Connect with us

আন্তর্জাতিক

আ.লীগ সরকারের উৎখাতের কারণ জানা গেল জাতিসংঘের প্রতিবেদনে

Published

on

কন্টিনেন্টাল

জাতিসংঘের অধিকার অফিস (ওএইচসিএইচআর) বলেছে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আগস্টের প্রথম দিকের ধারাবাহিক ঘটনাবলীর কারণে বিগত সরকার উৎখাত হয়েছে এবং গণঅভ্যুত্থানের শেষ দিনগুলোতে ‘সাময়িকভাবে ভাটা পড়া’ আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা রাস্তায় বিক্ষোভকে পুনরায় উস্কে দিয়েছিল।

ওএইচসিএইচআর রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোটা ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আসতে অনেক দেরি করেছিল এবং সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ বিক্ষোভকারীদের নেতাদের কাছে ‘কুটিল’ বলে মনে হয়েছিল।

এতে বলা হয়েছে, ‘বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার জন্য, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই বিগত সরকার হাইকোর্টের কোটা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দাখিল করে, যা মূলত বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছিল।’

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পরের দিন সন্ধ্যায় পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী এক জনসভায় শিক্ষার্থীদের সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যাশিত ইতিবাচক সিদ্ধান্তের জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন, ১৬ জুলাই প্রাণহানির জন্য সমবেদনা জানিয়েছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে, ‘আমাদের বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সহযোগিতা করেছিল।’

চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের বিক্ষোভের সাথে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন’ শীর্ষক তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘(কিন্তু) প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বিক্ষোভকারী নেতাদের কাছে আন্তরিকতাহীন বলে মনে হয়েছিল।’

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশজুড়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির আহ্বান জানিয়ে বলেছিল, হাসপাতাল ও জরুরি পরিষেবা খোলা থাকবে, তবে অন্যকোনো প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে না এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন রাস্তায় চলতে দেওয়া হবে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব একই সাথে তাদের অনুসারীদের হরতাল সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছিল, যার ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইন, শিক্ষা এবং তথ্য মন্ত্রীদের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের নেতাদের সাথে আলোচনার জন্য মনোনীত করেছিলেন, পাশাপাশি ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) এর চলমান প্রচেষ্টাও অব্যাহত ছিল।

এতে বলা হয়েছে, তবে, সেই পর্যায়ে, ছাত্ররা আর আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিল না, কারণ তারা তাদের ওপর এর আগে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার কারণে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে সন্দিহান ছিল।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৮ জুলাই থেকে, যখন বিক্ষোভকারীরা গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল ব্যাহত করার চেষ্টা করছিল তখন সাধারণ জনগণও রাস্তায় নেমে আসে এবং নিরাপত্তা বাহিনী ‘এই পর্যায়ে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের দিকে ঝুঁকে পড়ে’।

এতে বলা হয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণ হলেও বিঘ্ন সৃষ্টিকারী বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে কম প্রাণঘাতী অস্ত্রের পাশাপাশি রাইফেল, পিস্তল ও শটগান ব্যবহার করেছিল, এতে উত্তরায় (৩টি ঘটনা) ও অন্যান্য অনেক জায়গায় হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, পাশাপাশি তারা আহতদের চিকিৎসা সেবা (৮টি ঘটনা) সক্রিয়ভাবে বাধাগ্রস্ত করেছিল।

এতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী জনতা যখন আরও ভিন্নরূপ ধারণ করে তখন জনতার কিছু অংশ পুলিশ, পরিবহন অবকাঠামো এবং বাংলাদেশ টিভি ভবনসহ সরকারি ভবনগুলোতে আক্রমণ করেছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই সন্ধ্যায়, সরকার বিজিবি (বর্ডার গার্ডকে বাংলাদেশ) সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেয় এবং ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেটসেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়।

ওএইচসিএইচআর প্রমাণ পেয়েছে যে, ১৯ জুলাই, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং অন্যান্যরা রামপুরা ও বাড্ডা ছাড়াও ঢাকা ও সারা দেশে জনতার ওপর গুলি চালায়, কিন্তু শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ বা সহিংস অস্থিরতা দমন করতে পারেনি।

সন্ধ্যায়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মধ্যরাত থেকে কার্যকর দেশব্যাপী কারফিউ জারি, ও ২৭,০০০ সেনা সদস্য মোতায়েন করেন। ২০ ও ২১ জুলাই নিরাপত্তা বাহিনী বড় ধরনের অভিযান চালায়।

এতে বলা হয়েছে, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অবরোধ মুক্ত করতে বিশেষ করে যাত্রাবাড়ী মোড়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি খালি করার জন্য সামরিক রাইফেল ও শটগানের গুলি চালায়।

