জাতীয়
বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি: ধর্ম উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে ওমরাহ ভিসা জটিলতা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এ দেশের ওমরাহ যাত্রীদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না- এ বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরপরই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে মৌখিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়। পরে ১৩ মার্চ এ মন্ত্রণালয়ের সচিব ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে একটি ডিও পত্র প্রেরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, পত্র প্রেরণের পাশাপাশি আমার সচিব ঢাকাস্থ সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে অব্যাহতভাবে টেলিফোনে ও মোবাইলে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত বর্তমানে ছুটিতে দেশটিতে অবস্থান করছেন। ডিও পত্রের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তিনি সচিবকে একটি ফিরতি অডিও বার্তা প্রেরণ করেছেন। অডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি। এক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের হজ ও ওমরাহ এজেন্সির প্রতিনিধিদের ওমরাহ যাত্রীদের হোটেল বুকিং বা রিজারভেশন ও এয়ারলাইনসের টিকিটসহ সৌদি আরবের ওমরাহ এজেন্ট বা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আর সৌদি ওমরাহ এজেন্ট কিংবা কোম্পানি যদি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে সে দেশের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীদের অনুকূলে ভিসা ইস্যুর ব্যবস্থা নেবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বরাত দিয়ে এ সময় খালিদ হোসেন বলেন, টিকেট সংগ্রহকারী কোনো যাত্রী ভ্রমণে অনিচ্ছুক হলে বিধি অনুযায়ী তার টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
একইসঙ্গে সৌদি এয়ারলাইনসের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে ভিসা না পাওয়ার কারণে যারা ওমরাহ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যেতে পারবেন না, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের পরে এবং আগামী জুলাই মাসে ওমরাহ পালনের সুযোগ রেখে টিকিট পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
নির্বাচন কমিশনারদের কারাদণ্ডের বিধানে আপত্তি ইসির

প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন কমিশনারদের কারাদণ্ডের বিধানে আপত্তি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সরকারের কাছে দেওয়া প্রস্তাবে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের কারাদণ্ডের বিধান রাখতে সুপারিশ করে। সংস্কার কমিশনের ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ঐকমত্য কমিশনকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সংস্থাটির সচিব আখতার আহমেদ ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কতিপয় সুপারিশের বিপরীতে নির্বাচন কমিশনের মতামত বা অভিমত প্রেরণ’ শিরোনামে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সোমবার ঐক্যমত কমিশনের সহ-সভাপতির কাছে পাঠিয়েছেন। চিঠির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মূখ্য সচিব এবং লেজিসলেটিভ সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবের কাছেও পাঠিয়েছে তিনি। চিঠিতে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে পৃথক কমিশন গঠন, এনআইডির জন্য পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন, ইসির শাস্তিসহ ৩২টি ধারায় আপত্তি জানিয়েছে ইসি।
কমিশনারদের কারাদণ্ডের বিষয়ে ইসি জানায়, দেশের কোনো নাগরিকই আইনের ঊর্ধ্বে নন। কমিশনের সদস্যদের কেউ শপথ ভঙ্গ করলে বা অসদাচারণ করলে মেয়াদকালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে এবং মেয়াদ পরবর্তী সময়ে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। এখানে আলাদাভাবে কারাদণ্ডের মতো বিধান রাখা এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে। এছাড়া এই বিধান অপরাপর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না বলেই অনুমেয়।
নির্বাচন কমিশন মনে করে যে, বিগত সময়ে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিক অসততা এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের রাজনীতিকরণই ছিল প্রধান কারণ। তাই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বশর্তই হবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ। নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিয়ে থাকে। ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা, জবাবদিহিতা এবং পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে বলে জানায় ইসি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা তার প্রথম ভাষণে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। সেই সুশাসনের জন্য নাগরিক কমিটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে গঠিত কমিটি সংস্কার প্রস্তাব সম্প্রতি সরকারের কাছে জমা দেয়। ঐক্যমত কমিশন সেই প্রস্তাবের ওপর দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করবে। পরবর্তীতে যা বাস্তবায়ন করবে সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ট্রেনে ঈদযাত্রা: ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি শুরু

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ১৪ মার্চ ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ ১৯ মার্চ পাওয়া যাচ্ছে ২৯ মার্চের অগ্রিম টিকিট ৷
বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ৮টায় পঞ্চম দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় ৷ অগ্রিম টিকিটের শতভাগই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। যাত্রীদের সুবিধায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই অনুযায়ী এই দুই সময়ে দুই অঞ্চলের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে গত ৯ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ, ৩০ মার্চের টিকিট ২০ মার্চ পাওয়া যাবে।
এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
এছাড়া বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাতো বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু এবার সেটি কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ নামে দুটি এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪ নামে একজোড়া ট্রেন চালানো হবে; ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে পাবর্তীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে।
এছাড়া ঈদে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৪৪টি (পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ২৮টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৩৬টি ব্রডগেজ) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ১৯টি (মিটারগেজ ১৪টি ও ব্রডগেজ থেকে ৫টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পরে যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। এছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ধর্মীয় সম্প্রীতির তথ্য জানতে মার্কিনিদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ

বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির তথ্য জানতে মার্কিনিদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে বিপুল পরিমাণ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যার কিছু অংশ যুক্তরাষ্ট্রেও পৌঁছেছে এবং এটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স (ডি-মিশিগান) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টাকে সিনেটর পিটার্স জানান, তার নির্বাচনী এলাকায় বিশেষত ডেট্রয়ট শহরে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন। সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশে বিভিন্ন শহর ও গ্রামে ভ্রমণের আহ্বান জানান এবং অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের দেশ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান, যাতে ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। দয়া করে আপনার বন্ধুদের বাংলাদেশে ভ্রমণের পরামর্শ দিন। এভাবে আমরা এসব বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবো।
অধ্যাপক ইউনূস তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করা হবে।
তিনি জানান, গত বছরের আগস্টে পরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, ধর্মীয় কারণে নয়। তবে তার সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে নির্বাচন প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। অতীতে আমরা যেমনটা দেখেছি তেমনি নির্বাচনের দিন বড় ধরনের উদযাপন হবে।
সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, প্রধান কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, যদি রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কারেই সম্মত হয়, তাহলে সরকার ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজন করবে। তবে দলগুলো যদি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে বড় ধরনের সংস্কার প্যাকেজ চায়, তাহলে সাধারণ নির্বাচন কয়েক মাস পরে অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত সংস্কারে সম্মত হলে তারা জুলাই চার্টারে স্বাক্ষর করবে। জুলাই চার্টার দেশটির ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণ করবে।
পিটার্স সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া দুই নেতা সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্ষুদ্রঋণের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ আগামী বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় এলডিপির সঙ্গে আলোচনার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সংস্কার প্রতিবেদনের সুপারিশের ওপর ৩৭টি দলের কাছে মতামত চেয়ে পাঠানো হলেও এ পর্যন্ত ১৫টি দল তাদের মতামত দিয়েছে।
৬ মার্চ সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি ও ‘স্প্রেডশিট’ পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। ১৩ মার্চের মধ্যে তাদের মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছিল।
এ পর্যন্ত মোট ১৫টি দল তাদের মতামত জানিয়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল তাদের পূর্ণাঙ্গ মতামত আরও কয়েকদিন সময় চেয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ৯ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীসহ সংগঠনটির ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আরসা সদস্যদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত ৬ জনের দুই দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরসার গ্রেপ্তার অন্য সদস্যরা হলেন, মোস্তাক আহাম্মদ (৬৬), মনিরুজ্জামান (২৪), সলিমুল্লাহ (২৭), মোসা. আসমাউল হোসনা (২৩), মো. হাসান (১৫), মো. আসমত উল্লাহ (২৪), মো. হাসান (৪৩), মোসা. শাহিনা (২২) ও মোসা. সেনোয়ারা (১৭)।
আরসা মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যের সক্রিয় একটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার ও সোমবার ময়মনসিংহ জেলার সদর থানা এলাকার নতুন বাজার গার্ডেন সিটি এবং নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লিতে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১। এ সময় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে তিন নারীসহ এআরএসএ এর ১০ সদস্যকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি চাকু, ধারালো দাতযুক্ত একটি স্টিলের মোটা চেইন ও চারটি হাতঘড়ি জব্দ করা হয়।
পরে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে পাঠায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশ।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোরশেদ মোল্লা বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তারা দুটি মামলায় আদালতে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ছয়জনকে দুই মামলায় পাঁচদিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
এদিকে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক মো. মঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় শুনানি শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দুই মামলায় বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’