ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির নতুন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. ওয়ালিউর, গ্রন্থাগারিক মজিদ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রশাসনিক দুই পদে নতুন নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে ড. ওয়ালিউর রহমান এবং গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পেয়েছেন খন্দকার আব্দুল মজিদ।
শনিবার (৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক অফিস আদেশে এ নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জনানো হয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত অফিস আদেশ সূত্রে, মো. আবুল কালাম আজাদ কে তাঁর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) পদ থেকে ৫ মার্চ ২০২৫ তারিখ অপরাহ্ণ হতে অব্যাহতি দেয়া হলো। তিনি তাঁর মূল পদ উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে যোগদান করবেন। অন্যদিকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রার অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার ড. মো. ওয়ালিউর রহমান কে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।
এদিকে গ্রন্থাগারিক সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়, মোছা: শাহনাজ বেগম কে তাঁর গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) পদ থেকে ৫ মার্চ ২০২৫ তারিখ অপরাহ্ণ হতে অব্যাহতি দেয়া হলো। তিনি তাঁর মূল পদ উপ- গ্রন্থাগারিক পদে যোগদান করবেন। অন্যদিকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রার অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার খন্দকার আব্দুল মজিদ কে গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।
তারা উভয় বিধি মোতাবেক এই পদের সকল সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ উপাচার্যের কার্যালয়ে ত্রিমুখী হট্টগোলের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। পরিবহন প্রশাসকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক। পাশাপাশি প্রশাসনিক এ গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে নতুন মুখ যুক্ত হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বার কাউন্সিল পরীক্ষার ফি কমানোর দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অতিরিক্ত ও বৈষম্যমূলক ফি নির্ধারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা পরীক্ষা ফি ৪ হাজার ২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন।
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘আইনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী’ ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশ নিতে বিভিন্ন পর্যায়ে উচ্চ পরিমাণ ফি দিতে হয়, যা তাদের এবং তাদের পরিবারের জন্য আর্থিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে। এছাড়া যাতায়াত, আবাসন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ব্যয় আরও বেড়ে যায়। তারা দাবি করেন, পূর্বেও এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রথমেই রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১ হাজার ৮০ টাকা এবং পরবর্তীতে পরীক্ষার ফি হিসেবে ৪ হাজার ২০ টাকা প্রদান করতে হয়। যা অধিকাংশ চাকরির পরীক্ষার ফি থেকে অনেক বেশি। দেশে অন্যান্য সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি সাধারণত ২০০ টাকার মধ্যে রাখা হলেও, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় এত বেশি ফি নির্ধারণ করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক। তাই আমরা দাবি জানাই, বার কাউন্সিল পরীক্ষার ফি যৌক্তিক সীমায় নির্ধারণ করা হোক। অন্যথায়, আমাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরও কঠোর কর্মসূচি নিতে আমরা বাধ্য হবো।
মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বার কাউন্সিল পরীক্ষার ফি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

মাগুরার শিশু আছিয়াসহ সকল ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, নতুন আইন প্রণয়ন এবং দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট প্রদান ও শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (৯ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় আধাঘণ্টা বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই; তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া; দড়ি লাগলে দড়ি নে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সাদীয়া মাহমুদ মীম বলেন, যখন রুম থেকে বের হচ্ছিলাম তখন কাউন্টিং করছিলাম যে এরপরে কি আমি ধর্ষিতা হতে চলেছি? এমন চিন্তা সবসময় তাড়া করে বেড়ায় আমাদের। আমরা চাই ধর্ষকের শাস্তি জনসমক্ষে করতে হবে। সকল ধর্ষককে শাস্তির ভয়াবহতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে। একজন শিশুর উপর যখন পাশবিক নির্যাতন হয় তখন আপনাদের মনুষ্যত্ব কোথায় থাকে? বাসায় কি আপনাদের মা বোন নাই?