ওএইচসিএইচআর উল্লেখ করেছে যে, ২১শে জুলাই, সুপ্রিম কোর্টের একটি নতুন রায় মুক্তিযোদ্ধাদের বংশধরদের জন্য সংরক্ষিত সরকারি চাকরির কোটা ৫ শতাংশে কমিয়ে দেয় এবং ‘সরকার দ্রুততার সঙ্গে আদালতের মতামত মেনে নিয়ে প্রকাশ্যে এই পরিবর্তনকে সমর্থন জানায়।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তবে, সেই সময়ে, ছাত্র আন্দোলন ইতোমধ্যেই তাদের নিজস্ব দাবির মধ্যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আরও বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত, সেইসাথে ছাত্রদের হত্যাকারী পুলিশ অফিসার এবং ছাত্রলীগ সমর্থকদের জন্য ফৌজদারি জবাবদিহিতার দাবি অন্তর্ভুক্ত করেছিল।’

২৬ জুলাই, বিএনপি সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং অন্যান্য সংগঠনের মধ্যে ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রতিষ্ঠার এবং সরকারের পতনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছিল।

ওএইচসিএইচআর জানিয়েছে যে, রাস্তার বিক্ষোভ ‘সাময়িকভাবে শান্ত থাকলেও’ নিরাপত্তা বাহিনী ছাত্র, বিরোধী সমর্থক এবং বিক্ষোভে জড়িত থাকার সন্দেহে অন্যদের বিরুদ্ধে গণগ্রেপ্তার অভিযান চালায় এবং ছয়জন বিশিষ্ট ছাত্রনেতাকেও আটক করা হয়।

জাতিসংঘের কার্যালয় জানিয়েছে যে, এই ব্যক্তিদের প্রায়শই অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ ছাড়াই আটক করা হতো এবং অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতন ও অন্যান্য ধরণের দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়েছিল।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘২৮শে জুলাই, গোয়েন্দা শাখার প্রধান একটি জোরপূর্বক বিবৃতির একটি ভিডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করে। এতে আটক ছয়জন ছাত্রনেতা বিক্ষোভের নিন্দা করেছিলেন। এই ঘটনায় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

ওএইচসিএইচআর আরও জানিয়েছে যে, ২৫ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাঙচুর করা মেট্রো স্টেশন এবং পরের দিন পুড়ে যাওয়া বাংলাদেশ টিভি ভবন পরিদর্শন করেছিলেন এবং একই দিনে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করে পুলিশ ও বিজিবির গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আহত রোগীদের সাথে কথা বলেছিলেন।

তিনি ২৮ জুলাই নিহত ছাত্রদের পরিবারবর্গকে তার বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং ‘এই সময়ে, তিনি প্রকাশ্যে বিরোধী দলগুলোর ওপর সহিংসতা ও প্রাণহানির জন্য সমস্ত দোষ চাপিয়েছিলেন’।

৩০ জুলাই, সরকার জামায়াতে ইসলামী এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব ঘটনা ২০২৪ সালের আগস্টের শুরুতে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতা উস্কে দিতে অবদান রেখেছিল। নতুন করে জোরদার গণবিক্ষোভ শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল।

ওএইচসিএইচআর উল্লেখ করেছে যে, বিক্ষোভ পুনরায় শুরু হওয়ার পর গণআন্দোলন ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পদত্যাগ’ করার একটি নতুন, একক দাবির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের প্রতিক্রিয়ায় প্রাণঘাতী অস্ত্রসহ ব্যাপক শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর শক্তি প্রয়োগ সম্পর্কে আগস্টের শুরুতে একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছিলেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাস্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছিল। কিন্তু ‘বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের জন্য অফিসার ও সৈন্যদের মধ্যে সমর্থন হ্রাস পাচ্ছিল’। ৩ আগস্ট সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান একটি বড় সেনা সভা আহ্বান করেন, যেখানে জুনিয়র অফিসাররা তাকে জানান যে, তারা বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাতে চান না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন কর্মসূচিতে ৫ আগস্ট ঢাকায় একটি গণমিছিলের পরিকল্পনা করেছিল। ৪ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, যেখানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাসহ অন্যান্যরা অংশগ্রহণ করেন। তারা ঢাকায় গণমিছিল ঠেকাতে পুনরায় কারফিউ আরোপ এবং তা কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

৪ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি প্রধানদের সাথে দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেনাপ্রধান ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে আশ্বস্ত করেন যে, ঢাকায় সমাবেশ করতে দেয়া যেতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি পরিকল্পনায় তারা সম্মত হয়েছিল যে, ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভকারীদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

এতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট, লাখ লাখ বিক্ষোভকারী ঢাকার কেন্দ্রস্থলের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ ও সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকরা অনেক স্থানে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়, যদিও সেনাবাহিনী ও বিজিবি বেশিরভাগ সময় পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের মিছিল করতে দেয়। তবে, সৈন্যরা অন্তত একবার যেমন যমুনা ফিউচার পার্কে (ঘটনা ৭) গুলি চালিয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকালে, সেনাপ্রধান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন যে, সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদেরকে তার বাসভবনে পৌঁছাতে বাধা দিতে পারবে না। দুপুর ২টার দিকে শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে দেশ থেকে চলে যান।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক

উত্তেজনা বাড়ালে কেউ আমাদের থামাতে পারবে না, পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি

Published

on

কন্টিনেন্টাল

প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণহানির ঘটনার পরই এই অবস্থা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভারত যদি উত্তেজনা ছড়ায়, তাহলে আমাদের কেউই থামাতে পারবে না।

রোববার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পুরো পাকিস্তান আজ সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ভারত যদি উত্তেজনা ছড়ায় তাহলে আমরা পুলওয়ামার ঘটনায় যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলাম ঠিক সেভাবে মোদির সরকারকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

পুরো পাকিস্তানে সশস্ত্র বাহিনীর পেছনে ঐক্যবদ্ধ আছে বলে দাবি করেন খাজা আসিফ। তিনি যেকোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।

খাজা আসিফ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পারমাণবিক শক্তিধর দুই রাষ্ট্রের যেকোনও সংঘাত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, এই বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আনা হয়েছে। তারা পেহেলগামের এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করতে পারে।

ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তেজনা যদি বাড়তে থাকে, তাহলে কেউই আমাদের থামাতে পারবে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার পথ বেছে নেন, তাহলে আমরা তাকে পুরো পথে তাড়া করব।’’

খাজা আসিফ বলেন, নরেন্দ্র মোদি পুলওয়ামার সময় ব্যবহৃত একই কৌশলের পুনরাবৃত্তি করে মিথ্যা প্রচারণার জন্য পরিচিত। তবে পাকিস্তান কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী রয়েছে।

গত মঙ্গলবার কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনার পর ভারতের পক্ষ থেকে বুধবার বেশ কিছু কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই হামলার ঘটনায় ভারতের সরকার পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘‘সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে’’ সহায়তার অভিযোগ এনে দেশটির সঙ্গে স্বাক্ষরিত দীর্ঘদিনের সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত এবং উভয় দেশের মধ্যকার প্রধান স্থল সীমান্তও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। পাশাপাশি পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার এবং ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় সামরিক উপদেষ্টাকে প্রত্যাহার ও হাইকমিশনে নিযুক্ত কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি।

ভারতের আকস্মিক এমন পদক্ষেপের পর পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) জরুরি বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রায় একই ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ভারতে হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি আটক

Published

on

কন্টিনেন্টাল

ভারতের গুজরাটে এক হাজার জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অবৈধ অভিবাসনের অভিযোগে রাজ্যের সুরাট ও আহমেদাবাদ থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। 

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভির নির্দেশে শুরু এ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল অঞ্চলটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুজরাট পুলিশের নেতৃত্বে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) এবং স্থানীয় পুলিশ ইউনিটগুলোর সমন্বিত অভিযানে শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোরবেলা সন্দেহভাজন এই অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আহমেদাবাদ থেকেই ৮৯০ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। অন্যদিকে সুরাটের অভিযানে আটক করা হয়েছে ১৩৪ জনকে।  

কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, আটকরা সবাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে অঞ্চলটিতে বসবাস করছিলেন তারা। বলা হচ্ছে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।

গুজরাট পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (এসওজি) রাজদীপ সিং নাকুম বলেছেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং জাল কাগজপত্র নিয়ে বসবাস করছিলেন। তদন্ত শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।

রাজ্য পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ শাখা) শরদ সিংহল বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ মহাপরিচালকের সরাসরি নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়েছে। এর আগে, ২০২৪ সালের এপ্রিলের পর ১২৭ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৭৭ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

এদিকে ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি বলেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। 

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেছিলেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

গুজরাটে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

Published

on

কন্টিনেন্টাল

ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুজরাট থেকে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার রাতভর রাজ্যের আহমেদাবাদ ও সুরাটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই বাংলাদেশিরা গ্রেপ্তার হয়েছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে কমপক্ষে ৮৯০ বাংলাদেশি ও সুরাটে ১৩৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাটে এখন পর্যন্ত এটিই বৃহত্তম অভিযান বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।

গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।

ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকাল মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেছেন, ‘‘অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।’’

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। গুজরাটের এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।

হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

Published

on

কন্টিনেন্টাল

ইরানের বন্দরনগরী বন্দর আব্বাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যা রাজধানী তেহরান থেকে ১ হাজারের বেশি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ১১৫ জন আহত হয়েছেন।

