অর্থনীতি
বাজেটে বিমা খাতে কর কমানোসহ ১৫ প্রস্তাব ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের

আসছে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে বীমা খাতের কর্পোরেট কর কমানোর পাশাপাশি কিছু বিমা পণ্যের উপর কর পত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে বিমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। সোমবার (১৭ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত চিঠিতে ১৫টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। চিঠিতে কর্পোরেট কর হার হ্রাস করা, কৃষি বীমা, গবাদিপশু বীমা, বিভিন্ন ধরনের শস্য বীমা, উদ্ভাবনী বীমা, নতুন সামাজিক বীমা পণ্যেসহ অনলাইন ভিত্তিক বীমা প্রিমিয়ামের উপর মূল্য সংযোজন কর ও কর্পোরেট কর রহিত করার বিষয় তুলে ধরা হয়।
চিঠিতে কর্পোরেট কর হার হ্রাস করার বিষয়ে বলা হয়, আয়কর আইন অনুযায়ী তালিকাভুক্ত ব্যাংক, ইন্স্যরেন্স এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ব্যাংকের আয় ও ব্যবসায়ের পরিধি ইন্স্যুরেন্সের চাইতে অনেক বেশি তারপরও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর হার ব্যাংকের সমান। এছাড়া, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো ২৫ শতাংশ অথবা তার চেয়ে কম হারে কর প্রদান করে থাকে যদিও তাদের ব্যবসায়ের ক্ষেত্র ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চাইতে বেশি। কিন্তু ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় ব্যাংক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করতে পারেনি। তাই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোকে অন্যান্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মত বিবেচনা করে কর্পোরেট কর হার ব্যাংকিং কোম্পানির মত সমান না রেখে অন্যান্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মত কর হার নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব করা হলো।
কৃষি বীমা, গবাদিপশু বীমা, বিভিন্ন ধরনের শস্য বীমা প্রিমিয়ামের উপর মূল্য সংযোজন কর ও কর্পোরেট কর রহিত করার বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি খাতের ভূমিকা অপরিসীমা কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে এই খাত ক্রমাগত বিপন্ন হচ্ছে যার ফলে কৃষিকাজে কৃষকদের অনীহা দিন দিন বাড়ছে। তাই কৃষকদের জন্য কৃষি বীমা অপরিহার্য। এই জন্য কৃষি বীমার উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য কৃষি বীমা, গবাদিপশু বীমা, বিভিন্ন ধরনের শস্য বীমা প্রিমিয়ামের উপর মূল্য সংযোজন কর এবং এই বীমা পরিকল্প হতে অর্জিত মুনাফার উপর কর্পোরেট কর রহিত করার জন্য প্রস্তাব করা হলো।
এছাড়া, অনলাইন ভিত্তিক বীমা প্রিমিয়ামের উপর মূল্য সংযোজন কর ও কর্পোরেট কর রহিত করার বিষয়ে বলা হয়, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বীমা শিল্প ও সরকারের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনলাইন পলিসি ইস্যু করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে যা গ্রাহকদেরকে সর্বোচ্চ বীমা সেবা প্রদানের পথকে সুগম করবে। ডিজিটাল সেবা এবং ইন্স্যুরটেকের মাধ্যমে ইস্যু করা বীমা পলিসি হতে অর্জিত প্রিমিয়ামের উপর মূল্য সংযোজন কর এবং পলিসি প্রিমিয়াম হতে অর্জিত মুনাফার কর্পোরেট কর রহিত করার প্রস্তাব করা হলো।
চিঠিতে উদ্ভাবনী বীমা ও নতুন সামাজিক বীমা পণ্যের উপর মূল্য সংযোজন কর এবং কর্পোরেট কর রহিত করার বিষয়ে বলা হয়, উদ্ভাবনী বীমা ও নতুন সামাজিক বীমা পরিকল্প অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের জীবন যাত্রার মানের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। যে দেশ অথনৈতিকভাবে যত উন্নত তাদের জীবনযাত্রার মানও তত উন্নত আর এই উন্নয়নে বীমার অবদান অনেক বেশি। আর একটি দেশের সামাজিক মূল্যবোধ এবং সচেতনতার অভাবই এই শিল্পের বিকাশে মূল বাধা। তাই বীমা শিল্পের বিকাশে উদ্ভাবনী বীমা ও নতুন সামাজিক বীমা পণ্যের উপর উপর মূল্য সংযোজন কর এবং কর্পোরেট কর রহিত করার প্রস্তাব করা হলো।
এছাড়াও, নন-লাইফ বীমার অন্তর্ভুক্ত সকল শ্রেনীর নৌ-কার্গো, নৌ-হাল, বিবিধ বীমা সহ বীমা সেবার বিপরীতে পুনঃবীমাকারীকে সকল প্রিমিয়ামের উপর মুসক চার্জ অব্যাহতি, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপন ব্যয়কে আয় হিসাবে গন্য না করে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাক্ট অনুসারে লভ্যাংশের উপর কর নির্ধারন করা, পুনঃবীমা করার সময় পুনঃবীমা প্রিমিয়ামের উপর প্রাপ্য কমিশনের উপর নতুন করে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ রহিত, বৈদেশিক পুনঃবীমা প্রিমিয়ামের উপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ও ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর রহিত, স্বাস্থ্য বিমার প্রসারে এর ওপর ট্যাক্স রহিত ও বিমা এজেন্টদের কমিশন আয়ের উপর উৎসে কর কর্তন থেকে অব্যাহতি প্রদানে প্রস্তাব করে বিআইএ।
এর আগে, আসন্ন ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট অধিকতর অংশগ্রহণমূলক, গণমুখী, শিল্প, ব্যবসা ও করদাতাবান্ধব করতে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর কাছে বাজেট প্রস্তাবনা চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
জামানত ছাড়াই ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন ছোট উদ্যোক্তারা

করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিন) নেই এমন ছোট ছোট উদ্যোক্তারা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ঋণ নিতে জামানতও লাগবেনা। তাঁরা অন্য ব্যবসা সংক্রান্ত সনদ দিয়ে এই ঋণ পাবেন।
সোমবার (১৭ মার্চ) আগামী পাঁচ বছরের জন্য সিএমএসএমই খাতের নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সেখানে ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা’ নামের একটি নতুন শ্রেণি যুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশে এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তাদের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
কোন উদ্যোক্তারা অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন, নীতিমালায় তাও পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২-এর আলোকে ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতের উদ্যোক্তা’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা–২০২১ অনুযায়ী এই উদ্যোক্তাদের সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে। ইউনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন (ইউবিআইডি), ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিফিকেশন (ডিবিআইডি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে পারসোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট (পিআরএ) আছে, এমন শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র বা ভাসমান উদ্যোক্তা বা সেবাপ্রদানকারীরা ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক বা প্রান্তিক উদ্যোক্তা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা এই তিন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তারা, যাঁদের জনবল পারিবারিক সদস্যসহ ১০ জনের বেশি নয়, তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। এই শ্রেণির উদ্যোক্তাদের টার্নওভারের শর্ত রাখা হয়নি। তবে তাঁদের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতীত প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পদের মূল্য পাঁচ লাখ টাকার কম হতে হবে।
সিএমএসএমই খাতের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, মাঝারি শিল্প–উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ১২১ থেকে ৩০০ কর্মী আছেন, এমন তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান অথবা এক হাজার কর্মী আছেন, এমন শ্রমঘন শিল্পে এই ঋণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া মাঝারি শিল্পের মধ্যে সেবা খাতে সর্বোচ্চ ৭৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ৫১ থেকে ১২০।
উৎপাদন খাতের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মাইক্রো শিল্পে সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা ও ক্ষুদ্র শিল্পে ২৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। মাঝারি শিল্পের ট্রেডিং খাতে ১০ কোটি টাকা এবং ক্ষুদ্র শিল্পের ট্রেডিং ও সেবা খাতে সর্বোচ্চ আট কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। অন্যদিকে মাইক্রো শিল্পের ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে। কুটিরশিল্পে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারত-ভিয়েতনাম থেকে এলো ৩৫ হাজার টন চাল

ভারত এবং ভিয়েতনাম থেকে ৩৫ হাজার টন চাল নিয়ে দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। আজ সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ২২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল এবং জিটুজি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার ৫০০ টন আতপ চাল কেনা হয়েছে। ভিয়েতনামের চালের এটি দ্বিতীয় চালান।
এর আগে, প্রথম চালানের ১৭ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করছে। কিছুদিন পরপরই বিভিন্ন দেশ থেকে চালের চালানগুলো দেশে এসে পৌঁছাচ্ছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চলতি অর্থবছরের এখন সরকারি ও বেসরকারিভাবে মোট ৬ লাখ ২২ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। যার মধ্যে সরকার আমদানি করেছে ৩ লাখ ৪০ হাজার টন। বাকি ২ লাখ ৮২ হাজার টন বেসরকারি আমদানিকারকরা এনেছেন।
এর আগে, গত শনিবার পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। এ নিয়ে তিন দিনে দেশে ৬১ হাজার টন চাল আমদানি হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্কুল ব্যাংকিং নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নিদর্শনা

স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন থেকে জেলা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি ব্যাংকের শাখা কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ব্যাংক শাখা থেকে বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবে।
রবিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে।
২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর এবং ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বরের সার্কুলারগুলোকে অবলম্বন করে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জেলা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে কমপক্ষে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে ব্যাংক শাখাগুলোকে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ব্যাংকগুলোকে হিসাব খোলা, আর্থিক শিক্ষা প্রদান এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া, প্রতিটি ব্যাংক শাখাকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসকে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। প্রতিবেদনে ব্যাংক শাখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, শিক্ষার্থীদের হিসাবের পরিমাণ, লেনদেনের তথ্য এবং আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে, যার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
২০১১ সাল থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ শুরু করলেও, স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে বর্তমানে ৫৯টি ব্যাংক অংশ নিচ্ছে। ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা এই অ্যাকাউন্টগুলো খুলতে পারবে। এতে রয়েছে নানা সুবিধা। যেমন- ফি ও চার্জে ছাড়, বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং স্বল্প খরচে ডেবিট কার্ড পাওয়ার সুযোগ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আগামী বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক হবে: এনবিআর

এবার অনলাইনে রিটার্ন জমা সফল হয়েছে। আগামী বছর অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
রোববার (১৬ মার্চ) আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়কর বিভাগের কর তথ্য ব্যবস্থাপনা ও মূল্যায়ন শাখা আয়োজিত ‘রিটার্ন সিস্টেমের সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানের উপায়’ শিরোনামে কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনলাইনে রিটার্ন না দেওয়ার কোনো উপায় নেই। পুরোপুরি অনলাইনে রিটার্ন দিতে হবে। অনলাইনে রিটার্ন জমায় সময় ও অর্থ বাঁচে। আর টেনশন একদমই থাকে না। কারণ ক্যালকুলেশন তো, কোনটা ট্যাক্সেবল, কোনটার কত করহার কিছুই জানা দরকার নেই। আপনি তথ্যগুলো দেবেন, সিস্টেম ক্যালকুলেশন করে দেবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী বছরের পহেলা জুলাই থেকে অনলাইনে রিটার্ন সহজলভ্য হবে। এ বছর যারা রিটার্ন দিয়েছেন, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে। এটা অনেক লম্বা সময় ধরে আমাদের আর্কাইভে থাকবে। আমরা ক্লাউড সার্ভারও নেব। আমরা অ্যাপস তৈরি করব। আগামী বছর থেকে করপোরেট রিটার্ন অনলাইনে দিতে হবে। অনলাইন রিটার্ন গত বছরের তুলনায় ৫ গুণ বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপনি কেবল তথ্য দেবেন। ক্যালকুলেশনের সিস্টেম আছে। যদি কোনো ভুলত্রুটি হয় তার দায়িত্ব ডিপার্টমেন্টের। আপনার কোনো দায় নেই। কিন্তু আপনি যখন ম্যানুয়ালি করেন, এতে যখন ভুলত্রুটি হয় তখন পুরো দায় আপনার ওপর চলে আসে। অনেকেই অডিটের নামে ডাকাডাকি করে। অডিটের সিলেকশন আপনাদের বিবেচনায় সঠিক হয় না। একজন করদাতা প্রতিবছর ডাক পান, আরেকজন করদাতাকে কখনোই ডাকা হয় না। এরকম হওয়ার কথা না। যদি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দেন তাহলে প্রয়োজনীয় তথ্য আমাদের কাছে থাকবে। আমাদের পক্ষে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে অটোমেটেড পদ্ধতিতে ফাইল সিলেকশন করা যাবে। তখন আপনাকে পছন্দ করে না বলে বারবার ডাকবে, এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।
কর্মশালায় এনবিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবী, তফশিলি ব্যাংকের প্রতিনিধি ও মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্যাক্স ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ এবং ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশের বাজারে বাড়ল সোনার দাম, ভরি ১৫৩৪৭৫ টাকা

ঈদের আগে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৬ মার্চ) এ দাম বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
কাফি