শাখা সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, বাংলাদেশে যে হারে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে স্বাভাবিক মৃত্যুদণ্ড দিলে এদেশে ধর্ষণ কমবে না। আপনারা ধর্ষক যেখানে পাবেন সেখানে মব সৃষ্টি করুন।ধর্ষককে জায়গায় মেরে ফেলুন। তাহলেই বাংলাদেশ থেকে ধর্ষণকে রোধ করা সম্ভব হবে। যদি চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে মাগুরার আছিয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিচার না করা হয় আমরা এই রাস্তা আবারও বন্ধ করে দিবো।
ইবি সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত না হলে কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে আগামী দিনের আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই। যদি অন্যান্য অপরাধের শাস্তি কমানো বা মওকুফ করা গেলেও ধর্ষকের শাস্তি কমানোর কোনো সুযোগ নাই। নারী আমাদের মায়ের জাত। যে সকল মানুষ নারীদের দিকে ধর্ষকের চোখে তাকাবে ছাত্র সমাজের উচিত তাদের চোখ তুলে নেয়া। জুলাই বিল্পবের পর আমরা এখনো স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি কারণ সারাদেশে ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপতৎপরতা চলছে। সারাদেশে যেভাবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে তাতে অন্তবর্তীকালীন সরকার ধর্ষণের শাস্তি নিশ্চিত করতে বাধ্য হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাইকে ধারণ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক রূপান্তর ঘটবে: ইবি সমন্বয়ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্ত হবে না এবং এটা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনও হবে না বলে জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমন্বয়ক এস এম সুইট। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত ১০ টায় ফেসবুক স্টাটাসে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে রাত ৮টার দিকে প্ল্যাটফর্মটির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এক ফেসবুক স্টাটাসে বিলুপ্ত হয়নি বলে ঘোষণা দিয়েছেন। অপরদিকে, শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠনটি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার হয়ে নিজের অস্তিত্বের জানান দিবে বলে মন্তব্য করেন।
কেন্দ্রীয় মুখপাত্র উমামা ফাতেমা লিখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটি বিলুপ্ত করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশীদার ছাত্রদের সবাই নতুন রাজনৈতিক দল বা নতুন ছাত্র সংগঠনে যুক্ত হয়নি। অংশীদারদের আলোচনা ছাড়া প্ল্যাটফর্ম বিলুপ্ত হবে না। তাই বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ রইল।’
এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট লিখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্ত হবে না এবং এটা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনও হবে না। জুলাইকে ধারণ করে সামাজিক, সাংস্কৃতিক রূপান্তর ঘটবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মূসা হাশমী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন; যারা জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছিলো। এই সংগঠন বিলুপ্ত অথবা স্থগিত করার ব্যাপারে কোন অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ঠিক ততদিন এই সংগঠনটি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার হয়ে নিজের অস্তিত্বের জানান দিবে।
অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিংবা প্ল্যাটফর্মটির সমন্বয়ক পরিচয় কি এখন দেয়া যাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আর আগের জায়গায় নেই। সেখান থেকে একটি ছাত্র সংগঠন তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়ক পরিচয়টা এখন আর এক্সিস্ট (অস্তিত্ব) করে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, এই পরিচয়ে ব্যবহার করে কেউ যদি অপকর্ম করে তাহলে তারা যেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
যুদ্ধাপরাধীর নামে হল নামকরণে ইবি জাস্টিস ফর জুলাইয়ের নিন্দা

সম্প্রতি ২৬৭ তম সিন্ডিকেট সভায় বাংলাদেশের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধী ‘শাহ আজিজুর রহমান’র নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলের নামকরণে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাস্টিস ফর জুলাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে সংগঠনটির মুখ্য সচিব তাজমিন রহমান প্রেরিত সংবাদ বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজুর রহমান এর নামে নামকরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, শাহ আজিজুর রহমান ছিলেন একাত্তরে পাকিস্তান ন্যাশনাল লীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আবদুল মোতালেব মালিকের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্য হন এবং রাজস্বমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।যুদ্ধের সময় পাকিস্তান কর্তৃক জাতিসংঘে প্রেরিত প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি জাতিসংঘে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করলেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। শাহ আজিজুর রহমান জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করার আহ্বান জানান। এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তির নামে আবাসিক হলের নামকরণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ জাস্টিস ফর জুলাই, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। তারা অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে জাস্টিস ফর জুলাই, ইবি শাখার আহ্বায়ক নাহিদ হাসান জোয়ার্দার এবং সদস্য সচিব রেজোয়ান হোসেন বলেন, একজন স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীর নামে আবাসিক হলের নামকরণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। এই সিদ্ধান্ত আমাদের হতবাক করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
তারা আরও বলেন, এই বিতর্কিত নামকরণ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং অনতিবিলম্বে স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তির নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। আমাদের প্রস্তাব, জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই হলের নাম বিজয়’২৪ রাখা যেতে পারে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি উপাচার্য কার্যালয়ে তুমুল হট্টগোল, নেপথ্যের কারণ প্রশাসনিক পদে নিয়োগ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন পদ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের অপসারণের দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে রেজিস্ট্রার পদের নাম নিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও দাফতরিক পদ থেকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের অপসারণের দাবিতে দুপুর সাড়ে সাড়ে ১২টায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হট্টগোল শুরু করেন। পরবর্তীতে ১টার দিকে জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জান খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুনের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এসময়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সদস্য নুর উদ্দিন, রাফিজ আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম, আলিনুর রহমান, সাবিদ, উল্লাস মাহমুদ ও অন্যান্য কর্মীরা ভেতরে থাকা সাংবাদিকদের বের হয়ে যেতে বলেন। এবং ভিসির কার্যালয়ে প্রবেশে তারা বাধা দেন।
ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ বলেন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ রেজিস্ট্রার হিসেবে ওয়ালিউর রহমান পিকুলের নাম বলেন। পরে প্রক্টর এ বিষয়ে কাউন্টার দিয়ে বলেন রেজিস্ট্রার হিসেবে একজনের নাম কেন আসবে।
এক পর্যায়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর বডির মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয় এবং প্রক্টরকে ‘জামায়াত’ ট্যাগ দেয়া হয়।
এসময় কক্ষের মধ্যে উচ্চবাচ্য শুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলেও ছাত্রদল কর্মীরা তাদের বাধা দেন। পরে তাদের উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এসময় ভিসি কার্যালয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, আপনার (ভিসি) রুমে আমি নিরাপদ নই, আমার ছাত্রতুল্য একজন জুনিয়র শিক্ষক আপনার সামনে সাউটিং করেছে আমি আপনাকে (ভিসি) ক্ষমা করবো না।
পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকদের সাক্ষাতে বলেন, এক জুনিয়র শিক্ষক তার সঙ্গে অসদাচরণ করলেও উপাচার্য কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ ঘটনার বিচার দাবি করে তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, প্রশাসনকে জিম্মি করে রাখার চেষ্টা চলছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনছে। পূর্বে আলোচনায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ রেজিস্ট্রার নিয়োগের বিষয়ে সম্মতি দিলেও আজকের ঘটনাগুলো আন্দোলনের চেতনার অপব্যবহার বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার পরও প্রশাসন যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি, যা অস্থিতিশীলতা বাড়াচ্ছে। তাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় শিক্ষার্থীরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাদের নেতাকর্মীসহ সবাইকে বের হতে বলেছি। উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এতে আমরা স্যারের সঙ্গে কোনো হট্টগোল করিনি।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, রেজিস্ট্রারের বিষয়ে আলোচনার জন্য ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয় এবং তাদের সহযোগীদের বাইরে থাকতে বলা হয়েছিল। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাজন করে আমার কোন ফয়দা নাই। প্রক্টর, কোষাধ্যক্ষ যারা আসছে আমি নিজেই বানায় নিয়ে আসছি। আমি না আসলে তারা কেউ আসতে পারত না। প্রো-ভিসি যাওয়ার সময় যে কথা বলে গেলো তার নিজের এবিষয়ে ফিলিং থাকা উচিত।
হট্টগোলের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, উপাচার্যের কার্যালয়ে এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। যেহেতু শিক্ষকদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে সেহেতু আমরা উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেব। এইরকম ঘটনা কখনো কাম্য নয়। এ বিষয় নিয়ে কোনো তদন্ত কমিটির দরকার নেই।
এদিকে এসব ঘটনার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে তার কার্যালয় থেকে বের করে দিয়ে সেখানে তালা লাগিয়ে দেয় কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মধ্যেকার একটি পক্ষ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হয়ে তার কার্যালয় খুলে দেন এবং সেখানে তাকে তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
এদিকে, সাংবাদিকদের কাজে বাধা ও শিক্ষকদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ মানববন্ধন করে। সংগঠনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের অপসারণ ও সেই পদে নতুন যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগের বিষয়ে সোমবার উপাচার্যের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে নেতৃবৃন্দ শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজনকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব জানান এবং উপাচার্য তাতে সম্মতি জানান। তার প্রেক্ষিতে আজ বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে। পরে ছাত্রদল নেতারা উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করলে আজকের ঘটনা ঘটে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি