বীমা
ভার্চুয়ালি পর্ষদ সভা করতে পারবে না বিমা কোম্পানি

জীবন বিমা এবং সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভা ভার্চুয়ালি করা যাবে না। এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
আইডিআরএর ১৭৯তম পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিমা কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, জীবন এবং সাধারণ বিমাকারী কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভা এবং পরিচালনা পর্ষদের কোনো কমিটির কোনো সভা ভার্চুয়ালি করা যাবে না। সবাইকে সব ধরনের সভায় অবশ্যই সশরীরে অংশগ্রহণ করতে হবে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর বিমা কোম্পানির কয়েকজন পরিচালক আত্মগোপনে রয়েছেন। ভার্চুয়ালি পর্ষদ সভায় অংশ নিয়ে তারা পদ রক্ষা করছেন। আইডিআরএর নতুন নির্দেশনার ফলে এসব পরিচালক পর পর তিনটি পর্ষদ সভায় অনুপস্থিত হলে পরিচালক পদ হারাবেন।
এ বিষয়ে একটি বিমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বলেন, গত ১৫ বছরে বেশকিছু বিমা কোম্পানিতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কয়েকজন পরিচালক পদ দখল করেন। ৫ আগস্ট সরকার পতন হওয়ার পর তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। কিন্তু কেউ কেউ কোম্পানির পর্ষদ সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, আইডিআরএর নতুন নির্দেশনার ফলে পর্ষদ সভায় আর ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করা যাবে না। ফলে আত্মগোপনে থাকা পরিচালকরা তাদের পদ হারাতে পারেন। কারণ পর পর তিন পর্ষদ সভায় অনুপস্থিত থাকলে পরিচালক পদ হারাতে হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বীমা
ইসলামী বিমার জন্য সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক

সাধারণ বিমা কোম্পানির পর এবার ইসলামি বিমা কোম্পানিগুলোর জন্য সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
আইডিআরএর পরিচালক মোহা. আব্দুল মজিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। যা গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসলামি বিমা কোম্পানিগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ইসলামী জীবন বিমা কোম্পানিগুলোকে সরকারি সিকিউরিটিজ ইসলামী বন্ড বা সুকুকে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হবে। অপরদিকে, ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে এ বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
আইডিআরএর তথ্য অনুসারে, বর্তমানে দেশের বেসরকারি খাতে ১৬টি ইসলামী বিমা কোম্পানি ব্যবসা করছে। এর মধ্যে ইসলামী জীবন বিমা কোম্পানির সংখ্যা ১২টি এবং ইসলামী সাধারণ বিমা কোম্পানির সংখ্যা চারটি। দেশে বিমা ব্যবসা করা ইসলামী চার সাধারণ বিমা কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্স এবং তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স।
অপরদিকে, ইসলামী জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আদানির কাছ থেকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ চেয়েছে বাংলাদেশ

ভারতে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ চাইছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে সেখান থেকে। এর কারণ হলো বকেয়া পরিশোধ ইস্যু ও শীতে চাহিদা কম থাকা।
বকেয়া পরিশোধে দেরি হওয়ার কারণে ভারতীয় কোম্পানিটি ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে সরবরাহ অর্ধেক করে। এরপর নভেম্বর থেকে একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ থাকে। সে সময় বাংলাদেশও আদানিকে অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা বলেছিল।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) জানিয়েছে, বকেয়া পরিশোধের জন্য আদানিকে মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে এবং এখন কোম্পানিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে বলা হয়েছে।
বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের বর্তমান চাহিদা অনুসারে দ্বিতীয় ইউনিটটি চালুর পরিকল্পনা করেছিল আদানির প্রতিষ্ঠান। তবে উচ্চ কম্পন ও কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন পেমেন্ট করছি। আমরা আরও অর্থ পরিশোধের চেষ্টা করছি। আমাদের উদ্দেশ্য ওভারডিউ কমানো। এখন আদানি নিয়ে বড় কোনো সমস্যা নেই।
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি গোষ্ঠীর কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে এ কেন্দ্রে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে ক্রয় চুক্তি করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলারে নির্মিত ওই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর কিনবে বাংলাদেশ। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
বিআইএ’র নির্বাচন: লাইফ বীমার ৫ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার

