অর্থনীতি
এক কার্গো এলএনজি ও ৬০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এক কার্গো এলএনজি এবং ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক এ সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সুইজারল্যান্ডের কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি ক্রয় করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৭৮৭ কোটি ৯৯ লাখ ৩৩ হাজার ১৫২ টাকা।
আসন্ন রমজান মাস বিবেচনায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প ও সার কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৩১০ কোটি ৬ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা।
৬০ হাজার টন সারের মধ্যে ৩০ হাজার টন আসবে আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কাছ থেকে। প্রতি ব্যয় হবে ১৫৯ কোটি ৮২ লাখ ১২ হাজার ২০০ টাকা।
এ ছাড়া বাকি ৩০ হাজার টন আসবে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে। এতে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি ২৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন সংশোধনের সুবিধা দিলো এনবিআর

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের পর করদাতাদের তথ্যে কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে তা অনলাইনেই সংশোধন করার সুযোগ দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আয়কর আইন ২০২৩ এর ১৮০(১) ধারা মোতাবেক মূল রিটার্ন দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে ১৮০(২) ধারায় সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন করদাতারা।
যেসব করদাতা অনলাইনে মূল আয়কর রিটার্ন দাখিলের পর ভুল-ত্রুটির কারণে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে চান, তাদের জন্য অনলাইনে etaxnbr.gov.bd/ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ঘরে বসে সহজে সংশোধিত আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু করেছে এনবিআর।
সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, যারা আয়কর রিটার্ন সংশোধন অপশন ব্যবহারের জন্য অনলাইনে প্রবেশ করবেন তাদের অবশ্যই সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
এনবিআররের জনসংযোগ দপ্তর আরও জানায়, ২০২৪-২০২৫ করবর্ষে অনলাইনে etaxnbr.gov.bd/ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সহজে ঘরে বসে আয়কর রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়। এরই মধ্যে এ বছর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ১৪ লাখ ৩২ হাজার করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন এবং ১৮ লাখ ৭৫ হাজার করদাতা ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
এনবিআর জানায়, আয়কর দিবস পরবর্তী সময়েও বছরব্যাপী অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সুবিধা এরই মধ্যে চালু করেছে এনবিআর। এ সুবিধা ব্যবহার করে করদাতারা প্রতিদিনই অনলাইন রিটার্ন দাখিল করছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অর্থনীতি যে গর্তে পড়েছে, উঠে দাঁড়াতে সময় লাগবে: গভর্নর

দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি যে গর্তে পড়েছে তা থেকে উঠে দাঁড়াতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এ বিষয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
গভর্নর বলেন, সমস্যা আছে, আমরা কাজ করছি। যে গর্তে আমরা পড়েছি তার থেকে আমরা উঠতে পারবো, তবে সময় লাগবে। আমি আগেও বলেছি যে আমাদের ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের নিচে নেমেছে। অক্টোবর থেকে জানুয়ারিতে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ আমদানি বেড়েছে। এলসি খোলাও ব্যাপক হারে বেড়েছে। আমি আশাবাদী রমজানে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হবে না।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রয়ারি) রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে ‘রিকমেন্ডেশনস বাই দ্য টাস্কফোর্স অন রিস্ট্র্যাটেজাইজিং দ্য ইকোনমি’ শীর্ষক দুদিনব্যাপী সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ব্যাংকিং খাতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি এবং শাসন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সেশনটিতে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সিপিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং ড. মঞ্জুর হোসেন। তারা দুজনেই টাস্কফোর্সের সদস্য।
গভর্নর বলেন, ইসলামি ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) গ্র্যাজুয়েটেড হয়ে যাবে। তাদের কোনো আর্থিক সহায়তা লাগবে না। এ দুটি ব্যাংকের আওতায় ব্যক্তি খাতে তারল্যের ৫৫-৬০ শতাংশ। তাই অর্ধেকের বেশি সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি। বাকি ব্যাংকগুলোকেও আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
তিনি বলেন, ব্যাংকির খাতের সমস্যা আমরা সবাই জানি। আমরা ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছি। কয়েকটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৮৭ শতাংশ, যেগুলোকে হয়তো বাঁচানো সম্ভব নয়। কোনো কোনো ব্যাংকের ১০০ ভাগ ঋণের ৮৭ ভাগ একই পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং রিসোলিউশন অ্যাক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বেসরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি বেশ কিছু সরকারি ব্যাংকেরও সমস্যা আছে। আমরা সুপারভিশন করছি। আশা করি খুব শিগগির একটি সিদ্ধান্তে আসবো।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ইন্সুরেন্সের অ্যামাউন্ট দুই গুণ করা হয়েছে। আগে ছিল ১ লাখ, যা এখন ২ লাখ করা হয়েছে। ব্যাংকিং খাতের কমপ্লায়েন্স নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা একটি প্রজ্ঞাপনও দিয়েছি।
‘যদি লোন ফেরত দিতে না পারে তাহলে ব্যাংক শেয়ারহোল্ডার হতে পারবে এবং বোর্ডে বসতে পারবে। যদি অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকে তাহলে ব্যাংক মেজরিটি শেয়ারহোল্ডার হতে পারবে। এর ফলে লোন নেওয়ার আগে বড় বড় কোম্পানিগুলো যেন চিন্তা করে আমাকে এই লোন ফেরত দিতে হবে’- বলেন তিনি।
তিনি বলেন, লোন কন্ট্রাক্টের ক্ষেত্রে আমরা একটি স্ট্যান্ডার্ডাইজড কন্ট্রাক্টের ব্যবস্থা করছি, যেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি লোনের ক্ষেত্রে কোনো শব্দগত পার্থক্য না থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করি তিন-চার মাসের মধ্যে কেবিনেটে নিয়ে যেতে পারবো। যেন ভবিষতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না হয়।
গভর্নর আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে পুনর্গঠন করছি, যা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ডিপার্টমেন্ট বন্ধ করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডিপার্টমেন্টে লোকবল স্থানান্তর করছি। ডিজিটাল ব্যাংকিং নিয়ে এ মুহূর্তে কাজ করছি না। আরও একটু সময় লাগবে। আমরা বেশি মনোযোগ দিচ্ছি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের দিকে। কিউআর কোড, পেমেন্ট সিস্টেম আরও কীভাবে উন্নত করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখছি। আইটি সিস্টেমকে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ নিয়েছি। যা ক্যাপাসিটি, ফাংশনালিটি বাড়াবে। ডাটার ক্ষেত্রে যতো বেশি স্বচ্ছতা আনা যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত। রপ্তানি তথ্য প্রকাশের সময় কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কাজ করছি। ১৯৭২ সাল থেকে সারাদেশের প্রতিটি এলাকায় কত টাকা ডিপোজিট হয়েছে এ বিষয়ে আমরা একটি জরিপ করেছি। এটি করা গেলে সম্পূর্ণ চিত্র পাওয়া যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সুইজারল্যান্ড থেকে ১৮০ কোটি টাকায় গম কিনবে সরকার

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি গমের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৬ টাকা। ফলে এই গম আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই গম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে আট লাখ টন গম আমদানির প্রস্তাব ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির’ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়।
আমদানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৫০ হাজার টন গম আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি দরপত্র জমা পড়ে। চারটি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের মেসার্স অ্যাস্টন অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল এসএ এই গম সরবরাহ করবে।
প্রতি টন গমের দাম ২৯৫.২১ মার্কিন ডলার হিসাবে ৫০ হাজার টন গম ক্রয়ে ব্যয় হবে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৮০ কোটি ৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা। প্রতি কেজি গমের ক্রয় মূল্য ৩৬ টাকা ২ পয়সা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রমজানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলবে সাড়ে ৯টা থেকে ৪টা

আসন্ন রমজান মাসে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। স্বাভাবিক সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো এ নির্দেশনায় বলা হয়, রমজান মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে যোহরের নামাজের বিরতি থাকবে ১৫ মিনিট (দুপুর ১.১৫টা থেকে ১.৩০টা পর্যন্ত)। রমজান মাস অতিবাহিত হওয়ার পর অফিসের সময়সূচি পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে।
এর আগে জানানো হয়, রোজায় ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত। তবে আনুষঙ্গিক কাজ পরিচালনার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে ৪টা পর্যন্ত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রোজার পর মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার আশা অর্থ উপদেষ্টার

রোজার পর মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশের ঘরে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রোজা সামনে রেখে অর্থ উপদেষ্টার কাছে মানুষকে আশ্বস্ত করার মতো কোনো খবর আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে আশ্বস্ত করার খবর হলো আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোজার সময় যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আছে সেটা এনসিওর করতে। সেজন্য আমরা নিরলসভাবে চাল, ডাল, চিনির সরবরাহ নিশ্চিত করছি। এখন তো চিনির দাম অনেকটাই রিজনেবল অবস্থায় এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি বাকিগুলো যাতে রিজনেবল দামে আসে। প্রথমত, সরবরাহটা নিশ্চিত করা। সরবরাহ নিশ্চিত করলেও অনেক সময় সঠিক দামে ভোক্তারা পায় না। এখানে আবার মার্কেট ডায়নামিকস আছে।
তিনি বলেন, আমি কয়েকদিন আগে বলেছি, মজুত যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান। দরকার হলে সেটা আমরা রিপিট করব। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ছাড়া অন্যান্য যে এজেন্সি আছে… সয়াবিন গুদামে, বেসমেন্ট রেখে দিয়েছে কি না! কিছুটা তারতম্য হতে পারে, কিন্তু একটা ক্রাইসিস হয়ে যাবে সেটা হওয়ার কথা নয়।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা চেষ্টা করছি রোজার সময় যাতে কোনো রকমভাবে দাম না বাড়ে। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার জন্য আমাদের উদ্দেশ্য রয়েছে। এক পার্সেন্ট কমেছে। যাতে ধারাবাহিকভাবে কমে আসে। বাজেট দেওয়ার সময় এটা যাতে রিজনেবল অবস্থায় আছে। কারণ এটা আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ। রোজার পর মূল্যস্ফীতি ৭/৮ শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি হলেই জীবন-যাপনের মান কমে হয়। এবার বড় একটি (পণ্যের) অংশ আমাদের আমদানি করতে হয়েছে। এটা আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
বিস্কুটের ওপর ভ্যাট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখন কেউ লেখে না যে বিস্কুট কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। আরও দু’একটা পণ্যের কথা আমাকে বলেছে, রোজার সময় এই পণ্যগুলো একটু দরকার। আমি দেখব সেটার দামও যতটা কমানো যায়।