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, এটি ইরানের সবচেয়ে আধুনিক সামুদ্রিক বন্দর। যা হোরমোজগানের প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাস থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এবং হরমুজ প্রণালীর উত্তর দিকে অবস্থিত। যেখান দিয়ে পৃথিবীর মোট উৎপাদিত তেলের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিবহণ করা হয়।

হোরমোজগান বন্দর ও সামুদ্রিক প্রশাসনের কর্মকর্তা ইসমাইল মালেকজাদেহ বলেছেন, “শনিবার (২৬ এপ্রিল) শহীদ রাজী বন্দরের ডকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আমরা আগুন নেভানোর কাজ করছি।”

হোরমোজগান প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার পরিচালক মেহেরদাদ হাসানজাদেহ সরকারি টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে ঠিক কতজন হতাহত হয়েছেন সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণ এলাকা থেকে কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলি বের হচ্ছে। অন্যান্য ভিডিওতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন এবং গাড়ি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ওই সময় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন বা গাড়ি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শহীদ রাজী বন্দর দিয়ে মূলত জাহাজে কনটেইনার ওঠানামা করা হয়। তবে সেখানে তেলের ট্যাংক এবং পেট্রলজাত রাসায়নিক পদার্থের অবকাঠামোও আছে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে হামলার নিরপেক্ষ তদন্তে পাকিস্তান উন্মুক্ত: শাহবাজ শরিফ

Published

on

কন্টিনেন্টাল

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার যে কোনো নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্তের জন্য তার দেশ উন্মুক্ত।

আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) কাকুলে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে পাসিং আউট কুচকাওয়াজের ভাষণের তিনি এ কথা বলেন।

শাহবাজ বলেন, পহেলগামে সাম্প্রতিক ট্র্যাজেডি ভারতের চিরস্থায়ী দোষারোপের আরেকটি উদাহরণ। যা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে পাকিস্তান তার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। পাকিস্তান যে কোনো নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশগ্রহণের জন্য উন্মুক্ত।

তিনি ভারতের সমালোচনা করে বলেন, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত বা যাচাইযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং মিথ্যাচারের ওপর ভিত্তি করে শোষণের ধরন অব্যাহত রেখেছে ভারত। কিন্তু আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের বীর সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে সক্ষম এবং প্রস্তুত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঠিকই বলেছেন। জিন্নাহ বলেছেন, কাশ্মীর পাকিস্তানের ঘাড়ের শিরা। দুর্ভাগ্যবশত, জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাব সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এই বিরোধ অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, কোনো সন্দেহ নেই। পাকিস্তান কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে যাবে; যতক্ষণ না তারা তাদের মহান সংগ্রাম এবং ত্যাগের মাধ্যমে তাদের অধিকার অর্জন করতে পারে।

এদিকে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেছেন, ‘সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত ​​বইবে।’

সিন্ধু নদী ডাকাতির চেষ্টা করছে ভারত- এমন মন্তব্য করে বিলাওয়াল বলেন, সিন্ধু সভ্যতার প্রকৃত উত্তরাধিকারীরা পাকিস্তানে বাস করেন। সিন্ধু সভ্যতার বৈধ উত্তরাধিকারী হিসেবে পাকিস্তান কখনই নদীর ওপর তার দাবি ত্যাগ করবে না।

নয়াদিল্লি যখন ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে এবং ইসলামাবাদের দোরগোড়ায় যুদ্ধের ঢোল বাজাচ্ছে তখন শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) পাকিস্তান পিপলস পার্টি ওই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ থেকে ভারতকে কঠোর বার্তা এবং দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

কন্টিনেন্টাল কন্টিনেন্টাল
পুঁজিবাজার3 minutes ago

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের...

কন্টিনেন্টাল কন্টিনেন্টাল
পুঁজিবাজার8 minutes ago

ফারইস্ট নিটিংয়ের আয় কমেছে ৪৮ শতাংশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইয়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয়...

কন্টিনেন্টাল কন্টিনেন্টাল
পুঁজিবাজার19 minutes ago

স্কয়ার টেক্সটাইলসের আয় বেড়েছে ৮ শতাংশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্কয়ার টেক্সটাইলস পিএলসি গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত...

কন্টিনেন্টাল কন্টিনেন্টাল
পুঁজিবাজার32 minutes ago

স্কয়ার ফার্মার আয় বেড়েছে ১৪ শতাংশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে...

কন্টিনেন্টাল কন্টিনেন্টাল
পুঁজিবাজার40 minutes ago

পাওয়ার গ্রিডের সর্বোচ্চ দরপতন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে...

কন্টিনেন্টাল কন্টিনেন্টাল
পুঁজিবাজার49 minutes ago

নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্স পিএলসি গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত...

কন্টিনেন্টাল কন্টিনেন্টাল
পুঁজিবাজার60 minutes ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের...

Advertisement
Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০