রাজনীতি
দেশে ফিরলেন লুৎফুজ্জামান বাবর

পবিত্র ওমরাহ পালন ও চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় পৌঁছান তিনি।
বিএনপি মিডিয়া সেলের এক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন লুৎফুজ্জামান বাবর। দুবাইতে যাত্রা বিরতির সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানের হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর সৌদি আরব যান। প্রায় তিন সপ্তাহ বিদেশ সফর শেষে আজ দেশে ফিরলেন বাবর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য জনগণ ও দেশ: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু একমাত্র বিএনপি স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আড়াই বছর আগে দেশ পুনর্গঠনের কথা বলেছে, ৩১ দফা ঘোষণা করেছে। বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য জনগণ ও দেশ। তাই ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব। জনগণের ভোটে বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে পুনর্গঠন করা হবে।
আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের সমর্থন নেই এমন কোনো কাজ বিএনপি করে না। বিএনপিই একমাত্র দল যেটি নিজ দলের দোষী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
তিনি বলেন, বিভ্রান্ত হয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়া নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। বিএনপি অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
দেশ ছেড়ে পালাতে হয়, এমন রাজনীতি করা যাবে না: জামায়াত আমির

দুর্নীতি-দুঃশাসন করে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। তাই এমন রাজনীতি করা যাবে না, যাতে ফ্যাসিবাদের মতো দেশ ছেড়ে পালাতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্মীপুরে আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জামায়াতের জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, অতীতে সোনার বাংলা কায়েম করতে গিয়ে শোষণ করা হয়েছে। দুঃশাসন থেকে জাতি এখন মুক্তি চায়। তাই জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, কোরআনই একমাত্র সোনার বাংলা কায়েমের গ্যারান্টি দিতে পারে। আর কেউই দিতে পারবে না। বাংলার জমিনে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ। এখন হবে কোরআনের বাংলাদেশ।
দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে চাঁদাবাজি ও দখলদারি বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, জাতিকে সামনে এগিয়ে যেতে দিন। আবার যেন ফ্যাসিবাদের নতুন ধারা কিংবা অধ্যায় তৈরি না হয়। এসব থেকে ফিরে আসুন। ফিরে না এলে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
দলের কারাবন্দী নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির জন্য সরকারকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একে একে সব জাতীয় নেতারা মুক্তি পেলেও আজহারুল ইসলাম বৈষম্য ও জুলুমের শিকার। তাকে কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকব। আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
অনেক সাংবাদিক আখের গোছানোর জন্য দালালি করেন: ফখরুল

আজকাল অনেক সাংবাদিক, সবার কথা বলি না, তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য দালালি করেন। কথাটা ভালো না হলেও বলতে হলো। বাড়িঘর, প্লট সব জোগাড় করে। মাহফুজ উল্লাহর কিছুই ছিল না। তার চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে বন্ধুদের কাছে হাত পাততে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর (মরণোত্তর) একুশে পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর কথা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ এর নির্বাচনের পরে, ২০১৮ নির্বাচনের আগের সময়টাই সে অনেক কাজ করেছে। তখন সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য মাহফুজ উল্লাহ, মাহবুব উল্লাহ ও জাফরউল্লাহ ভাইয়ের অসাধারণ প্রচেষ্টা ছিল। তারা ছিলেন বলেই ডান, বাম সবাই মিলে একটা জায়গায় আসা সম্ভব হয়েছিল। একেবারেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ ছিলেন, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যারা জীবনে আমরা বেশিরভাগই বিপ্লবী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম, আমরা সেদিন শ্রেণি শত্রু খতম করার স্লোগানও দিয়েছি। সেই ব্যাপারটা যে সঠিক ছিল, এরপরে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার যে পরিবর্তন এসেছে, সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ শুরু করেছিলাম।
তিনি বলেন, আজ আমরা আশাবাদী, ফ্যাসিবাদের পরিবর্তন হয়েছে। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে পালিয়ে গেছে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর কথা মত, দীর্ঘদিন ধরে এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যে চেষ্টা করেছে, লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, সবশেষে ছাত্র-জনতার সমবেত প্রচেষ্টায় সেটা সম্ভব হয়েছে।
আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা নতুন করে গড়ে তুলবো। সবাই এই কথাটা বলছে। সবার এ কথাটায় আরও বেশি আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। সত্যিকার অর্থেই আমরা যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ তৈরি করতে পারি। তখনই তার প্রতি সম্মান দেখানো সফল হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা আছেন, যারা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন। সে ক্ষেত্রে আমরা যেন আগের অবদানের কথা ভুলে না যাই। কারণ এদের কাজের ওপরই কিন্তু আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
গঠন হচ্ছে বৈষম্যবিরোধীদের নতুন ছাত্রসংগঠন, আত্মপ্রকাশ আজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে নতুন ছাত্রসংগঠন গঠন করতে যাচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের একটি অংশ।
আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে আত্মপ্রকাশ করবে সংগঠনটি। নাম চূড়ান্ত না হলেও কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্ব প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে আসছে নতুন এই ছাত্রসংগঠন। তারা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে নতুন এই ছাত্রসংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি হবে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি সংগঠন। ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’, ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ নীতিতে ছাত্র-নাগরিকের স্বার্থকে বাস্তবায়নের প্রয়াসই হবে এই ছাত্রসংগঠনের মূলমন্ত্র। বিশেষত নেতা নির্বাচনে নিয়মিত ছাত্রত্ব থাকাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। এ ছাড়া নারীদের জন্য ‘কমফোর্ট পলিটিক্স’ তৈরির পরিকল্পনা তাদের। তথ্যমতে, নতুন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হচ্ছেন সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হবেন আব্দুল কাদের। পরামর্শ ও আলোচনার ভিত্তিতে এ দুই পদ চূড়ান্ত হলেও সদস্য সচিব পদে দুজন করে আলোচনায় রয়েছেন। তারা হলেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব পদে জাহিদ আহসান এবং তাহমিদ আল মোদাচ্ছির চৌধুরী, ঢাবির সদস্য সচিব পদে মহির আলম এবং লিমন মাহমুদ হাসান। এ ছাড়া মুখপাত্র পদে থাকছে নারী নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মুখপাত্র হিসেবে আশরেফা খাতুন এবং ঢাবির মুখপাত্র হিসেবে রাফিয়া রেহনুমা হৃদির নাম জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার জানান, ২২ ফেব্রুয়ারি সংগঠন আত্মপ্রকাশের সময় চূড়ান্ত হয়েছে। আমরা নিয়মিত ছাত্রত্বে গুরুত্ব দিচ্ছি। নেতা নির্বাচন কিংবা সদস্যপদ পেতে হলে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৮ বছর। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির ক্ষেত্রে অনার্সে ভর্তির পর সাত বছর পর্যন্ত সদস্য বা পদ পাওয়ার সুযোগ থাকবে। আমরা চাই ছাত্ররাজনীতিকে নিয়মিত ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে। এ ছাড়া নারীদের জন্য রাজনীতিতে ভালো পরিবেশ তৈরিতে আমরা কাজ করব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের জানান, আমরা গণঅভ্যুত্থানের শক্তি নিয়মিত ছাত্রদের নিয়ে একটি স্বতন্ত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি, যেখানে শুধুমাত্র নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই নেতৃত্বে থাকবেন। যারা এই সংগঠনে সদস্য হবেন কিংবা পদ পাবেন তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করবেন। এই ছাত্র সংগঠন কখনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক চর্চা করবে না। এর কোনো মাদার পার্টি থাকবে না এবং মাদার পার্টির কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না। শিক্ষার্থীরা জুলাই অভ্যুত্থানে যে রায় দিয়েছেন, সে অনুযায়ী আমাদের সংগঠন গঠিত হবে। আমরা এটা ওয়াদা দিচ্ছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
এটিএম আজহারুল ইসলামকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে: ড. হেলাল উদ্দিন

অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট ড. মো. হেলাল উদ্দিন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহজাহানপুর পশ্চিম থানার উদ্যোগে স্থানীয় আবুজর গিফারী কলেজ অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শাহজাহানপুর পশ্চিম থানা আমীর মো. সরোয়ার হোসেন। সঞ্চালনায় করেন থানা সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এসময় ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন ,আমার মায়ের ভাষায় কথা বলা আমার জন্মগত অধিকার। কিন্তু এ অধিকার থেকে তৎকালীন শাসকবর্গ আমাদেরকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিল। এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়ে ছাত্র ও যুব সমাজ। যার কারণে আমাদের ভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় তারা। ভাষার আন্দোলনের মধ্যেই মূলত এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিজ রোপিত হয়। স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর পেরুলেও এদেশের মানুষ সে আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে না। যার যতটুকু ভূমিকা ছিল সেই স্বীকৃতি রাষ্ট্র ও সমাজের পক্ষ থেকে দিতে হবে। ১৯৪৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভাষা আন্দোলন শুধু নয় ভাষার অধিকারী নয় দেশের স্বায়ত্ত শাসন দাবি করে যে স্মারকলিপি উপাদান করা হয়েছিল সেই সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জিএস অধ্যাপক গোলাম আজম। সেই ইতিহাস স্বীকৃতি আমাদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, স্মারকলিপি যিনি ড্রাফ্ট করেছিলেন তার নাম হচ্ছে বিচারপতি আব্দুর রহমান এবং মজলিসের পক্ষ থেকে যে আন্দোলনের সূচনা করা হয় সেই মজলিসের প্রধান ছিলেন প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম। ৫২-২১ ফেব্রুয়ারির শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যের অবসান ঘটানো। এখনো যে সকল বৈষম্য আছে সেগুলো দূর করতে হবে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন করতে হবে। উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণায় অনুবাদ-এর মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন বর্তমানে একটি দল এবং গোষ্ঠী সংস্কার ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন দাবি করছে কিন্তু জেলা প্রশাসক সম্মেলনে জেলা প্রশাসকগণ দেশের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেছেন সারা দেশে স্থানীয় সরকারের প্রতিটি না থাকায় নাগরিক সেবা দেওয়া সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয় এবং বাংলাদেশ জামাত ইসলামী সেই মতকে সমর্থন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্থানীয় নির্বাচন দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানায়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে উক্ত প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. আতিয়ার রহমান ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. তাজিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।