জাতীয়
সন্ধ্যার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আজ রাত থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম টের পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আজ সন্ধ্যার পর থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ অন্য বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে যৌথবাহিনী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে টহল দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি বলবো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্যাটিসফ্যাক্টরি (সন্তোষজনক)। তবে এটার উন্নতি করার অবকাশ রয়ে গেছে। আগে কী হতো, যেমন বনশ্রীর ঘটনাটি জানতে জানতে দুদিন সময় লেগে যেতো, এখন সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা জেনে যায়।
তিনি বলেন, ছোটখাটো ঘটনা সবসময় আগেও ঘটেছে, দু-একদিন আগেও ঘটেছে। তবে ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে এজন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা চাই না এ ধরনের একটি ঘটনাও ঘটুক।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কী নির্দেশনা দিয়েছেন- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আজকে রাতেই আপনারা দেখবেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকটিভিটিস (কার্যক্রম) অনেক বেড়ে গেছে।
মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে, মানুষকে কীভাবে আশ্বস্ত করতে চান- এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, উপদেষ্টা হিসেবে আশ্বস্ত করার জন্যই তো আজকে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং করলাম। তাদের একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছি, তারা যেন সন্ধ্যার পর থেকেই কাজ শুরু করে। আপনারা এটি সন্ধ্যার পর থেকেই টের পাবেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পেয়েছি ৫৩ বছর, এই ৫৩ বছরে মনে হয় কোনো মিডিয়ায় এভাবে লিখে নাই যে, এ বছর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। আমি এক সময় সাংবাদিকতা করেছি, আমরাও কোনোদিন করিনি। এখন যে পরিস্থিতি আগের মতোই অবস্থা।
‘পুলিশকে আমি যে অবস্থায় পেয়েছিলাম, ওই অবস্থা থেকে আরও ভালো হয়েছে না? আমাদের কর্মকাণ্ড আরও বাড়ানোর সুযোগ আছে। তারা চেষ্টা করছেন তাদের কমান্ডাররাও চেষ্টা করছেন। এটি আস্তে আস্তে আরও ভালোর দিকে যাবে।’
অপারেশন ডেভিল হান্টের মধ্যে ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে, এতে অপারেশন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট করা হচ্ছে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। রাজশাহীতে ঘটনা ঘটছে, সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেসব ওসি মামলা নিতে বিলম্ব করেছে, তাদের আমরা আইনের আওতায় এনেছি, সাসপেন্ড করে দিয়েছি।
‘অন্য সময় হলে কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি হতো না। আপনাদের রিপোর্টের কারণে আমরা অনেক সিনিয়র অফিসারকেও ক্লোজ করে নিয়ে এসেছি। আপনারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা চালিয়ে যান, আমরা খুব খুশি হবো।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগে কিছু (কারও বিপদ) হলে আমরা দৌড়ে যেতাম, এখন গিয়ে মানুষ ছবি উঠায়। আগের দিন হলে মানুষ দৌড়ে গিয়ে ওই লোকটাকে ধরে ফেলতো। মানুষের মন-মানসিকতাও একটু পরিবর্তন হয়েছে। একজন আরেকজনের বিপদে কিন্তু এগিয়ে আসতে হবে।
সশস্ত্র বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেটা ঠিকমতো কাজ করছে কি না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যাকে যে কাজ দেওয়া হয়েছে, তারা সেভাবেই তাদের কাজটি করে যাচ্ছেন।
এরপর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সভায় প্রথম সিদ্ধান্ত হয়েছে- ঢাকা এবং যেসব জায়গায় আমরা দেখছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হয়েছে, এসব জায়গায় টহল বাড়াবো। এই টহল আজকে সন্ধ্যা থেকে আপনারা দেখবেন। পুরো ঢাকা শহরেই দেখবেন।
তিনি বলেন, এজন্য যে জিনিসটি করা হচ্ছে, যৌথটহল হবে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ টহল হবে। জায়গায় জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটর করা হবে। তল্লাশির ব্যবস্থা করা হবে।
গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ইন্টেলিজেন্স উইং, ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি- তারা তাদের মতো করে নজরদারি করবেন। সে অনুযায়ী আমরা অ্যাকশনে যাবো।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কেনা হবে মোটরসাইকেল
শফিকুল আলম বলেন, ঢাকা যানজটপ্রবণ এলাকা। কোথাও কিছু ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে যেতে যেতে অনেক সময় দেরি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে প্রচুর মোটরসাইকেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্রুত মোটরসাইকেলগুলো কেনা হবে। যেন তারা খুব দ্রুত মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে যেতে পারেন।
প্রেস সচিব আরও বলেন, পুলিশের ক্ষেত্রে আপাতত ১০০ মোটরসাইকেল কেনা হচ্ছে, পরবর্তী সময়ে আরও ১০০ কেনা হবে। অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর যারা আইনশৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত, তাদের জন্য আরও ৫০টি করে মোটরসাইকেল নেওয়া হবে।
সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কি না- এ বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সিরিয়াসলি নিচ্ছে বলেই আজকের মিটিংটা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যে এজেন্সিগুলো কাজ করে তারা সবাই এখানে ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অসহযোগিতা দেখছেন না বলে জানিয়েছেন শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব উন্নতি করা। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। আমরা এ কাজটি সুচারুভাবে করতে চাই।
‘আমরা আশা করছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি খুব দ্রুত দেখবেন।’
কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, কক্সবাজারের এসপি এবং যে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো রয়েছে তাদের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে, তারা প্রতিবেদন দিলে আপনারা জানবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
টিএসসিতে নারীদের নামাজের ব্যবস্থা: আজহারীর প্রশংসা

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অডিটরিয়ামের উত্তর পাশে মেয়েদের একটি নামাজের জায়গা উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।
বিষয়টি ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করে অনেকেই স্যোশাল মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। তারা বিষয়টির প্রশংসা করে বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরছেন। এমনকি জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মিজানুর রহমান আজহারীও এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
গতকাল সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘মাশাআল্লাহ। দারুণ উদ্যোগ।’
টিএসসিতে মেয়েদের নামাজের স্থানের বিষয়ে ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিসা ইসলাম সাকাফি বলেন, ২০২২ সালে যখন সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি, রমজান মাসে টিএসসিতে নামাজের জায়গার ব্যবস্থা করি প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে। ২৪ ঘণ্টাও রাখতে পারিনি, ছাত্রলীগ সেটা ভেঙে দেয়। এরপর দীর্ঘ লড়াইয়ের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা আবার টিএসসিতে মেয়েদের নামাজের ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। টিএসসিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিসি স্যার, প্রক্টর স্যারসহ গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সিইও এসে নামাজের কক্ষ উদ্বোধন করায় আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান আমাদের জন্য এক মহৎ এবং অনন্য একটি মুহূর্ত। আমরা আজ এই নতুন নামাজের জায়গার উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, যা আমাদের সবার জন্য একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ এবং আত্মিক উন্নতির ক্ষেত্র হয়ে উঠবে। বিগত শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য দাবির ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। আশা করি এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে পারব এবং নিজেদের আত্মিক উন্নতি সাধন করতে পারব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রথমবারের মতো বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবনের ১৮ হাজার ৫৬৫ একর বনভূমির সীমানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বন অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন ও বেসরকারি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ কাজ চালানো হচ্ছে।
এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের একটি বনাঞ্চলের সীমানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হলো। ১৫০ একর বনভূমি দখলমুক্ত করে শাল ও অন্যান্য বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মধুপুর উপজেলার বেরিবাইদ মৌজা ও ময়মনসিংহের কমলাপুর মৌজার সীমান্ত এলাকা থেকে এ কাজ শুরু হয়েছে। অরণখোলা, বেরিবাইদ, চুনিয়া, গাছাবাড়ি, ইদিলপুরসহ ১৫টি মৌজার বনভূমির সীমানা নির্ধারণ করা হবে।
দীর্ঘদিন ধরে সীমানা নির্ধারণ না থাকায় বনভূমি দখল হয়ে আসছিল। গড়ে উঠেছে বসতি, চাষ হচ্ছে আনারস, কলা ও পেঁপে। নতুনভাবে সীমানা চিহ্নিত হলে বন রক্ষা ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মধুপুরের শালবন পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।
এছাড়া, বন অধিদপ্তরের বার্ষিক উচ্ছেদ কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৫০ একর বনভূমি দখলমুক্ত করে শাল ও অন্যান্য বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ করা হবে। সামাজিক বনায়নের আওতায় উপযোগী গাছের চারা রোপণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে হরিতকি, বহেরা, অর্জুন, জারুলসহ বিভিন্ন গাছের চারা সংগ্রহ চলছে। পাশাপাশি সরাসরি শাল বীজ রোপণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হাসিনার আমলে সব গুম-খুনের বিচার করতে হবে: দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের

পিলখানায় ৫৭ জন সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা, পলাতক হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে দেশে যত গুম, খুনসহ নৃশংসতা হয়েছে তার বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঝে এখনো যারা ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। একই সাথে প্রতিটি সেক্টরে সংস্কার করে এরপর জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে গণহত্যা এবং মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের দাবিতে ‘ন্যায় বিচার ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা আন্দোলন’ শিরোনামে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শেখ হাসিনার শাসনামেল গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যরা এ দাবি করেন।
সমাবেশে নেক্সাস ডিফেন্স এন্ড জাস্টিজর প্রধান নির্বাহী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাসান নাসিরের (অব.) সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিয়া গোলাম পারওয়ার বলেন, আজকে বক্তব্য দিয়ে জাতিকে জানানোর প্রয়োজন নেই ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠার তান্ডব, ২০০৯ সালের পিলখানার নির্মম নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড, ২০১০ সাল তথাকতিথত মানবাতাবিরোধী অপরাধের নামে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের নামে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যা চালানো, আল্লামা সাইদীর রায়ের পর লোকককে হত্যা করা, এরপর ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে হাজার হাজার আমদের সোনার টুকরোকে গুলি করে হত্যা করা, আয়না ঘরে গুম, ক্রসফায়ার সমস্ত হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড শেষ হাসিনা। এই কথা চিৎকার করে বলার প্রয়োজন নেই দেশ এবং সারা দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত সমস্ত হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা এত নিষ্ঠুর এবং ফ্যাস্টি যে তার ক্ষেত্রে শুধু ফ্যাস্টি শব্দটি প্রযোজ্য নয়। তাকে আমি স্যাডিস্ট বলি। স্যাডিস্ট ইংরেজিতে তাকে বলা হয় যে খুন, গুম নিষ্ঠুরতা এবং রক্তপাত দেখে পাষান হৃদয় একটুও কাপেনা, বরং উপভোগ করে।
তিনি আরও বলেন, আজকে বিভিন্ন মহল থেকে হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য, সেই খুনি মাস্টারমাইন্ডকে আবার রাজনীতে আনার জন্য নিজের পদপদবিকে রক্ষা করার জন্য অথবা তার আমলে সুবিধা ভোগ করে পিলখানার মতো নৃশংসতাকে আড়াল করার জন্য যারা বাবছেন তাদের ধিক্কার জানাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাড়ে ৬মাস পার করছেন, আমরা জনি খুনি সরকারের কাছে কোনোদিন ন্যায় বিচার পেতাম না। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে আমরা অবশ্যই তার কাছে ন্যয় বিচার প্রত্যাশা করি। ফলে বিলম্ব হলেও আজকে যে কমিশন গঠন করা করা হয়েছে বিডিআর, পিলখানা এবং সেনা হত্যাকান্ডে আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রেতাত্নাদের কী ভূমিকা ছিল আধিপত্ববাদী বিদেশি শক্তির কি ভূমিকা ছিল এসব তদন্ত করে জাতির কাছে এই কমিশনকে সেই তথ্য দিতে হবে। বিডিআর হত্যাকান্ডের পেছনে আধিপত্তবাদি শক্তির কী ভূমিকা ছিল তা প্রকাশ করতে হবে।
‘ফ্যাসিবাদি সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের সাড়ে সাত বছর কারাগারে ছিলাম। হাজার হাজার বিডিআর জওয়ানের কাছে শুনেছি পিলখানায় কিভাবে হত্যাকান্ড চালিয়েছে, লাশগুলো কিভাবে কেটে ড্রেনে ফেলে দিয়েছে। তারা তখন হিন্দিতে কথা শুনেছে। পরিচয় গোপন করতে তারা মুখোস পরে হত্যাকান্ড চালিয়েছে। ফলে এই হত্যাকান্ড নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার অর্থ হলো বিচার প্রক্রিয়াকে চাপা দিতে চাওয়া। অন্তবর্থী সরকার যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে তারা বিলম্ব না করে এর পেছনে রাজনৈতিক শক্তি জড়িত ছিল কি না, বিদেশি শক্তির কি হাত ছিল ফ্যাসিবাদি খুনি হাসিনার কি ভূমিকা ছিল জাতির সামনে তার শ্বেতপত্র অবিলম্বে প্রকাশ করুন। কারাগারে এখনো নিরিহ, নিরপরাধ ব্যক্তি বন্দি হয়ে আছে যারা একেবারেই নিষ্পাপ কিছু জানতো না। সেখানেও নিষ্ঠুরভাবে অনেককে হত্যা করা হয়েছে এরসাথে যারা জড়িত তাদের বিচার করতে হবে। বিচার হীনতার কারণে খুনগুমের মতো ঘটনা ঘটছে, আয়না ঘরের মতো নিষ্ঠুর নির্মম দৃশ্য সারা দুনিয়া দেখেছে। পূনরায় এধরণের লোমহর্ষক ঘটনার পূণরাবৃত্তি বাংলাদেশ হোক তা আমরা চাই না। এসব কারণে আজকে এগুলোর বিচার হওয়া প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আজকের এই মানবিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এবং স্পর্শকাতর এধরণের একটি সমাবেশে সংহতি ও সমবেদনা জানানোর জন্য উপস্থিত হয়েছি। কেউ আসুক বা না আসুক বাংলাদেশের দেশ্রপমিক মানুষ এই সমাবেশের আয়োজকদের পাশে থাকবে ইনশা আল্লাহ। এসময় সাংবাদিকদেরকে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্বামী হারা, সন্তান হারা, মানুষের আকুতি এবং মানবিক ঘটনা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরুন। রাষ্ট্রের কোনো অংশ থেকে বিভ্রান্তিকর কোনো কথা বলে থাকলে সেই কথার সত্যতা তুলে ধরুন। জাতির প্রতিবাদের ভাষা আপনাদের মাধ্যমে প্রকাশিত হোক সেই প্রত্যাশা রাখি।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমিও একজন ভুক্তভোগী, আমিও শেখ হাসিনার নিষ্পেশনের শিকার, আমাকেও রাজপথে গুলি করা হয়েছে। সামনে থেকে গুলি ঢুকে পেছন থেকে বের হয়ে গেছে। আমি তিনবার গুমের শিকার হয়েছি। অথচ অনেক মা এখনো তার সন্তানের খোঁজ পাননি। তিনি বলেন, পিলখানায় ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসারকে হত্যার আসামি শেখ হাসিনা তাকে যদি ধরা যায় জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় তাহলে কেবল আসল রহস্য উদঘাটিত হবে। আমরা ডলপালারে চেয়ে পৃকৃত খুনিকে ধরতে পারলে সব হত্যার তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাকে বারত থেকে ফিরিয়ে এনে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার বিচার করতে হবে। তাকে বুঝিয়ে দিত হবে কোনো মায়ের কোল খালি করলে তার পরিণতি কেমন হতে পারে। সেই মায়ের কত কষ্ট হতে পারে। শেখ হাসিনার সাথে তার সাঙ্গপাঙ্গ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিহ্নিত সদস্য যারা শেখ হাসিনাকে সহযোগীতা করেছে তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র শামীম সাঈদী বলেন, পিলখানার ঘটনা সম্পর্কে শেখ হাসিনার আগে থেকেই জানা ছিল। আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাইদী বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলায়, ভারতের বিরোধীতা করায় পরিকল্পিতবাবে হত্যা করা হয়েছে। সারা জীভন যিনি মানবতার পক্ষে কথা বলেছেন আর ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙাগরা তাকেই বলেছে মানবতা বিরোধী। তিনি বলেন, আল্লামা সাইদীর স্কাইপ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে স্পষ্ট যে কিভাবে মিথ্যা কথা বলে আদালত পরিচালিথ হতো।
ইল আহমদ মাবরুর বলেন, আমি দেখেছি কিভাবে একটি পারবার নিশেষ হয়ে যায়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.)আবদুর রহিমের পরিবারকে আমি নি:শেষ হেয় যেতে দেখছি। একজন মানুষ ফ্যাসিবাদি শাসনের শিকার হলে পুরো পরিবার কিভাবে কত কষ্ট নিয়ে জীবন কাটে আমি দেখছি। এখনো অনেকেই তাদের স্বজনদের ফিরে পায়নি। পিলখানার ট্রাজেডিকে সেনাবহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চারিয়ে আসছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা।
সভাপতির বক্তভ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাসান নাসির (অব.) বলেন, আমরা ২০০৬ সাল থেকে গুম, খুন ও হত্যাকান্ডের শিকার যারা আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার চাইতে এখানে সমবেত হয়েছি। তিনি বলেন, নেক্সাস ডিফেন্স এন্ড জাস্টিজ এটি একটি নির্দর্লী প্রতিষ্ঠান। অবসরপ্রাপ্ত নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা আমাদের সাথে আছেন। গত ১৬ বছর ধরে গুম-খুনের শিকার পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হলে অবশ্যই এর বিচার হবে। আমরা জাতীয় শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা পেয়েছি কিন্তু এর মাঝে যে একটি বক্তব্য এসেছে তার সাথে একমত নই। আমরা যেসব তত্য পেয়েছি যেসব তথ্য ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে তার আলোকে বিচার করতে হবে। পিলখানায় ৩০ ঘন্টা ব্যপি তান্ডব চালিয়েছে এর বিচার করতে হবে।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিয়েছেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের দফতর সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ, গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান, শহীদ মেজর তানভীরের স্ত্রী তাসনুভা মাহা, মেজর রেজাউল করিম (বরখাস্ত), মেজর ফিরোজ ইফতেখার ফুয়াদ, লে. ক. হাসিনুর রহমান (বীর প্রতীক), কর্নেল মো> শাহ নুর রহমান, হেফাজতে ইসলাম এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুসা ইজহার, হেফাজতে ইসলাম এর যুগ্মসচিব মুফতী মনির হোসাইন, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ এর পুত্র মাবরুর,মায়ের ডাক (সানজিদা ইসলাম তুলি), কুটনীতিক ক্যাপ্টেন মারুফ জামান, গুম ফেরত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

হজযাত্রা সহজ, সুন্দর ও নিরাপদ করতে ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ চালু করে হজযাত্রীদের সার্বক্ষণিক সেবার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, পবিত্র হজ পালন সহজ করার জন্য মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে একটা সুযোগ দিয়েছেন। এই সুযোগ যেন আমরা সর্বোচ্চ কাজে লাগাই। একজন হজযাত্রীও যেন কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হন সে প্রচেষ্টা থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।
দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হজ এজেন্সির সংখ্যা এক হাজার ২৭৫টি। এর মধ্যে হজ কার্যক্রমের জন্য যোগ্য এজেন্সি ৯৪১টি, হজযাত্রী নিবন্ধনকারী এজেন্সি ৭৫৩টি এবং লিড এজেন্সি ৭০টি। এসব এজেন্সির দায়িত্ব কী হবে সেটা সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করে বুকলেট আকারে ও অনলাইনে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব হলো এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব পালন যেন সঠিকভাবে হয় তা নিশ্চিত করা, দায়িত্ব পালন না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। পুরো হজ প্রক্রিয়া হতে হবে সহজ ও স্পষ্ট। সরকারের দায়িত্ব কী, এজেন্সির দায়িত্ব কী- এসব সুস্পষ্টভাবে লিখিত থাকতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, কেউ হারিয়ে গেলে, অসুস্থ হয়ে পড়লে, লাগেজ হারিয়ে গেলে বা অন্য কোনো