জাতীয়
দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে: মাহফুজ

দেশে বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, সেই যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ‘গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি একটি ছদ্ম-যুদ্ধ চালাচ্ছে’ শিরোনামে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
মাহফুজ আলম লিখেছেন, গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি পর্যালোচনা সভায় নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও সহিংসতা নিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমরা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার চলমান এবং বিচারের কাজ দ্রুত ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ও সরকার তৎপর।
‘ছাত্র-যুবকদের জন্য লক্ষাধিক চাকরির ব্যবস্থা ও তরুণদের জন্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণের বিষয় ও গতকালের আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে দৃশ্যমান পদেক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকার জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাবে এবং সে লক্ষ্যে সমন্বিত তৎপরতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।’
তথ্য উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচার, প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করা, জুলাই শহীদ ও আহতদের জন্য ইতিবাচক উদ্যোগগ্রহণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার সক্রিয় ও সফল। কিন্তু, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, ব্যবসায়ী শ্রেণি ও মিডিয়ার মধ্যকার গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর বিরোধ, স্বার্থান্বেষা ও মতান্ধতা, অন্যদিকে গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তির ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্রমশ উত্থান সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে।
‘সরকার যুদ্ধ লড়ছে গণ-অভ্যুত্থানে পরাজিত একটি শক্তিশালী দেশি-বিদেশি জোটের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল জনগণের মধ্যকার অভ্যুত্থানের ঐক্যকে নস্যাত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সফলও হচ্ছে। সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল ও অভ্যুত্থানের বিভিন্ন শক্তিকে মুখোমুখী না করাই আমাদের জন্য আখেরে ভালো হবে।’
মাহফুজ আলম বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং সে যুদ্ধ অন্য জায়গা থেকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটা কন্ট্রোল রুম থেকে সে যুদ্ধের প্রতি সপ্তাহ ও দিনের কর্মসূচি চালু করা হয় ও মনিটর করা হয়। আমাদের সে যুদ্ধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে।
‘রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যা ও লুটপাটের বিচার, প্রতিষ্ঠানসমূহের পুনরুজ্জীবন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরসহ নানা বিষয় আমাদের লক্ষ্য থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এ সরকারের আমলে এ দেশকে গড়ে তোলার সুযোগ ও সক্ষমতা তৈরি হয়েছে বলেই ভিনদেশ থেকে দ্রুততার সাথে সরকার পরিবর্তনের প্রেসক্রিপশন আসছে। কিন্তু, নির্বাচন যথাসময়েই হবে এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতে এ দেশে নির্বাচনের আগেই রাষ্ট্র সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি ঘটবে এবং খুনী, ধর্ষক ও লুটেরাদের বিচার হবে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৪ কর্মকর্তাকে বদলি

বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৪ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলির আদেশ জারি করা হয়।
বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, গাজীপুর জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদকে এপিবিএনে, পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মো. নাজমুল ইসলামকে এপিবিনে, এসবির পুলিশ সুপার এ এইচ এম ইয়াদুল ইসলামকে পুলিশ সদরদপ্তরে, খুলনা পিটিসির পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীনকে এসপিবিএনে, খুলনা কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের এপিবিনে বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদকে সিলেটের এসএমপি এবং সিলেট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট মাহামুদুল হাসানকে এসবিতে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়াও সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানকে এসবিতে, সিলেট এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার তাহিয়াত আহমেদ চৌধুরীকে সিলেট ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি মোল্লা আজাদ হোসেনকে ডিএমপিতে, পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগরকে ঢাকা আরআরআর, বান্দরবান ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট তানভীর আহমদকে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি, বরিশাল বিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিককে চট্টগ্রাম সিএমপিতে এবং সিআইডির মো. মামুন অর রশিদকে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক মন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে দুদকের মামলা

সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং সিলেট-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলাটি দায়ের করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম।
এজাহার অনুযায়ী, ইমরান আহমেদ বৈধ আয়ের উৎস ব্যতীত ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। এছাড়াও, তার এবং তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ৫টি ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সবার সহযোগিতায় স্বনির্ভর জাতি গড়ে তোলা সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সবার সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ধারা অব্যাহত থাকলে একটি সাহসী ও স্বনির্ভর জাতি আমরা গড়ে তুলতে পারব।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যার ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব নেই, তখন সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিলো এই বন্যা। তখন ঠিক বুঝতে পারছিলাম না যে, এটা স্বাভাবিক বন্যা না। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন জায়গার বন্যা। এটা কত গভীরভাবে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, সেটারও কোনও ধারণা ছিল না। প্রথমে আন্দাজ করা হচ্ছিল, তাড়াতাড়ি চলে যাবে। যতই দিন যাচ্ছিল, বন্যা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। প্রথমে সবাই জীবন রক্ষায় ত্রাণ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করলো। সারাদেশে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সাহায্যের জন্য। এটা যে কত বড় বন্যা ছিল, সেটা বুঝতে পেরেছি চলে যাওয়ার অনেক পরে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের অর্ধেকেরও কম খরচে ঘর নির্মাণ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এজন্য সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় গত বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০টি পরিবারের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর নির্মাণের ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেলেও সেনাবাহিনীর ২৪ ও ৩৩ ডিভিশনের কর্মকর্তারা মাত্র ২৪ কোটি ৯৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩০০টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা সত্যি আনন্দিত। আমি জানি, গত বন্যার পর থেকে আপনারা অবর্ণনীয় কষ্টে জীবনযাপন করেছেন। দেশের এই দুঃসময়ে আপনাদের পাশে থাকা আমাদের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব ছিল। সেজন্য গত বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সামলে উঠার সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের জন্য বসত বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। যারা আজকে বাড়ির চাবি পেয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনাদের দুর্দিনে পাশে থাকতে পেরে আমরাও স্বস্তি বোধ করছি যে, আমরা দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, এই বাড়ি আপনাদের একটা অবলম্বন, মাথা গোঁজার জায়গা। এখানে আপনারা পরিবার পরিজন সন্তানদের নিয়ে বসবাস করবেন। যেহেতু ঘরের ব্যবস্থা হয়েছে, এখন আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের দিকেও নজর দিতে হবে। তাদের লেখাপড়া করাবেন, যাতে তারা ভবিষ্যতে ভালো নাগরিক এবং উদ্যোক্তা হতে পারে। দেশের মানুষ আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে যে সাহস জুগিয়েছে, সেটি মনের মধ্যে ধারণ করবেন। দেশের মানুষ আপনাদের সঙ্গেই থাকবে। এই সহমর্মিতা দেশের সব মানুষ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লেই আমরা একটা সাহসী ও স্বনির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত ঘর বিতরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব ঘর বিতরণ করা হয়।
এ সময় চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলা থেকে উপকারভোগীদের ভার্চুয়ালি চাবি হস্তান্তর করা হয়।
প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে উপকারভোগী তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বুয়েটের ডিজাইনে আসছে আধুনিক ই-রিকশা: প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা

ঢাকার অগোছালো রিকশা ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে অভিনব এক উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের একদল উদ্যমী শিক্ষার্থীর নকশা করা আধুনিক ব্যাটারিচালিত রিকশা শিগগিরই পাবে সরকারি অনুমোদন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীণালয় ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছে।
কী আছে নতুন এই রিকশায়?
বুয়েটের গবেষক দলটি বর্তমানে রাস্তায় চলাচলকারী ই-রিকশাগুলোর নিরাপত্তা ও গঠনগত ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে একটি আদর্শ মডেল তৈরি করেছেন। নতুন এই রিকশায় যুক্ত হয়েছে ১৬টি উন্নত বৈশিষ্ট্য, যা এটিকে প্রচলিত মডেলগুলোর চেয়ে বেশি নিরাপদ ও দক্ষ করে তুলবে।
চালকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ
ই-রিকশা চালকদের দক্ষ ও নিয়মমাফিক চলাচল নিশ্চিত করতে প্রস্তুত হচ্ছে ৩০০ জন ‘মাস্টার ট্রেইনার’। এই তালিকায় অগ্রাধিকার পাবেন বুয়েটের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা, যারা ইতিমধ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এতে সহায়তা করবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও ট্রাফিক পুলিশ।
নতুন আইনি কাঠামো
বর্তমানে সিটি করপোরেশন আইন-২০০৯ শুধু প্যাডেল রিকশাকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য কোনো স্পষ্ট নিয়ম নেই। তাই এই খাতে শৃঙ্খলা আনতে সংশোধন করা হচ্ছে আইন। নতুন প্রবিধানে থাকবে:
-
রিকশার নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রক্রিয়া
-
চালকদের বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ
-
গতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা মানদণ্ড
-
জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
ঋণ সুবিধা ও সময়সীমা
বর্তমানে রাস্তায় চলাচলকারী অনিয়ন্ত্রিত ই-রিকশাগুলোকে পর্যায়ক্রমে প্রতিস্থাপন করা হবে। চালকদের নতুন মডেলের রিকশা কেনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এমআরএ’র সহায়তায় স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে। পুরোনো রিকশাগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য দেওয়া হবে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড।
তথ্য ভান্ডার তৈরি
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, এটুআই, বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিআরটিএ’র সমন্বয়ে তৈরি হবে একটি ডিজিটাল ডাটাবেইস। এতে রিকশাচালকদের নাম, পরিচয়পত্র, যোগাযোগ নম্বর ও রিকশার বিবরণ সংরক্ষণ করা হবে।
কেন এই উদ্যোগ?
বর্তমানে ঢাকার রাস্তায় ১৫-২০ লাখ অনিয়ন্ত্রিত ই-রিকশা চলাচল করছে, যার বেশিরভাগই নিরাপত্তাহীন ও দুর্ঘটনাপ্রবণ। গত কয়েক বছরে এ নিয়ে বহুবার বিতর্ক ও বিক্ষোভ হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি। তাই এবার সরকার চাইছে অনিয়ন্ত্রিত গতিকে বন্ধ না করে বরং এটিকে একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
‘সিটি করপোরেশন তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা (ই-রিকশা) চলাচল প্রবিধান ২০২৫’ এর খসড়া ইতিমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে। শিগগিরই এটি উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের ভাষ্যে, “আমাদের লক্ষ্য ই-রিকশাকে একটি নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থায় রূপান্তর করা। বুয়েটের নকশা করা এই মডেল সেই লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এই উদ্যোগ সফল হলে ঢাকার রাস্তায় যানজট ও দুর্ঘটনা কমার পাশাপাশি রিকশাচালকদের জীবনমানেও আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন।