ফ্যাক্টচেক
ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারনেটে ভুল তথ্য ছড়িয়েছে ২৬৮টি

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ২৬৮টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফ্যাক্ট চেক থেকে গণনাকৃত এই সংখ্যার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ১২৭টি ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মিলেছে, যা মোট ভুল তথ্যের ৪৭ শতাংশ।
এছাড়া, জাতীয় বিষয়ে ৭৩টি, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ১০টি, ধর্মীয় বিষয়ে ১৮টি, বিনোদন ও সাহিত্য বিষয়ে আটটি, শিক্ষা বিষয়ে পাঁচটি, প্রতারণা বিষয়ে ১৬টি, খেলাধুলা বিষয়ে সাতটি ভুল তথ্য শনাক্ত হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, এসব ঘটনায় তথ্যভিত্তিক ভুলই ছিল সবচেয়ে বেশি, ১০৮টি।
এ ছাড়া ছবি কেন্দ্রিক ভুল ছিল ৬৪টি এবং ভিডিও কেন্দ্রিক ভুল ছিল ৯৬টি। শনাক্ত হওয়া ভুল তথ্যগুলোর মধ্যে মিথ্যা হিসেবে ১৬৪টি, বিভ্রান্তিকর হিসেবে ৬৪টি এবং বিকৃত হিসেবে ৪০টি ঘটনাকে সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গত মাসে ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে, সংখ্যার হিসেবে যা ২৫০টি।
এ ছাড়া এক্সে ৪৪টি, টিকটকে ১৬টি, ইউটিউবে ৩৮টি, ইন্সটাগ্রামে ২১টি, থ্রেডসে অন্তত তিনটি ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণ মিলেছে। ভুল তথ্য প্রচারের তালিকা থেকে বাদ যায়নি দেশের গণমাধ্যমও। ১০টি ঘটনায় দেশের একাধিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল ফেব্রুয়ারিতেও এই ধারাবাহিকতা দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। গত মাসে ভারতীয় গণমাধ্যমে নয়টি ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে।
এ ছাড়া তিনটি ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে ভুয়া তথ্যের প্রচার করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক অপতথ্য প্রচারের বিষয়টি গেল কিছু মাস ধরেই আলোচনায় রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এমন ২০টি সাম্প্রদায়িক অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার। এরমধ্যে অর্ধেক ঘটনাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গেল মাসে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে জড়িয়ে ১৬টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। ভুল তথ্যগুলোর ধরণ বুঝতে এগুলোকে রিউমর স্ক্যানার দুটি আলাদা ভাগে ভাগ করেছে। সরকারের পক্ষে যায় এমন ভুল তথ্যের প্রচারকে ইতিবাচক এবং বিপক্ষে যায় এমন অপতথ্যের প্রচারকে নেতিবাচক হিসেবে ধরে নিয়ে রিউমর স্ক্যানার দেখেছে, সাড়ে ৮৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই এসব অপতথ্য সরকারের বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ রেখেছে।
ফেব্রুয়ারিতে ১৬টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়েও। সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে নিয়ে চারটি, নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে দুইটি, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে জড়িয়ে তিনটি এবং আ ফ ম খালিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ড. আসিফ নজরুলকে জড়িয়ে একটি করে এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে জড়িয়ে তিনটি ভুল তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার ফ্যাক্ট চেক গুলো বিশ্লেষণে দেখেছে, এই সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচারিত ভুল তথ্যের সবগুলোই দলটির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির সুযোগ রেখেছে। অপরদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি), দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে ভুল তথ্যের প্রচার দেখেছে রিউমর স্ক্যানার।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে গত মাসে ১৩টি অপতথ্য শনাক্ত করা হয়েছে। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানকে জড়িয়ে এই সময়ে তিনটি অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ মিলেছে। দলটির ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে এই সময়ে ১৬টি অপতথ্য প্রচার করার প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, নব গঠিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নিয়েও ভুয়া তথ্যের প্রচার করার প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার।
ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, ভুল তথ্যের রোষানল থেকে রক্ষা পায়নি রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোও। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশকে জড়িয়ে ভুল তথ্যের প্রচারের প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধান টিম বিভিন্ন অঙ্গনের সুপরিচিত ব্যক্তি এবং বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে গতমাসে ১৪টি মৃত্যুর গুজব প্রচার করেছে। পুরোনো ভিডিও, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের ঘটনা এমনকি ভিন্ন দেশের ঘটনার ফুটেজ ব্যবহার করে ডাকাতির ঘটনা উল্লেখ করে অপ তথ্যের প্রচার পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। গণমাধ্যমের নাম লোগো, শিরোনাম এবং নকল ও ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে ৪৭টি ঘটনার দেশি ও বিদেশি ৩২টি সংবাদমাধ্যমকে জড়িয়ে ৫১টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে বলে রিউমর স্ক্যানার প্রমাণ পেয়েছে। ক্যাটাগরি ভিত্তিক ভুল তথ্য শনাক্ত ছাড়াও গেল মাসে একটি ফ্যাক্ট স্টোরি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানায় ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠানটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ফ্যাক্টচেক
সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে আনন্দবাজারের সংবাদটি ভুয়া: সিএ প্রেস উইং

বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস এ এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ভারতীয় গণমাধ্যম হাইব্রিড যুদ্ধের কৌশল ব্যবহার করছে; যা জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত হওয়া তাদের দীর্ঘদিনের প্রক্সি শেখ হাসিনাকে সমর্থন করার জন্য পরিচিত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পোস্টে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে আনন্দবাজারের সংবাদের বাস্তবিক কোনো ভিত্তিই নেই। তাদের গল্প বলিউডের কোনো রোমান্টিক কমেডি সিনেমার চেয়ে কম নয়। আপনারা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সাংবাদিকতা অনুশীলন করবেন নাকি বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার প্রচারণার অংশ হিসেবে ক্ষতিকর কল্পকাহিনী প্রচার করবেন, সেই সিদ্ধান্ত আপনাদেরই নিতে হবে।
এর আগে, ৩০ জানুয়ারি ‘সেনা অভ্যুত্থান ঢাকায়? নজর দিল্লির’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন। সেখানে ধারণার ভিত্তিতে দাবি করা হয়, সেনাবাহিনীর একটি অংশ বাহিনীটির দখল নিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের ধারণা, বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের অবস্থা তৈরি হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ফ্যাক্টচেক
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ: প্রেস উইং

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত গণহত্যার পলাতক আসামি আসাদুজ্জামান খান কামালের সাক্ষাৎকার মিথ্যাচার এবং ভুল তথ্যে পরিপূর্ণ। এমনটাই জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং -এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ – সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতে আত্মগোপনে থাকা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তথ্য যাচাই না করেই তার মিথ্যাচার প্রচার করেছে।
কামাল তার সাক্ষাৎকারে বলেন, গত বছরের ৩ থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে প্রায় ৪৬০টি পুলিশ স্টেশন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং ৫,৮২৯টি অস্ত্র পুলিশ স্টেশন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, থানা থেকে মোট ৫,৭৫০টি অস্ত্র লুট করা হয়েছে এবং এর বেশিরভাগই ৫ আগস্ট লুট করা হয়েছে।
লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে পুলিশ এরই মধ্যে ৪,৩৫৮টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং বাকিগুলো উদ্ধারে অভিযান এখনো চলছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আন্দোলনের সময় মোট ১১৪টি থানায় হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ৫৬টি থানা ভাঙচুর করা হয়েছে, সব থানাই এখন কার্যকর।
কামাল তার সাক্ষাৎকারে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ‘ইসলামী সন্ত্রাসী এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছে। এটি আরও প্রমাণ করে যে, শিশুসহ এক হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা ও প্রায় ২০,০০০ মানুষকে আহত করার জন্য পতিত স্বৈরাচার হাসিনা তার সহযোগীরা এবং তার দলের এখনও কোনো অনুশোচনা নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে কামাল বাংলাদেশের আদালতে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং হাসিনা ও তার অনুসারীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত থেকে ষড়যন্ত্র করছে তারই প্রমাণ।
কামাল দাবি করেন, এসব হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামি হওয়ার পর খুনের শিকার ৫৪ জন ব্যক্তি ফিরে এসেছেন। তার এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কোনও সরকারি বা স্বাধীন সূত্র দ্বারা যাচাই করা ছাড়াই এটি প্রকাশ করেছে।
কামাল দাবি করেছেন যে বাংলাদেশের গণমাধ্যম সম্পূর্ণরূপে তাদের (অন্তর্বর্তী সরকারের) নিয়ন্ত্রণে।
তবে প্রেস উইং দাবি করেছে যে, এটি একটি অত্যন্ত ভুল বক্তব্য, কারণ ২০২৪ এর ৮ আগস্টের পর থেকে কোনো স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কোনো সরকারি সংস্থার দ্বারা কোনও বাধার সম্মুখীন হয়নি এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ফ্যাক্টচেক
মাশরাফির গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার খবরটি গুজব

বেশ কিছুদিন ধরে ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা মারা গেছেন শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, দুবাইতে মাশরাফি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার মারা যাওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভুয়া দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে মাশরাফির দুবাইয়ে অবস্থান বা তার মৃত্যুর দাবি সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পরবর্তী সময়ে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি দলটির সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফিকে। তবে চলমান বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে মাঠে নামার কথা ছিল তার। যদিও মাঠে আর দেখা যায়নি তাকে। এ জন্য অবশ্য ফিটনেসের ঘাটতি থাকার কথা জানিয়েছিলেন সিলেট স্ট্রাইকারস কোচ মাহমুদ ইমন।
বিপিএল শুরুর আগে মাশরাফিকে নিয়ে সিলেট কোচ বলছিলেন, ‘সে এখনও আমাদের স্কোয়াডে আছে। কারণ এই দলের ওতপ্রোত অংশ হচ্ছে মাশরাফি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে (তার খেলার বিষয়), ও কী অনুভব করছে এবং ফিটনেসের অবস্থা কী এসবও বিবেচনায় থাকছে। সে যদি খেলার পর্যায়ে থাকে বা পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে তাহলে অবশ্যই খেলবে।’
গত জুলাই আগস্টে বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরব ছিলেন দেশের বেশির ভাগ তারকাই। তবে অনেকটা নিরব ভূমিকা ছিল মাশরাফির। যা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হলেও সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন ক্রিকেট দিয়েই। তাই মাশরাফির নিরব থাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন তার ভক্তরা।
এরপর এক ভিডিও বার্তায় নিজের অবস্থান জানান দিয়ে সব কিছুর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন মাশরাফি। বলেন, ‘আমি কিছু করার চেষ্টা করিনি, তা নয়। আমি শুধু কিছু লেখার ভাবনায় থাকতে চাইনি। চেয়েছিলাম ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে, আলোচনার মাধ্যমে কিছু করা যায় কি না। সেই শুরুর দিকেই চেষ্টা করেছি। কারণ তাদের দাবি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। কিন্তু সেটাও করতে পারিনি। সব মিলিয়ে অবশ্যই ব্যর্থ হয়েছি।’
মাশরাফির শারীরিক অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলছিলেন, ‘শারীরিকভাবে ঠিক আছি। মানসিকভাবে অবশ্যই ভালো অবস্থায় নেই। আছি আর কী। ঢাকাতেই আছি, পরিবারের সঙ্গে।’
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ফ্যাক্টচেক
সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবরটি ভুয়া

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশ ড্রোন মোতায়েন করেছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি করা এ খবরটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে মন্তব্য করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়েছে, সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবরটি ভুয়া ও বানোয়াট। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশ তার রুটিন কার্যক্রম ছাড়া দেশের কোনো অংশে কোনো ড্রোন মোতায়েন করেনি। খবরটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি সাজানো অভিযানের অংশ।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশ ড্রোন মোতায়েন করেছে দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় তুরস্কের তৈরি অত্যাধুনিক ‘বায়রাকতার টিবি-২’ ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। ধারণা করা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও বলা হয়, মূলত এ ধরনের ড্রোনগুলো নজরদারি এবং নির্ভুল আঘাত হানার সক্ষমতার জন্য পরিচালনা করা হয়। ভারতের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেন নেক’ অঞ্চল ঘিরে এ ড্রোন মোতায়েন উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে ভারত।
ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার (আইডিআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্ক থেকে ১২টি বায়রাকতার টিবি-২ ড্রোনের প্রথম ধাপে ৬টি পেয়েছে। বাংলাদেশের ডিফেন্স টেকনোলজি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ফ্যাক্টচেক
নিহত আইনজীবী নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের মিথ্যাচার

চট্টগ্রামে গতকাল মঙ্গলবার নির্মমভাবে খুন হওয়া আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী বলে দাবি করে কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, দাবিটি মিথ্যা এবং এটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে।
প্রেস উইং জানায়, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পেশকৃত ওকালতনামা থেকে দেখা যায় যে তার আইনজীবীর নাম অ্যাডভোকেট শুভাশীষ শর্মা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সকলকে যেকোন প্রকার উস্কানিমূলক, মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
এমআই