ধরনের সমস্যায় করণীয় কী, কাকে জানাবে এটার সুস্পষ্ট গাইডলাইন থাকতে হবে। হজযাত্রীদের প্রত্যেকের কাছে এই বুকলেট দিতে হবে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ কী নেওয়া হবে সেটাও উল্লেখ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দেশেই একটি হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করতে হবে, যাতে করে বাংলাদেশ বসেই সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করা যায়। কল সেন্টারে যেসব অভিযোগ আসবে, সেগুলো এখান থেকে যেন সঙ্গে সঙ্গে মনিটরিং করা যায়। একটি ওয়েবসাইট করে দিতে হবে যেখান হজযাত্রীরা সবাই যুক্ত থাকবেন। তারা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। কেউ হারিয়ে গেলে সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তার লোকেশন খুঁজে পাওয়া যাবে।
ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার জন্য কল সেন্টারে কী ধরনের অভিযোগ আসছে সেগুলো মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কী ধরনের অভিযোগ আসছে সেগুলো লিপিবদ্ধ করে ফেলতে হবে। এর মধ্যে কতগুলো সুরাহা হলো, কতগুলো হলো না সে তথ্য থাকতে হবে। এই অভিযোগগুলো যেন পরের বছর না আসে সেজন্য আলোচনা করে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
কোনো এজেন্সি দায়িত্ব পালন না করলে তার লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা থেকে এজেন্সিগুলো রিভিউ করতে হবে। এজেন্সির প্রশিক্ষণ আছে কি না সেটা মনিটরিং করতে হবে। কর্মীদের প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে এজেন্সিগুলোতে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরি করে ফেলতে হবে। এই ক্যাটাগরির মান পূরণে যে এজেন্সিগুলো ব্যর্থ হবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
হজযাত্রীরা যেন যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের করণীয় সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন এবং কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন সেজন্য বিষয়ভিত্তিক ভিডিও তৈরির নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রবলেম সলভিং ভিডিও হতে হবে। অসুস্থ হয়ে পড়লে, হারিয়ে গেলে, কোরবানি দিতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে করণীয় কী- এমন ভিডিও যাত্রীদের দেখিয়ে দিলে তারা মনোবল পাবেন। প্রস্তুত থাকতে পারবেন।
এছাড়া, পরের বছর থেকে হজ ক্রেডিট কার্ড চালু ও লাগেজ ব্যবস্থাপনার জন্য ট্যাগ কপি করে তালিকা করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, হজ ক্রেডিট কার্ড চালু করে দিলে হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমে যাবে। দেশে ফেরার পর যে কার্ডে যে অর্থ থেকে যাবে সেটা নগদ ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সেজন্য চেক-ইনের পরে ট্যাগটা কপি করে রাখা যেতে পারে। ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে লাগেজ ট্যাগের তালিকা থাকবে।
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। চলতি বছর সরকারি খরচে কাউকে হজে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সভায় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোসাটমের মহাপরিচালক ঢাকায় আসছেন আগামীকাল

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটমের মহাপরিচালক (ডিজি) আলেক্সি লিখাচেভ আগামীকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সফরে আসছেন।
ঢাকায় রাশিয়ান হাউজের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসবেন বলে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, আগামীকাল রোসাটমের ডিজি বাংলাদেশের সফরে আসবেন। তার এই সফর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চলমান কাজের অগ্রগতি হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন রোসাটমের ডিজি আলেক্সি লিখাচেভ। সফরকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল করিম খানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আলেক্সি লিখাচেভের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন রোসাটমের ডিজি। ওই সফরে তিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মাতীরের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান।