বীমা
নিবন্ধন সনদ নবায়ন আবেদন না করায় বায়রা ও গোল্ডেন লাইফকে নোটিশ

বিমা আইন লঙ্ঘন করে ব্যবসা পরিচালনা করায় দুই জীবন বিমা কোম্পানি বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। কোম্পানি দুটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন সনদ নবায়নের আবেদন কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল না করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। যা বীমা আইনের সুস্পষ্ট লংঘন ও আইনতঃ দন্ডনীয়।
গত ০৫ ও ৬ মার্চ কোম্পানি দুটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ নোটিশ পাঠিয়েছে আইডিআরএ। এতে স্বাক্ষর করেছেন সংস্থাটির পরিচালক (নিবন্ধন ও ব্যবস্থাপনা, লাইফ) অতিরিক্ত দায়িত্ব আহম্মদ এহসান উল হান্নান।
নোটিশে বলা হয়, বীমা আইন, ২০১০ এর ৮ (১) ধারা অনুযায়ী বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ব্যতীত কেউ বীমা ব্যবসা সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। একই আইনের ১১ ধারার বিধান মোতাবেক বীমাকারিকে কোন বছরের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন পূর্ববর্তী বছরের ৩০ নভেম্বরের পূর্বে, নিবন্ধন নবায়ন ফি (বিধি দ্বারা নিধারিত) প্রদানপূর্বক আবেদন করতে হয়। কিন্তু আপনার কোম্পানি ২০২৫ সালের জন্য নিবন্ধন সনদ নবায়নের আবেদন অদ্যাবধি কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল করেনি। নিবন্ধন সনদ নবায়ন না করে বীমা ব্যবসা পরিচালনা করা বীমা আইনের সুস্পষ্ট লংঘন যা আইনতঃ দন্ডনীয়।
এতে আরও বলা হয়, ২০২৫ সালের নিবন্ধন সনদ নবায়ন না করে বীমা আইন, ২০১০ এর ৮ ধরার বিধান লংঘন করে বীমা ব্যবসা পরিচালনা করায় আপনার কোম্পানির বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা যথাযথ প্রমানকসহ ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বীমা
বিমা খাতের সংস্কারে আইডিআরএর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি: চেয়ারম্যান

বিমা খাতের সংস্কারে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম। তিনি বলেছেন, এ খাতের উন্নয়ন করতে চাইলে আইডিআরএকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিতে হবে। ক্ষমতা প্রয়োগের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
বুধবার (১২ মার্চ) আইডিআরএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘বিমা খাতের সংস্কার ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
আইআরএফ সভাপতি গাজী আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। লাইফ বিমা খাত নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জালালুল আজিম এবং নন-লাইফ খাত নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেনা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিক শামীম।
সেমিনারে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য, লাইফ ও নন-লাইফ বিমা কোম্পানিগুলোর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমে বিমা খাত নিয়ে কাজ করা সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।
বিমা আইনকে অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ আখ্যায়িত করে ড. এম আসলাম আলম বলেন, আইডিআরএকে দুর্বল করে বিমাকারীদের পক্ষে এই আইন করা হয়েছে। আইডিআরএ কাউকে সাসপেন্ড করলে তারা আদালতে গিয়ে স্টে অর্ডান নিয়ে পুনরায় ফিরে আসে। তাই ব্যাপকভাবে আইডিআরএ’র ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে তথ্যের প্রয়োজন। কিন্তু বিমা কোম্পানিগুলো সঠিকভাবে তথ্য দিতে চায় না। যেসব তথ্য দেয় তা ফেব্রিকেটেড (জাল-জালিয়াতি) কি না তাও নিশ্চিত নয়।
তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশন হলে ৮৫ শতাংশ অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা পদক্ষেপ নেই কিন্তু সহযোগিতা পাওয়া যায় না।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, আইএমএস যেটা ইউএমপি নামে পরিচিত ছিল সেটা ১০টি সার্ভিস দিচ্ছে। বিমা কোম্পানিগুলো মনিটরিং করতে এসব তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকরা রাখে। আইএমএস-এ পূর্ণ তথ্য দিলে আইডিআরএ কাজ করতে পারবে। কিন্তু বিআইএ’র নতুন কমিটি ঘোষণা দিয়েছে তারা এটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে না।
ড. এম আসলাম আলম বলেন, ডিজিটালাইজেশন ছাড়াও যদি যথাসংখ্যক জনবল থাকতো তাহলেও হতো। কিন্তু আইডিআরএকে স্বল্প সংখ্যক জনবল ও স্বল্প টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তবে বিমা খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়েই কাজ চলছে। এজন্য সময় লাগবে, রাতারাতি সম্ভব নয়।
গ্রাহকদের বকেয়া বিমা দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, উল্লেখযোগ্য শেয়ারহোল্ডারের সম্পদ বিক্রি করে দাবি পরিশোধের ক্ষমতা আইডিআরএ’র নেই। এজন্য আদালতে যেতে হয়। এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষের বেশ কিছু মামলা চলমান।
তিনি বলেন, অনিষ্পন্ন বিমা দাবি পরিশোধ না হলে বিমার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে না। সুশাসন কায়েম হলে আস্থা বাড়বে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
দুর্নীতি করবো না, করার সুযোগ দেব না: বিআইএ প্রেসিডেন্ট

বীমা খাতে কোনো ধরণের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। নিজে দুর্নীতি করবো না, অন্যকে দুর্নীতি করতে দেবো না বলে অঙ্গিকার জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমদ।
তিনি বলেন, বীমা আহরণের ক্ষেত্রে দেশের বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটা অসম প্রতিযোগীতা চলছে। এটাকে আমরা বন্ধের জন্য নীতি-নির্ধারকদের সাথে কথা বলবো। এই অসম প্রতিযোগীতা দেশের বীমা খাতকে আরো সমস্যায় ফেলবে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর পল্টনস্থ ক্যাপিটালে মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টক-এ তিনি এ অঙ্গিকার করেন। সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানি ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
সাঈদ আহমদ বলেন, দেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের বীমা খাত বৃদ্ধি পাচ্ছে না। দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় ৮০টি বীমা কোম্পানির সংখ্যা আমার মতে কম। অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরো সমন্বয় করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বীমা খাতের এক অসাধারণ পরিবর্তনের স্বাক্ষী আমরা। ১৯৭২ সালে জাতীয়করণ, ১৯৭৩ সালে বীমা করপোরেশন আইন অনুযায়ী পূনগঠন, ১৯৮৪ সালে বেসরকারী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোকে অন্তর্ভূক্তিকরণ। প্রতিটি ধাপ এই খাতকে বর্তমান অবস্থানে পৌছে দিয়েছে। আমাদের দেশে ৮০টি বীমা কোম্পানি রয়েছে। ৩৫টি জীবন বীমা এবং ৪৫টি সাধারণ বীমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা সম্মিলিতভাবে প্রায় ১.৮৯ কোটি ব্যক্তিকে বীমার আওতায় এসেছে। কিন্তু এতো অগ্রগতির পরেও বাংলাদেশে ইন্সুরেন্স’র অবদান জিডিপির ০.৫ শতাংশ। তিনি বলেন, যা আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় অনেক কম। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১.২ শতাংশ, পাকিস্তানে ০.৮ শতাংশ।
বিআইএ সভাপতি বলেন, আমাদের বীমা খাতে বর্তমানে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে। যেমন কভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ, ডলারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাষ্ফীতি বিশ্বব্যাপী, দেশের অর্থনীতির অস্থিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার নেতিবাচক রিজার্ভ ইত্যাদির কারণে বীমা খাতের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি।
বীমা খাতের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার মধ্য থেকেও বাংলাদেশের বীমা কোম্পানীগুলো জীবন বীমা খাতে প্রাইভেট বীমা কোম্পানীগুলির উপার্জিত প্রিমিয়াম আয়ের পরিমান ছিল ২০২৩ সালে ১১ হাজার ৪৮৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বেসরকারী জীবন বীমা খাতের লাইফ ফান্ড ২০২৩ সালে ৩২ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। বেসরকারী জীবন বীমা খাতে ২০২৩ সালের বিনিয়োগ ৩৬৮৫৩৬ মিলিয়ন টাকা। বেসরকারী খাতে জীবন বীমা কোম্পানীর মোট সম্পদ ২০২৩ সালে ৪৪ হাজার ২২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। নন-লাইফ বীমা খাতে মোট প্রিমিয়াম আয়ের পরিমান ২০২৩ সালে ছিল চার হাজার ২৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। নন-লাইফ বীমা কোম্পানীর ২০২৩ সালে সম্পদ এর পরিমান ১১ হাজার ৬৪৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। নন-লাইফ বীমা খাতে ২০২৩ সালের বিনিয়োগ ৫ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা।