বীমা মালিকদের সংগঠন বিআইএ’র নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে লাইফ বীমায় ৫ জন এবং নন-লাইফে ১ জন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টার মধ্যেই তারা নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা লাইফ বীমার ৫ প্রার্থী হলেন- প্রোগ্রেসিভ লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ, বেস্ট লাইফের পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম, চার্টার্ড লাইফের মুখ্য নির্বাহী এসএম জিয়াউল হক, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং রূপালী লাইফের মুখ্য নির্বাহী মো. গোলাম কিবরিয়া। অপরদিকে নন-লাইফ বীমা খাত থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন রূপালী ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক মোস্তফা কামরুস সোবহান।
লাইফ বীমায় মোট ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বাকী ৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। নন-লাইফে ১ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় এ খাতে মোট প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২০ জন। ফলে নন-লাইফের নির্বাহী সদস্য নির্বাচনে হবে ভোট।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিআইএ’র ২০২৫-২০২৬ সালের নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।
লাইফ বীমায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন যারা
লাইফ বীমার নির্বাহী সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা নির্বাচিত হচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- সন্ধানী লাইফের চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বেঙ্গল ইসলামি লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান আমিন হেলালী, ডেল্টা লাইফের পরিচালক আদিবা রহমান, এনআরবি ইসলামিক লাইফের পরিচালক আরিফ সিকদার, পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী বি এম ইউসুফ আলী, প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী জালালুল আজিম, জেনিথ ইসলামি লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. কাজীম উদ্দিন।
নন-লাইফ বীমার ১০ সদস্য পদে ২০ প্রার্থী
নন-লাইফ বীমার প্রার্থীরা হলেন- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান কাজী শাখাওয়াত হোসেইন লিন্টু, সিটি ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হোসেইন আখতার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান সাঈয়্যেদ আহমেদ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেইন; প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মো. মফিজুর রহমান, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান কে এম আলমগীর, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ইনভেস্টমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন জামাল, বাংলাদেশ ন্যাশনালের পরিচালক তায়েফ বিন ইউসুফ, জনতা ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক বেলাল আহমেদ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ইমাম শাহীন, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ফারজানা চৌধুরী, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী এএনএম ফজলুল করিম মুন্সি, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ড. এ কে এম সরোয়ার জাহান জামিল, ইসলামি কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কাজী মোকাররম দস্তগীর, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী হাসান তারেক, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী এবং স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. আব্দুল মতিন সরকার।
অর্থসংবাদ/
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, মুখ্য নির্বাহী নিয়োগের নির্দেশ

২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ না দেয়ায় কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। একইসঙ্গে কোম্পানিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।
বীমা আইন ২০১০ এর ১৩০ ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।
জরিমানার টাকা আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নামে পে-অর্ডার করে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. সোলায়মান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ২৯ জানুয়ারি বীমা কোম্পানিটিকে পাঠানো হয়েছে।
আইডিআরএ বলছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ না করে বীমা আইন ২০১০ এর ৮০ ধারা লংঘন করেছে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স। এই প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের ১৭৮তম সভায় বীমা কোম্পানিটির বিষয়ে বীমা আইন ২০১০ এর ১৩০ ধারা মোতাবেক ৩টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তগুলো হলো- বিগত ১ জুলাই ২০২৪ তারিখ হতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ না করায় কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ; আগামী ৬০ দিনের মধ্যে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে; ৬০ দিনের মধ্যে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করা না হলে পুনরায় কোম্পানিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
আলফা ইসলামী লাইফকে জরিমানা ও সতর্ক করলো আইডিআরএ

দেশের চতুর্থ প্রজন্মের জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। বীমা দাবি নিষ্পত্তিতে বার্ষিক প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা ও বীমা আইনের ধারার নির্দেশ পরিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় এ জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক আদেশ দিয়েছে আইডিআরএ।
গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে আইডিআরএ। এসময় প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়। আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ২০২২ সালের বীমা দাবি নিষ্পত্তি ও তামাদি পলিসি সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ের নিমিত্ত পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে রেজিস্টারে সংরক্ষিত তথ্যে দেখা যায়, ২০২২ সালে কোম্পানির নিষ্পত্তিকৃত মৃত্যুদাবি পলিসি সংখ্যা ৪৬ টি যার বিপরীতে পরিশোধিত টাকার পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৩ হাজার ৮১৬ টাকা। আর বীমাকারীর ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী মৃত্যুদাবি বাবদ পরিশোধিত টাকার পরিমাণ ২৭ লাখ ২৯ হাজার ৪১৬ টাকা। মৃত্যু দাবী রেজিস্টারের সাথে বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লিখিত টাকার মধ্যে ২৮ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ টাকার গরমিল পরিলক্ষিত হয়। ফলে বীমাকারী কর্তৃক দাখিলকৃত বার্ষিক প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য প্রদান করায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আলফা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ১৩১ মোতাবেক ২ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
এছাড়া, পরিদর্শনকালে বীমাকারী আলফা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সমর্পন দাবি বা প্রত্যর্পণ মূল্য বাবদ পরিশোধিত পলিসির বিস্তারিত যাচাই করে দেখা যায়, ২০২১ সালের ইস্যুকৃত ১০৬টি পলিসি ও ২০২২ সালের ইস্যুকৃত ৬৭টি পলিসির ক্ষেত্রে পলিসি গ্রহণের ২ বছর পূর্ণ না হওয়া সত্ত্বেও সমর্পন দাবি বা প্রত্যর্পণ মূল্য বাবদ মোট ৩ কোটি ২৯ লাখ ০৫ হাজার ৬৭২ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ৮৮ ও ৮৯ ধারা মোতাবেক লাইফ বীমা পলিসিসমূহ অন্যূন ২ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকলে উহার প্রত্যর্পন মূল্য অর্জন করবে। বীমাকারী কর্তৃক বীমা আইন, ২০১০ এর ধারা ৮৮ এর নির্দেশ পরিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় আইনের ১৩০ ধারা মোতাবেক ৫ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
পরিদর্শনকালে বীমাকারীর ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের তামাদি পলিসির হার যথাক্রমে ৯৪ শতাংশ, ৮৫ শতাংশ, ৭৭ শতাংশ এবং ৬৪ শতাংশ পরিলক্ষিত হয় যা অত্যধিক তামাদি পলিসি বলে গণ্য হয়। অত্যধিক তামাদি পলিসি বীমা শিল্পের জন্য ক্ষতিকর বিধায় বীমাকারী কোম্পানিকে ভবিষ্যতে ইস্যুকৃত পলিসি তামাদির হার কমিয়ে আনার জন্য সতর্ক করা হয়।
জানা গেছে, বীমাকারীর রেজিস্টার (পলিসি ও দাবী) সংরক্ষন প্রবিধানমালা, ২০১৭ এর প্রবিধি ৩ অনুসারে লাইফ বীমা পলিসি (মৃত্যুদাবি, সমর্পন দাবি, পরিশোধিত ও মেয়াদ উত্তীর্ণ দাবি) সংক্রান্ত রেজিস্টার সংরক্ষণ করার বিধান থাকলেও আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড যথাযথ নিয়মে রেজিস্টার সংরক্ষণ করছেনা। এই অবস্থায় রেজিস্টার যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এইরূপ ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানটিকে আরোপকৃত জরিমানা বাবদ সর্বমোট ৭ লাখ টাকার পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বরাবর আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তসমূহ যথাযথভাবে পরিপালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসএম