জাতীয়
মেট্রোরেলে টিকিট ব্যবস্থা চালু, কর্মবিরতি প্রত্যাহার

প্রায় দেড় ঘণ্টা পর মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দিয়েছেন কর্মীরা। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন কর্মীকে এমআরটি পুলিশের কয়েকজন সদস্য লাঞ্ছিতের ঘটনায় কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা।
পূর্ব ঘোষণার জেরে আজ (১৭ মার্চ) সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধের আশঙ্কা ছিল। তবে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে মেট্রোরেল চলছে। যদিও কাজে যোগ দেননি মেট্রোরেল কর্মীরা।
এ দিকে, মেট্রোরেল কর্মীরা কাজে যোগ না দেওয়ায় মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট বিক্রি বন্ধ ছিল। এই সুযোগে একক যাত্রার যাত্রীরা বিনা টিকিটে মেট্রোরেলে যাতায়াতের সুযোগ পান। আর যাদের এমআরটি কার্ড আছে তারা কার্ড পাঞ্চ করে ঢুকতে পেরেছেন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ (অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেন্যান্স) বলেন, মেট্রোরেলের কর্মীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন মেট্রোরেল কর্মীরা কাজে যোগ দিয়েছেন। একক যাত্রার টিকিট আগের মতই বিক্রি হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সাবেক আইজিপি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম মারা গেছেন

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম (৭৫) আর নেই। সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, সদস্য ও মরহুমের স্বজনরা অংশ নেন।
জানাজা শেষে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আইজিপি। এরপর বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির নেতারাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মরহুমকে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে অফিসিয়াল ফিউনারেল দেওয়া হয়।
সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম ১৯৭৩ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি রাজশাহী ও খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এবং রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি পিপিএম পদক লাভ করেন।
১৯৪৯ সালে মাগুরা জেলার সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। আজ তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সেতুর পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রেলসেতুটি উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।
এর ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। এদিন মাত্র সাড়ে তিন মিনিটেই রেলসেতু অতিক্রম করে স্পেশাল ট্রেনটি। এর আগে ৬ কোচের (বগির) এই স্পেশাল ট্রেন প্রস্তুতের পর সজ্জিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. সাইদা শিনিচি, জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক মি. ইতো তেরুয়ুকি প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এরপর সেতুর পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তের সয়দাবাদ রেলস্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু অতিক্রম করেন।
৫০টি পিলার আর ৪৯টি স্প্যানের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল প্রযুক্তির অবকাঠামোতে নির্মিত ডাবল লেনের সেতুটি জানান দিচ্ছে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রার কথা। ৪.৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ সেতুটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সঙ্গে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করেছে।
জানা গেছে, সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তবে উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে সেতু নিয়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট। এর আগে যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন পাড়ি দিতে ২০ মিনিট সময় লাগত। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে থাকে। গতি কমের কারণে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি ঘটতে থাকে শিডিউল বিপর্যয়। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা করা হয়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। জাপানের আইএইচআই, এসএমসিসি, ওবায়শি কর্পোরেশন, জেএফই এবং টিওএ কর্পোরেশন এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিনটি প্যাকেজে সেতুর নির্মাণকাজ করেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বে আসার পর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুটির নাম পরিবর্তন করে যমুনা রেলসেতু নামকরণ করা হয়।
সূত্র জানায়, এ সেতুটি চালু হওয়ায় এখন উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ ও রেলওয়ে পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রান্স এশিয়ান রেলপথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার হবে। এতে আমদানি-রপ্তানি খরচ কমে যাওয়ার পাশাপাশি যমুনা সেতু ও মহাসড়কের ওপর চাপ কমবে। একইসঙ্গে উত্তরাঞ্চল থেকে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজ হবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সামাজিক জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবে। আগে যমুনা সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করলেও নতুন সেতু দিয়ে ৮৮টি ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ মাস

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সংঘঠিত ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে যে কমিশন হয়েছে সেটির মেয়াদ আরও ৩ মাস বাড়িয়েছে সরকার।
সোমবার (১৭ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সময় বাড়ানোর এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের বাড়তি মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। এটি গত ১৫ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
এ নিয়ে কয়েক ধাপে কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হলো।
এর ফলে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিশন ৩০ জুন পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় পাবে। পাঁচ সদস্যের এ কমিটির প্রথমে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২৭ আগস্ট গঠিত এ কমিশন কাজ শুরুর পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। গত ৫ নভেম্বর কমিশন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, কমিশনে গুমের ১ হাজার ৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে তারা ৩৮৩টি অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক যাচাই করেছেন। এসব অভিযোগের মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধেই ছিল সবচেয়ে বেশি ১৭২টি অভিযোগ। অভিযোগের বিষয়ে কমিশন ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ট্রেনে ঈদযাত্রা: ২৮ মার্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ১৪ মার্চ থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ (১৮ মার্চ) ঈদের আগে ২৮ মার্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টায় পঞ্চম দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এবারও অগ্রিম টিকিটের শতভাগই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।
সবাই যেন ঠিকঠাকভাবে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য দুই অঞ্চলের টিকিট দুই সময়ে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টায়।
এর আগে, ট্রেনের ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে গত ১৪ মার্চ, ২৫ মার্চের ১৫ মার্চ, ২৬ মার্চের ১৬ মার্চ এবং ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৭ মার্চ।
এ ছাড়া ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ২০ মার্চ। তবে, চাঁদ দেখার ওপরে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
এদিকে, ঈদ পরবর্তী ফিরতি ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ, ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যমুনা রেলসেতুর দ্বার খুলছে আজ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবেশেষে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম ‘যমুনা রেলসেতু’ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উদ্বোধন করা হবে। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল চলাচল আরও সহজ হবে।
উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ। যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সায়েদাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেলসেতু পারাপার হবেন। সেখানে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সায়েদাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন। পরে দুপুর ১২টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত আসবেন।
সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তবে উদ্বোধনের দিন থেকে প্রথম পর্যায়ে সেতু নিয়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট। এর আগে যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন পার হতে ২০ মিনিট লাগতো।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।
১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।