পুঁজিবাজার
করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান বেক্সিমকো ফার্মার

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বেক্সিমকো ফার্মা) বিরুদ্ধে করোনার ভ্যাকসিন কেনাকাটায় দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে কোম্পানিটি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদ ও শিরোনামকে অতিরঞ্জিত ও মানহানিকর বলে দাবি করেছে তারা।
বুধবার সংবাদপত্র অফিসে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানিটি এসব সংবাদের বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছে।
কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোম্পানির সুনাম ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি হাজারো সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারকে ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছে। উল্লেখ্য বেক্সিমকো ফার্মাতে ৩২% এরও বেশি শেয়ার বিদেশি মালিকানাধীন।
বেক্সিমকো ফার্মা বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (এসএসআই) থেকে ১.৫ কোটি অক্সফোর্ড এস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিন (কোভিশিল্ড) ডোজ কেনার সঙ্গে যুক্ত ছিল যার মোট ব্যয় ছিল ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪৮০ কোটি টাকা)। এই সরবরাহের জন্য বেক্সিমকো ফার্মা প্রতি ডোজ ১ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১২০ কোটি টাকা) সার্ভিস ফি হিসাবে পেয়েছিল। ফলে ১৫ মিলিয়ন কোভিশিল্ড ডোজের মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৬০০ কোটি টাকা।
তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও নিউজ পোর্টাল বিভ্রান্তিকরভাবে শিরোনাম প্রকাশ করে বেক্সিমকো ফার্মাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে, কোম্পানিটি কোভিড ভ্যাকসিন ক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ২২,০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির তদন্তের আওতায় রয়েছে।
প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে যে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করোনারে ভ্যাকসিন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় ২২,০০০ কোটি টাকা সরকারি তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে সালমান এফ রহমান, বেক্সিমকো ফার্মা ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়াও, প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে সরকার প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ও আলোচনার প্রক্রিয়া এড়িয়ে শুধুমাত্র একটি উৎসের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কোম্পানিটি বলেছে, করোনা মহামারির সময় ধনী দেশগুলো প্রায় সব ভ্যাকসিন ডোজ আগেই প্রি-বুক করে রেখেছিল ফলে বাংলাদেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো মারাত্মক অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলেও বৈশ্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল ছিল তাই কোনো প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানই ভ্যাকসিন সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে পারছিল না।
পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে বেক্সিমকো ফার্মা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রস্তুতকৃত অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে অগ্রাধিকার দেয় । এটি তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল ছিল, পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে ভালো ফলাফল দেখিয়েছিল এবং ফাইজার বা মডার্নার মতো আল্ট্রা-কোল্ড স্টোরেজের প্রয়োজন ছিল না।
বেক্সিমকো ফার্মা বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও কোভিশিল্ডের অনুমোদিত প্রস্তুতকারী ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের (এসএসআই) সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। ২০২০ সালের আগস্টে বেক্সিমকো ফার্মা ও সিরাম ইনস্টিটিউট কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেয় যেখানে বাংলাদেশের চাহিদা পূরণের জন্য সিরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে একমাত্র পরিবেশক হিসেবে মনোনীত হয়।
বেক্সিমকো ফার্মার নিরলস প্রচেষ্টার ফলে অবশেষে বাংলাদেশ ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি কোভিশিল্ডের প্রথম চালান হিসেবে ৫০ লাখ ডোজ পায়। ফলশ্রুতিতে অনেক উন্নত দেশের আগেই বাংলাদেশ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। বেক্সিমকো ফার্মার পেশাদারিত্ব, আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং নিরলস প্রচেষ্টার ফলে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার, বেক্সিমকো ফার্মা ও ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (এস এস আই)-এর মধ্যে ভ্যাকসিন ক্রয় চুক্তিতে সরকারি ক্রয় বিধি অনুসরণ করা হয়নি বলে প্রতিবেদনগুলোতে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা বস্তুনিষ্ট নয়।
