জাতীয়
সাবেক আইজিপি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম মারা গেছেন

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম (৭৫) আর নেই। সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, সদস্য ও মরহুমের স্বজনরা অংশ নেন।
জানাজা শেষে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আইজিপি। এরপর বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির নেতারাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মরহুমকে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে অফিসিয়াল ফিউনারেল দেওয়া হয়।
সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম ১৯৭৩ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি রাজশাহী ও খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এবং রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি পিপিএম পদক লাভ করেন।
১৯৪৯ সালে মাগুরা জেলার সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। আজ তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ঈদে ঢাকাবাসীদের জন্য ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

পবিত্র ঈদুল ফিতরের বন্ধে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা রক্ষায় ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ বুধবার ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদ্যাপনের লক্ষ্যে এবং ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় ডিএমপি সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। পুলিশকে সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে অক্সিলারি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। ডিএমপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি করা গেলে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ও অপরাধ দমনে সফল হওয়া সম্ভব।
ডিএমপির পক্ষ থেকে নগরবাসীকে উদ্দেশ্য করে যেসব নির্দেশনা পালনের অনুরোধ জানানো হয়, সেগুলো হলো—
১. ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নিরাপত্তা রক্ষীদের ডিউটি জোরদার করা। যেকোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা।
২. প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে একটি অংশকে দায়িত্বপালনে নিয়োজিত রাখা।
৩. বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ছাড়ার আগে দরজা-জানালা ঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যেতে হবে। দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় থাকলে তা মেরামত করা।
৪. পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা এবং স্থাপিত সিসি ক্যামেরা সচল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. বাসা-বাড়ির মূল দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা।
৬. রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করা।
৭. অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ স্থানে বা নিকটাত্মীয়ের হেফাজতে রাখা। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
৮. বাসা-বাড়ি ছাড়ার আগে যে সকল প্রতিবেশী/পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় অবস্থান করবেন, তাদের বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করা এবং ফোনে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা।
৯. বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ছাড়ার বিষয়টি অবহিত করা।
১০. বাসা-বাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ছাড়ার আগে লাইট, ফ্যানসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক লাইনের সুইচ, পানির ট্যাপ, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
১১. গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখা।
১২. বাসার জানালা/দরজার পাশে কোনো গাছ থাকলে অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হবে, যাতে অপরাধীরা গাছের শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।
১৩. মহল্লা/বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করা।
১৪. ঈদে মহল্লা/বাসায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার আশঙ্কা থাকলে, তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আবারও ইসরায়েল সামরিক আগ্রাসন শুরু করায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আজ বুধবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও উদ্বেগ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন আবারও শুরু হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ সরকার। এই আগ্রাসনে নিরীহ বেসামরিক লোক- বিশেষ করে শিশু ও নারীদের ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। ইতোমধ্যেই সংকটাপন্ন অঞ্চলটির মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছে। এই সহিংসতার নতুন চক্র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিগুলোর প্রতি গুরুতর অবহেলার বহিঃপ্রকাশ।
ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নির্বিচারে বিমান হামলায় দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা জানায় বাংলাদেশ। এ হামলা মানবিক দুর্ভোগকে আরও তীব্র করেছে এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলেছে।
অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ করতে, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ সরকার।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি বাংলাদেশ জোরালো আহ্বান জানায়, যেন অবিলম্বে সংঘাত বন্ধ, বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষা এবং গাজার অবরুদ্ধ জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা নির্বিঘ্নে সরবরাহ নিশ্চিত করতে তারা কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
বিচার ও মানবাধিকারের প্রতি বাংলাদেশ তার নীতিগত অবস্থান বজায় রেখে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারসমূহের প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে, যার মধ্যে রয়েছে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার।
মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত, ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই শান্তি আনয়নে পুনরায় সংলাপ শুরুর অপরিহার্যতা তুলে ধরে বাংলাদেশ; যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ভিত্তি। ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চলমান বিবেকহীন সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও শান্তিপূর্ণ উপায়কে অগ্রাধিকার দিতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাবসমূহ ও ফিলিস্তিনি জনগণের শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার আলোকে ফিলিস্তিন প্রশ্নের একটি স্থায়ী ও ন্যায়সঙ্গত সমাধান অর্জনে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
প্রসঙ্গত, চলমান যুদ্ধবিরতি আকস্মিকভাবে এক তরফা লঙ্ঘন করে বিপর্যস্ত গাজায় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সেহরির সময় নির্বিচারে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অঞ্চলটির অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ চার শতাধিক মানুষ নিহত হন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা’কে অবহিত করেন। পাশাপাশি, দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য সেনাবাহিনী কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করেন।
এছাড়াও, সদ্য সমাপ্ত বিবিধ বঞ্চিত সেনা কর্মকর্তাদের সুবিচার নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত উচ্চপদস্থ পর্ষদের মূল্যায়ন ও সুপারিশ এবং বিবিধ কারণে চাকুরীচ্যুত জেসিও ও অন্যান্য পদবীর সেনা সদস্যদের চলমান উচ্চপদস্থ পর্ষদ-এর অগ্রগতির বিষয়ে সেনাপ্রধান মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা’কে অবহিত করেন। পরিশেষে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কেও তাঁকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও অবদানের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সকল প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
বুধবার (১৯ মার্চ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এইচ এম খালিদ ইফতেখার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩ এর বিধি ৩ এর উপবিধি (১) এর দফা (ক) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সরকার, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বৎসর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদযাত্রার দিন থেকে কর্মবিরতির হুমকি রেলওয়ের গেটকিপারদের

