অর্থনীতি
বাজেটে বিমা খাতে কর কমানোসহ ১৫ প্রস্তাব ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের

আসছে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে বীমা খাতের কর্পোরেট কর কমানোর পাশাপাশি কিছু বিমা পণ্যের উপর কর পত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে বিমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। সোমবার (১৭ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত চিঠিতে ১৫টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। চিঠিতে কর্পোরেট কর হার হ্রাস করা, কৃষি বীমা, গবাদিপশু বীমা, বিভিন্ন ধরনের শস্য বীমা, উদ্ভাবনী বীমা, নতুন সামাজিক বীমা পণ্যেসহ অনলাইন ভিত্তিক বীমা প্রিমিয়ামের উপর মূল্য সংযোজন কর ও কর্পোরেট কর রহিত করার বিষয় তুলে ধরা হয়।
চিঠিতে কর্পোরেট কর হার হ্রাস করার বিষয়ে বলা হয়, আয়কর আইন অনুযায়ী তালিকাভুক্ত ব্যাংক, ইন্স্যরেন্স এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ব্যাংকের আয় ও ব্যবসায়ের পরিধি ইন্স্যুরেন্সের চাইতে অনেক বেশি তারপরও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর হার ব্যাংকের সমান। এছাড়া, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো ২৫ শতাংশ অথবা তার চেয়ে কম হারে কর প্রদান করে থাকে যদিও তাদের ব্যবসায়ের ক্ষেত্র ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চাইতে বেশি। কিন্তু ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায় ব্যাংক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করতে পারেনি। তাই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোকে অন্যান্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মত বিবেচনা করে কর্পোরেট কর হার ব্যাংকিং কোম্পানির মত সমান না রেখে অন্যান্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মত কর হার নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব করা হলো।
কৃষি বীমা, গবাদিপশু বীমা, বিভিন্ন ধরনের শস্য বীমা প্রিমিয়ামের উপর মূল্য সংযোজন কর ও কর্পোরেট কর রহিত করার বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি খাতের ভূমিকা অপরিসীমা কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে এই খাত ক্রমাগত বিপন্ন হচ্ছে যার ফলে কৃষিকাজে কৃষকদের অনীহা দিন দিন বাড়ছে। তাই কৃষকদের জন্য কৃষি বীমা অপরিহার্য। এই জন্য কৃষি বীমার উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য কৃষি বীমা, গবাদিপশু বীমা, বিভিন্ন ধরনের শস্য বীমা প্রিমিয়ামের উপর মূল্য সংযোজন কর এবং এই বীমা পরিকল্প হতে অর্জিত মুনাফার উপর কর্পোরেট কর রহিত করার জন্য প্রস্তাব করা হলো।
এছাড়া, অনলাইন ভিত্তিক বীমা প্রিমিয়ামের উপর মূল্য সংযোজন কর ও কর্পোরেট কর রহিত করার বিষয়ে বলা হয়, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বীমা শিল্প ও সরকারের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনলাইন পলিসি ইস্যু করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে যা গ্রাহকদেরকে সর্বোচ্চ বীমা সেবা প্রদানের পথকে সুগম করবে। ডিজিটাল সেবা এবং ইন্স্যুরটেকের মাধ্যমে ইস্যু করা বীমা পলিসি হতে অর্জিত প্রিমিয়ামের উপর মূল্য সংযোজন কর এবং পলিসি প্রিমিয়াম হতে অর্জিত মুনাফার কর্পোরেট কর রহিত করার প্রস্তাব করা হলো।
চিঠিতে উদ্ভাবনী বীমা ও নতুন সামাজিক বীমা পণ্যের উপর মূল্য সংযোজন কর এবং কর্পোরেট কর রহিত করার বিষয়ে বলা হয়, উদ্ভাবনী বীমা ও নতুন সামাজিক বীমা পরিকল্প অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের জীবন যাত্রার মানের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। যে দেশ অথনৈতিকভাবে যত উন্নত তাদের জীবনযাত্রার মানও তত উন্নত আর এই উন্নয়নে বীমার অবদান অনেক বেশি। আর একটি দেশের সামাজিক মূল্যবোধ এবং সচেতনতার অভাবই এই শিল্পের বিকাশে মূল বাধা। তাই বীমা শিল্পের বিকাশে উদ্ভাবনী বীমা ও নতুন সামাজিক বীমা পণ্যের উপর উপর মূল্য সংযোজন কর এবং কর্পোরেট কর রহিত করার প্রস্তাব করা হলো।
এছাড়াও, নন-লাইফ বীমার অন্তর্ভুক্ত সকল শ্রেনীর নৌ-কার্গো, নৌ-হাল, বিবিধ বীমা সহ বীমা সেবার বিপরীতে পুনঃবীমাকারীকে সকল প্রিমিয়ামের উপর মুসক চার্জ অব্যাহতি, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপন ব্যয়কে আয় হিসাবে গন্য না করে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাক্ট অনুসারে লভ্যাংশের উপর কর নির্ধারন করা, পুনঃবীমা করার সময় পুনঃবীমা প্রিমিয়ামের উপর প্রাপ্য কমিশনের উপর নতুন করে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ রহিত, বৈদেশিক পুনঃবীমা প্রিমিয়ামের উপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ও ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর রহিত, স্বাস্থ্য বিমার প্রসারে এর ওপর ট্যাক্স রহিত ও বিমা এজেন্টদের কমিশন আয়ের উপর উৎসে কর কর্তন থেকে অব্যাহতি প্রদানে প্রস্তাব করে বিআইএ।
এর আগে, আসন্ন ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট অধিকতর অংশগ্রহণমূলক, গণমুখী, শিল্প, ব্যবসা ও করদাতাবান্ধব করতে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর কাছে বাজেট প্রস্তাবনা চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
টিসিবির জন্য ২৭৩ কোটি টাকার তেল-ডাল কিনবে সরকার

স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জন্য ২৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার রাইস ব্রান তেল ও মসুর ডাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে এক কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে (ওটিএম) ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো- গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোল্ট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ, মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড৷ প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৬২.৫০ টাকা। সে হিসাবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার তেল কিনতে খরচ হবে ১৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এরমধ্যে গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোল্ট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ২০ লাখ লিটার, মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৫ লাখ লিটার এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৫ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনা হবে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে (ওটিএম) ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রতি কেজি ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৪.২৩ টাকা।
সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো মেসার্স মদিনা ট্রেডিং কর্পোরেশন ও মেসার্স পায়েল ট্রেডার্স। এরমধ্যে মদিনার কাছ থেকে কেনা হবর ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং পায়েলের কাছ থেকে কেনা হবে ৫ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার

আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ-৯ এর আওতায় এই চাল কেনা হবে।
প্রতি টন চাল দাম পড়বে ৪২৯ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে ৫০ হাজার টন চালের দাম ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলার।
এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
সেসময় প্রতি টন চালের দাম ৪৩৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার ধরা হয়। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিআইসিএম থেকে চাকরিচ্যুত সানাউল্লাহ

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) গাড়ি চালক (শিক্ষানবিশ) পদ থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন মো. সানাউল্লাহ। চাকরির আবেদন পত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং ভূয়া অভিজ্ঞতা সনদপত্র জমা দেয়ার মাধ্যমে প্রতারণা করার কারণে গত ১১ মার্চ তার নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়েছে।
ভূয়া অভিজ্ঞতা ও প্রতারণা করার কারণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে গত ১১ মার্চ শাহবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শাহবাগ থানার জিডি নম্বর: ৭৬৮।
জিডিতে অভিযোগ করা হয়, বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার করফাকর গ্রামের মৃত ইউসুফ মৃধার ছেলে মো. সানাউল্লাহ বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটে (বিআইসিএম) গাড়িচালক (শিক্ষানবিশ) হিসেবে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর যোগদান করেছেন। সানাউল্লার বিরুদ্ধে চাকরির আবেদন পত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং ভূয়া অভিজ্ঞতার সনদপত্র দাখিলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি চাকরির আবেদনপত্রে আজিজ এন্ড কোম্পানি লিমিটেড (হাউজ নং- ১৬, রোড নং- ১, ব্লক- বি, নিকেতন, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২)-এ গাড়িচালক হিসেবে ০৬ বছরের কর্ম অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন এবং প্রমাণক হিসেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের একটি অভিজ্ঞতার সনদপত্র দাখিল করেছেন।
ইন্সটিটিউট কর্তৃক তার অভিজ্ঞতার সনদপত্র যাচাইকালে আজিজ এন্ড কোম্পানি লিমিটেড থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, তিনি কখনো আজিজ এন্ড কোম্পানির এ ড্রাইভার (গাড়িচালক) পদে চাকরি করেননি এবং তার দাখিলকৃত অভিজ্ঞতার সনদপত্রটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ইন্সটিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ০৬ নং শর্তে অনুযায়ী, কোন তথ্য গোপন করে বা ভুল তথ্য প্রদান করে চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে এবং পরবর্তীতে যে কোন সময় প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর নিয়োগাদেশ বাতিল করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়াও, ইন্সটিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত তার নিয়োগপত্রের ০৯ নং শর্তানুযায়ী, প্রার্থীর কোন তথ্য ও সনদপত্র ভূয়া/মিথ্যা/জালিয়াতি প্রমাণিত হলে এ নিয়োগ সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে চাকরির আবেদনপত্রে অভিজ্ঞতার বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান ও ভূয়া অভিজ্ঞতার সনদপত্র দাখিলের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ায় ইন্সটিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ০৬ নং শর্ত, নিয়োগপত্রের ০৯ নং শর্ত এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা, ২০২৩-এর ৬৫ নং প্রবিধি অনুযায়ী গাড়িচালক পদে তার নিয়োগ গত ১১ মার্চ হতে বাতিল করা হয়েছে।
এবিষয়ে বিআইসিএম’র নির্বাহী প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুছ সালেহীন বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সানাউল্লাহের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আপেল-আঙুর-কমলা আমদানিতে শুল্ক কমলো