বেক্সিমকোর দাবি, সিরাম ইনস্টিটিউট (এস এস আই) সরাসরি সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানায় কারণ প্রতিষ্ঠানটি নিজেরা বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সমূহের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সক্ষম ছিল না এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল।
এছাড়া, সরকার সাধারণত বিদেশি প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন ক্রয় করে না। এ ধরনের চাহিদা পূরণ করতে সবসময় একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
বেক্সিমকো ফার্মা একটি দায়িত্বশীল মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে ভ্যাকসিনের সঠিকভাবে প্রাপ্তি সরবরাহ ও বিতরণ নিশ্চিত করেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে পতন, বাজার মূলধন কমলো ৪ হাজার কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (৪ মে থেকে ৮ মে) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আর সপ্তাহের শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ১২৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা ০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
সমাপ্ত সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সব কয়টি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৩২ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ১৯ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮২ শতাংশ।
আলোচ্য সপ্তাহে সূচকের পতনের পরও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৫২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৩০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বা ৩৭ দশমিক ০৪ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪১টি কোম্পানির, কমেছে ২৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিএটিবিসির ইপিএস কমেছে ২৩ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড (বিএটিবিসি) গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ২৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৮৯ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৭ টাকা ৬৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল মাইনা্স ১৭ টাকা ৬২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১০ টাকা ৪৯ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৯৭ টাকা ৭৭ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লিন্ডে বাংলাদেশের আয় কমেছে ১৭ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১৭ দশমিক ২১ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ২৯ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৩৯ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ১ টাকা ৮০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২২ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৩৪ টাকা ৬৩ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ না হলে অর্থনীতি পিছিয়ে যাবে: আনিসুজ্জামান

ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ না হলে আমাদের অর্থনীতির একটা অংশ পিছিয়ে যাবে অর্থাৎ সামগ্রিক উন্নতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
বুধবার (৭ মে) হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এদিন বর্তমান পুঁজিবাজারের সমস্যা, উত্তরণ এবং একে সমৃদ্ধ করার জন্য ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে করনীয় বিষয়ে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, পরিচালক মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম, পরিচালক শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী, সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এম সাইফুর রহমান মজুমদার,। এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি ও সিএসইর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভাতে প্রায় ১১টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- টিকে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, বিএসআরএম গ্রুপ, কেডিএস গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, ফারুক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, দৈনিক আজাদি লিমিটেড, নাহার এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেড, খাতুনগঞ্জ চেম্বার, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রাম, বিএসএ এপারেলস লিমিটেড, দি লাকি এপারেলস ইন্টারন্যাশনাল (প্রাঃ) লিমিটেড, এপিক প্রোপারটিজ লিমিটেড।