এই খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা তুলে ধরে সাঈদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিল্পায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং গড় আয়ু বৃদ্ধির পরেও আমাদের ইন্স্যুরেন্স শিল্প এখনও তার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারেনি। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে। এর মধ্যে বীমা সচেতনতা ও সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা এখনও বীমার গুরুত্ব ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় এর ভূমিকা পুরোপুরি বোঝে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক নীতিমালার সংস্কার চলমান থাকলেও, কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে আরও সমন্বয় প্রয়োজন। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে, গ্রাহকদের আরও সহজে বীমার আওতায় আনা প্রয়োজন। বিশ্বাসের অভাব ও দ্রুততম সময়ে দাবি নিষ্পত্তি, স্বচ্ছতা এবং উন্নত সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
বর্তমান বীমা খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় তুলে ধরে তিনি বলেন, বীমার প্রতি জনগনের আস্থা বৃদ্ধি, সময়মত সকল প্রকার দাবী পরিশোধ, এনজিও কর্তৃক বীমা করার অধিকার রহিত করণ, ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের জীবনবীমা পলিসি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব, বীমা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান প্রণয়ন, ভ্যাট/ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যাবলীর সমাধান, মটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামুলককরণ, বেসরকারী খাতে পুনঃবীমা কোম্পানী গঠন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে ভ্যাট, দ্বৈতকর ও করহার হ্রাসকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী স্থাবর ও অস্থাবর সম্পতির বীমা করা বাধ্যতামূলক করণ। তবে, প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মধ্যেই সম্ভাবনা থাকে। নতুন উদ্ভাবন, নীতিমালা সংস্কার এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্স শিল্পের প্রকৃত সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে পারবো।
প্রশ্নের জবাবে সাঈদ আহমদ বলেন, বীমা কোম্পানি সেবামূলক কাজ করছে। সেখানে তারা সেবার নামে কেন টাকা নেবে, এটা হতে দিতে পারি না। সেবার নামে বাণিজ্য করবেন তা হতে দেবো না।
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের টাকা তছরুপ করবে ছিনিমিনি খেলবে বিআইএ তা হতে দেবে না। আমরা তা মানবো না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করবো। কয়েকটি সংস্থার জন্য পুরো খাত প্রশ্নের মুখে পড়বে এটা হতে দেব না।
তিনি আরও বলেন, এই খাতের উন্নয়নে সরকারের ভুমিকা বেশি। কারণ এই খাতের উন্নয়নে পলিসি করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার যদি বাধ্যতামূলক করে দেয় তাহলে খাতটির বিকাশ ঘটবে এবং জিডিপিতে অবদান বাড়বে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
বিআইএফের নির্বাহী কমিটির সভা

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) কাওরান বাজারস্থ ন্যাশনাল লাইফ টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) সভাপতি এবং পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বি এম ইউসুফ আলী।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও আবুল কালাম আজাদ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির সিইও মো. কাজিম উদ্দিন, সেক্রেটারী জেনারেল ও সেনা ইন্স্যুরেন্স পিএলসির সিইও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মো: শফিক শামীম, জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল এবং জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও এস এম নুরুজ্জামান, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও মো. নুরে আলম সিদ্দিকী, ফাইন্যান্স সেক্রেটারী ও বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও মুন্সী মো. মনিরুল আলম, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী ও রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও ড. একেএম সারোয়ার জাহান জামীল, নির্বাহী সদস্য ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্স পিএলসির সিইও মো. ইমাম শাহীন, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও কাজী মোকাররম দস্তগীর, ইষ্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও হাসান তারেক, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স পিএলসির সিইও বায়েজিদ মুজতবা সিদ্দকী, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও মুহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী এবং নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স পিএলসির সিইও চৌধুরী গোলাম ফারুক প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
