অন্যান্য
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য ইএমই কোরের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
প্রত্যেক সদস্য আগামী দিনে দেশসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ইএমই কোরের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সৈয়দপুর সেনানিবাসস্থ ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে (ইএমইসিঅ্যান্ডএস) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে পৌঁছালে তাকে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড; নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্ট, ইএমই কোর; জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার রংপুর এরিয়া ও কমান্ড্যান্ট ইএমইসিঅ্যান্ডএস অভ্যর্থনা জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান সম্মেলনে উপস্থিত ইএমই কোরের ইউনিটের অধিনায়ক এবং অন্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কোরের তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ইএমই কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় ইএমই কোরের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড; সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা; কমান্ড্যান্ট, ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুল; বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব ইএমই ইউনিটের অধিনায়করা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি ইএমইসিঅ্যান্ডএসে ইএমই কোরের ‘১২তম কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিম। সৈয়দপুর সেনানিবাসস্থ শহীদ ক্যাপ্টেন নুরুল আবসার প্যারেড গ্রাউন্ডে যথাযোগ্য সামরিক ঐতিহ্য ও রীতি অনুযায়ী ইএমই কোরের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠান’ সম্পন্ন হয়।
এসময় ইএমই কোরের সব ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
সিলেটে শিক্ষার্থী হামলার ঘটনায় ইবিতে বিক্ষোভ

সিলেটের এম. সি কলেজে শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে ও কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে আওয়ামীপন্থীদের নৈরাজ্যের আশংকায় প্রতিবাদী বিক্ষোভ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা। একইসাথে আওয়ামী দোসরদের বিচার ও তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনায় তাদের নাম পরিবর্তনের দাবিতে এ বিক্ষোভ অংশগ্রহণ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সমবেত হয় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীরা।
এসময় ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইটের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, গোলাম রাব্বানী, ইয়াসিরুল কবীর, তানভীর মন্ডল’সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের “আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; আমার ভাইয়ের ওপর হামলা কেন, প্রশাসনের জবাব চাই; জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো; সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, ” সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও”, “সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকারী ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আওয়ামী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, যেসব স্থাপনা তাদের নামে রয়েছে, সেগুলোর নাম পরিবর্তনের দাবি জানান তারা। এই দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সমাবেশে সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, যে বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার যেমন বিনা ভোটে এমপি তৈরি করেছিল তেমনিভাবে বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী তৈরি করেছিল। যারা ১৮ সালের নির্বাচন এবং ২৪ এর গণহত্যাকে বৈধ করার জন্য ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল। এই ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল যেমন শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাফর ইকবাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রুবায়েদ আরেফিন সিদ্দিকী এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম বেশ কিছু শিক্ষক ছিল যারা এ গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল। ইসলামী বিদ্যালয়ের কেন ইউজিসির দিকে তাকিয়ে থাকবে? দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে বিগত ষোল বছরের শ্বেতপত্র কেনো এখনো ঘোষণা করতে পারেনি? অনতিবিলম্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ষোল হাজার শিক্ষার্থীদের সামনে তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ষোল বছরের যাবতীয় অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে সবকিছু প্রকাশ করতে হবে। আপনারা জানেন বিপ্লবে আমাদের বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে, ইসলামী বিদ্যালয়ের শাপলা ফোরাম নামের একটি সংগঠন তাদের নেতৃত্ব কিছু শিক্ষক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা যেভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর গণহত্যাকে উসকে দিয়ে ছিলো তারা এখনো কিভাবে তাদের কার্যক্রম চলমান রাখে? আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম! আপনারা একেকদিন একেক দলের সাথে মিটিং করেন কিন্তু আপনারা ভুলে যান, আমার ষোলোশত ভাই বোনের রক্তের উপর দাড়িয়ে আছেন।অনতিবিলম্বে আপনারা এদের বিরুদ্ধে ব্যাস্থা গ্রহণ করুন। গতকাল কুয়েটে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখানে ছাত্রদল কতৃক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আহত হয়েছিল। আজ এমসি কলেজে যে হামলা হয়েছে। গণমাধ্যমে সূত্র জানতে পেরেছি এমসি কলেজে শিবির নাকি অভিযোগ আছে। এখানে ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র ইউনিয়ন যেই দলেরই হোক না কেন! তারা অপরাধী, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
মোদীকে সম্মান করি, কিন্তু ভারতকে ২১ মিলিয়ন ডলার কেন দেব: ট্রাম্প

ভারতের জন্য বরাদ্দ নির্বাচনী অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতে ভোটারদের বুথমুখী করতে ১৮২ কোটি রুপি (২ কোটি ১০ লাখ ডলার) অনুদান দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সেই অনুদান বাতিল করে দেওয়া হলো। ইলন মাস্কের সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দপ্তর গত রবিবার সেই অনুদান বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে।
এবার ট্রাম্প সেই ঘোষণাকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ‘কেন ভারতকে এত টাকা আমরা দিতে যাব? ওরা তো আমাদের থেকে অনেক টাকা কর নেয়।’ যেখানে ভারত চড়া শুল্ক আদায় করছে সেখানে তাদের অনদান দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত এবং মোদিকে সম্মান করলেও দেশটির জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে চান না ট্রাম্প।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুদান বাতিলের নথিতে স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ২ কোটি ১০ লাখ ডলার কেন ভারতকে দিচ্ছি? ওদের অনেক টাকা আছে। আমাদের থেকে অনেক কর নেয় ভারত। ভারতের করের পরিমাণ বেশি বলে আমরা সে ভাবে বাণিজ্য করতে পারি না। ভারত এবং তাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাই বলে ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য ২.১০ কোটি ডলার?’
