পুঁজিবাজার
করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান বেক্সিমকো ফার্মার

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বেক্সিমকো ফার্মা) বিরুদ্ধে করোনার ভ্যাকসিন কেনাকাটায় দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে কোম্পানিটি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদ ও শিরোনামকে অতিরঞ্জিত ও মানহানিকর বলে দাবি করেছে তারা।
বুধবার সংবাদপত্র অফিসে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানিটি এসব সংবাদের বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছে।
কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোম্পানির সুনাম ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি হাজারো সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারকে ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছে। উল্লেখ্য বেক্সিমকো ফার্মাতে ৩২% এরও বেশি শেয়ার বিদেশি মালিকানাধীন।
বেক্সিমকো ফার্মা বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (এসএসআই) থেকে ১.৫ কোটি অক্সফোর্ড এস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিন (কোভিশিল্ড) ডোজ কেনার সঙ্গে যুক্ত ছিল যার মোট ব্যয় ছিল ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪৮০ কোটি টাকা)। এই সরবরাহের জন্য বেক্সিমকো ফার্মা প্রতি ডোজ ১ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১২০ কোটি টাকা) সার্ভিস ফি হিসাবে পেয়েছিল। ফলে ১৫ মিলিয়ন কোভিশিল্ড ডোজের মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৬০০ কোটি টাকা।
তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও নিউজ পোর্টাল বিভ্রান্তিকরভাবে শিরোনাম প্রকাশ করে বেক্সিমকো ফার্মাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে, কোম্পানিটি কোভিড ভ্যাকসিন ক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ২২,০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির তদন্তের আওতায় রয়েছে।
প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়েছে যে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করোনারে ভ্যাকসিন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় ২২,০০০ কোটি টাকা সরকারি তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে সালমান এফ রহমান, বেক্সিমকো ফার্মা ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়াও, প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে সরকার প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ও আলোচনার প্রক্রিয়া এড়িয়ে শুধুমাত্র একটি উৎসের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কোম্পানিটি বলেছে, করোনা মহামারির সময় ধনী দেশগুলো প্রায় সব ভ্যাকসিন ডোজ আগেই প্রি-বুক করে রেখেছিল ফলে বাংলাদেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো মারাত্মক অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলেও বৈশ্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল ছিল তাই কোনো প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানই ভ্যাকসিন সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে পারছিল না।
পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে বেক্সিমকো ফার্মা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রস্তুতকৃত অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে অগ্রাধিকার দেয় । এটি তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল ছিল, পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে ভালো ফলাফল দেখিয়েছিল এবং ফাইজার বা মডার্নার মতো আল্ট্রা-কোল্ড স্টোরেজের প্রয়োজন ছিল না।
বেক্সিমকো ফার্মা বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও কোভিশিল্ডের অনুমোদিত প্রস্তুতকারী ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের (এসএসআই) সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। ২০২০ সালের আগস্টে বেক্সিমকো ফার্মা ও সিরাম ইনস্টিটিউট কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেয় যেখানে বাংলাদেশের চাহিদা পূরণের জন্য সিরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে একমাত্র পরিবেশক হিসেবে মনোনীত হয়।
বেক্সিমকো ফার্মার নিরলস প্রচেষ্টার ফলে অবশেষে বাংলাদেশ ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি কোভিশিল্ডের প্রথম চালান হিসেবে ৫০ লাখ ডোজ পায়। ফলশ্রুতিতে অনেক উন্নত দেশের আগেই বাংলাদেশ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। বেক্সিমকো ফার্মার পেশাদারিত্ব, আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং নিরলস প্রচেষ্টার ফলে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার, বেক্সিমকো ফার্মা ও ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (এস এস আই)-এর মধ্যে ভ্যাকসিন ক্রয় চুক্তিতে সরকারি ক্রয় বিধি অনুসরণ করা হয়নি বলে প্রতিবেদনগুলোতে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা বস্তুনিষ্ট নয়।
বেক্সিমকোর দাবি, সিরাম ইনস্টিটিউট (এস এস আই) সরাসরি সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানায় কারণ প্রতিষ্ঠানটি নিজেরা বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সমূহের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সক্ষম ছিল না এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল।
এছাড়া, সরকার সাধারণত বিদেশি প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন ক্রয় করে না। এ ধরনের চাহিদা পূরণ করতে সবসময় একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
বেক্সিমকো ফার্মা একটি দায়িত্বশীল মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে ভ্যাকসিনের সঠিকভাবে প্রাপ্তি সরবরাহ ও বিতরণ নিশ্চিত করেছে।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এজিএম

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ২১-২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১১টায় রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ’র (আইডিইবি) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ এমবিই। অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, গোলাম মোস্তফা আহমেদ, জাকারিয়া আহাদ, কামাল মিয়া এবং মনোনীত পরিচালক আব্দুস শাকুর চৌধুরী, জহুরুল সৈয়দ বখত এফসিএমএ, মো. জামিল শরীফ ও স্বতন্ত্র পরিচালক। কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল আমিন, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন ও কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, কোম্পানি সচিব আব্দুল্লাহ আল-মনসুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিপুল সংখ্যক বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন।
বাষিক সাধারণ সভায় ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী ও কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রমের ওপর আলোচনা শেষে আলোচ্য সূচিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। সভায় ২০২০ অর্থবছরের জন্য ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
ঢাকা ব্যাংকের প্রয়াত উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার হস্তান্তর

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ঢাকা ব্যাংক পিএলসির প্রয়াত উদ্যোক্তা পরিচালক মোহাম্মদ হানিফের কোম্পানিতে ধারণকৃত শেয়ার তার উত্তরসূরির মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মোহাম্মদ হানিফ গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর মারা গেছেন। এই উদ্যোক্তা পরিচালকের নামে কোম্পানিটির মোট ৩ কোটি ১৮ লাখ শেয়ার ছিলো। এরমধ্যে তার মনোনীত ছেলে আসিফ হানিফের নিকট ৩ কোটি স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এরআগে, গত ২৪ জুন উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এসএম
পুঁজিবাজার
বোনাস বিওতে পাঠিয়েছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশের বোনাস শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে পাঠিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত লভ্যাংশের বোনাস শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিলো। এর মধ্যে সাড়ে ১৫ শতাংশ নগদ আর বাকি সাড়ে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
এসএম
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ পাঠিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি সমাপ্ত হিসাববছরের নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমস এবং লভ্যাংশের বোনাস শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিলো। এর মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ আর বাকি সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
এসএম
পুঁজিবাজার
এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রয়

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক (এনসিসি) পিএলসির উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ব্যাংকটির উদ্যোক্তা সোহেলা হোসেন ১ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২৩১টি শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছেন।
এরআগে, কোম্পানিটির এই উদ্যোক্তা ১৭ জুন উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দেন।
এসএম