পুঁজিবাজার
বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজারে টানা মন্দাভাব, আস্থা ফিরাতে না পারা ও অদক্ষতার অভিযোগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণ দাবি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় সংগঠনটির চারজনের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় উপদেষ্টার পক্ষে এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান।
এর আগে গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘পুঁজিবাজার সংস্কারে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা’র আয়োজন করেন বিনিয়োগকারীদের সংগঠনটি। সভায় সোমবার স্মারকলিপি প্রদানের কথা জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, একটি দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হচ্ছে পুঁজিবাজার। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পূর্বের সরকারের শাসনামলে খারাপ অবস্থায় ছিল দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু দুঃখজনক ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের পর বিনিয়োগকারীদের মাঝে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল সেই প্রত্যাশা কার্যত আপনাদের সময়োপযোগী তথাপি কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপের অভাবে প্রতি নিয়ত প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
এতে বলা হয়, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল বর্তমান দায়িত্ব আসীন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ গত ছয় মাসেরও অধিক সময় পুঁজিবাজারের বিনিয়োকারীদের আস্থা ফেরাতে পারেননি, বরং আস্থার সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। অথচ এই উপমহাদেশের মধ্যে দেউলিয়া রাষ্ট্র উপাধি পাওয়া শ্রীলঙ্কার পুঁজিবাজার সর্ব দিক দিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে উপরে অবস্থান করছে। এদিকে দীর্ঘদিন লেনদেন খরার ফলে ব্রোকার হাউজগুলো তাদের পরিচালনা ব্যয়, আয়ের তুলনায় বেশি হওয়ায় অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে অনেক ব্রোকারহাউজের ট্রেডও বন্ধ হয়েছে গেছে। এসব সমস্যার কারণে নতুন করে আরো কয়েক লক্ষ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারানোর শংকায় রয়েছে।
বর্তমান কমিশন চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর বাজারমূলধন হারিয়েছে প্রায় ৬৬ হাজার কোটি টাকা, সুচক কমেছে প্রায় ৮শ পয়েন্ট, বিনিয়োগকারী পুঁজি হারালো ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। ইতোমধ্যে অনেক বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ও মন্তবা করেছেন পুঁজিবাজার পরিচালনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নেই বর্তমান কমিশন চেয়ারম্যানের। সবশেষে পুঁজিবাজার এবং বিনিয়োকারীদের বাঁচানোর জন্য বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত ও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
অর্থসংবাদ/কাফি

পুঁজিবাজার
ফের সূচকের পতন, কমেছে ২ শতাধিক কোম্পানির দর

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্যসূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০৫ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। একই সঙ্গে টাকা অংকে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (৩০ জুন) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৩৮ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ১০৬০ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে ১৮১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ৪৬৪ কোটি ৫৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৪৯৪ কোটি ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টি কোম্পানির, বিপরীতে ২০৫ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার ক্রয়

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করেছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির উদ্যোক্তা পরিচালক ফেরদৌস আলী খান ২ লাখ শেয়ার ক্রয় করেছন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তিনি ডিএসইর পাবলিক মার্কেটের মাধ্যমে ঘোষিত এই শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করেছেন।
কাফি
পুঁজিবাজার
দুই কোম্পানির লভ্যাংশ বিতরণ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরে জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো- ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স পিএলসি।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলো সমাপ্ত হিসাববছরের নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমস ও বোনাস লভ্যাংশ বিও হিসাবের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এছাড়া, ডিবিএইচ ফাইন্যান্স ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো এফএএস ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেবে না।
রোববার (২৯ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২১ টাকা ৩৭ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ঋণাত্বক ১২৫ টাকা ৫৫ পয়সায়।
কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে। হাইব্রিড প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে । এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ আগস্ট।
কাফি
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে সাংবাদিকদের ইতিবাচক লেখনির মাধ্যমেই: ডিবিএ প্রেসিডেন্ট

গত ১৫ বছরে পুঁজিবাজারে যত অনিয়ম ঘটেছে, তা সাহসিকতার সঙ্গে গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্য সাংবাদিকরা। তারা সব সময়ই বাজারের মঙ্গল কামনা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনেকেই জানতে চান-মার্কেট কবে ঘুরে দাঁড়াবে? আমি মনে করি, বাজার ঘুরে দাঁড়াবে সাংবাদিকদের ইতিবাচক লেখনির মাধ্যমেই।
সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর পল্টনে সিএমজেএফের অডিটোরিয়ামে সিএমজেএফ আয়োজিত ‘ফল উৎসব ২০২৫’-এ তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করছি। তবে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিশ্বাস সবচেয়ে জরুরি। সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা-ইতিবাচক, তথ্যভিত্তিক সংবাদই পারে বিনিয়োগকারীদের আশাবাদী করে তুলতে।”
সাইফুল ইসলাম বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে গত নয় মাস ধরে সিএমজেএফ ডিবিএকে সব সময় সহযোগিতা করে আসছে। বাজারের স্বার্থে আমরা এক ও অভিন্ন। আমাদের মধ্যে রয়েছে আত্মিক সম্পর্ক।”
ডিবিএ সভাপতি বলেন, “বাজারসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে রেগুলেটরের কাছে যাওয়ার আগে আমরা সিএমজেএফের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করি। কারণ, সাংবাদিকদের বাজার বিষয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্লেষণ বাজারের জন্য ইতিবাচক দিকনির্দেশনা দিতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, সিএমজেএফ ও ডিবিএ—দুই সংগঠনই পুঁজিবাজারের কল্যাণে কাজ করছে।”
দেশীয় ফলের এ উৎসবকে সময়োপযোগী ও প্রাণবন্ত উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করে সাইফুল ইসলাম বলেন, “ফল উৎসব যেমন আমাদের আনন্দ দেয়, তেমনি বাজারে ভালো শেয়ার এলে বিনিয়োগকারীরাও ভালো ফল পাবেন। তবে সব সময় যদি দুর্বল কোম্পানি বাজারে আসে, তাহলে কখনোই বাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে না।”
তিনি আগামী বছর ফল উৎসবের সঙ্গে রসমালাই উৎসবের আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম হালকা হাস্যরসের ছলে বলেন, “পেরাভান্ডার, মাতৃভাণ্ডার, শীতল ভাণ্ডার-এসব জায়গার কোনো শাখা নেই, মালিক নিজে দাঁড়িয়ে ব্যবসা করে। তেমনি আমাদের বাজারেও দায়বদ্ধতা ও উপস্থিতির গুরুত্ব অপরিসীম।”
মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, “শুধু ফল উৎসব নয়, আরও যতো উৎসব আছে তা পালন করা দরকার। একটা উপলক্ষ কেন্দ্র করে সবাই একসাথে হওয়া যায়। যা অত্যন্ত আনন্দের।”
তিনি বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে সাংবাদিকরা ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে অনেক অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেছেন; যা অত্যন্ত সাহসিকতার সাক্ষর রেখেছে। আইপিও সংক্রান্ত অনিয়মসহ বিভিন্ন অনাচারের খবর তারাই তুলে এনেছেন।”
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহকারী পরিচালক মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এ ধরনের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়োজনের জন্য তিনি সিএমজেএফকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূইয়া, সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডিএসই পরিচালক ও বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিএসইর সাবেক পরিচালক আনোয়ার হোসেন, ডিবিএর সহ- সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমেদ, পরিচালক দিদার গনি প্রমুখ।
কাফি