এদিকে এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপির অমিত মালব্যর দাবি, এই অনুদানের কথা তার জানা ছিল না। ভারতের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের সূচনা কংগ্রেসের হাত ধরে বলেও অভিযোগ করেন এবং বিজেপি এই টাকায় লাভবান হয়নি বলেও দাবি করেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মালব্য কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেও মোদি সরকারের আমলে চালু হওয়া ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযানে’ আমেরিকার অনুদান রয়েছে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার কুরেশি জানিয়েছেন, ২০১২ সালে তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন এই ধরনের কোনো বিদেশি অনুদান ভারতে আসেনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও কাউন্সিলেরও সদস্য সঞ্জীব সান্যাল যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড)-কে ‘মানবসভ্যতার সবচেয়ে বড় দুর্নীতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ভারতের ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য এই বিপুল পরিমাণ মার্কিন অনুদানের কথা প্রকাশ্যে আসার পর তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি আরো জানতে চান, ‘ভারতের ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য এই টাকা কার হাতে গিয়েছে, তা জানতে আমি আগ্রহী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অফিস ভাঙচুর

গঠনতন্ত্র বিরোধী ও বিধি বহির্ভূতভাবে গঠিত বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির স্বঘোষিত অ্যাডহক কমিটির তথাকথিত বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে সমিতির ইস্কাটন কার্যালয় তালা ভেঙে অফিস দখল, ভাঙচুর এবং সমিতির অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সারাদেশের এ পেশার সদস্যরা।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সমিতির অফিসে সশস্ত্র দখল, সিসিটিভি ভাঙচুর এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গায়েবের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের ভাষ্যমতে এবং ঘটনার সময় ধারণকৃত ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ ঘটনা এবং সশস্ত্র হামলায় নেতৃত্ব দেন স্বঘোষিত এডহক কমিটির আহবায়ক ও রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভিপি ড. আজিজুর রহমান এবং ১৯৯৬ সালের জনতার মঞ্চের নেতৃত্ব দানকারী সাবেক সচিব সৈয়দ মাহবুব এ জামিল, আওয়ামী লীগের ভোট কারচুপির প্রত্যক্ষ সহযোগী সচিব গ্রুপের সদস্য ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিতর্কিত সাবেক চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং সাবেক আওয়ামী লীগ এমপি ও সচিব সচিব ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের একান্ত সহযোগী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমীর গবেষণা পরিচালক ড. নুরুজ্জামান, সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রলীগ নেতা এবং বর্তমান যুবলীগ কর্মী মুসলিম উদ্দিন রিফাত সহ ছাত্রলীগ যুবলীগের ৫০- ৬০ জন সশস্ত্র ক্যাডার।
এছাড়াও গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকাল ৪টায় উল্লিখিত ব্যক্তিদের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলনের নাম করে সমিতির অফিসে এসে পুনরায় সশস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় তাদের নেতৃত্বে ভাড়া করা সশস্ত্র ক্যাডারদের দ্বারা অর্থনীতি সমিতির বর্তমান দপ্তর সম্পাদক মোস্তফা আনোয়ার বুলবুল, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমসহ সমিতির ঢাকাস্থ ইস্কাটন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করা হয়। এই নেককারজনক হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত থেকে হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির মত অর্থনীতি পেশায় নিবেদিত পেশাজীবীদের এই গৌরবময় সংগঠনের দখল, পাল্টা দখল এবং তালা ভাঙ্গার মত অপেশাদারী আচরণের তীব্র নিন্দা জানান দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদগণ।
জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী দেশের পটপরিবর্তনের পর পূর্ববর্তী কার্যকরী কমিটি বর্তমান ২৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কাছে অর্থনীতি সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। অন্তবর্তীকালীন কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে বরেণ্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ এবং সদস্য সচিব হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ মাইক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির বর্তমান নির্বাহী প্রধান ড. মো হেলাল উদ্দিন সহ দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক, এবং অর্থনীতির গবেষক এবং পেশাজীবীগণ রয়েছেন, যা সমিতির সকল সদস্য দ্বারা সর্বজনগৃহীত এবং প্রশংসিত হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার গত দুই মাসের মধ্যে সমিতির আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তিকরণ, গঠনতন্ত্রের প্রয়োজনীয় সংশোধন, গবেষণা জার্নাল প্রকাশ এবং দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপচেষ্টা এবং অর্থনীতি সমিতির একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বঘোষিত এবং বিধি বহির্ভূত এডহক কমিটি গত ১২ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি এই ন্যাক্কারজনক সশস্ত্র হামলা চালায় যা অর্থনৈতিক সমিতির ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির মতো পেশাজীবীদের এই সংগঠনের গৌরবময় ইতিহাসের সাথে জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস, প্রয়াত অধ্যাপক ড. মোজাফ্ফর আহমদ, বিআইডেএসের সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. মহিউদ্দিন আলমগীর, বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিনসহ বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদগণ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহবায়ক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ডক্টর মাহবুব উল্লাহ বলেন, সমিতির যে কোন সদস্য যে কোন দাবি-দাওয়া বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সাথে আলোচনা করে দাবি বাস্তবায়নের যৌক্তিক প্রচেষ্টা চালাতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের প্রয়াস না নিয়ে যেকোনো অপেশাদার মনোভাব নিয়ে দখল কিংবা হামলা করে কিংবা জিম্মি করে কোন দাবি-দাওয়া আদায়ের হীন প্রচেষ্টা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বর্তমান সরকারকে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ রাখছি এবং থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
ইবিতে শহীদদের স্মরণে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর স্মরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রদর্শনীতে ১৯৪৭ সালের পূর্বে ইতিহাস হতে পর্যায়ক্রমে পরবর্তী সকল ইতিহাস তুলে ধরা হয়।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি শাখার উদ্যাগে দিনব্যপী এ প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর শাহিনুজ্জামান, ইবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ও দলের নেতাকর্মী’সহ সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ।
প্রদর্শনীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, এখানে প্রতিটি ফ্রেমে প্রত্যেকটা ইতিহাসের বিষয় সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এখানে এসে অনেকগুলো ইতিহাসের বিষয় সম্পর্কে জেনেছি এবং পড়েছি। ৪৭’ সালের পূর্ব থেকে ২৪’ সাল পর্যন্ত অনেক ইতিহাসের তথ্য এখানে দেওয়া আছে। ২৪ এর আন্দোলনে ছাত্র ইউনিয়নের যে ভূমিকা ছিল সেটা আমরা সবাই দেখেছি। ২৪ এর শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই চেতনাকে ধারণ করে আমরা যেন দেশটাকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারি সে দিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।
এবিষয়ে ইবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ভাষার মাসে শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর স্মরণে আমরা আলোকচিত্র প্রদর্শন করেছি। এখানে মূলত প্রাচীন বাংলার জনপদ থেকে শুরু করে, ব্রিটিশ পিরিয়ড, ১৯৪৭ এর ঘটনা, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং সর্বশেষ ২৪ এর অভ্যুত্থানের বেশকিছু ছবি এখানে স্থান পেয়েছে। যাতে দর্শনার্থীরা এসে নতুন করে সঠিক ইতিহাস জানতে পারে এবং চর্চা করতে পারে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ৪৭ থেকে ২৪ এর ইতিহাস স্থান পেয়েছে। আমি ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের ছবিগুলো দেখে মর্মাহত হয়েছি। ছবিগুলোর ভাষা বলে দেয়- কিভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নেতৃত্বে ছাত্রজনতার উপর যে দুর্বিষহ অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছিলো।
উল্লেখ্য, লক্ষীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রিজভী গত ১৮ জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার উত্তরা-পূর্ব থানার সামনে হাইওয়ে রোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রিজভীর মাথার খুলি উড়ে যায়। মাথার মগজ বের হয়ে রাস্তায় পড়ে। তখন রিজভী রাস্তায় পড়ে কই মাছের মতো ছটফট করতে থাকে। ফ্লাইওভারের ওপর থেকে তাকে গুলি করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার উত্তরা কিচিন হসপিটালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি রাত ১০টার দিকে মারা যান।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
দুই শতাধিক শেয়ারের দরপতন, কমেছে লেনদেন

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্যসূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। একইসঙ্গে টাকার অংকে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ১১৫২ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক দশমিক ৬৮ পয়েন্ট কমে ১৯১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ৩৯১ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ৫১৯ কোটি ৫৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৩টি কোম্পানির, বিপরীতে ২০৯ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।
কাফি