সভায় বেশকিছু প্রস্তাব ও মতামত দেওয়া হয়। সেগুলো হলো- ব্যবসার জন্য সামগ্রিক ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ব্যবসা করার জন্য বিদ্যমান পলিসিগুলোর পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং প্রয়োজনে নতুন করে তৈরি করতে হবে। ব্যবসার জন্য পরিবেশ অর্থাৎ পলিসি, প্রক্রিয়া এবং প্রয়োগিক সব ক্ষেত্রে ব্যবসা বান্ধব হওয়া জরুরী । ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, তখন স্বাভাবিকভাবে আমাদের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। দেশে ফরেন ডিরেক্ট ইনেভেস্টমেন্ট কিংবা পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ আসার জন্য সর্বস্তরের (সব সংশ্লিষ্ট স্টেকদের) পদ্ধতিগুলো সহজ করতে হবে। ভালো ভালো সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে হবে।
বিদেশী কোম্পানিগুলোকে লিস্টেড করার জন্য পলিসি থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে পদ্ধতিকে সহজ করতে হবে ও সল্প সময়ে করার ব্যবস্থা করতে হবে। ষ্টক এক্সচেঞ্জ, রেগুলেটরি সংস্থা, সব স্টেকসমূহকে যে কোনো কাজের জন্য সম্মিলিতভাবে একই প্লাটফর্মে থেকে কাজ করতে হবে যেন ফান্ডামেন্টাল/মৌলিক ব্যাপারগুলোর একটি ধারাবাহিক সিস্টেমে থাকে, তবে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যাবে। যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে কম্পালায়েন্স এমনভাবে কার্যকর করা দরকার যেন প্রসেসকে ঠিক রেখে প্রতিটি কাজ দ্রুত সময়ে সম্পন্ন হয়।
পুঁজিবাজার ভাইব্রেন্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণ করার সুযোগ বাড়াতে হবে, প্রোডাক্ট দিয়ে সমৃদ্ধ করতে হবে, অর্থনীতির গতিশীলতার বিবেচনায় কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সিএসই ইতিমধ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের জন্য ফিজিবল স্টাডি করেছে যেখানে ব্যবসায়িক কমিউনিটি অংশগ্রহণ করেছে কিন্তু এখনও এক্সচেঞ্জ চালু হয়নি। কেন হয়নি এবং কবে হতে পারে সে ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ।কেননা কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অর্থনীতির অগ্রসরতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বক্তব্য বিস্তারিত শুনেন। একই সথে তিনি বলেন, আপনারা যে ধরনের পরিবর্তন আশা করছেন আমাদের কাজ করার উদ্দেশ্যও তাই। কারন সংস্কার চলমান এবং আজকের এই আলোচনাও এর অংশ।একটি দেশ ও তার সামগ্রিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তার ব্যবসায়িক কমিউনিটির বিশাল ভুমিকা রয়েছে । আমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে, সেটা অর্জনের জন্য সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়াটাই জরুরী। আর সেজন্য আপানদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ না হলে আমাদের অর্থনীতির একটা অংশ পিছিয়ে যাবে অর্থাৎ সামগ্রিক উন্নতি হবে না। এখন পর্যন্ত কি হয়নি সেটা না ভেবে কতদূর এগিয়েছি, আরও কতখানি গেলে আমরা সবাইকে নিয়ে আমাদের লক্ষ্যে পৌছাব সেটা ভাবতে হবে, সে প্রক্রিয়াটা ঠিক করতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশ ২০ বছরে আমূল পরিবর্তন করেছে, আমরা ৫০ বছর পার করেছি কিন্তু অগ্রগতি ততখানি হয়নি, আমাদেরকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে, আমরাও পারব এই মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে উল্লেখ্য ডেরিভেটিভস মার্কেট, কমোডিটি মার্কেট, বুরুকেটিকস পদ্ধতি, ট্যাক্স পদ্ধতি, পলিসি তৈরি করা ইত্যাদি সব বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আলাদা করে দেখলে সব প্রবলেমগুলো একরকম কিন্তু যখন একসাথে দেখা হয় তখন অনেককগুলো বিষয়ে বিবেচনা করে এগিয়ে যেতে হবে। তবে উলেখ্য যে, ইতিমধ্যে কমোডিটি মার্কেট নিয়ে যে কাজ সিএসই সম্পন্ন করেছে সেটা প্রশংসার দাবিদার, বিশেষ করে রিয়েল টাইম রিস্ক মেনেজমেন্ট নিয়ে যে কাজ হয়েছে সেটাও রিমারকেবল এবং আমি অবগত যে, বিএসইসিও সন্তুষ্ট। আমরা আপনাদের মতামতগুলো জানলাম এবং মূলত বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্যই এই আয়োজন। আশা করি, আপনাদের মতামত এবং চমৎকার প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে দ্রুত একটা সঠিক পথ বের করতে পারবো।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে ১১ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।
বৃহস্পতি (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২৫ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ২৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১০ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২১ টাকা ৩৮ পয়সা।
কাফি