জাতীয়
ট্রেনে ঈদযাত্রা: ২৭ মার্চের টিকিট মিলবে সোমবার

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। যারা আগামী ২৭ মার্চ ভ্রমণ করবেন তাদের আগামীকাল সোমবার অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টায় চতুর্থ দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে৷ অগ্রিম টিকিটের শতভাগই যথারীতি বিক্রি হবে অনলাইনে।
যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে৷
এর আগে গত ৯ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ মার্চের টিকিট ১৭ মার্চ, ২৮ মার্চের টিকিট ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ, ৩০ মার্চের টিকিট পাওয়া যাবে ২০ মার্চ৷
এছাড়া চাঁদ দেখার ওপরে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে৷ ঈদযাত্রার সব টিকিট অনলাইনে কিনতে হবে। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাতো বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু এবার সেটি কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ নামে দুটি এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪ নামে একজোড়া ট্রেন চালানো হবে; ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে পাবর্তীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ডিএমপি কমিশনারের মন্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের তীব্র নিন্দা

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সম্প্রতি এক বক্তব্যে গণমাধ্যমকে ‘ধর্ষণ’ শব্দ এড়িয়ে অন্য শব্দ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তার এ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
রোববার (১৬ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বিবৃতিতে জানায়, ধর্ষণ মানে ধর্ষণ, তা ৮ বছরের শিশুর বিরুদ্ধে হোক বা ৮০ বছরের বৃদ্ধার বিরুদ্ধে। এমন ভয়াবহ অপরাধকে তার যথাযথ নামেই ডাকতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি যে কোনো ধরনের সহিংসতা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে এবং এ বিষয়ে কোনো ধরনের আপস করা হবে না।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীতে গণপরিবহণে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘হেল্প’ অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি দুটো শব্দ খুব অপছন্দ করি, এর মধ্যে একটি হলো ধর্ষণ। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নিপীড়ন’ বলবেন। আমাদের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতন বলা হয়েছে। যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।
যেসব ঘটনা জনমনে আতঙ্ক বা ভয় সৃষ্টি করে, তা কম দেখানোর অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এটা আপনারা করবেন, আপনাদের পেশাগত দায়িত্ব। তবে যদি একটু “রিজনেবল” করে দেখানো যায়।’
তার এই অনুরোধমূলক বক্তব্যের পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই। শেখ মো. সাজ্জাত আলী ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, বিষয়টি কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তার (ডিএমপি কমিশনার) এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা উচিত।
‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করুন, এখনই!’ শীর্ষক মানববন্ধনে ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন। রোববার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে টিআইবি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কর্মবিরতির ঘোষণা মেট্রোরেল কর্মীদের

এমআরটি পুলিশ সদস্য কর্তৃক ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন সহকর্মী মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে মেট্রোরেল কর্মীরা। ফলে আজ (১৭ মার্চ) সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) মধ্যরাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোরেলের একাধিক কর্মী। তার আগে ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের’ ব্যানারে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনা তুলে ধরে ৬টি দাবি জানানো হয়।
কর্মীদের দাবিগুলো হচ্ছে- আগামী এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা ওই পুলিশ সদস্যকে (এস আই মাসুদ) স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে ও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব পুলিশ সদস্যকে (কন্সটেবল রেজনুল, ইন্সপেক্টর রঞ্জিত) শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে; মেট্রোরেল, মেট্রো স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে; এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; স্টেশনে দায়িত্বরত সিআরএ টিএমও, স্টেশন কন্ট্রোলারসহ অন্য সব কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; অফিসিয়াল পরিচয় পত্র ছাড়া ও অনুমতি ব্যতি কোনো ব্যক্তি যেন স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আহত কর্মীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বলা হয়, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মেট্রোরেলের সব স্টাফ কর্মবিরতি পালন করবো এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং মেট্রো স্টেশনে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবেন।
মেট্রোরেল কর্মীরা বলেছেন, আজ ১৭ মার্চ সকাল থেকে আমরা ট্রেন চালাবো না। আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা ট্রেন চালাবো। আমাদের ঘটনার বিষয়ে হেড অফিসের বড় স্যাররা অবগত আছেন। ঘটনার পর তারা সচিবালয়ে মিটিং করেছে। আমাদের প্রেস রিলিজ সরকারি ডেকোরাম মেনে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলা হয়, আনুমানিক বিকেল সোয়া ৫টায় দুজন মহিলা কোনো প্রকার পরিচয়পত্র প্রদর্শন না করেই সিভিল ড্রেসে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে থাকা সুইং গেইট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। যেহেতু তারা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন না ও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে পিজি গেইট ব্যতীত সুইং গেইট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। তবে, সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে লিপ্ত হন এবং একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান।
পরবর্তীতে ঠিক একইভাবে দুইজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেইট ব্যবহার করে সুইং গেইট না লাগিয়ে চলে যান, উক্ত বিষয়ের কারণ তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা পূর্বের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএ এর সঙ্গে ইএফওতে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএ এর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করে এবং কর্মরত আরেকজন টিএমও এর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে। উপস্থিত স্টেশন স্টাফ ও যাত্রীগণ বিষয়টি অনুধাবন করে উক্ত এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মরত টিএমওকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে। উক্ত পরিস্থিতি মেট্রোরেল কর্মপরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বর্তমানে আহত (রাইফেল দিয়ে কাঁধে আঘাত করা হয়) সিআরএকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং টিএমও (যাকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে হেনস্তা করা হয়, গুলি করার জন্য বুকে রাইফেল ধরা হয়) উক্ত ঘটনার বিবৃতি দেওয়ার পর বাসায় যাওয়ার পথে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ না হওয়ার খবর সত্য নয়: প্রেস উইং

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এ বছর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য নয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
রোববার (১৬ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এ বছর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্য নয়। জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকার সংস্কার কাজ চলমান থাকায় গত কয়েক বছরের মতো এবছরও ঢাকায় কুচকাওয়াজ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশের বাকি ৬৩ জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে কুচকাওয়াজ আয়োজন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সব জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় সরকার: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন চীন সফরের মাধ্যমে সরকার দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ২৬ মার্চ চীন সফরে যাবেন, ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ রোববার এক ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম এ কথা বলেন। এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন সফর নিয়ে আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এই সফর বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া চীনের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রেস সচিব বলেন, এ সফরের চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগ করবে বলে তিনি আশা করছেন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের মান উন্নয়ন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে আলোচনা হবে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, চীন বাংলাদেশে একটি জেনারেল হাসপাতাল করে দেবে বলেছে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা চাচ্ছেন, চীনের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ করে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে হাসপাতাল তৈরি করে।
শফিকুল আলম বলেন, চার দিনের এ সফরে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চীনের হাইটেক পার্ক পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া পিকিং ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
উৎপাদনে (ম্যানুফ্যাকচারিং) অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লব ঘটাতে চায় মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, গত ৫ আগস্টের পর চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো খুব ভালোভাবে ব্যবসা করছে। আমরা চাই তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করবে।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, প্রধান উপদেষ্টা দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নতির লক্ষ্যে আগামীকাল সারা দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি বলেন, এ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক নির্দেশনা দেবেন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কথা শুনবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু পরিবেশে গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও সুশৃঙ্খলভাবে গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার।
আজ রবিবার (১৬ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা-২০২৫ এর জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ, যার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করাসহ পরীক্ষার সময়ে যেকোনো সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবর্তিত বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। ন্যাচারাল আবহাওয়া এবং বর্তমান পারিপার্শ্বিক অস্থিরতা মোকাবিলা করতে হবে।
এছাড়া অসাধু চক্রের যেকোনো অপতৎপরতাগর প্রতি নজর রাখতে হবে। এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সহযোগিতা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য প্রাপ্ত নম্বর নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন দিনগুলোতে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত দেশের সর্বত্র সব কোচিং সেন্টার বন্ধু থাকবে। আগাম বন্যাপ্রবণ এলাকায় পরীক্ষা গ্রহণে ব্যাঘাত সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় পরীক্ষা চলাকালীন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়। গুজব প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক জনসচেতনতার জন্য প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়। বোর্ড থেকে দূরবর্তী কেন্দ্রগুলো থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উত্তরপত্র দ্রুততম সময়ে বোর্ডে পৌঁছানোর জন্য ডাক বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়। বোর্ডের নিকটবর্তী কেন্দ্রগুলো থেকে উত্তরপত্র দ্রুততম সময়ে সরাসরি বোর্ড পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
২০২৫ সালে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪৯০১৪২জন, এরমধ্যে ছাত্র ৭০১৫৩৮ জন, ছাত্রী ৭৮৮৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২২৯১টি, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮০৮৪টি। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯৪৭২৬ জন এর মধ্যে ছাত্র ১৫০৮৯৩ জন, ছাত্রী ১৪৩৮৩৩ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯০৬৩টি। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪৩৩১৩ জন, এরমধ্যে ছাত্র ১০৮৩৮৫ জন, ছাত্রী ৩৪৯২৮জন।
কাফি