ফলের বাজার স্থিতিশীল এবং সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে এবার কমলা, আপেল, নাশপাতি, আঙ্গুরা, জাম্বুরা, বাতাবি লেবু ও লেবু জাতীয় তাজা বা শুকনো ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা প্রজ্ঞাপনের ওই আদেশ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর ধরা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ মার্চ কমলা, আপেল, নাশপাতি, আঙুর ও লেবু জাতীয় তাজা বা শুকনো ফল আমদানিতে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। চারদিনের মাথায় শুল্কও কমানো হলো।
এনবিআর সূত্র জানায়, বিলাসী পণ্য বিবেচনা করে আমদানি করা ফলে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে রমজানে ফলের বাজার স্থিতিশীল এবং সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখার বিবেচনায় তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহারে সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। প্রতিষ্ঠানটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক ও অগ্রিম কর (এটি) প্রত্যাহার এবং অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কামানোর সুপারিশ করে।
ট্যারিফ কমিশনের চিঠিতে রমজানে খেজুরসহ অন্যান্য তাজা ফল যৌক্তিক মূল্যে ভোক্তাগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য সরাসরি আমদানিকারকের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক অথবা ভ্যানে করে যৌক্তিক মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করার সুপারিশও ছিল।
এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে কোভিড পরবর্তী সময় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও রিজার্ভের চাপ সামাল দিতে প্রায় ১৩৫টি পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক শূন্য ও তিন শতাংশ থেকে একবারে বাড়িয়েছিল। সে তালিকার বড় অংশই ছিল আমদানি করা ফল।
বর্তমানে রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা ২৮০-৩১০ টাকা, কমলা ২৯০-৩০০ টাকা, চায়না (মোটা) কমলা ৩০০-৩২০ টাকা হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩৫০ টাকা কেজি দরে, নাশপতি ৩১০-৩৪০ টাকা এবং আঙ্গুরও তিনশ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জামানত ছাড়াই ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন ছোট উদ্যোক্তারা

করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিন) নেই এমন ছোট ছোট উদ্যোক্তারা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ঋণ নিতে জামানতও লাগবেনা। তাঁরা অন্য ব্যবসা সংক্রান্ত সনদ দিয়ে এই ঋণ পাবেন।
সোমবার (১৭ মার্চ) আগামী পাঁচ বছরের জন্য সিএমএসএমই খাতের নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সেখানে ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা’ নামের একটি নতুন শ্রেণি যুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশে এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তাদের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
কোন উদ্যোক্তারা অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন, নীতিমালায় তাও পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২-এর আলোকে ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতের উদ্যোক্তা’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা–২০২১ অনুযায়ী এই উদ্যোক্তাদের সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে। ইউনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন (ইউবিআইডি), ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিফিকেশন (ডিবিআইডি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে পারসোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট (পিআরএ) আছে, এমন শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র বা ভাসমান উদ্যোক্তা বা সেবাপ্রদানকারীরা ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক বা প্রান্তিক উদ্যোক্তা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা এই তিন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তারা, যাঁদের জনবল পারিবারিক সদস্যসহ ১০ জনের বেশি নয়, তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। এই শ্রেণির উদ্যোক্তাদের টার্নওভারের শর্ত রাখা হয়নি। তবে তাঁদের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতীত প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পদের মূল্য পাঁচ লাখ টাকার কম হতে হবে।
সিএমএসএমই খাতের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, মাঝারি শিল্প–উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ১২১ থেকে ৩০০ কর্মী আছেন, এমন তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান অথবা এক হাজার কর্মী আছেন, এমন শ্রমঘন শিল্পে এই ঋণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া মাঝারি শিল্পের মধ্যে সেবা খাতে সর্বোচ্চ ৭৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ৫১ থেকে ১২০।
উৎপাদন খাতের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মাইক্রো শিল্পে সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা ও ক্ষুদ্র শিল্পে ২৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। মাঝারি শিল্পের ট্রেডিং খাতে ১০ কোটি টাকা এবং ক্ষুদ্র শিল্পের ট্রেডিং ও সেবা খাতে সর্বোচ্চ আট কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। অন্যদিকে মাইক্রো শিল্পের ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে। কুটিরশিল্পে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে।