পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে সরকারি-বহুজাতিক কোম্পানি আনতে প্রধান উপদেষ্টাকে ডিবিএ’র চিঠি

পুঁজিবাজারে সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নিকট চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এই আবেদন জানানো হয়। সংগঠনের সেক্রেটারি মো. দিদারুল গনী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা রবাবর পাঠানো আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার গত ১৫ বছর ধরে চরম অনিয়ম, অপশাসন ও অস্থিরতার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। নানান অনিয়মের ফলে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান প্রায় অকার্যকর ও ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। এই সকল প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকৃত রিটার্ন এবং মূলধন হ্রাস পেয়ে বাজার প্রকৃত অর্থে প্রায় ৪০ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, অতীতে বিভিন্ন প্রতিকূল ঘটনা এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক ঘটনার কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বিশেষ করে ১৯৯৬ এবং ২০১০ সালের স্ক্যামগুলো বাজারের আর্থিক সংকট হিসাবে দাঁড়িয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা এবং বাজারের সামগ্রিক অখণ্ডতার স্থায়ী ক্ষতি করেছে। এই সময়ে অসংখ্য কোম্পানির শেয়ারের মূল্য কৃত্রিমভাবে বৃদ্ধির ফলে বিনিয়োগকারীদের মারাত্নক ক্ষতি হয়েছে। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ এবং পরবর্তীতে প্রায় ২০ মাস ধরে শেয়ারের দামের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপের ফলে বাজারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক ফান্ড ম্যানেজাররা বাংলাদেশ থেকে দূরে সরে গিয়েছে এবং স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সঞ্চয় ও বিনিয়োগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, মানহীন আইপিও তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে যার ফলে বাজারে স্থায়ী তারল্য সংকট ও আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পরিচালনাকারী সংস্থা, তালিকাভুক্ত কোম্পানি, বাজার মধ্যস্থতাকারী এবং আর্থিক নিরীক্ষক, রেটিং এজেন্সিসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মাঝে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ঘাটতির কারণে আস্থার মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। আপনার নেতৃত্বে আমরা যদি এই সংকট থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে না পারি, তাহলে আমরা বাজারকে ঘুরে দাঁড়ানোর, এতে শৃঙ্খলা আনার এবং রাষ্ট্রের জন্য ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য মূলধন সংগ্রহের পরিবেশ তৈরি করার একটি চমৎকার সুযোগ হারাবো।
‘তাই জবাবদিহিতা কাঠামো নিয়ে কাজ করার সময় আমাদের অবশ্যই আইপিও দিয়ে বাজারকে সমৃদ্ধ করতে হবে এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী ও বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের দুর্ভোগ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নতুন পণ্য ও কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে। কম বাণিজ্যের পরিমাণ, বিনিয়োগযোগ্য স্টকের অভাব এবং সরবরাহের অসামঞ্জস্যতা, অনুমানমূলক এবং ম্যানিপুলেটিভ কৌশলগুলোর জন্য প্রজনন ক্ষেত্রের দিকে পরিচালিত করে। এ পরিবেশ থেকে বাঁচতে যত দ্রুত সম্ভব উচ্চমানের আইপিও পুঁজিবাজারে আনা প্রয়োজন। বাণিজ্যিক ও অবকাঠামো খাতে আমাদের অসংখ্য লাভজনক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগ রয়েছে। যদি এই সমস্ত সংস্থাগুলি বাজারে তালিকাভুক্ত হয় তবে বাজারে মানের স্টকগুলির ক্রমবর্ধমান সরবরাহ থাকবে যা চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করতে সহায়তা করবে। এটি বিনিয়োগকারীদের বাজারে ফিরিয়ে আনবে এবং বাজারে তারল্য সমস্যার সমাধান করবে।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে অনেক সুশাসিত, বড় বহুজাতিক কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে তাদের মধ্যে কিছু শত বছরের, দেশের অবকাঠামোগত, আর্থিক ও মানবসম্পদকে একত্রিত করছে। আমরা সরকারকে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে থাকা তার অংশীদারিত্ব অফলোড করার জন্য অনুরোধ করছি।
পুঁজিবাজারের বৃহৎ স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আবেদনটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। সেই সঙ্গে এর বাস্তবায়নে কার্যকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিবিএ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর সঙ্গে সিএসইর বৈঠক

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছে চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
বুধবার (৭ মে) চট্টগ্রামস্থ সিএসইর প্রধান কার্যালয়ে সিএসই বোর্ড ও ম্যানেজমেন্ট এবং সিএসইর লিডিং ট্রেকহোল্ডারদের সাথে পুঁজিবাজার সংস্কার এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে দুটি পৃথক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির সম্মানিত কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, পরিচালক মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম, পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী, পরিচালক ড. মাহমুদ হাসান, পরিচালক নাজনিন সুলতানা, পরিচালক মোহাম্মেদ আখতার পারভেজ, পরিচালক শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী ও সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এম সাইফুর রহমান মজুমদার। এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি ও সিএসইর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উক্ত আলোচনা সভায় ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী সিএসইর লিডিং ট্রেক-হোল্ডারদের এবং তাঁদের প্রতিনিধিদের মতামত, সুপারিশ ও দাবি দাওয়াসমূহ বিস্তারিত শোনেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে পূর্বে যা হয়েছে সেগুলো বিশ্লেষণ করে, আপনাদের অভিমত, দাবিদাওয়া, দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত এবং প্রত্যাশিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করব।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের কাজ মধ্যস্থতা করা না, বরং নতুন রুলস, রেগুলেশন প্রণয়ন করা, আইনের শাসন এবং এর পরিপালন নিশ্চিত করার মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে বিনিয়োগ বান্ধব রাখা। আমরা আপনাদের কথা শুনেছি এবং চেষ্টা করবো প্রধান উপদেষ্টার সাথে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠানের প্রস্তাব রাখার, যাতে উপযুক্ত দাবি দাওয়াগুলোর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হয়।
সিএসইর লিডিং ট্রেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনায় যে বিষয়গুলো প্রস্তাবিত হয়েছে সেগুলো হলো- কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর জন্য কমোডিটি রেগুলেশস এর অনুমোদন দেয়া। উল্লেখ্য সিএসই ইতিমধ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। অদক্ষ, দুর্বল এবং নিষ্ক্রিয় লিস্টেড কোম্পানিগুলোর ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব সঠিক পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া।
বিনিয়োগকারীদের তথ্য, প্রস্তাবনা, দাবিদাওয়া এবং যে কোন আবেদন গ্রহণ এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিশ্লেষণ করা এবং পরবর্তী করণীয়ের জন্য সরাসরি বিএসইসিতে আবেদনের পরিবর্তে ইন্টারমিডিয়েটরিদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন বা প্লাটফর্ম তৈরি করা। অর্থাৎ বিএসইসি এবং বিনিয়োগকারী সম্পর্ক হওয়া উচিত বন্ধুত্বপূর্ণ এবং তাদের হয়ে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবে স্টক এক্সচেঞ্জ, ট্রেক-হোল্ডার, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইত্যাদি মধ্যস্থতাকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ।
মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিসমুহকে সরাসরি পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তিকরণের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ। লিস্টেড লোম্পানিসমুহের ডিভিডেন্ড ডিক্লারেশন বিষয়ক অনিয়ম দূরীকরণ। নতুন প্রোডাক্ট যেমন বিভিন্ন ধরনের বন্ড এবং সঞ্চয়পত্রের মতো প্রোডাক্টকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা, যাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে আরও বেশী আগ্রহী হয়। সিএসইর জন্য ইউনিক/ একক/বা বিশেষায়িত প্রোডাক্ট বিবেচনা এবং দ্রুত অনুমোদন।
ট্রেকহোল্ডারদের সক্রিয় করার জন্য কার্যকরী সুযোগসুবিধাসহ উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তাদের ব্যবসার সুযোগ বৃদ্ধির ব্যবস্থা নিতে হবে। অতি দ্রুত “বাই ব্যাক” আইন প্রণয়ন এবং পরিপালন জোরদার করা। সিএসই ব্রোকারস এসোসিয়েশনকে কার্যকর করা এবং পুঁজিবাজার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।
সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলো সম্পর্কে সবাই অবগত এবং বিনিয়োগকারী, ট্রেক-হোল্ডার, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের যত প্রস্তাবনা, সুপারিশ এবং যে মতামতগুলো আছে সেগুলোর সুবিবেচনা করে কার্যকরী উদ্যোগ এবং দৃশ্যমান সমাধান করা প্রয়োজন। অনেক সময় অন্যান্য রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান যাদের সাথে পুঁজিবাজারের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের কার্যক্রম বা নির্দেশনা বেশ প্রভাব ফেলে, তাদের সাথে সমন্বয়ের বিষয়গুলোও বিবেচনায় আনতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা, আজকের সভায় আলোচনার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সুপারিশ ও মতামতের প্রতিফলন আগামী দিক নির্দেশনায় থাকবে।
এছাড়াও হাবিবুর রহমান সিএসইর তত্ত্বাবধানে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর ব্যপারে দ্রুত নির্দেশনা প্রদানের মাধমে আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উন্মোচনের আকুল আবেদন করে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী সিএসইর বোর্ড সদস্যদের সাথে পৃথকভাবে আলোচনা সভা করেন এবং সিএসইর চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং এর বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রম সম্বন্ধে বিস্তারিত জানেন।
সিএসই বোর্ডের সাথে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে, সিএসই চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমানের স্বাগত বক্তব্যের পর, সিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার সিএসইর মাইলস্টোন, প্রযুক্তিগত সম্প্রসারণ, ট্রেকহোল্ডার কাঠামো, সক্রিয় ট্রেক-হোল্ডারের অভাব, কমোডিটি ও ইক্যুয়িটি ডেরিভেটিভ, স্বয়ংক্রিয় ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম, রিয়েল টাইম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং শরিয়াহ মার্কেট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি আরও জানান, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর প্রস্তুতি সিএসইর আছে। বিএসইসি প্রতিনিধি কমোডিটি রেগুলেশন দ্রুত অনুমোদিত হবার আশা ব্যাক্ত করেন। সিএসইর পরিচালক মোহাম্মেদ আখতার পারভেজ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। সিএসই পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী লিস্টেড অ্যান্ড নন-লিস্টেড কোম্পানির ট্যাক্স গ্যাপ কমানোর বিষয়টি আলোচনা করেন, এছাড়াও তিনি কালো টাকা সাদা করার বিষয়টি প্রধান অতিথির নজরে নিয়ে আসেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ এবং ঐক্য নিশ্চিত করণের সাথে সাথে, কি কি ঝুঁকি থাকতে পারে তাও দেখতে বলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সালমান এফ রহমান পরিবারের ৯৪ কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও তাদের পরিবারের সদস্য সহ স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে ৯৪টি কোম্পানিতে থাকা শেয়ার ও ১০৭টি বিও হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
বিও হিসাবগুলোর মধ্যে ২৮টি সালমান এফ রহমানের কোম্পানির মালিকানাধীন এবং ৭৯ টি সালমান এফ রহমানের ব্যক্তি মালিকানাধীন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, সংস্থাটির উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এসব হিসাব ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ার হোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক হতে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও অন্যান্যদের নামে কোম্পানিসমূহের শেয়ার ও বিও হিসাবসমূহের তথ্য পাওয়া যায়।
দুদক জানায়, তারা এসব কোম্পানির শেয়ার ও বিও হিসাবসমূহ হস্তান্তর, স্থানান্তর বা রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। এতে সফল হলে, এই অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা রুজু, বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল, বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই, সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য এবং তার সহযোগীদের মালিকানা, শেয়ার ও বিও হিসাব ফ্রিজ করা আবশ্যক।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১০ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৫১ লাখ ৫ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার ৪৯ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১০ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (০৭ মে) ব্লকে সবচেয়ে বেশি মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেডিএস এক্সেসরিজের ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
যুদ্ধে ভারতের বাজার ঊর্ধ্বমুখী, দেশের পুঁজিবাজারে পতন রাশেদ কমিশনে আস্থাহীনতায়

যুদ্ধে ভারতের বাজার ঊর্ধ্বমুখী, দেশের পুঁজিবাজারে পতন রাশেদ কমিশনে আস্থাহীনতায়
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শাহজিবাজার পাওয়ারের পরিচালকের শেয়ার হস্তান্তর

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের এক পরিচালক পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করেছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির পরিচালক এ.কে.এম বদিউল আলম ৩০ লাখ শেয়ার তাঁর ছেলে মানসুদ আলমকে উপহার হিসাবে হস্তান্তর করেছেন।
এর আগে ২৯ এপ্রিল কোম্পানির এই পরিচালক শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দেন।
এসএম