানে আমানত সুরক্ষার জন্য কার্যকরী পদ্ধতি। সরকারের আমানত, সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের আমানত, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান-স্বশাসিত সংস্থা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আমানত, সদস্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত, সদস্য প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক শাখায় সংগৃহীত আমানত, বিদেশি সরকারের আমানত, বিদেশি সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের আমানত ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আমানত এ অধ্যাদেশের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
আমানত সুরক্ষা তহবিলের উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- সদস্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বা অন্য কোনো উৎস থেকে নিয়মিত সংগৃহীত আর্থিক সম্পদ। বার্ষিক প্রিমিয়াম, বিনিয়োগ থেকে আয় এবং নতুন ব্যাংকের ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধনের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্রারম্ভিক জমা।
অধ্যাদেশের খসড়ায় আমানত সুরক্ষা তহবিলে বলা হয়েছে, সুরক্ষা সীমা অতিক্রম করা আমানতকারীদের অতিরিক্ত অর্থের দাবি লিকুইডেটরের মাধ্যমে করতে হবে। নিরাপদ আমানতের জন্য সাত দিনের মধ্যে পরিশোধের সময়সীমা এবং তহবিলের আয়কর ছাড়ের বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়েছে। প্রিমিয়াম সময়মতো পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও আমানতকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অধ্যাদেশ আনার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
খসড়া অধ্যাদেশটি ব্যাংক আমানত বিমা আইন-২০০০ এর স্থলাভিষিক্ত হবে, যেখানে সর্বোচ্চ পরিশোধের সীমা ছিল এক লাখ টাকা। সরকার এটি বাস্তবায়নের জন্য একটি আমানত সুরক্ষা ব্যবস্থা গঠন করবে, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক আমানত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত দায়িত্ব যেমন রেগুলেটরি, সুপারভাইজরি ও রেজুলেশন সম্পর্কিত কার্যক্রম থেকে আলাদা ও স্বাধীন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক তার ক্ষমতা ও দায়িত্ব কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য সংগঠনের কাঠামোর মধ্যে একটি আলাদা বিভাগ গঠন করবে। এটি ডিপোজিট প্রোটেকশন ডিভিশন নামে পরিচিত হবে।
আমানত সুরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সাত সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ। এ পর্ষদের চেয়ারম্যান হবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। পরিচালনা পর্ষদ প্রতি তিন বছর অন্তর কমপক্ষে একবার সুরক্ষিত আমানতের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করবে। বিধিবিধান, বিনিয়োগ নীতি এবং ঝুঁকি নির্ভর প্রিমিয়াম হারের তদারকি করবে। যা ব্যাংক সংকট মোকাবিলায় সহায়তার জন্যও তহবিল বরাদ্দ করবে।
আমানত তহবিল বিষয়ে খসড়া অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, আয়কর আইন ২০২৩, ব্যবসায়িক মুনাফা আইন ১৯৪৭ বা অন্য কোনো বিদ্যমান কর আইন নির্বিশেষে আমানত সুরক্ষা তহবিলের আয়, মুনাফা বা প্রাপ্তির ওপর কোনো আয়কর, অতিরিক্ত কর বা ব্যবসায়িক মুনাফা কর প্রযোজ্য হবে না। যদি কোনো সদস্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের চলতি অ্যাকাউন্ট থেকে সংশ্লিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে আমানত সুরক্ষা তহবিলের সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিলম্বিত প্রিমিয়ামের ওপর জরিমানা আরোপ করতে পারবে। সরকারি ট্রেজারি বন্ড বা ট্রেজারি বিলের মধ্যে যে হার সর্বোচ্চ, সেই হার অনুযায়ী সুদ প্রযোজ্য হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
একনেকে ২১ হাজার কোটি টাকার ১৫ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী পরিষদের সভায় ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ২৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের অর্থায়ন ১৪ হাজার ১৯৩কোটি ৫৭ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ৬ হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪০৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
রবিবার (২৩ মার্চ) একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প- চট্টগ্রাম মহানগরীর কালুরঘাট এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প, Strengthening Institutions for Climate Change Adapted Water Resource Management in Dhaka প্রকল্প, এবং সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প ফেজ-৩ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কানেকটিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও দোতলা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প (১ম সংশোধন) প্রকল্প।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঢাকা শহর সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প (২য় সংশোধিত) প্রকল্প; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি প্রকল্প; খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সারাদেশে অবস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্য গুদাম এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামোর মেরামত ও সংস্কার প্রকল্প; ভূমি মন্ত্রণালয়ের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপিত রেকর্ড রুমসমূহ সংস্কার ও মেরামত প্রকল্প; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রভেন বুল তৈরি প্রকল্প এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
এছাড়া কুষ্টিয়া জেলায় নতুন সার্কিট হাউজ নির্মাণ (১ম সংশোধিত) ৪র্থ বার বৃদ্ধি, চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড (পতেঙ্গা হতে সাগরিকা) (৪র্থ সংশোধিত) ৪র্থ বার বৃদ্ধি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর অধীনে সুপার স্পেশিয়ালাইজড হাসপাতাল স্থাপন (২য় সংশোধিত) চতুর্থ বার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব সভায় পাস করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৪৪ কোটি ডলার

ঈদকে সামনে রেখে আরও বেড়েছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ধারা। চলতি মাস মার্চের প্রথম ২২ দিনেই এসেছে প্রায় আড়াই বিলিয়ন (২৪৪ কোটি ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে) যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকার বেশি। সে হিসেবে প্রতিদিন আসছে প্রায় ১১ কোটি ডলার (১৩৫৩ কোটি টাকা) করে। সবকিছু ঠিক থাকলে মার্চে প্রবাসী আয়ের ইতিহাস সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।
অর্থাৎ তিন বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করবে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। যার ফলে রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড করবে দেশ। এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) রেমিট্যান্স আসে গত বছরের ডিসেম্বরে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গত ৫ আগস্টের পর নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনে বেড়ে যায় প্রবাসী আয়ের গতি। একইসঙ্গে কমেছে হুন্ডি কারবারি এবং অর্থপাচার। তাছাড়া খোলা বাজারের মতোই ব্যাংকে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে আরও বেশি বেড়েছে রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ।
আলোচিত ২২ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ কোটি ডলার। বিশেষায়িত ২ ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে প্রায় ২০ কোটি ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। তবে এ সময়ে রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৭টি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৮ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথম ৮ মাসে এক হাজার ৪৯৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে। সে হিসেবে গত অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৩৫৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।
এর আগে গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। আর এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৭ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
একক মাস হিসেবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সেই রেকর্ড ভেঙেছে ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে। ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কৃষি ও পল্লি ঋণ মঞ্জুর-নবায়নে সিআইবি রিপোর্ট বাধ্যতামূলক

কৃষি ও পল্লি ঋণের (এমএফআই লিংকেজ ব্যতীত) আওতাভুক্ত সব খাতে নতুন ঋণ মঞ্জুর বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের জন্য সিআইবি রিপোর্ট যাচাই করতে হবে। রবিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো বা সিআইবি রিপোর্ট যাচাই ব্যতীত ঋণ প্রদান করা হলে একজন গ্রাহক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ (২.৫০ লাখ) টাকা পরিমাণের একাধিক শস্য ও ফসল ঋণ গ্রহণ করলেও তা ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকের পক্ষে জানা সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রক্রিয়ায় খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদন সংগ্রহ করা পূর্বের তুলনায় অনেক সহজ করা হয়েছে। ব্যাংক সমূহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি সার্ভার ব্যবহার করে দ্রুত ঋণ আবেদনকারীর সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে কৃষি ও পল্লি ঋণের (এমএফআই লিংকেজ ব্যতীত) আওতাভুক্ত সব খাতে যেকোনো পরিমাণের নতুন ঋণ মঞ্জুরি বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের জন্য সিআইবি রিপোর্ট যাচাই করতে হবে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচির আলোচ্য অনুচ্ছেদের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। এ নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয় নির্দেশনায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলেও কর বৃদ্ধি করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

আগামী বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল থাকলেও তার ওপর কর বাড়বে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
শনিবার (২২ মার্চ) ঢাকার পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য দেশীয় রাজস্ব সংগ্রহ: বাংলাদেশের জন্য নীতি সংস্কার অগ্রাধিকার’- শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) ও ইআরএফ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের প্রেসিডেন্ট দৌলত আক্তার মালা।
এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আবাসনের ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে রিহ্যাব সব সময় বলে এই সুযোগ রাখার। না রাখলে তাদের ফ্ল্যাট, প্লট বিক্রি ও এই খাতে বিনিয়োগ কমে যাবে। আমরা চেষ্টা করব বাতিল করতে। তবে, যদি আমরা এটি পুরোপুরি বাতিল করতে ব্যর্থ হই, তাহলে অন্তত ট্যাক্সের হার বৃদ্ধি করে আদর্শ করহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার চেষ্টা করব।
উল্লেখ্য, এনবিআর ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ, নগদ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, আর্থিক স্কিম ও ইনস্ট্রুমেন্ট, সব ধরনের ডিপোজিট বা সেভিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু বাজেটের সময় ঘোষিত আবাসন খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত পরিমাণে কর পরিশোধের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত পরিসম্পদ (কালো টাকা) প্রদর্শিত (সাদা) করা সংক্রান্ত বিধানটি বহাল রাখা হয়।
আগামী বাজেট কেমন হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে আগামী বাজেট হবে ব্যবসাবান্ধব ও জনকল্যাণমুখী। কিছুদিন ধরে এনবিআর যে কাজগুলো করেছে, এর মাধ্যমে বিষয়টি আপনারা টেরও পেয়েছেন। এ বছর দুবার সয়াবিন তেলের শুল্ক কমানো হয়েছে; দুবার চিনির শুল্ক কমানো হয়েছে। এ ছাড়া খেজুর, ডাল, ডিম, চাল, পেঁয়াজ প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছি। তার সুফলও পাওয়া গেছে।
আবদুর রহমান খান বলেন, শুল্কছাড়ের ফলে আমরা কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। তবে আমরা সেগুলো চিন্তা করিনি। আমরা জনস্বার্থ চিন্তা করেছি। কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকা সত্ত্বেও যারা আয়কর রিটার্ন দেন না, তাদের নোটিশ দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা নোটিশ দেওয়া শুরু করেছি। এখন লোকজন হয়ত বলা শুরু করবে যে আমরা তো খুব ঝামেলায় আছি।
তিনি আরও জানান, আগামী বাজেটে নতুন করে কোনো কর অব্যাহতি দেওয়া হবে না। আমরা চিন্তা করেছি, বিদ্যমান কর অব্যাহতিও কমাব, উঠিয়ে দেব এবং যারা কম হারে দেয়, তাদের বাড়িয়ে দেব। নতুন কোনো কর অব্যাহতি দেওয়া হবে না।
মূল প্রবন্ধে র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ বলেন, দেশের আর্থিক উন্নতি, পরনির্ভরশীলতা কমানো ও আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে দেশের ভেতরে কর আহরণ বৃদ্ধি করা অত্যাবশ্যক; কিন্তু কর আহরণ ও কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে অবকাঠামো সমস্যার কারণে দেশের কর-জিডিপি হার এখনো অনেক কম।
দেশে রাজস্ব-জিডিপির হার বেশ কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে উল্লেখ করে আবু ইউসুফ আরও বলেন, গত বছর এটি আরও কমে ৮ শতাংশের নিচে নেমেছে। প্রত্যক্ষ কর আহরণ কম হওয়ায় রাজস্ব আহরণের জন্য সরকার ভ্যাট ও বাণিজ্যকেন্দ্রিক রাজস্ব আদায়ে বেশি নির্ভর করছে, যা নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রভাবিত করছে।