রাজনীতি
বিএনপির বর্ধিত সভা আজ

বিএনপির বহুল প্রতীক্ষিত বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বসছে এই সভা।
নেতারা বলছেন, বর্ধিত সভায় প্রাধান্য পাবে তৃণমূলের মতামত, সেই সাথে দলকে জাতীয় নির্বাচনমুখী করতে এ বৈঠকে চূড়ান্ত হতে পারে সাংগঠনিক কর্মসূচিও।
সবশেষ ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে গ্রেপ্তার আতঙ্কের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নির্বাহী কমিটির প্রায় ৮০ ভাগ সদস্য সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন। এবার রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মুক্ত পরিবেশে বর্ধিত সভা বিএনপির। সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, জেলা, মহানগর, থানা, উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, গত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেবেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের কারণে আমরা আমাদের সাংগঠিন কর্মকাণ্ড তা তেমনভাবে আমরা করতে পারি নাই। ৫ আগস্টের পর সারা বাংলাদেশে আমরা সাংঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি। আমাদের চার হাজার নেতৃবৃন্দ এই সভায় অংশগ্রহণ করবেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেবেন।
এবারের সভায় গুরুত্ব পাচ্ছে মূলত চারটি ইস্যু। এর মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও রয়েছে ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতি, দলীয় শৃঙ্খলা এবং মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়। তৃণমূল নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত নিতে চায় দল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একটা পার্টির অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতো এমনই। মতামতের মাধ্যমে পার্টির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। বর্ধিত সভায় সারা দেশ থেকে যারা আসবে তারা তাদের কথাগুলো বলবে। দলের নেতা-কর্মীরা কী ভাবছে তা সেখানে প্রতিফলিত হবে।
১৯৯৭ সালের পর বড় পরিসরে বর্ধিত সভা এবারই প্রথম। বর্ধিত সভা সকাল ১০টা থেকে রাত পর্যন্ত চলবে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে প্রস্তুতি। সারা দেশ থেকে আসা প্রায় চার হাজার নেতা সভায় যোগ দেবেন।

রাজনীতি
কারাগারে খালেদা জিয়ার নির্যাতনকারীদের বিচার করতে হবে: আব্বাস

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে ‘নির্যাতন’ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে জড়িত কারা কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেছেন, কারাগারে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে চরম নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের যে কক্ষে রাখা হয়েছে, সেই কক্ষে ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি করতো, পোকামাকড় দৌড়াদৌড়ি করতো। কয়েকজন ডেপুটি জেলার, জেলার অন্যায়ভাবে তাকে ছাদের ওপরে একটি কক্ষে রেখেছিল।
মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে আমি এই অনুষ্ঠান থেকে খালেদা জিয়ার জেলজীবনে তার ওপরে যে অত্যাচার হয়েছে, যে নির্যাতন হয়েছে, কারা কারা এর সঙ্গে দায়ী-তাদের সবার বিচার দাবি করছি। এ ঘটনার বিচার হওয়া উচিত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পুরনো কারাগারে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বিনা চিকিৎসায় বন্দি রাখায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে পরিবার কয়েক দফা আবেদন করলেও তা নাকচ করে দেয় তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার।
দেশে কোভিডের সংক্রমণ হলে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। এসময় গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় বন্দি রাখা হয় তাকে। পটপরিবর্তনের পর ৬ অগাস্ট সাজা থেকে পুরোপুরি মুক্ত হন তিনি।
আজ খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মদিন। তার জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীতে বিভিন্ন মসজিদ ও এতিমখানা-মাদ্রাসায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হচ্ছে। এছাড়া সারাদেশে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলের চেয়ারপারসনের আরোগ্য কামনায় একই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভীর সঞ্চালনায় নয়া পল্টনের মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,নজরুল ইসলাম খানও বক্তব্য রাখেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মীর সরাফত আলী সপু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নিরব, আসাদুল করীম শাহিন, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহানরগর দক্ষিণ বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের নুরুল ইসলাম নয়নসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে ছিলেন।
রাজনীতি
চিকিৎসা নিতে লন্ডনের পথে ড. মোশাররফ

উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান জানান, সিঙ্গাপুরের ডাক্তারদের পরামর্শে তিনি চিকিৎসা নিতে লন্ডনে যাচ্ছেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ২০১ ফ্লাইটে তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন।
সহধর্মিণী বিলকিস আকতার হোসেন এবং ছেলে ড. খন্দকার মারুফ তার সঙ্গে রয়েছেন। দলীয় নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় ড. মোশাররফ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে দোয়া নিয়েছেন।
রাজনীতি
খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ (১৫ আগস্ট)। এবার এই উপলক্ষে কেক কাটাসহ আড়ম্বরপূর্ণ কোনো অনুষ্ঠান থাকছে না। খালেদা জিয়ার নির্দেশেই কয়েক বছর ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মদিন পালন করা থেকে বিরত রয়েছে বিএনপি।
তবে সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুকবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হবে। এতে নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
গত বৃহস্পতিবার বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে তার জন্য দোয়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় বিএনপির উদ্যোগে সারাদেশে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। তবে কেক কাটা কিংবা অন্য কোনো আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান না করার জন্য সব নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এদিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যদের দেখা করার কথা রয়েছে।
খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদার দম্পতির তৃতীয় সন্তান তিনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপথগামী সৈন্যদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হলে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন খালেদা জিয়া। দলের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হন।
দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট জয়লাভের পর সরকার গঠন করে। ওয়ান-ইলেভেনের পর ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্দি ছিলেন তিনি। সেই সময় বন্দি অবস্থায় প্রথমবারের মতো জন্মদিন কাটে তার। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।
পরে করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল করে মুক্তি দেন রাষ্ট্রপতি। এর পর ৮ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। টানা ১৭ দিন চিকিৎসা শেষে ২৫ জানুয়ারি বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় যান। টানা চার মাস চিকিৎসা শেষে মে মাসে ঢাকায় ফেরেন। এর পর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ অবস্থান করছেন বিএনপি প্রধান।
রাজনীতি
৩২ নম্বরে এসে ভিডিও কল, আ.লীগ সন্দেহে পিটুনি

রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থান নিয়েছে ছাত্র-জনতা। এ সময় সেখানে উপস্থিত তিনজনকে আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনায় ঘটে।
জানা গেছে, এক ব্যক্তি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে ভিডিও কলে কেউ একজনকে পরিস্থিতি দেখাচ্ছিলেন। এ সময় ভিডিও কলের বিপরীত পাশে থাকা ব্যক্তির ফোনের ক্যামেরায় শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ছবি দেখা গেলে উপস্থিত ছাত্র-জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পিটুনি দেন। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সেই স্থান ত্যাগ করে।
তবে উপস্থিত ছাত্র-জনতার দাবি, ওই ব্যক্তির ফোনেও শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ছবি দেখেছেন তারা।
এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ একজন বলেন, গতকাল শেখ হাসিনার ছেলে জয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ৩২ নম্বরে অবস্থান নিতে বলেছেন। তাই আওয়ামী লীগের কর্মীরা যাতে কোনো ধরনের অঘটন ঘটাতে না পারে, সে জন্য আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি।
তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি আওয়ামী লীগের দোসর। তার ফোনে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ছবি রয়েছে। তাকে আমরা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।
এর কিছুক্ষণ পর রাত ৯টার দিকে আরেকজনকে গণপিটুনি দিতে দেখা যায়। এ সময় পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তবে কী কারণে তাকে আওয়ামী লীগ কর্মী বলা হচ্ছে সে বিষয়ে কেউ ঠিকমতো জানাতে পারেননি।
এ সময় উপস্থিত জনতা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, আওয়ামী লীগের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান, জিয়ার সৈনিক, এক হও লড়াই করো।
এ বিষয়ে রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এখানে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমরা তাদের ফোন চেক করব। জিজ্ঞাসাবাদও করব। যদি তারা নির্দোষ হয় নিরীহ হয় তাহলে ছেড়ে দেব। দোষী হলে ব্যবস্থা নেব।
রাজনীতি
দেশে আর চাঁদাবাজ-দখলবাজ দেখতে চাই না: ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, এই বাংলাদেশ দেখার জন্য আমরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ি নাই। এমন কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নাই, যা দখল করা হয়নি। বিচারালয়গুলোকেও দখল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ দেখার জন্য মুগ্ধ জীবন দেয় নাই, আবু সাঈদ তার বুক পেতে দেয় নাই। বাংলাদেশে আমরা আর চাঁদাবাজ, জুলুমবাজ ও দখলবাজ দেখতে চাই না।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে নেত্রকোনা জেলা সদরের মোক্তারপাড়া মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ফয়জুল করীম।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সারাদেশে খুন, লুণ্ঠন ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন ও ইসলামবিরোধী সব ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ ও মুফতি ওমর ফারুক ওফার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি জসিম উদ্দিন পাঠান, ইসলামী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এনামূল হক মুর্শেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সায়েম, জামায়েতে ইসলামীর নেতা অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী প্রমুখ।
সমাবেশে শায়েখে চরমনোই সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম নেত্রকোনার পাঁচটি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন। তারা হলেন নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে জাকির হোসেন সুলতান, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে হাফেজ মাওলানা মুখলেছুর রহমান ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে মুফতি নূরুল ইসলাম হাকিমী।