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি না মানলে আগামী ২৪ মার্চ থেকে একযোগে রেলপথ অবরোধ এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত গেটকিপার-গেটম্যানরা।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রেলভবনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানবন্ধনের আয়োজন করেন কর্মচারীরা। সেখান থেকে এ হুমকি দেন তারা। মানববন্ধন থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
২৪ মার্চ থেকে রেলপথে ঈদযাত্রা শুরু করবেন ঘরমুখো মানুষ। সেদিন থেকেই কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত গেটগিপার/গেটম্যানরা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপুর ১২টার দিকেও রেলভবনের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা জানান, দাবি আদায়ে গেটকিপার/গেটম্যানরা গত বছরের ১৮ আগস্ট রেলভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ওইদিন তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রেলসচিব, রেলওয়ে মহাপরিচালক, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধি, প্রশাসনের সব অ্যাডমিন ক্যাডার, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব/পশ্চিম অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চলের প্রকল্পের দেড় হাজার গেটকিপার/গেটম্যানের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিসহ শ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেদিন রেলওয়ের মহাপরিচালক সিদ্ধান্ত দেন, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চলের প্রকল্পের ১ হাজার ৫০৫ জন গেটকিপার ও গেটম্যানের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি যুক্তিসংগত। বৈঠকে গেটকিপার/গেটম্যানের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা জানান, তারা যেহেতু দীর্ঘ আট বছর রেলওয়েতে চাকরি করে অভিজ্ঞ, এ বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবে।
তারা বলেন, গত বছরের ১ নভেম্বর আমাদের অফার লেটার হাতে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো দেওয়া হয়নি। বৈঠকে আমাদের বলা হয়, স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়ার মতো ৪০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে পরীক্ষায় পাস করে ১ হাজার ৮৮৯ জন প্রকল্পের গেটকিপার/গেটম্যান পদে যোগদান করেন। বর্তমানে কর্মরত ১ হাজার ৫০৫ জন। আপনারা আট বছরের অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। দ্রুত চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাসও দেন।
মানববন্ধনে তারা বলেন, বারবার এ রকম আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নতুন কোনো দাবি তুলছি না। ১৬০ বছরেরও অধিক সময় ধরে রেলের প্রচলিত বিধি মোতাবেক যে কোনো কর্মচারী তিন বছরের অধিক নিরবচ্ছিন্ন চাকরি করলে তাদের চাকরি সরাসরি স্থায়ীকরণ করা যায়। এজন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুমতি অনুযায়ী প্রকল্পের গেটকিপার/গেটম্যানদের চাকরি রাজস্ব করতে আইনি কোনো জটিলতা নেই।