অর্থনীতি
পাচারের টাকা ফেরত দিতে অনেকেই অফার করেছে: আনিসুজ্জামান

পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, অনেকেই পাচার হওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অফার করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
পাচার হওয়ার টাকা ফেরত আনা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নে আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব। আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা। যেসব স্থানে টাকা গিয়েছে এতে সেসব দেশ উপকারভোগী। আন্তর্জাতিক আইন আছে যেহেতু তারা উপকারভোগী তাই সহজে তারা এটা ছাড়বে না। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টাকে উনারাই অফার করছেন। এ বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য। আমরা অতিদ্রুত কাজ করছি। আশা করছি আমরা সফল হবো।
কারা অফার করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলা সম্ভব না। এগুলো বললে কাজে সমস্যা হবে। কিছুতো গোপনীয়তা মানতে হবে। যারা টাকা নিয়ে গেছে তারাতো বসে নেই। এ জন্যই একটা গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। এরমধ্যে যতটুকু বলা সম্ভব সেটুকুই বলছি। এর বেশি বললে আমাদের কাজটা বন্ধ হয়ে যাবে।
এখানে আইনের ইস্যু আছে, প্রপার আইন করতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে মিল রেখে। আপনি ধরলেই তো টাকা ফেরত আনতে পারবেন না। এখানে কতগুলো মাধ্যম আছে। এসব বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাচ্ছি বিশ্বব্যাংকসহ অনেকেই কাজ করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে অর্থ উপদেষ্টার শোক

শিল্পোদ্যোক্তা, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও এপেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১২ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও এপেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ৮৩ বছর বয়সে আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩১ মিনিটে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শোকবার্তায় অর্থ উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আলুর বাম্পার ফলন, তবু কৃষকের মাথায় হাত

এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে দাম কমে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক। এক একর জমিতে আলু চাষে কৃষকের খরচ হয় প্রায় দুই লাখ টাকা। আলুর বাজারদর অনুসারে কৃষক এখন দেড় লাখ টাকাও উঠাতে পারছেন না। ফলে বর্তমান সময়ে প্রতি একর জমিতে কৃষকের ক্ষতির মুখে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৭-৮ টাকা।
কৃষকরা বলছেন, চলতি মৌসুমে আলুর উৎপাদনে আলুবীজের তীব্র সংকট ছিল। সেই সংকটের কারণে বেশি দামে বীজ কিনতে হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
এ ছাড়া হিমাগারের খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু আলুর দাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার রায়গঞ্জের কৃষক আব্দুল করিম বলেন, এবার সাড়ে ছয় একর জমিতে আলু আবাদ করেছি। ফলনও হয়েছে ভালো। তবে তার কপালে চিন্তার ভাঁজ। লাভ তো দূরের কথা, কীভাবে লোকসান কমানো যায় তা নিয়ে ভাবছি। প্রতি কেজিতে লোকসান সাত-আট টাকা।
এবারে বীজের খরচ বেশি হয়েছে জানিয়ে একই অঞ্চলের কৃষক সুকারু চন্দ্র দাস বলেন, ‘প্রতি কেজি আলুর বীজ কিনছি ১১০-১১৫ টাকায়। গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। এক একর জমি ৪০ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে আলু আবাদ করছি। বেশি দাম দিয়ে সার কেনা লাগছে। কেজির হিসাবে আলু রাখতে বস্তাপ্রতি আমাদের খরচ বেড়েছে ১০০ টাকা করে। কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখার জায়গা নেই। সব দিক দিয়েই কৃষকের বিপদ। সরকার কোল্ড স্টোরের দর ঠিক করি দেয়। আলুর দরও ঠিক করি দেউক। আমরা আলুর ন্যায্যমূল্য চাই।’
ঠাকুরগাঁওয়ের আলু চাষি আহসানুর রহমান হাবিব বলেন, ‘ফলন ভালো হওয়ায় আমাদের খুশি হওয়ার কথা ছিল, অথচ তার বদলে এখন আহাজারি করতে হচ্ছে। আলু চাষ করে এমন লসের মুখে পড়ছি।’ তিনি বলেন, ‘বীজ, সার, লেবার কস্টিং মিলায়ে বিঘাপ্রতি আমার খরচ পড়েছে লাখের ওপরে। আর এখন আলু বিক্রি করে পাচ্ছি গড়ে ৬৫ হাজার। বিঘায় ৩৫ হাজার টাকা লস।’
বাম্পার ফলন হওয়ার পরও হাবিবের মতো হাজারো মানুষ এ বছর আলু চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন। অথচ মাত্র কয়েক মাস আগেই দেশের বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হতে দেখা গেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে রীতিমতো হিমসিম খাওয়ার একপর্যায়ে ভারত থেকে আলু আমদানির সিদ্ধান্তও নিতে হয়েছে সরকারকে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতিবছর পর্যাপ্ত উৎপাদন হওয়ার পরও সংরক্ষণের অভাবে দেশের আলুর বাজারে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।
গত মৌসুমে প্রতি কেজি আলুর দাম উঠেছিল ৬০-৮০ টাকার মধ্যে। এতে লাভবান হওয়ায় এবার বেশি জমিতে আবাদ করেছেন তারা। এবার মৌসুমের শুরুতেই প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৭০-৮০ টাকায়। সেই আলু এখন মাঠে বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৪ টাকায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, চাষিরা যদি ন্যায্যমূল্য না পান, তাহলে লোকসান গুনতে হবে। সে ক্ষেত্রে আলু চাষে আগ্রহ হারাবেন তারা।
২০২২-২৩ অর্থবছরে আলুর উৎপাদন ছিল এক কোটি চার লাখ ৩২ হাজার টন, যা গত অর্থবছরে ছিল এক কোটি ছয় লাখ এক হাজার ১৮২ টন। ফলে এক বছরের ব্যবধানে আলুর উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ১.৬২ শতাংশ। চলতি বছরে আলুর ফলন এখনো পর্যন্ত বেশ ভালো। তবে গত বছরের তুলনায় দাম কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। এখন রপ্তানি বাজারে সম্ভাবনা থাকলেও রোগবালাইয়ের কারণে সেখানেও উপেক্ষিত বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। আলুতে ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আলু ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ২০২২ সালের মার্চে রাশিয়া এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
এদিকে কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাবর কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ম্যানেজার শামীম আল মাসুদ বলেন, ‘আমাদের কোল্ড স্টোরেজের ধারণক্ষমতা ১১ হাজার টন, যা পুরোপুরি বুকড। গত বছর এই সময়ে আমাদের কাছে আলু এসেছিল ৩০ হাজার টন। এ বছর এসেছে ৮০ হাজার টন। গতবারের তুলনায় এ বছর আলুর চাপ অনেক বেশি।
হিমাগার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও সম্প্রতি একই দাবি করা হয়।
সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটির সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, হিমাগারের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের খরচ দিতেই তো সাত টাকা চলে যায়।
এ পরিস্থিতিতে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান হিমাগার মালিকরা।
বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মো. আবু আব্দুল্লাহ বলেন, প্রতিবছর আমরা লস দিবো, সেটা তো হয় না। যাদের কথা ভেবে আমরা এতদিন লস দিয়েছি, তারাই তো কয়েক মাস আগে ৮০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করে মোটা টাকা আয় করেছে। তাহলে কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া দিতে অসুবিধিা কোথায়?
তবে কৃষকদের দাবির মুখে সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি হিমাগারের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ঘোষিত মূল্য অনুযায়ী, এখন থেকে হিমাগারে আলু রাখতে প্রতি কেজিতে চাষিদের ছয় টাকা ৭৫ পয়সা করে গুনতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম বলেন, এবার আলুর ভালো ফলন হয়েছে। এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আলুর উৎপাদন বেশি হবে। উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে। তবে দাম কম থাকায় কৃষকের মধ্যে উদ্বেগ আছে। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মোংলা বন্দর উন্নয়নে ব্যয় হবে ৪০৬৮ কোটি টাকা

মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জি টু জি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কার্য এবং পণ্য ক্রয় কার্যক্রমের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)।
প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৬৮ কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় জি টু জি ভিত্তিতে ‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি মোট ৪ হাজার ৬৮ কেটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
এতে চীন সরকার কর্তৃক প্রকল্প ঋণ ৩ হাজার ৫৯২ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৪৭৫ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চীনের তিনটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি দেয়। তার মধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অন্য তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশনকে (সিসিইসিসি) যথোপযুক্ত বিবেচনা করা হয়। এছাড়া মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ২৮২তম বোর্ড সভায় যাচাই-বাছাই করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নিরূপণ করে ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়।
প্রকল্পের ডিপিপিতে বর্ণিত প্রধান ক্রয় কার্যসমূহ হলো, মোংলা বন্দরে ৪ লাখ টিইউজ করেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রকল্পটির অধীনে দুটি কন্টেইনার জেটি (৩৬৮ মিটার), ৮৭ হাজার ৬০০ বর্গ মিটার লোডের কন্টেইনার ইয়ার্ড, ৩৪ হাজার ১৭০ বর্গ মিটার খালি কন্টেইনার ইয়ার্ড, ৪ হাজার ২৬০ বর্গ মিটার হ্যাজার্ডার্স কার্গো হ্যান্ডলিং ইয়ার্ড নির্মাণ, ৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭টি আরটিজি ও ৩৩টি অন্যান্য যন্ত্রপাতি, সার্ভে ও ডিজাইন, ভূমি উন্নয়ন, আরসিসি পেভমেন্ট, মেরিন স্ট্রাকচার, আনুষাঙ্গিক সুবিধাদিসহ পরিচালন ভবন, তেল সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থা, ইলেক্ট্রিকাল কাজ, আইসিটি সম্বলিত যোগাযোগের কাজ, পানি সরবরাহ, নিষ্কাশন ও অগ্নিনির্বাপণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং অটোমেশন ইত্যাদি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেক্সিমকোর আরও ১১ হাজার ২৯৩ শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তার শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আরও ১১ হাজার ২৯৩ জন শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৭ হাজার ৬৮০ জন শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হলো। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তার শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে। আজ প্রতিষ্ঠানটি ১১ হাজার ২৯৩ জন শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ সম্পন্ন করেছে। এ পর্যন্ত মোট ২৭ হাজার ৬৮০ জন শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অ্যাম্বুলেন্স-বাসে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব বারভিডার

অ্যাম্বুলেন্স ও বাসে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা)। একই সঙ্গে মাইক্রো বাসে সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
বারভিডার সভাপতি আবদুল হক এনবিআর চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সম্পূরক শুল্কের কারণে যেই মাইক্রোবাসটি ছিল ২০ লাখ টাকা সেটা প্রায় ৪০ লাখ টাকা হয়ে গেছে। এটা কমালে অনেকেই গাড়িটি কিনতে পারবে। এমপিরা বিনা শুল্কে গাড়ি আনছে। কিন্তু আপনি কিনতে গেলে ৮০০ শতাংশ শুল্ক। এটা অনেকটা রাগ করে করা হয়েছে। এটা বাস্তবসম্মত নয়।
তিনি বলেন, এটা সহনীয় করলে অনেকে রাজস্ব বাড়বে। অনেক টাকা আসবে। মানুষ গাড়ি কিনতে চায় কিন্তু তারা কিনতে পারছে না।
এবিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এ বিষয়ে আমরা চিন্তা করছি। দেখি আমরা কী করতে পারি। জাপানি গাড়ি ভালো, এদের রিসেল ভ্যালু আছে। জাপানি গাড়ি প্রমোট করার জন্য যা যা দরকার আমরা সবই করব।
একটা গ্রুপ ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রির নামে রাজস্ব সুবিধা নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠার যেন স্ক্রু ড্রাইভার শিল্প মানের নামসর্বস্ব শিল্প এলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। একই সঙ্গে বাজেট প্রস্তাবে ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক হ্রাসের অনুরোধ জানিয়েছে বারভিডা।
এ ছাড়া ১০-১৫ আসনবিশিষ্ট হাইয়েস প্রকৃতির মাইক্রোবাসের ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, অবচয় হার পুনর্নির্ধারণ, হাইব্রিড গাড়ির সিসি স্লাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাস, ফসিল ফুয়েলচালিত গাড়ির সিসি স্লাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাসসহ বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বারভিডা।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) নিবন্ধন খরচ হিসেবে গেইন ট্যাক্স ৪ শতাংশ, স্ট্যাম্প শুল্ক ১ শতাংশ, নিবন্ধন ফি ১ শতাংশ, স্থানীয় সরকার ফি ১ শতাংশ ও সব ধরনের ভ্যাট ২ শতাংশ নির্ধারণসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে। তবে, বহাল থাকা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বিষয়ে তারা কোনো প্রস্তাব দেয়নি।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সভাপতি ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম বলেন, দেশীয় টাইলস পণ্যের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ও স্যানিটারির ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
অন্যদিকে শিপিং এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২৪ চূড়ান্ত করাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির পরিচালক এ.এইচ.এম. কামাল বলেন, বিগত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নতুন শিপিং এজেন্ট লাইসেন্স ইস্যু করা হচ্ছে না। এনবিআর প্রস্তাবিত শিপিং এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২৪” এখনও অনুমোদিত না হওয়ায় এ অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এর ফলে শিপিং বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ও কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শিপিং এজেন্ট হিসেবে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যবসায় প্রতিযোগিতা ও উদ্ভাবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চাহিদা পূরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি এনবিআরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিধিমালাটি চূড়ান্ত ও অনুমোদনের অনুরোধ জানান। এ ছাড়া, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারস অ্যাসোসিয়েশন এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।