জাতীয়
যমুনা রেলসেতুর দ্বার খুলছে আজ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবেশেষে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম ‘যমুনা রেলসেতু’ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উদ্বোধন করা হবে। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল চলাচল আরও সহজ হবে।
উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ। যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সায়েদাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেলসেতু পারাপার হবেন। সেখানে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সায়েদাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন। পরে দুপুর ১২টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত আসবেন।
সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তবে উদ্বোধনের দিন থেকে প্রথম পর্যায়ে সেতু নিয়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট। এর আগে যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন পার হতে ২০ মিনিট লাগতো।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।
১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ৯ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীসহ সংগঠনটির ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আরসা সদস্যদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত ৬ জনের দুই দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরসার গ্রেপ্তার অন্য সদস্যরা হলেন, মোস্তাক আহাম্মদ (৬৬), মনিরুজ্জামান (২৪), সলিমুল্লাহ (২৭), মোসা. আসমাউল হোসনা (২৩), মো. হাসান (১৫), মো. আসমত উল্লাহ (২৪), মো. হাসান (৪৩), মোসা. শাহিনা (২২) ও মোসা. সেনোয়ারা (১৭)।
আরসা মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যের সক্রিয় একটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার ও সোমবার ময়মনসিংহ জেলার সদর থানা এলাকার নতুন বাজার গার্ডেন সিটি এবং নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লিতে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১। এ সময় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে তিন নারীসহ এআরএসএ এর ১০ সদস্যকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি চাকু, ধারালো দাতযুক্ত একটি স্টিলের মোটা চেইন ও চারটি হাতঘড়ি জব্দ করা হয়।
পরে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে পাঠায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশ।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোরশেদ মোল্লা বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তারা দুটি মামলায় আদালতে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ছয়জনকে দুই মামলায় পাঁচদিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
এদিকে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক মো. মঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় শুনানি শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দুই মামলায় বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মাওলানা লুৎফর রহমানের স্মরণে দোয়া ও ইফতার

আল্লামা লুৎফর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর দি ওয়ান রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি আল্লামা লুৎফর রহমানের বড় ছেলে আবু সাঈদ মাহমুদ রিয়াজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল্লামার ছোট ছেলে আবু সালমান মুহাম্মদ আম্মারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর (রাহি:) সুযোগ্য সন্তান আলহাজ্ব শামীম সাঈদী।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আল্লামা সাদিকুর রহমান আযহারী।
এছাড়া বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আল্লামা গোলাম কবির আযহারী, তামীরুল মিল্লাত মহিলা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান, সেইফ কমিউনিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাছান, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, মাওলানা ছানা উল্লাহ, মাওলানা শরফুদ্দীন তাহের, মাওলানা মারুফ বিল্লাহ এবং মাওলানা আব্দুল কাদের নাঈমসহ বহু উলামায়ে কিরাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম সাঈদী আল্লামা লুৎফর রহমানের (রাহি:) স্মৃতিচারণ করে বলেন, আল্লামা লুৎফর রহমানের মতো বহু প্রতিভার অধিকারী দায়ী ইলাল্লাহর সচরাচর জন্ম হয় না। নির্লোভ, নিরহঙ্কার এবং অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত এই আলেমে দ্বীনের রেখে যাওয়া নসিহাহ যেন আমরা আমাদের বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত করতে পারি।
প্রধান আলোচক আল্লামা সাদিকুর রহমান আযহারী তার বক্তব্যে বলেন, আল্লামা লুৎফর রহমান (রাহি:) যেভাবে ছোটদেরকে স্নেহ মায়া মমতা দিয়ে ধারণ করে রেখেছেন, যেভাবে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে আগলে রাখতেন, এমন অভিভাবক আমরা আর কখন পাবো জানি না।
আল্লামার রেখে যাওয়া আলোচনার যে বিশাল ভান্ডার রয়েছে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই আলোচনাগুলো সংরক্ষণ করে ধারাবাহিকভাবে উম্মাহর কাজে যেন লাগাতে পারে কর্তৃপক্ষের কাছে সে অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আল্লামা লুৎফর রহমান এবং আল্লামা সাঈদী হলেন জাতির সম্পদ। আমরা এই সম্পদের যেন যথাযথ মর্যাদা দিতে পারি। আল্লাহ আমাদের সে তাওফিক দান করুন।
এসময় আল্লামা গোলাম কবির আযহারী বলেন, আল্লামা সাঈদী এবং আল্লামা লুৎফর রহমান কখনো চুক্তি করে মাহফিল করতেন না। তাঁরা ছিলেন আমাদের মডেল । তাদের সে ঐতিহ্য যেন আমরা ধরে রাখতে পারি আল্লাহ আমাদের সে তাওফিক দান করুন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি: ধর্ম উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে ওমরাহ ভিসা জটিলতা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এ দেশের ওমরাহ যাত্রীদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না- এ বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরপরই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে মৌখিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়। পরে ১৩ মার্চ এ মন্ত্রণালয়ের সচিব ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে একটি ডিও পত্র প্রেরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, পত্র প্রেরণের পাশাপাশি আমার সচিব ঢাকাস্থ সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে অব্যাহতভাবে টেলিফোনে ও মোবাইলে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত বর্তমানে ছুটিতে দেশটিতে অবস্থান করছেন। ডিও পত্রের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তিনি সচিবকে একটি ফিরতি অডিও বার্তা প্রেরণ করেছেন। অডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি। এক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের হজ ও ওমরাহ এজেন্সির প্রতিনিধিদের ওমরাহ যাত্রীদের হোটেল বুকিং বা রিজারভেশন ও এয়ারলাইনসের টিকিটসহ সৌদি আরবের ওমরাহ এজেন্ট বা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আর সৌদি ওমরাহ এজেন্ট কিংবা কোম্পানি যদি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে সে দেশের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীদের অনুকূলে ভিসা ইস্যুর ব্যবস্থা নেবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বরাত দিয়ে এ সময় খালিদ হোসেন বলেন, টিকেট সংগ্রহকারী কোনো যাত্রী ভ্রমণে অনিচ্ছুক হলে বিধি অনুযায়ী তার টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
একইসঙ্গে সৌদি এয়ারলাইনসের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে ভিসা না পাওয়ার কারণে যারা ওমরাহ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যেতে পারবেন না, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের পরে এবং আগামী জুলাই মাসে ওমরাহ পালনের সুযোগ রেখে টিকিট পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন

আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের বৃহত্তম যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে টাঙ্গাইল প্রান্তে ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে সচিব ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা সিনচি ও জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক ইতো তেরুয়াকি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন।
২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে আলাদা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং ওই বছরের ২৯ নভেম্বর রেল সেতুটি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়।
এ রেলসেতুর প্রথম পিলার নির্মাণে ২০২১ সালের মার্চে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। দেশের দীর্ঘতম এ রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের প্রথম নির্মাণ ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরে তা ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন করেছে দেশি উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
দেশের সর্ববৃহৎ এ রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই জয়েন্টভেঞ্চার।
জাপানি ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিশাল এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের ৭ হাজারেরও বেশি কর্মীর ৪ বছরের পরিশ্রমে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
সেতুটিতে ৫০টি পিলার, প্রতি দুই পিলারের মাঝে একটি করে মোট ৪৯টি স্প্যান রয়েছে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার হলেও দুদিকে ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন পারাপারের মধ্য দিয়ে দেশের বৃহত্তম এই রেলসেতু দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
ওইদিন সাধারণ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ৬ মিনিটে ট্রেন সেতু পার হলেও আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে উভয় লেনে ট্রেন চলবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য গুরুতর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং ইসলামিক খিলাফতকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড যে মন্তব্য করেছেন সেটি ‘গুরুতর’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যে প্রতিক্রিয়া (তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যের) জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান ওটাই। ওনার (তুলসী গ্যাবার্ড) বক্তব্য গুরুতর।
সোমবার (১৭ মার্চ) নয়াদিল্লিতে এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ড বলেছেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ক্যাথলিক ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্ভাগ্যজনক নিপীড়ন, হত্যা ও অন্যান্য নির্যাতন যুক্তরাষ্ট্র সরকার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের উদ্বেগের একটি প্রধান ক্ষেত্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা মাত্র শুরু হচ্ছে, কিন্তু এটি উদ্বেগের মূল জায়গার একটি হয়ে রয়েছে।
সোমবার রাতেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এক বিবৃতিতে সরকার বলেছে, আমরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশার সঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য লক্ষ্য করেছি, যেখানে তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন ও হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেছেন, ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীদের হুমকি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বৈশ্বিক তৎপরতা একই আদর্শ ও লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই আদর্শ ও লক্ষ্য হলো ইসলামপন্থি খিলাফতের মাধ্যমে শাসন করা।
তুলসী গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে করা পশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সরাসরি কোনো জবাব দেননি।