আইডিআরএ’র অনুমোদন ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না সিইও পদবী

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) অনুমোদন ছাড়া কেউ বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে সিইও পদবী ব্যবহারে নির্দেশনা দিয়েছে আইডিআরএ।
বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) আইডিআরএ’র আইন বিভাগ থেকে সংস্থাটির পরিচালক মোহা. আব্দুল মজিদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি সকল লাইফ ও নন-লাইফ বীমাকারী চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদবী ব্যবহারে আইডিআরএ’র নির্দেশনাগুলো-
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত না হলে কেউ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না; মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে কাউকে নিয়োগ করা যাবে না এবং ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব)’ পদবী কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না; মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োগ প্রস্তাব বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসরণপূর্বক একজন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রদান করা যাবে এবং এইরূপ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)’ পদবী ব্যবহার করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এর নিম্নপদে কোন কর্মকর্তা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে প্রেরিত পত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে সকল বীমাকারী ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাগণ এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন বলে নির্দেশনায় জানানো হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
বিআইএ’র নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে পপুলার লাইফের সিইওর অভিনন্দন

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) ২০২৫-২০২৬ সালের নির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ। নির্বাচিত হওয়ায় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য বিএম ইউসুফ আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সিইও এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম নুরুজ্জামান।
এর আগে, গত রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের কনফারেন্স রুমে বিআইএ’র নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মীর নাসির হোসেনের সভাপতিত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ বর্তমানে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি হিসেবে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চেক টেকনোলজি লিমিটেড ও পিউরিটি ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ভ্যানটেজ সিকিউরিটিজ লিমিটেড, সিটি হোমস্ লিমিটেড ও আল-তাইয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি আহমেদ শিপিং লাইন্স, আহমেদ ইনল্যান্ড শিপিং এজেন্সী, এ.কে. ইন্টারন্যাশনাল এবং আহমেদ এয়ারওয়েজ সার্ভিসেস এর স্বত্বাধিকারী। এছাড়া তিনি দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (পদ্মা ব্যাংক লি.) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটি ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রাক্তণ চেয়ারম্যান এবং একজন উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার। তিনি বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট।
সাঈদ আহমেদ লায়ন্স ক্লাব অফ ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ বি-২, বাংলাদেশ এর রিজিওন চেয়ারপারসন। তিনি ঢাকা ক্লাব লিমিটেড, গুলশান সোসাইটি, উত্তরা ক্লাব লিমিটেড, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড, বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম বোট ক্লাব লিমিটেড এবং অল কমিউনিটি ক্লাব লিমিটেডের স্থায়ী সদস্য এবং বাংলাদেশ খো-খো ফেডারেশন এবং রাজধানী শ্যুটিং ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সাঈদ আহমেদ শরীয়তপুর জেলা সমিতির পৃষ্ঠপোষক সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। তিনি ইতিপূর্বে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে (২০১০-২০১২) মেয়াদে ভাইস-চেয়ারম্যান এবং (২০১৯-২০২৪) মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনেও সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।
এসএম