জাতীয়
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই: প্রেস উইং

বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড আজ সোমবার এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সবেমাত্র আলোচনা শুরু করেছে। কিন্তু এটি (চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসী উপাদানের উত্থান) এখনো উদ্বেগের একটি কেন্দ্রীয় বিষয়। তার এ মন্তব্যে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার গভীর উদ্বেগ ও মর্মাহত।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে সরকারের প্রতিক্রিয়া জানান।
এতে বলা হয়, তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন ও হত্যা এবং দেশে ইসলামী সন্ত্রাসীদের হুমকি, একটি ইসলামী খেলাফতের সঙ্গে শাসন করার মতাদর্শ এবং উদ্দেশ্যের মূলের মধ্যে নিহিত বলে অভিযোগ করেছেন।
তার এ বিবৃতি বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর।
গ্যাবার্ডের মন্তব্য কোনো প্রমাণ বা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয়। তারা একটি সম্পূর্ণ জাতিকে বিস্তৃত এবং অযৌক্তিকভাবে চিত্রিত করে। বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তবে আইন প্রয়োগ, সামাজিক সংস্কার এবং অন্যান্য সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ক্রমাগত কাজ করে চলেছে।
প্রেস উইং জানিয়েছে, দেশকে যেকোনো ধরনের ইসলামী খেলাফতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানায়।
চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের যৌথ বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার সমর্থনে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এবং সমস্ত জাতির সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শফিকুল আলম বলেছেন, তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ বা অভিযোগের ভিত্তিতে দেওয়া হয়নি। এটি একটি গোটা দেশকে অন্যায়ভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তবে এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সামাজিক সংস্কার ও অন্যান্য সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ইসলামি খিলাফতের ধারণার সঙ্গে ভিত্তিহীনভাবে যুক্ত করা দেশটির অসংখ্য নাগরিক ও বিশ্বব্যাপী তাদের বন্ধু ও অংশীদারদের কঠোর পরিশ্রমকে খাটো করে। যারা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে যেকোনো ধরনের ইসলামি খিলাফত ধারণার সঙ্গে দেশকে যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ধর্মীয় সম্প্রীতির তথ্য জানতে মার্কিনিদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ

বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির তথ্য জানতে মার্কিনিদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে বিপুল পরিমাণ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যার কিছু অংশ যুক্তরাষ্ট্রেও পৌঁছেছে এবং এটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স (ডি-মিশিগান) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টাকে সিনেটর পিটার্স জানান, তার নির্বাচনী এলাকায় বিশেষত ডেট্রয়ট শহরে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন। সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশে বিভিন্ন শহর ও গ্রামে ভ্রমণের আহ্বান জানান এবং অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের দেশ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান, যাতে ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। দয়া করে আপনার বন্ধুদের বাংলাদেশে ভ্রমণের পরামর্শ দিন। এভাবে আমরা এসব বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবো।
অধ্যাপক ইউনূস তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করা হবে।
তিনি জানান, গত বছরের আগস্টে পরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, ধর্মীয় কারণে নয়। তবে তার সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে নির্বাচন প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। অতীতে আমরা যেমনটা দেখেছি তেমনি নির্বাচনের দিন বড় ধরনের উদযাপন হবে।
সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, প্রধান কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, যদি রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কারেই সম্মত হয়, তাহলে সরকার ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজন করবে। তবে দলগুলো যদি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে বড় ধরনের সংস্কার প্যাকেজ চায়, তাহলে সাধারণ নির্বাচন কয়েক মাস পরে অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত সংস্কারে সম্মত হলে তারা জুলাই চার্টারে স্বাক্ষর করবে। জুলাই চার্টার দেশটির ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণ করবে।
পিটার্স সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া দুই নেতা সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্ষুদ্রঋণের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ আগামী বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় এলডিপির সঙ্গে আলোচনার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সংস্কার প্রতিবেদনের সুপারিশের ওপর ৩৭টি দলের কাছে মতামত চেয়ে পাঠানো হলেও এ পর্যন্ত ১৫টি দল তাদের মতামত দিয়েছে।
৬ মার্চ সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি ও ‘স্প্রেডশিট’ পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। ১৩ মার্চের মধ্যে তাদের মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছিল।
এ পর্যন্ত মোট ১৫টি দল তাদের মতামত জানিয়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল তাদের পূর্ণাঙ্গ মতামত আরও কয়েকদিন সময় চেয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ৯ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীসহ সংগঠনটির ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আরসা সদস্যদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত ৬ জনের দুই দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরসার গ্রেপ্তার অন্য সদস্যরা হলেন, মোস্তাক আহাম্মদ (৬৬), মনিরুজ্জামান (২৪), সলিমুল্লাহ (২৭), মোসা. আসমাউল হোসনা (২৩), মো. হাসান (১৫), মো. আসমত উল্লাহ (২৪), মো. হাসান (৪৩), মোসা. শাহিনা (২২) ও মোসা. সেনোয়ারা (১৭)।
আরসা মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যের সক্রিয় একটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার ও সোমবার ময়মনসিংহ জেলার সদর থানা এলাকার নতুন বাজার গার্ডেন সিটি এবং নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লিতে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১। এ সময় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে তিন নারীসহ এআরএসএ এর ১০ সদস্যকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি চাকু, ধারালো দাতযুক্ত একটি স্টিলের মোটা চেইন ও চারটি হাতঘড়ি জব্দ করা হয়।
পরে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে পাঠায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশ।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোরশেদ মোল্লা বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তারা দুটি মামলায় আদালতে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ছয়জনকে দুই মামলায় পাঁচদিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
এদিকে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক মো. মঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় শুনানি শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দুই মামলায় বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মাওলানা লুৎফর রহমানের স্মরণে দোয়া ও ইফতার

আল্লামা লুৎফর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর দি ওয়ান রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি আল্লামা লুৎফর রহমানের বড় ছেলে আবু সাঈদ মাহমুদ রিয়াজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল্লামার ছোট ছেলে আবু সালমান মুহাম্মদ আম্মারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর (রাহি:) সুযোগ্য সন্তান আলহাজ্ব শামীম সাঈদী।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আল্লামা সাদিকুর রহমান আযহারী।
এছাড়া বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আল্লামা গোলাম কবির আযহারী, তামীরুল মিল্লাত মহিলা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান, সেইফ কমিউনিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাছান, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, মাওলানা ছানা উল্লাহ, মাওলানা শরফুদ্দীন তাহের, মাওলানা মারুফ বিল্লাহ এবং মাওলানা আব্দুল কাদের নাঈমসহ বহু উলামায়ে কিরাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম সাঈদী আল্লামা লুৎফর রহমানের (রাহি:) স্মৃতিচারণ করে বলেন, আল্লামা লুৎফর রহমানের মতো বহু প্রতিভার অধিকারী দায়ী ইলাল্লাহর সচরাচর জন্ম হয় না। নির্লোভ, নিরহঙ্কার এবং অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত এই আলেমে দ্বীনের রেখে যাওয়া নসিহাহ যেন আমরা আমাদের বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত করতে পারি।
প্রধান আলোচক আল্লামা সাদিকুর রহমান আযহারী তার বক্তব্যে বলেন, আল্লামা লুৎফর রহমান (রাহি:) যেভাবে ছোটদেরকে স্নেহ মায়া মমতা দিয়ে ধারণ করে রেখেছেন, যেভাবে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে আগলে রাখতেন, এমন অভিভাবক আমরা আর কখন পাবো জানি না।
আল্লামার রেখে যাওয়া আলোচনার যে বিশাল ভান্ডার রয়েছে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই আলোচনাগুলো সংরক্ষণ করে ধারাবাহিকভাবে উম্মাহর কাজে যেন লাগাতে পারে কর্তৃপক্ষের কাছে সে অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আল্লামা লুৎফর রহমান এবং আল্লামা সাঈদী হলেন জাতির সম্পদ। আমরা এই সম্পদের যেন যথাযথ মর্যাদা দিতে পারি। আল্লাহ আমাদের সে তাওফিক দান করুন।
এসময় আল্লামা গোলাম কবির আযহারী বলেন, আল্লামা সাঈদী এবং আল্লামা লুৎফর রহমান কখনো চুক্তি করে মাহফিল করতেন না। তাঁরা ছিলেন আমাদের মডেল । তাদের সে ঐতিহ্য যেন আমরা ধরে রাখতে পারি আল্লাহ আমাদের সে তাওফিক দান করুন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি: ধর্ম উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে ওমরাহ ভিসা জটিলতা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এ দেশের ওমরাহ যাত্রীদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না- এ বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরপরই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে মৌখিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়। পরে ১৩ মার্চ এ মন্ত্রণালয়ের সচিব ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে একটি ডিও পত্র প্রেরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, পত্র প্রেরণের পাশাপাশি আমার সচিব ঢাকাস্থ সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে অব্যাহতভাবে টেলিফোনে ও মোবাইলে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত বর্তমানে ছুটিতে দেশটিতে অবস্থান করছেন। ডিও পত্রের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তিনি সচিবকে একটি ফিরতি অডিও বার্তা প্রেরণ করেছেন। অডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি। এক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের হজ ও ওমরাহ এজেন্সির প্রতিনিধিদের ওমরাহ যাত্রীদের হোটেল বুকিং বা রিজারভেশন ও এয়ারলাইনসের টিকিটসহ সৌদি আরবের ওমরাহ এজেন্ট বা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আর সৌদি ওমরাহ এজেন্ট কিংবা কোম্পানি যদি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে সে দেশের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীদের অনুকূলে ভিসা ইস্যুর ব্যবস্থা নেবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বরাত দিয়ে এ সময় খালিদ হোসেন বলেন, টিকেট সংগ্রহকারী কোনো যাত্রী ভ্রমণে অনিচ্ছুক হলে বিধি অনুযায়ী তার টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
একইসঙ্গে সৌদি এয়ারলাইনসের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে ভিসা না পাওয়ার কারণে যারা ওমরাহ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যেতে পারবেন না, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের পরে এবং আগামী জুলাই মাসে ওমরাহ পালনের সুযোগ রেখে টিকিট পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে।
কাফি